মহান স্বাধীনতা দিবস ও কোমলমতি শিশুদের সাংস্কৃতিক জগৎ আনন্দ একাডেমি এর ৩য় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে কেক কেটে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন নাট্যজন ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় শিশুদের চিত্রাংকন, সঙ্গীত এবং একাডেমি’র সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে উন্মুক্ত লটারি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোরশেদ হোসেন চৌধুরী। উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতায় ক. খ ও গ বিভাগ হতে নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। এরপর একাডেমি’র সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বহুল আকাঙ্খিত উন্মুক্ত লটারি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পুরস্কার একটি হারমোনিয়াম জিতে নেয় ক্ষুদে শিক্ষার্থী অনিন্দিতা আচার্য্য, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি কম্পিউটার টেবিল জিতে নেয় সংযুক্তা বিশ্বাস, তৃতীয় পুরস্কার তিনটি প্রতিজন একটি করে ৫৬ ইঞ্চি সিলিং ফ্যান পেয়েছে সুবাইতা সুরেন, ঋতু দেবী ও তীর্থ সাহা, চতুর্থ পুরস্কার চারটি প্রতিটি বিদেশী বড়ো দুই লিটারের হটবক্স পেয়েছে অনন্যা বড়–য়া, প্রিয়ন্তী পাল, অরিজিৎ দাশ ও রূপন্তী দে, পঞ্চম পুরস্কার দশটি প্রত্যেক শিক্ষার্থী সেমন্তী দাশগুপ্তা, জয়িতা বড়–য়া, আবরার হোসেন, প্রজ্ঞা বড়–য়া, মুন্সি ইভান আকছান ও সুদীপ্তধর জিতেছে আকর্ষণীয় টিফিন বক্স ও প্রাইজ বন্ড। আনন্দ একাডেমি’র তৃতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এমন মনোমুগ্ধকর আয়োজন দেখে প্রতিথিবৃন্দ বলেন, সৃজনীশল ও মননশীল চিন্তা-চেতনার চর্চা সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, আনন্দ একাডেমি নীরবে-নিভৃতে এ কাজটি করে যাচ্ছে। অতিথিবৃন্দরা আরো বলেন, চট্টগ্রাম শহরে শিশুদের নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে কিন্তু আজকের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, অতিথিবৃন্দ শিশুদেরকে উৎসাহ ও আনন্দ দেওয়ার জন্য মানসম্মত পুরস্কার প্রদান করায় প্রচারবিমুখ ‘আনন্দ একাডেমি’কে ধন্যবাদ জানান। তারা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তানকে ফ্রি চিত্রাংকন, সঙ্গীত ও হাতের সুন্দর লেখা শেখানোর জন্য আনন্দ একাডেমি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাতে আপনাদের সহযোগিতা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। লটারি প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন, সঙ্গীত, পুরস্কার বিতরণ ও মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন একাডেমি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর.কে দাশ রূপু। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ মহান স্বাধীনতার মাসে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং ১৫ আগস্ট ঘাতক হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আনন্দ একাডেমি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি জামাল উদ্দীন, এড. সুসেন কান্তি দাশ, সাংবাদিক কাঞ্চন মহাজন, একাডেমি’র পরিচালক জে.বি.এস আনন্দবোধি ভিক্ষু, প্রদীপ আচার্য্য, মিল্টন কান্তি নাথ, নেপাল চন্দ্র পাহক, অরূপ কুমার নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সমাজসেবা অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগের আয়োজনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় আন্তঃ প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ ২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, পরিচালক (উপসচিব), সমাজসেবা অধিদফতর, বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব বন্দনা দাশ, অতিঃ পরিচালক, সমাজসেবা অধিদফতর, বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম। অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার উপপরিচালক, সমাজসেবা কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ এমএ আজিজ ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সমাজসেবা অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ২০টি