চট্টগ্রাম অফিস :: চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সূচকের পাশাপাশি তথ্য প্রযু্িক্ততেও দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। তিনি আমাদেরকে উন্নত দেশের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বলেই বর্তমানে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই দেশ এখন প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। তথ্য প্রযু্িক্তর কারণে অনলাইনে ভূমির নামজারিসহ সরকারি অনেক সেবা অতি অল্প সময়ে, কম খরচে, দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত ছাড়া স্বচ্ছতার সাথে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ইনোভেশন। ইনোভেশনের কারণে বেকার যুবকদের নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ইনোভেশনের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সরকারি সেবাগুলো সহজ হয়ে গেছে। কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতির কারণে ঘরে ঘরে তৈরী হচ্ছে উদ্যোক্তা। প্রযুক্তির ভাল দিকগুলো বেছে নিয়ে মন্দ দিকগুলো পরিহার করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত থাকলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বিজ্ঞান বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে। আজ ৩১ জানুয়ারী ২০২০ ইং শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ে দু’দিন ব্যাপী ইনোভেশন শোকেসিং এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ইনোভেশন শোকেসিংয়ে “হোম এন্ড অফিস সার্ভিস সাপোর্ট সিস্টেম” উদ্ভাবনে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ইনোভেশন টিম।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো জনগনের সামনে তুলে ধরাসহ মেধা ও বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক ধারনাকে কাজে লাগানোর জন্য ইনোভেশন শোকেসিং এর আয়োজন। উন্নত দেশের নাগরিকেরা ঘরে বসে সেবা পায়। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারলে এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশী দপ্তর/সেক্টরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কাঙ্খিত সেবা ভোগ পুরোপুরি ভোগ করতে পারবো। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায় থেকে সরকারি সেবা আরো সহজীকরণ করতে সারাদেশে সাড়ে ৫ হাজারের অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) করা হয়েছে। ফলে কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই সরকারি ১৩১টি সেবা জনগণ ভোগ করছে। সরকারি দপ্তরগুলোতে চালু করা হয়েছে ই-ফাইলিং সিস্টেম। তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের লোকজনকে নতুন নতুন ইনোভেশনে সম্পৃক্ত করা গেলে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু হাসান সিদ্দিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম। দু’দিন ব্যাপী ইনোভেশন শোকেসিং এ অংশগ্রহণকারী বিভাগের ১১টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মধ্যে বিচারকের নিরপেক্ষ বিচারে “হোম এন্ড অফিস সার্ভিস সাপোর্ট সিস্টেম” উদ্ভাবনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়-১ম স্থান, “জেলা পর্যায়ে আইসিটি অধিদপ্তরের অনলাইন সেবা ব্যবস্থাপনা ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব মনিটরিং সিস্টেম” উদ্ভাবনে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়-২য় স্থান ও “ প্রকল্পসমূহের একিভূত করণ” উদ্ভাবনে লক্ষীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়-৩য় স্থান অর্জন করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিভাগের শ্রেষ্ট তিনটি জেলা ইনোভেশন টিমের হাতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্টানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা। অনুষ্ঠানে বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উন্নত জাতি গঠনে গণমাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, আগামী দিনের তরুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যাতে গণমাধ্যমের উপর আস্থা রেখে দেশ গড়ার কাজে ভূমিকা রাখতে পারে, গণমাধ্যমকে সেই আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। তবে কিছু কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর পাশাপাশি অসত্য খবর প্রকাশ করা হয়। এতে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকার সম্পাদক মো. নূর হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার আহবান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরতে ধরতে যার জীবন যৌবনের ৫০ টি বছর কেটে গেলে এমন এক গুনী মানুষ পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক সংবাদপত্রের পথিকৃত, পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিক তৈরীর কারিগর দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা দিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম।
গতকাল পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ৬ বছরে পদার্পন উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি চারুকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা, গুনীজন সম্মাননা ও সাংস্কতিক অনুষ্ঠানে এই গুনী মানুষের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া।
