॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উদ্যোগে সরকারিভাবে সকালে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিবস উপলক্ষে বুধবার (৮ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর মো. শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ারা জাহান আক্তার, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, মহিলা পরিষদের রাঙ্গামাটি সভাপতি কনিকা বড়–য়া, সচেতন নাগরিকের জেলা সদস্য সুস্মিতা চাকমা প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, নারীদের সাথে কোন বৈষম্য নয়। নারীর অধিকার নিশ্চিত করা যেমন পুরুষের নৈতিক দায়িত্ব, তেমনি নারীকেও তার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য সৃষ্ঠি না করে নারী-পুরুষ মিলে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
॥ শিশির দাশ,বাবলা ॥ বর্তমান সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করলে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল গুলো চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিটি পদে পদে বাঁধা গ্রস্থ করবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা দীপংকর তালুকদার পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রহণী ভূমিকার কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত হচ্ছে। কিন্তু আঞ্চলিক সংগঠন গুলো পার্বত্য এই মাটি ও মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিরোধীতা শুরু করে। বক্তারা বলেন, পার্বত্য মানুষের কথা চিন্তা করে পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।
গতকাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষন উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন ।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যাণ্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল চাকমা (চাম্পা) পৌর মহিলা আওয়ামীলীগ সম্পাদিকা ও জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাওয়াল ইদ্দন, শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, যুবলীগ শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক কামাল উদ্দীন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুলদান মুহাম্মদ বাপ্পা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল মাওলা।
বক্তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু”। এই স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ বিনিয়ারা এদেশেকে দীর্ঘ আড়াইশো বছর শাসন করেছে। যুগের আবর্তনে জাতি সমুহের সোচ্চার আন্দোলনের মুখে সেদিন ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সেদিন বাঙালী জাতি মনে করেছিলো এবার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দুঃস্বপ্নের বেড়াজালের এবারও বাঙালী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শিকলে পতিত হয়। যার ফলে বাঙালীরা স্বাধীনতার দাবিতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণভ্যুত্থান ৭০’র নির্বাচন, অবশেষে ৭১’র স্বাধীনতার জন্য মুক্তিকামী বাঙালীরা সর্বস্ব ত্যাগ করে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো। আজ বাঙালী স্বাধীন জাতি, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে ঠিকে আছে। আর এ বাংলা ও বাঙালীর ইতিহাস যিনি রচয়িতা তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নবাব সিরাজদৌল্লাহ’র পরাজয়ের দিনকে যিনি স্বাধীনতার স্বাধ বাঙলা ও বাঙালীকে প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, যতদিন বাংলা ও বাঙালী থাকবে ততদিন এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধু আদর্শের, সৈনিক সৃষ্ঠি হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন তথা সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ‘সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে পাট অধিদপ্তর ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সারাজেলার ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও পালিত হলো জাতীয় পাট দিবস-২০১৭।
সোমবার (৬ মার্চ) সকালে দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হয়ে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম, মুজাদ্দেদ-ই-আল ফেসানি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মঈন বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম পাট অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আজিজুল হক এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, তামাক চাষীদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে তামাক চাষের ফলে নিজের এবং পরিবেশের প্রচুর ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, এক সময় এই সোনালী আঁশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে কিন্তু দিন দিন সে ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সে ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাষীদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়াতে হবে। পরিবেশবান্ধব যেসব ফসল উৎপাদিত হয় সেসব ফসল উৎপাদনে চাষীদের বেশী করে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক এক মত বিনিময় সভায় আনানো হয়েছে বাংলাদেশে বছর প্রতি প্রতি লাখে নতুন ভাবে ২২৭ জন যক্ষায় আক্রান্ত হচ্ছেন । এর মধ্যে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মৃত্যু হচ্ছে ৫১ জনের । কফে জীবানুযুক্ত নতুন রোগীর মধ্যে চিকিৎসার মাধ্যমে শতকরা ৯৪ ভাগ রোগী আরোগ্য লাভ করছে।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি নাটাব আয়োজিত যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রনে সাংস্কৃকি কমৃীদের ভূমিকা শীর্ষক এই মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার। প্রবীন সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদের সভাপেিতত্ব অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নাটাবের রাঙ্গামাটি জেলার সম্পাদক হাজী মোঃ শাহজাহান মজুমদার, রাঙ্গামাটি শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তফা কামাল , ব্র্যাকের জেলা স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী এম এ জামান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মোঃ মোসলেম উদ্দিন।