প্রতিষ্ঠানের শিশুদের মধ্য হতে মোট ৩৩ ইভেন্টে ১৩৫ জন প্রতিযোগী ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অপরদিকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মোট ১৬ টি ইভেন্টে ২১৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যেমে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। এরপর চ্যাম্পিয়ন জেলা কুমিল্লার উপপরিচালক জেডএম মিজানুর রহমান খান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি সমাজসেবা অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সকল প্রতিযোগী এবং সুধীমন্ডলীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন সমাজসেবা অধিদফতর প্রতিবছর এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এ ধরণের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। ফলে শিশুদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলী বিকশিত হয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন এখানে যে সমস্ত শিশুরা রয়েছে তাদের বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অভিভাবক নেই। রাষ্ট্রই তাদের অভিভাবক, রাষ্ট্রের পক্ষে সমাজসেবা অধিদফতর তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে, তিনি বলেন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতর পিছিয়ে পড়া এতিম ও প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার ব্যবস্থাসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে থাকে। পাশাপাশি প্রতি বছর তাদের দেহমন সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে। এর ফলে শিশু কিশোরেরা সার্বিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পায় এবং মানব সম্পদে পরিনত হতে পারে।
প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি উপস্থিত শিশু কিশোরদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এ ধরণের প্রতিযোগিতা শিশুদের মধ্যে প্রতিযোগতিামূলক মনোভাবের সৃষ্টি করে, ফলে তারা ক্রমান্বয়ে ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা লাভ করে। তিনি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রতিবন্ধী ও অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর, তাদের সুখ দুখের অংশীদার হওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু সমস্যা নয়, সম্পদ। তিনি শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন শিক্ষাই মানুষকে মানবিক গুণাবলী অর্জনের পথে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জ্ঞানার্জনের এবং শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তিনি এই শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগতিার আশ্বাস দেন এবং ১ (এক) লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করবেন মর্মে ঘোষনা প্রদান করেন।
অতিথিদের বক্তব্যের পর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ১০ জন প্রতিযোগীকে ‘ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন’ ক্যাটাগরীতে, ক্রিকেট (বালক ও বালিকা) দলের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলকে, মার্চপাস্ট ও ডিসপ্লে দলের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী দলকে ট্রফি প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ২০ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে কুমিল্লা জেলা দল।
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ির ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো: রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, খেলাধূলা নিয়মানুবর্তিতার পাশাপাশি ভ্রাতৃবোধ ও সম্প্রীতি সুদৃঢ় করে। এছাড়া খেলাধূলা শারীরিক ও মানসিক প্রফুল্লতার পাশাপাশি নিজের অঞ্চল, তথা দেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করার সুযোগ করে দেয়।
রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত জেলা ভলিবল লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা ভলিবল লীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা। এসময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ধুমক্ষেতু মারমা, যুগ্ম সম্পাদক ধীমান খীসা, কোর্স ক্যাউলাচাই চৌধুরীসহ ক্রীড়া প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী খেলায় কংচাইরী পাড়া মারমা যুব কল্যাণ সংঘ ২-১ সাইডে মারমা উন্নয়ন সংসদকে পরাজিত করে। রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে চার গ্রুপে ১২টি দল এই লীগে অংশগ্রহণ করছে।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ পড়ালেখার পাশাপাশি খেলা-ধুলা শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে বলে মন্ত্য বরেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার চর্চার সাথে সাথে গুণগত শিক্ষার জন্য সম্মিলিতভাবে পথ খুঁজে বের করা বা পদক্ষেপ নেয়া আয়োজন। আমাদের এখন থেকে ভাবতে হবে আগামী দিন গুলোর জন্য। তবেই আমাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ ও জাতীর আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য গড়ে তুলতে পারব।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) অপরূপা বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী এইসব কথা বলেন।
১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নজরুল হাউজ এবং রানার আপ হয়েছে শহীদুল্লাহ হাউজ।
বর্ণাঢ্য এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাউজে বিভক্ত হয়ে (নজরুল হাউজ, বরকত হাউজ ও শহীদুল্লাহ হাউজ) অংশগ্রহণ করে। আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে তিন হাউজ তিনটি সুন্দর ডিসপ্লে প্রদর্শন করে, যা দর্শকের মনে আনন্দের খোরাক যোগায়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি, এনডিইউ, পিএসসি, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লেঃ কর্নেল মোঃ রেজাউল ইসলাম,পিএসসি, পিএইচডি, এইসি, বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার স্কুল এন্ড কলেজের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, বিজিবি বান্দরবান সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, বান্দরবান সদর জোনের জোন কমান্ডারসহ অন্যান্য জোনের জোন কমান্ডার এবং অধিনায়কগণ, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র সহধমির্নী মে হ্লা প্রু, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিজ, গভর্নিং বডি’র সদস্য মোঃ খোরশেদ আলম, মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও রূপশ্রী নেওয়ার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ, মোঃ ইসলাম কোম্পানিসহ প্রমুখগণ। সহ¯্রাধিক অতিথি অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এ প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় তার জন্য আকাংক্ষা পোষণ করেন। সবশেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের অর্থায়নে ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের কনফারেন্স রুমের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে যে জয় পেয়েছিল সে জয়ের সাক্ষী পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়ি। ফাইনালে খাগড়াছড়ির মেয়ে আনুচিং মারমা ফরোয়ার্ড, আনাই মারমা রাইট ডিফেন্ডার ও মনিকা চাকমা সেন্টার মিড ফিল্ডে খেলে বাংলাদেশ দলকে এনে দিয়েছে শিরোপা। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের তিন কন্যার সাফল্যকে আরো এগিয়ে নিতে এবং তাঁদের জীবনকে বিকশিত পাশে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জেলা সদরের সাথৈঅং কার্বারী পাড়ায় যমজ দুই কন্যা আনুচিং ও আনাই মারমা’র বাড়িতে হাজির হন। তাঁকে কাছে পেয়ে এই কৃতী ফুটবলারের বাবা দিনমজুর রিপ্রু চাই মারমা ও মা আপ্রুমা মারমা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসময় চলতি অর্থবছরের মধ্যেই আনাই-আনুচিংদের ঘরটি পূন:নির্মাণ করার প্রত্যয় জানান। একই সাথে তিনি আরেক কৃতী ফুটবল কন্যা লক্ষ্মীছড়ির দূর্গম সুমন্ত পাড়ার মনিকা চাকমা’র ঘরও নির্মাণের ঘোষণা দেন। এছাড়া এই তিন ফুটবল কন্যার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে এফডিআর, শিক্ষাবৃত্তিসহ তাঁদের জন্য করণীয় সব দায়িত্ব পালন করবে জেলা পরিষদ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানময় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) সভাপতি নুরুল