এ সময় রাঙ্গামাটি পৌর সভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, আইএফআইসি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক শোয়েব রানা, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ গৌরব দেওয়ান, রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা স্বপন কুমার চাকমা সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহণ কালে চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা কালে বিভিন্ন কথা তুলে ধরে বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন চড়াই উৎরায় পেরিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা তুলে ধরতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। পায়ে হেঁটে হেঁটে এ পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কথা বিশ^বাসীর কাছে জানাতে চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু সফল হয়েছি। সেই সফলতা টুকু পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা, জীবন, সংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ গুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি মাত্র।
তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষ আজ পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুফল পাচ্ছে। এই পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে দৈনিক গিরিদর্পণের অবদান কম নয়। প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে এই চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি সব সময়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের সরকার যে ভ’মিকা রেখেছে তার অনেকাংশে আমার এবং দৈনিক গিরিদর্পণের সহযোগিতা কম ছিলো না। তিনি বলেন, এই কাজ করতে গিয়ে আমাকে অনেক অনেক বার মৃত্যুর পরোয়ানা গুনতে হয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়ের কাজ করে এসে আজ আমার জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় পার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমান যুগে যারা পাহাড়ে সাংবাদিকতা করছে তারাতো সোনার চামচ মুখে দিয়ে দিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছে। তারা পাহাড়ের মানুষের কথা তুলে ধরতে পাহাড়ে পাহাড়ে হাটতে হয় না। অনলাইন যুগে ঘরে বসেই সব নিউজ পেয়ে যাচ্ছে। তার পরও বলছি পাহাড়ের সাংবাদিকতা বড় পাওয়া হচ্ছে আজ অনেক সাংবাদিক তৈরী করেছি। তারা যদি সঠিক ভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারবে তরুন প্রজন্ম।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ সভ্যতার এই উর্ধমুখী গন্তব্যের সময়ে যেমন মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি চোখে পরার মতো ঠিক তেমনি তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দুষণের হার।
সভ্যতার উন্নায়ন তরান্বিত করতে গিয়ে আমরা আমদের পরিবেশ কে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলছি দিনের পর দিন। বর্তমান সময়ে পরিবেশ তথা প্রধানত বায়ু দুষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এই বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। তাই পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক রাখতে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে কানাডিয়ান দুই তরুণ। দুইজন তরুণের পক্ষ্যে এতো গাছ লাগানো আসলেই কি সম্ভব?
তারা তাদের উদ্ভাবনির মাধ্যমে বিশ্বকে এমনটাই জানান দিয়েছেন। তারা ড্রোন দিয়ে বনায়নের জন্য “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” নামের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা এমন একটি ড্রোন তৈরি করেছেন যা একদিনে ২০ হাজার চারা ও ১ লাখ বীজ রোপণ করতে পারবে।
এর ফলে মানুষের চেয়ে গাছ লাগান যাবে ১০ গুণ দ্রুতগতিতে। কমে যাবে শ্রমিকের সংখ্যা, বেঁচে যাবে সময়।সার্বিক ভাবে এতে খরচ কমে আসবে প্রায় ২০ শতাংশ। “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, “প্রতি বছর ১৩ বিলিয়ন গাছ হারাচ্ছে পৃথিবী। এর বিপরীতে জন্মাচ্ছে অর্ধেক পরিমাণ গাছ আর এই অর্ধেক এর অধিকাংশই প্রাকৃতিক ভাবে জন্মাচ্ছে।
আমরা পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক করার কাজে নেমেছি। অন্যসব কাজের আগে এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” গাছ লাগানোর জায়গা খুঁজতে “ফ্ল্যাশ ফরেস্ট” ব্যবহার করবে এরিয়াল ম্যাপিং সফটওয়্যার যা তাদের গাছ রোপনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজতে সহায়তা করবে।এছাড়াও এক্ষেত্রে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সহায়তা নেয়া হবে বলে তারা জানায়।
জায়গা পর্যবেক্ষণ ও বাছাই হয়ে গেলে সেখানে প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও গাছের উপকারী “মাইকররাইজ ফাঙ্গাস” নিয়ে যাবে ড্রোনটি। পরিক্ষামুলক ভাবে গত আগস্টে পাইলট প্রকল্পের ড্রোন এর আওতায় ৩ মিনিটে ১৬৫টি করে মোট ৩ হাজার গাছ লাগানো হয়।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে বিজয়ের যে ‘আলোকবর্তিকা’ তুলে দিয়েছেন, তা নিয়েই পথচলার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই।”
শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য আজ ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেছেন। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী নগরীর পুরাতন বিমান বন্দরে আয়োজিত এক বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানে মুহূর্তটিকে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে উৎসর্গ করে বলেন, ‘আমি ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পা রাখেন এই স্থানেই।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জনগণ জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মযার্দার আসনে অধিষ্ঠিত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হাতে বিজয়ের মশাল তুলে দিয়েছেন, আমরা এখন এই বিজয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের দখলদারিত্ব থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার কয়েক সপ্তাহ পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ রাজকীয় এয়ার ফোর্সের একটি বিমানে করে লন্ডন থেকে নয়াদিল্লী হয়ে দেশে ফিরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।
৪৮ বছর আগের এই দিনে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়ন করা হয় ক্ষণ গণনার শুরুর আয়োজনে।
আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ফিরে ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “সেদিনটিতে আমরা হয়ত বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল, আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম।
“কিন্তু আমার মনে পড়ে মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম।”
জনগণের প্রতি বাবার গভীর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, “আমার মনে পড়ে, তিনি কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলির কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। তারপর আমরা তাকে পাই।
“তিনি এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে।”
এই প্রেক্ষাপটে কবিগুরুর ’বঙ্গমাতা’ কবিতার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ’সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি’। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ই জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে।
”জাতির পিতা বলেছিলেন, কবি গুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।”
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের উপর ছায়া ফেলতে না পারে।
”আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।”
চট্টগ্রাম অফিস :: মহান বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা) চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ২০১৯ইং সকাল ৯.৩০ টায় ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে (বনপা)’র পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা) চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক ও গিরিদর্পন ডট কম এর নির্বাহী সম্পাদক এম.কে মোমিন, সাবেক প্যানেল মেয়র ও পার্লামেন্ট ডট কমের সম্পাদক রেখা আলম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আজকের সত্য সংবাদ ডট কমের সম্পাদক হারুন উর রশিদ,সহ সাধারণ সম্পাদক ও আর্থ নিউজ ডট কমের সম্পাদক ফরহাদ আমিন ফয়সাল, প্রচার সম্পাদক ও কর্ণফুলী নিউজ এর সম্পাদক মোঃ সাইফু ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চট্টগ্রামের সময় ডট কম সম্পাদক এম.ডি.এইচ রাজু, এম.নরুল ইসলাম মন্জু-চট্টগ্রামের সময় ডট কম,সামশুল করিম লাভলু-সম্মনয় নিউজ২৪ ডট কম, শাহাদত হোসেন রিপন চট্টগ্রামের সময় ডট কম, আশিক আরেফিন আরজি বাংলা টিভি,শেখ ফরমান উল্লাহ্ চৌধুরী ক্রাইম বাংলা ডট কম,মার্শাল কবির পান্নু,জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়া-গিরিদর্পন ডট কম,কাজী মুরাদুল ইসলাম, মুহাম্মদ আমির হোসেন, শাহীনুর বেগম,কামাল হোসেন,আবৃত্তি শিল্পী শাহীন, সরোওয়ার চৌধুরী মানিক প্রমুখ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। তথ্য প্রযুক্তি বর্তমানে মানুষের হাতের মুঠোয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছু ব্যতিক্রমধর্মী চোখে পড়লেই শেয়ার করা উচিত নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা কিছু প্রকাশ করা হয় তার সবটাই সত্য নয়। সমাজকে অস্থীতিশীল করার জন্য স্বার্থান্বেষীরা অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে। যে বিষয় ঘটার সম্বাবনা নেই বা না ঘটা সত্বেও ঘটেছে বলে প্রকাশ করা হচ্ছে, তাই গুজব। গুজবে কান না দিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে শেয়ার করতে হবে। ফেইক আইডিতে ব্যতিক্রম তথ্যচিত্র শেয়ার করে জাতিকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির জন্য পেপারলেস হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ। ই-ফাইলিং, ই-নথি এবং ই-গভর্ণেন্স কার্যক্রম চলছে। সে জন্য সরকার দ্রুত সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে। দেশ তথ্য প্রযুক্তিগতভাবে অনেক দূর এগিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত ‘সত্য মিথ্যার যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি, অর্থনীতি, আইন, ধর্ম ও সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে একটি কুচক্রী মহল প্রতিনিয়ত গুজব ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সেমিনারে ইন্টারনেটের এ যুগে তরুণ সমাজকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন তথ্য শেয়ার করবার আগে নিশ্চিত হয়ে নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। তথ্য প্রযুক্তিজ্ঞান ছাড়া দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ সম্ভব নয়। শিল্প কারখানায় এখন শ্রমিকরা মেনুয়্যালী কাজ করছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রোবট দিয়ে শিল্প কারখানা চলবে। মানুষ ঘরে বসে দাপ্তরিক কাজ করতে পারবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সময়ের বাস্তবতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্প বিপ্লব হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় উন্নত হওয়া। তথ্য প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারিং এ উন্নত হয়ে আমাদের এ বিপ্লব স¦ার্থক করতে হবে। এর থেকে বাংলদেশের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু হাসান সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান। সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উপলক্ষে সার্কিট হাউসের সামনে থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র্যালি ও সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারের আলোচনা পর্ব শেষে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত রচনা ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন
নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ ছয় বছর প্রতিক্ষার পর তথ্য মন্ত্রনালয়ে জমাকৃত প্রায় ১৮ শতাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টালের মধ্যে সহস্রাধিক পোর্টাল বন্ধ হতে পারে খবর বিদেশি একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার জেরে আশংকা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
বাংলাদেশ নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন(বনপা) এর সদস্যদের মধ্যেও এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বনপা’র প্রেসিডেন্ট সুভাষ সাহা এ প্রতিবেদককে জানান,“তথ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে শত শত অনলাইনের উদ্যোক্তা উদ্বিগ্ন।” তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গত পহেলা ডিসেম্বর সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যারা নিবন্ধন পাবে না, তারা এ ধরনের পোর্টাল চালাতে পারবে না।” মন্ত্রীর এই আকস্মিক ঘোষণার বিষয়ে সুভাষ সাহা বলেন, “সরকার যে অনলাইন নীতিমালা করেছে, সে অনুযায়ী একটি কমিশন গঠন করার কথা। কমিশন গঠনের পর তারা নিবন্ধন দেওয়ার ব্যাপারে গাইডলাইন তৈরি করবে।
এর ভিত্তিতে ওই কমিশন অনলাইনগুলোর নিবন্ধন দেয়ার কথা।” তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত কমিশন গঠন হয়নি। এর মধ্যে মন্ত্রী নিবন্ধন শুরু করার ঘোষণা দিলেন। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা কথা বলার জন্য তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্য সচিবের কাছে সময় চেয়েছি।
আশা করছি আগামী দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে।” যেসব সংবাদ পোর্টাল নিবন্ধন পাবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সরকারি ঘোষণায় অনেক উদ্যোক্তা শংকিত! আর্টিকেল নাইনটিন এর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল এ প্রতিনিধিকে বলেন, “সরকারের এই চেষ্টা অজ্ঞতাপ্রসূত এবং তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়।” তিনি বলেন “ইন্টারনেটের সকল পোর্টাল রেজিস্ট্রেশন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
রেজিস্ট্রেশন না দিলেও যেসব বাঙালি দেশের বাইরে থাকেন, তারা সেখান থেকে পোর্টাল চালাবেন। বিদেশি সংবাদপোর্টালগুলো বাংলাদেশে নিবন্ধিত না হয়েও যদি সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, তাহলে শুধুমাত্র দেশের অনলাইনগুলো বন্ধ করে দেওয়া যুক্তিতে টিকবে না।” বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, “নিবন্ধনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনলাইনগুলোর কার্যক্রম অন্তত ৬ মাস খতিয়ে দেখার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি কমিটি করা উচিত। সবাইকে সম্পৃক্ত করে যাচাই বাছাই ছাড়া সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সালীম সামাদ এ প্রসঙ্গে নিউজ২৪ডটওয়েবসাইট কে বলেন, “সরকার প্রিন্ট ভার্সনের জন্য আইনী কঠোরতা কমিয়ে অনলাইন নিয়ন্ত্রণে খুব কঠোর হচ্ছে। এতে প্রেস ফ্রিডম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” এসব বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানার জন্য তথ্যমন্ত্রী, তথ্য সচিব এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর কাছে বারবার ফোন করে এবং খুদে বার্তা পাঠিয়ে কোনও জবার পাওয়া যায়নি। আবেদনের সংখ্যা বিভ্রাট বাংলাদেশে অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংখ্যা কত এবং কত সংখ্যক উদ্যোক্তা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে একেকবার একেক কথা বলা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “মোট ৩ হাজার ৫৯৫টি নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।” তবে এর আগে গত ১৫ জুলাই সচিবালয়ে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “নিবন্ধনের জন্য সরকারের কাছে আট হাজারের বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন জমা পড়েছে।” বনপা’র সাধারণ সম্পাদক এএইচ তারেক চৌধুরী বলেছেন, “আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্রগুলো যাচাই বাছাই করে কয়েক দফায় প্রায় দেড় হাজার আবেদনপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়েছি।