মত বিনিময় সভায় জানানো হয় যক্ষা একটি বাহু বাহিত সংক্রামক রোগ হলেও এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার আওতায় এনে পূর্ণমাত্রায় চিকিৎসা প্রদান করা গেলে রোগীর সুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। সরকার এই রোগ নিরুপন এবং চিকিৎসার সকল খরচ বিনামূল্যে প্রদান করছেন। ফুসফুসে আক্রান্ত যক্ষা রোগীদের চিকিৎসার আওতায় আনা না গেলে তার মাধ্যমে অন্যান্য সুস্থ্য রোগীরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
রাঙ্গামাটির সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের বিভিন্ন শাখর ৩০ জন শিল্পী ও সংগঠক মত বিনিময় সভায় অংশ নেন।
॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা স্থিতিশীল বজায় রাখা। কেননা আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট হলে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হয়। তাই, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন লংগদু উপজেলার সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী।
শনিবার (৪ মার্চ) লংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে জোনের চিত্ত বিনোদন কক্ষে উপজেলার হেডম্যান ও কার্বারীদেরে নিয়ে আয়োজিত এক সন্মেলনে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী এআহবান জানান।
সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ রফিকুল ইসলাম পিএসসি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্যে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী আরো বলেন, যেহেতু আমরা এই এলাকায় থাকি তাই, এলাকার মানুষের সুখ, দুঃখ ও উন্নয়নের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এই সম্মেলন একটি যুগপোযোগী বলে মনে করি। এলাকায় যে কোন পরিস্থিতি দেখা দিলে তখন নিজেরাই আলাপের মাধ্যমে তা সমাধানের ব্যবস্থা করা যাবে।
তিনি বলেন, লংগদুতে আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। তার জন্য আমি খুবই খুশি। এটা কেবল সম্ভব হয়েছে আপনাদের সহযোগিতার জন্য। আশাকরি আগামীতেও আপনারা এভাবে জোনকে সহযোগিতা দিয়ে যাবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোমিনুল ইসলাম, উপজেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোনাই মৌজার হেডম্যান প্রেম লাল চাকমা, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও হেডম্যান মোঃ এখলাস মিঞা খান।
এছাড়া লংগদু ইউপি চেয়ারম্যান ও হেডম্যান কুলিন মিত্র চাকমা আদু, উপজেলার কার্বারী সমিতির সভাপতি সুরুজ চান চাকমা, কার্বারী মোঃ আব্দুস সাত্তার বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে উপজেলার সকল হেডম্যান, কার্বারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গত ২রা মার্চ রাঙ্গামাটির শিল্পকলা একাডেমীতে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে ১০টি বিষয়ে ১০ (দশ) জন গুনী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত মনগড়া ছিল। কিন্তু তারিমধ্যে যেটি অত্যন্ত দৃষ্টি কটু লেগেছে সেটি হচ্ছে সম্মানিতদেরকে অসম্মান করা হয়েছে। এতে করে ২/১ জন সম্মানিত ব্যক্তি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
প্রথমতঃ সম্মানিতদের দর্শকদের গ্যালারীর মাঝখানে বসানো হয়েছে। ২য়তঃ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদেরকে উত্তরীয় পরানো হয়েছে।
বতৃতা শেষে সম্মানিতদের উত্তরীয় ক্রাষ্ট নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করেছে পরে ষ্টেজের পিছন সারিতে দাঁড়িয়ে ফটো সেশন করেছে।
প্রথমদিকে তাদেরকে দর্শকদের সামনের আসনে বসানো উচিত ছিলো। এবং অতিথিদের সাথে উত্তরীয় পরিয়ে ষ্টেজে বসানো সঠিক ছিলো।
ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোন অনুষ্ঠানে এরকম দৃস্টি কটু দেখা যায় মতো কিছু না করা থেকে বিরত থাকা।
॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথ গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। যৌথভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, সংরক্ষিত আসনের সদস্য যথাক্রমে হোসনে আরা, নয়ন আক্তার, ফুশকারা বেগম, সাধারন আসনের সদস্য যথাক্রমে আবুল হাসেম, মোঃ মোস্তফা, আজিজুল হক, আবুল হাসনাত খোকন, মাইনুল ইসলাম, মোঃ মামুন, মাইনুল ইসলাম, আরশাদ আলী ও মাইন উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়–য়া।