আজম, জেলা পরিষদের পিআরও চিংলামং চৌধুরীসহ বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার মধ্যদিয়ে পেশাদার খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন বুনতে থাকেন তারা। খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দূর্গম সুমন্তপাড়ার গ্রামের মেয়ে মনিকা চাকমা। খেলাধূলা দূরের কথা মৌলিক অধিকারের অনেক সুবিধাই নেই এই গ্রামে। তবুও নিজের প্রবল ইচ্ছে শক্তি ও ক্রীড়া নিপুণতা দূর্গম গ্রাম থেকে তুলে এনেছে তাকে। একই অবস্থা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাথৈঅং কার্বারী পাড়ার যমজ বোন আনাই মারমা ও আনুচিং মারমাদের গল্প। সাত ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট তারা। পরিবারের অভাব অনটন থাকায় ঠিক মতো তাদের দেখভাল করতে না পারার ভয়ে জন্মের পরপরই দত্তক দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতার বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় তিন জনের খেলার কৌশল নজরে আসে রাঙ্গামাটির ক্রীড়া সংগঠক বীর সেন চাকমার। তার তত্বাবধানে আনুচিং, আনাই ও মনিকাকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয় দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে। ভারতের বিপক্ষে শিরোপা ঘরে এনে দেশজুড়ে পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়িকে আলোচনায় এনেছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশকে জয় এনে দিলেও নিজেদের দারিদ্রতাকে জয় করতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক প্রথমের জন্ম যার হাত ধরে, তিনি এখানেও প্রথম। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব জায়গা পেয়েছেন সম্মানজনক আইসিসি ক্রিকেট কমিটিতে। সম্মানিত করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও।
সাকিবসহ নতুন চার সদস্য নিয়ে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বর্তমান কমিটির দায়িত্ব। তবে কমিটির প্রথম সভা আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি, সিডনিতে। সভায় যোগ দিতে ৭ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন সাকিব।
অক্টোবরে কমিটিতে জায়গা পাওয়ার পরই সাকিব বলেছিলেন, এটা তার জন্য অনেক বড় সম্মান। প্রথম সভার আগে সেই রোমাঞ্চ তাকে আলোড়িত করছে ভেতরে ভেতরে।
“আমি ওখানে গিয়ে স্রেফ দর্শক হয়ে বসে থাকতে চাই না। অবদান রাখতে চাই। যে কয় বছর কমিটিতে থাকব, পুরোটাতেই সক্রিয় থাকতে চাই। সেভাবেই ভাবছি, প্রস্তুতি নিচ্ছি। পার্থক্য গড়ার মত কিছু বলতে বা করতে না পারলে তো সভায় গিয়ে লাভ নেই।”
“সভার এজেন্ডাগুলো ওরা পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেক কাগজপত্র। সেগুলো দেখছি। নিজের মতামত যা থাকবে, সেসব নিয়ে ভাবছি। প্লেনে ওঠার পর ফাইনাল টাচ দেব। লম্বা ফ্লাইটে শেষের সবটুকু গুছিয়ে নেব।”
এমসিসি ক্রিকেট কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৬ সালে। কমিটিতে থাকেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়াররা। প্রতি বছর দুই বার করে সভা হয় এই কমিটির।
ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করে এই কমিটি। সমসাময়িক ক্রিকেটের আইন-কানুনসহ নানা পরিবর্তন ও ক্রিকেটের ভালো-মন্দ নিয়ে সুপারিশ করে আইসিসিকে। আইসিসি সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন হয় সেসবের।
সাকিবের পাশাপাশি এবার কমিটিতে নতুন সদস্য নিউ জিল্যান্ড মেয়েদের দলের ক্রিকেটার সুজি বেটস, সাবেক ফাস্ট বোলার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ, সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।
কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং। ১৪ সদস্যের কমিটিতে আছেন রডনি মার্শ, সৌরভ গাঙ্গুলি, রিকি পন্টিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কুমার সাঙ্গাকারা, টিম মে, রমিজ রাজার মত ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা।
এবারের সভার পর কমিটির পরের সভা হবে আগামী ৬ ও ৭ অগাস্ট, লর্ডসে।
॥ জিয়াউর রহমান জুয়েল ॥ আগে কেঁপেছেন নিজেরা, এখন প্রতিপক্ষ আর মাঠ ! অমতে চুরি করে মাঠে ফুটবল খেলে ঘরে ফিরে বাবা-মায়ের সামনে না কেঁপে উপায় আছে? ফুটবল কি মেয়েরা খেলে !
সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের তিন ফুটবল কন্যার বিজয়গাথার শুরুর গল্প এমনি। বলছিলাম পাহাড়ি কন্যা মনিকা চাকমা, আনুচিং মোগিনী ও আনাই মোগিনীর কথা।
বছরের শেষ প্রান্তে এসে ক্রীড়াঙ্গনে দেশের সবচেয়ে বড় যে সাফল্য ধরা দিয়েছে, তার অন্যতম কুশিলবও এরা। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার সেরা টীম এটিই। ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলতে চান বয়স ১৫ না পেরোনো এই কিশোরিরা।
বঙ্গমাতা প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজের স্কুলের হয়ে প্রথম জার্সি গায়ে খেলার মাঠে নামেন তারা। এখন জাতীয় দলে তাদের গায়ে লাল-সবুজ জার্সি। ফুটবল উন্মাদনায় মাতিয়েছেন দর্শককে। বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে কেঁপেছে মাঠ। সম্মানের মুকুট পড়িয়েছেন দেশ ও জাতিকে।
তিন জনই রাঙ্গামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থি। তবে তাদের জন্ম পাশের জেলা খাগড়াছড়িতে। এরমধ্যে মনিকার জন্ম লক্ষীছড়ির কৃষক দম্পতি বিন্দু কুমার চাকমা ও রবি মালা চাকমার সংসারে। ভাইহীন ৫ বোনের মধ্যে সবার ছোট মনিকা।
আর দুই যমজ বোন আনুচিং মোগিনী ও আনাইচিং মোগিনী। জন্ম নেন জেলা সদরের সাত ভাইয়া পাড়ার গরিব কৃষক দম্পতি রিপ্রু মারমা ও আপ্রুমা মারমার ঘরে। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার ছোট তারা।
পড়ালেখার পাশাপাশি তিনজনই ফুটবল খেলেন চমৎকার। অথচ বাবা-মা কখনও চাননি তাদের মেয়ে ফুটবল খেলুক। খেললে বাধা দিতেন। শুনতে হতো বাবা-মায়ের বকুনি। এরপরও সব বাধা উপেক্ষা করে খেলে চলেন তারা। এখন ছুটছেন ফুটবলের মাঠে মাঠে। এখন তারা জাতীয় নারী ফুটবল তারকা।
রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর ভীত রচন করেছিলেন আনুচিং মারমা। তিনি ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোলমুখের জটলা থেকে শট নেন। কিন্তু ভারতীয় গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল ফিরে আসলে ফিরতি শটে শামসুন্নাহার বল জালে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন। ওই একমাত্র গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়।
তবে জয়ের এ ভীত রচনা হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। ওই ম্যাচে ভারতকে ৩-০ গোলে হারানোর শেষ গোলটি ছিল মনিকা চাকমার। সতীর্থ শামসুন্নাহারের কাছ থেকে বল পেয়ে ঢুকে পড়েন ভারতের সীমানায়। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোণাকুনি শটে মিলে কাংখিত গোলও। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পান মনিকা। প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষেও মনিকার ছিল একটি গোল। নিজের গ্রামের সব বাড়ির দরজা যার এখনো দেখাই হয়নি। খবরের কাগজতো দূরের কথা নিজের ঘরে টেলিভিশন পর্যন্ত নেই। সেই কিনা এখন টেলিভিশন-পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিচ্ছেন হরদম!
বিজয়ের এই খুশি ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়েও। তিন ফুটবল কন্যার স্কুল ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্র চাকমা বলেন, তিনজনই খুবই পরিশ্রমি। ফুটবলই যেন তাদের ধ্যান জ্ঞান। চ্যাম্পিয়ন খেতাব অর্জনে তারা অংশীদার হওয়ায় পাহাড় বাসির জন্য গর্বের-আনন্দের।
বাবা-মায়ের বাধার পরেও কীভাবে ফুটবলার হলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরও তাদের জানা। ফুটবল খুব প্রিয়। বকা খেয়েও ফুটবল ছাড়িনি। ফুটবল খেলছি, ভবিষ্যতেও খেলায় থাকতে চাই জাতীয় দলের হয়ে।
চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জিতে উৎফুল্ল মনিকা। পায়ে বল গেলে অন্য কিছু চোখে পড়ে না মনিকার! বলেন মনে হয়না আমার আশপাশে কেউ আছে ? এ টুর্নামেন্টে মনিকার গোল তিনটি। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের সদস্য হয়ে গত বছর তাজিকিস্তানে মনিকা গোল করেছে দু’টি। তাছাড়া থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বড় টুর্নামেন্টে করেছেন একটি।