এছাড়াও সংগঠনের সদস্যদের অনেকেই সরাসরি আবেদনপত্র দিয়েছেন। আমাদের সংগঠনের সদস্যদের আবেদন পড়েছে প্রায় ১৮০০। সংগঠনের বাইরে কতগুলো আবেদন পড়েছে তা জানি না।” প্রায় তিন বছর পূর্বে,সরকারের একাধিক দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার সুযোগে অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করে আসছে।
দীর্ঘদিন কোনপ্রকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চলছে চলে আসছে অগনিত নিউজ পোর্টাল। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদকে বলেছিলেন, “দেশের অনলাইন সংবাদপত্রের হালনাগাদ কোনও তালিকা সরকারের কাছে নেই। তবে অনলাইন পত্রিকা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দুই হাজার ১৮টি আবেদন পাওয়া গেছে।” কী করতে যাচ্ছে সরকার? হাছান মাহমুদ বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকশ অনলাইন নিউজ পোর্টালের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখে আগামী সপ্তাহে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেয়া শুরু করবে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইন মিডিয়া চালু করা হবে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালাতে পারবে না। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ অনুযায়ী ইলেকট্রনিক মিডিয়া সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ সেক্টরে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
বিদেশি টিভি সিরিয়াল বাংলায় ডাবিং করে প্রচারের ক্ষেত্রেও টিভি চ্যানেলগুলোকে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। “পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়েছে,” বলেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়েছে শুধু মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য। অথচ তারা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সরকার বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি কাউকে ভিডিও কনটেন্ট করার লাইসেন্স দেয়নি। আমরা এরই মধ্যে এসব বন্ধ করার জন্য টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আমরা এ সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ বিষয়ে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে,” বলেন মন্ত্রী।
এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিজস্ব অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট দেখাচ্ছে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদক এবং টিভি চ্যানেলের মালিকেরা অনলাইন ভার্সন চালু রাখতে আলাদা অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। তাঁরা বছর দুয়েক আগে সরকারকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
বনপা’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যদি এমন হয় যে ৫০ থেকে ১০০টি অনলাইনকে রেজিস্ট্রেশন দিলো, বাকিরা পেল না তাহলে বিষয়টি খুবই হতাশাজনক হবে। আমরা দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে সরকারের সহযোগী হিসেবে দেশের স্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের সংগঠনের আওতায় নিউজ পোর্টালগুলো ইতিবাচক ভূমিকা অব্যহত রেখেছে। আশা করি সরকার আমাদের হতাশ করবে না।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গ্রামীণ ফোনের স্থাপিত টাওয়ারের বকেয়া পৌরকর বাবদ প্রায় ৪(চার)কোটি টাকার চেক হন্তান্তর করেছে গ্রামীণ ফোন লিঃ। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে গ্রামীণ ফোন লি:ঢাকা এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ রিদোয়ানুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের নিকট এই করের টাকা হস্তান্তর করেন। এই সময় স্পেশালিস্ট সাইট একুজিশন ডেভেলাপমেন্ট প্রজেক্ট কর্মকর্তা মাহবুব সালেকীন, গ্রামীণ ফোন লি: চট্টগ্রাম ডিভিশনের প্রধান মো. শরীফ মাহমুদ খান, জেনারেল ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন, মোহাম্মদ হাসনাত পারভেজ, আবদুল্লাহ আল হারুন শরীফ সহ গ্রামীণ ফোনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা,প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। নগরীতে গ্রামীণ ফোন স্থাপিত টাওয়ার বাবত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর হতে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর পর্যন্ত ৭ (সাত) বছরে ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৫৭ টাকা বকেয়া ছিল। চেক হস্তান্তরকালে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরবাসির প্রদেয় ট্যাক্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তার নির্ধারিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা,আলোকায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যতিত শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ বহুমুখি কার্যক্রম পরিচালনা করে নগরবাসিকে সার্বক্ষনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কর্পোরেশনের নাগরিক এই সেবা সচল রাখতে তিনি নগরবাসির সহযোগিতা কামনা করেন।