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত বছরের ১২ নভেম্বর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে তিনি ৬ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানেরশীষ প্রতিকে পান ৪৭৪ ভোট। নির্বাচনের এক মাসের মাথায় গেজেট প্রকাশিত হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়নি। শপথ না হওয়ায় নির্বাচিত হয়েও তারা কোন দায়িত্ব পালন করতে পারছেননা। স্থানীয় জনগণ বিচার আচার, জন্ম সনদ পাওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে কার কাছে যাবে কে সমাধান দেবে বুঝতে পারছেননা। এর ফলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে ববলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন স্বারকলিপি গ্রহণ করার কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যথাযথ নিয়মে স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। তিনি নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্রুত শপথ হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন। সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়–য়া বলেন, রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ছিল সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। সেটা আমরা করতে পেরেছি। কিন্তু শপথ কেন হচ্ছেনা সেই বিষয়টি দেখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। তিনি স্মারকলিপিটি যথা নিয়মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠাবেন বলেও জানান।
এদিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী এবং নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের সদস্য যথাক্রমে হোসনেয়ারা, নয়ন আক্তার, ফুশকারা বেগম, সাধারন আসনের সদস্য যথাক্রমে আবুল হাসেম, মোঃ মোস্তফা, আজিজুল হক, আবুল হাসনাত খোকন, মাইনুল ইসলাম, মোঃ মামুন, মাইনুল ইসলাম, আরশাদ আলী ও মাইন উদ্দিন বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এই প্রতিনিধিকে বলেন, জনগণের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। জনগণ আশায় বুক বেঁধে ভোট দিয়ে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। এখন যদি জনগণের সেবা করতে না পারি তা হলে কোন মুখ নিয়ে আমরা আবার জনতার সামনে দাঁড়াবো। তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে বলেও তারা হুশিয়ার করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অবদানের স্বীকিৃতির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় আগামী বছর থেকে গুনীজনদের সম্মাননা জানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা জানানো না গেলে আগামীতে কোন ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উঠে আসবে না। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী যে ১জন গুনী ব্যক্তিকে সম্মাননা দিয়েছে তাদের দেখে আগামী দিন গুলো আরো প্রতিভার সৃষ্টি হবে। এই প্রতিভারাই একদিন পার্বত্য অঞ্চলের সুনাম দেশ বিদেশে ছড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল ২ মার্চ রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সমাজে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অসমান্য অবদান রাখায় ১০ জন গুনীজনকে সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও শিল্পকলার আহবায়ক মনোয়ারা আক্তার জাহান। গুনীজনদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন রাঙ্গামাটির প্রাক্তন শিক্ষা অফিসার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আবৃতিকার হিসাবে গুনীজন সম্মাননা প্রাপ্ত অঞ্জুলিকা খীসা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল।
বীর বাহাদুর বলেন, যে দেশে গুনীদের কদর করা হয় না সে দেশে কখনোই গুনী জন্ম গ্রহণ করে না। গুনীদের কদর করতে না জানলে নিজের প্রতিভাও প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের আনাচে কানাচে অনেক গুনী শিল্পী ও ক্রীড়াবিদ পড়ে আছে তাদের ঠিক মতো গড়ে তুলতে পারলেই আগামী দিন গুলোতে পার্বত্য অঞ্চলে নাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরো বেশী বেশী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।
তিনি রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন। রাঙ্গামাটিতে অনেক ক্ষুদে খেলোয়াড় রয়েছে তাদের সঠিক ভাবে তৈরী করতে পারলেই আগামীতে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক ক্রীড়াবিদ তৈরী হবে। তিনি রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা যদি ফুটবল লীগ শুরু করে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা প্রদান করেন। এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে সম্মাননা প্রাপ্ত ১০ জন গুনীজনকে তার পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করেন বীর বাহাদুর এমপি।
মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কথা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সকলকে আরো বেশী কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী আমাদের পাশে রয়েছে। তার হাত ধরেই আমরা আগামী দিনে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরো উপরে নিয়ে যাবো এই আশা প্রকাশ করছি।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, চারুকলায় রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা, যাত্রা শিল্পী হিসাবে নন্দ রানী চাকমা, কন্ঠ সংগীতে ফনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নৃত্যকলায় হুমায়ুন কবীর, যন্ত্র শিল্পী ধারশ মনি চাকমা, লোক সংস্কৃতিতে আনন্দলতা চাকমা, আবৃত্তিতে অঞ্জুলিকা খীসা, কন্ঠ সংগীতে অমর শান্তি চাকমা, নাট্যকলায় ঝিমিত ঝিমিত চাকমা, যন্ত্রশিল্পী হিসাবে ঝুলন দত্ত।
আলোচনাসভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও অন্যান্য অতিথিরা গুনী ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
লংগদুতে মহিলা আ.লীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে
—– দীপংকর তালুকদার
আগামী নির্বাচনে লংগদুর নারীরা স্বতর্স্পূত ভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে
—- ফিরোজা বেগম চিনু
॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পাহাড়ে কিছু অস্ত্রধারী ন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্রের মুখে দিয়ে সাধারণ পাহাড়ী বাঙ্গালীদের জিম্মি করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্ঠি করছে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনিি পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে সাধারণ জনগন কেউ মুখ খুলতে চায়না। তবে কিছু কিছু সচেতন লোকজন অস্ত্রবাজিদের জিম্মি দশা থেকে বের হয়ে আসছে। তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
মঙ্গলবার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এআহবান জানান।
উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী তানিয়া আফরোজ হাওয়া এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি পৌর আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামটি জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ জানে আলম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা আ.লীগের সদস্য ইউসুফ আলী খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি মোঃ সেলিম, উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদিকা আঞ্জুম আরা মুন্নি, সাংগঠনিক সম্পাদিকা ফাতেমা জিন্নাহ প্রমুখ।
দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, আওয়ামীলীগ কথায় এবং কাজে বিশ্বাসী। যেখানে একবার কথা দেয় সেটা রক্ষা করে। নির্বাচনে রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগ হারলেও উন্নয়নের কর্মকান্ড থেমে থাকেনি। কিন্তু অন্যরা জিতলেও উন্নয়নতো দূরের কথা এলাকায় পর্যন্ত আসেনা না।
তিনি বলেন, চব্বিশ বছর আগে লংগদুতে সাংগঠনিক সফরে এসে দলের জন্য উঠান বৈঠক করা কঠিন ছিল। আজ সেই প্রেক্ষাপট নেই। এখন সমাবেশে মহিলাদের জায়গা সংকুলান হচ্ছেনা। এটা সম্ভব হয়েছে আ.লীগ উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে বলে।
তিনি বলেন, লংগদুতে নৌকা পালের হাওয়া লেগেছে তাইতো ইউপি নির্বাচনে পাঁচটিতে আমরা জয় পেয়েছি। অতছ এই উপজেলা ছিলো বিএনপির ঘাটি। আপনাদের মধ্যে সতস্ফুর্ত সাড়া দেখে আমি আশান্বিত যে আগামীতে নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদে যেতে পারবো।
সংসদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, নারীরা অনেক অগ্রসর হয়েছে। তারা আর পিছিয়ে নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নের ব্যাপরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, নারীদের আইনগত সহায়তা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ফলে নারীরা আজ, সামাজিক উন্নয়নে নারীদের উন্নয়ন ছাড়াও সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন চাকুরী ক্ষেত্রে নারীদের সমান ভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নারীরা আজ ঘরে বসে নেই। তারা অনেক ভাবে আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে নারীরা যাতে ঘরে বসে না থেকে স্বতর্স্পূত ভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, লংগদু উপজেলার সমাবেশ দেখে বোঝা যায় এই উপজেলায় নারীদের মনে নৌকার যথেষ্ট সারা জাগিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
রাঙ্গামাটিতে মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী,
পাহাড়ের অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ
ভাবে এগিয়ে আসতে হবে————- দীপংকর তালুকদার
বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে যে কাজ
করেছে তা অতীতে কোন সরকার করেনি—–ফিরোজা বেগম চিনু
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন পাহাড়ের অস্ত্রের কারণে কোন মানুষ শান্তিতে নেই। পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলেই অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। অস্ত্রের ভয়ের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মুখ খুলতে পারছে না। তিনি বলেন, কিছু কিছু সচেতন মানুষ আজ তাদের অস্ত্রের শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে এটি আমাদের জন্য একটি বড়ো পাওনা। তিনি অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
গতকাল বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এর ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা আওযামী লীগ কার্যালয়ে এক মহিলা সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান। রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মহিলা সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, মহিলা আওযামীলীগের নেত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নবাগত সদস্য মনোয়ারা জসিম, রোকেয়া আক্তার সহ জেলা ও ওয়ার্ড কমিটির নারী নেত্রীরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা মহিলাআওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বর্তমান সরকার
পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে যে কাজ করেছে তা অতীতে কোন সরকার করেনি। পাহাড়ের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় সরকারের উন্নয়ন পৌছে গেছে। এই উন্নয়নের সুফল পার্বত্য অঞ্চলের জনগন পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের অস্ত্রবাজী ও চাঁদাবাজীর কারণে আজ পাহাড়ের মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। তাদের প্রতিহত করতে এবং তাদের অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের সকল নারীদের শুভেচ্ছা জানান। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয় এবং সমাবেশে উপস্থিত নেতা ও কর্মীদের মাঝে প্রতিষ্ঠা বার্সিকীর কেক বিতরন করা হয়।