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, “দেশে যে অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলো আছে, সেগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। এ পর্যন্ত সব মিলে ৩ হাজার ৫৯৭টি দরখাস্ত জমা পড়েছে। সেগুলো তদন্ত করার জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ আলোচনা করে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনগুলোর তদন্ত শেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য, যাতে আমরা নিবন্ধনের কাজটি শুরু করতে পারি।”
তিনি বলেন, “আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যে কয়েকশ’ অনলাইনের তদন্ত শেষ করেছে, তার প্রতিবেদন আজ বা কালকের মধ্যে আমাদের কাছে পাঠাবে। আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবো। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে, কারণ সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি অনলাইনের তদন্ত শেষ করা সহজ কাজ নয় এবং কয়েকটি সংস্থা তদন্ত করছে। যে কয়টি আমরা পাবো, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবো।”
“ভবিষ্যতেও যেনো অনলাইন সংবাদ পোর্টাল কেউ করতে পারে, সেজন্য আমরা পরবর্তীতে আবার দরখাস্ত আহ্বান করবো, কারণ এখানে যে অনলাইনগুলো আছে, সেগুলোতেই তো এ মাধ্যম শেষ হয়ে যেতে পারে না’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “পত্রিকা যেমন যে কেউ যে কোনো সময় বের করতে পারে, ভবিষ্যতে তেমনি অনলাইনও বের করতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে অনলাইন পোর্টাল চালু করতে হলে একটি প্রক্রিয়ায় অনুমতির মাধ্যমের করতে হবে। পত্রিকা বের করতে চাইলে যেমন নামের ছাড়পত্র নিতে হয়, অনলাইনের ক্ষেত্রেও একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বের করতে হবে। আইপি টিভি, আইপি রেডিও’র জন্যও আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সবাইকেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।”
টেলিভিশনে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল প্রচারে পূর্বানুমতির জন্য প্রিভিউ কমিটি
এসময় টেলিভিশনে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল প্রচারকে নিয়মনীতির আওতায় আনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন টেলিভিশনে যে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করা হয়, সেগুলোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে এবং অনুমতির জন্য দরখাস্ত পড়েছে অনেকগুলো। এগুলো একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাওয়া প্রয়োজন। দুই-তিন ঘণ্টার একটি ছবি যেমন মুক্তি পেতে হলে সেন্সর বোর্ড হয়ে আসতে হয়, তেমনি এসব সিরিয়াল, যেগুলোর কোনোটা ৫০, কোনোটা ৩০ পর্ব, আবার প্রতিটি পর্ব হচ্ছে এক বা আধঘণ্টার পর্ব, অর্থাৎ একটি ছবি হয় দুই-তিন ঘণ্টা আর এগুলো একেকটা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ঘণ্টা, সুতরাং এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া অনুমোদন দেওয়া সমীচীন নয়।”
মন্ত্রী জানান, সে লক্ষ্যে আমরা একটি বাছাই কমিটি গঠন করেছি এবং ইতিমধ্যে গত ২৭ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) এর নেতৃত্বে এ কমিটিতে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বিশিষ্ট নাট্যজন সারা যাকের, এটকো, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘের একজন করে প্রতিনিধি, বিটিভি ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার উপসচিব রয়েছেন।
“এখন থেকে কোনো টেলিভিশনে বিদেশি কোনো সিরিয়াল যদি প্রচার করতে হয়, তাহলে এই কমিটির কাছে দরখাস্ত করার পর এই কমিটি দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে, আমাদের নতুন প্রজন্মের মনন তৈরিতে বা আমাদের সমাজে এই সিরিয়াল কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলছে কী না, বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেবে” বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মোবাইল কোম্পানিগুলোর ভিডিও কনটেন্ট আপলোড আসবে শৃঙ্খলায়
হাছান মাহমুদ বলেন, “মোবাইল কোম্পানি নানা ধরণের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ইউটিউব বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ছে আবার সেখানে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, সেখানেও তারা ব্যবসা করছে, এটির লাইসেন্স তাদেরকে দেওয়া হয়নি। তাদেরকে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এটি বন্ধ করার জন্যে ইতোমধ্যে আমরা টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। এ ধরনের চলমান বিষয়ে বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নেবে। এটিকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।”