ফুটবল মাঠে আনুচিং স্ট্রাইকার; গোল শিকারি। এবার সাফ অনুর্ধ্ব ১৫ টুর্নামেন্টে ম্যাচের প্রথমেই নেপালের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছে আনুচিং। আর আনাই; ইস্পাত কঠিন মনোবলে ঠেকায় গোল। ডিফেন্ডার হিসেবে অতন্দ্র প্রহরি সে।
দুই যমজ ফুটবল তারকার বাবা রিপ্রু মারমা বলেন, আমার অভাবে সংসারে খুব কষ্টে ছিলাম। আমরা চাইনি দুই যমজ মেয়ে ফুটবল খেলুক। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে ওরা খেলেছে। এখন ওদের নিয়ে আমরা সুখী, গর্বিত। আনুচিং সব সময় ঘুরে বেড়ানোর তালে। আর তার বড় আনাই লাজুক স্বভাবের, গর্বে আহলাদি বাবার মুখ ফসকে বেড়িয়ে আসা এমন তথ্যে দোষের কী আছে? ।
ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো চান অবসর নেওয়ার আগে কমপক্ষে সাতটি ব্যালন ডি’অর জেতা। আর বাবা রোনালদোর চাওয়া সাতটি সন্তান! ফুটবল ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত জীবনে এই দুই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
এ বছর পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জয়ের জোরালো সম্ভাবনা আছে ২০১৬-১৭ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা এনে দেওয়া রোনালদোর।
৩২ বছর বয়সী রোনালদো গত বছরও দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে ফরাসি ফুটবল সাময়িকীর দেওয়া ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। এরই মধ্যে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার দেওয়া ‘বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’-এর পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কার আর শিরোপা জয় ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সম্প্রতি চতুর্থ সন্তানের বাবা হওয়া রোনালদোর।
ফ্রান্সের পত্রিকা লেকিপকে রোনালদো বলেন “আমি ব্যালন ডি’অর নিয়ে আর চিন্তিত নই। আমার বয়স এখন ৩২; তেত্রিশের কাছাকাছি। আমরা জগৎটা কেবল ফুটবল নিয়ে নয়; অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আছে।”
“আমি জানি, ব্যালন ডি’অরের প্যানেলে এখনও ভোটিং চলছে। এটা জয়ের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী, চিন্তিত নই। যদি আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করেন-আমি এটা জিততে চাই কিনা? তাহলে অবশ্যই বলব, হ্যাঁ।”
এ সপ্তাহে তার বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেস জন্ম দিয়েছেন মেয়ে আলানা মার্তিনার। চার সন্তানের জনক রোনালদো জানিয়েছেন আরও তিন সন্তান চাই তার।
“আমি সাতটা সন্তান এবং একই সংখ্যক ব্যালন ডি’অর চাই। যতদিন আমি খেলব, সবগুলো জয়ের আকাঙ্ক্ষাই আছে আমার। তাই আমার স্বপ্ন পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জেতা। পরের বছরেরটা জেতা এবং এরপর আরও একটার খোঁজে থাকা।
চলতি মৌসুমে রোনালদোর সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। লা লিগায় ৭ ম্যাচে মাত্র একটি গোল তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য চার ম্যাচে খেলে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড গোল করেছেন ছয়টি। গোলখরা নিয়ে চলা সমালোচনা অবশ্য ‘বাধ্য হয়ে’ মেনে নিচ্ছেন রোনালদো।
মৌসুমে এখন পর্যন্ত পারফরম্যান্স নিয়ে রোনালদো বলেন, “বেশ ভালো তবে নিখুঁত নয়। আমি খুশি এবং ভালো বোধ করছি। আমরা লিগে কিছু পয়েন্ট খুইয়েছি কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমরা ঠিকঠাক আছি।”
“লোকে আমাকে নিয়ে যা বলে, আমি তার সঙ্গে একমত নই। লোকে ভালো খেলা ও ভালো খেলে গোল না পাওয়ার মধ্যে পার্থক্য জানে না। আমি সমালোচনা মেনে নিচ্ছি কিন্তু এর সঙ্গে একমত নই। এ কারণে তারা আমাকে নিয়ে কি বলছে তা পড়া ও শোনাটা এড়িয়ে চলি। কিন্তু মেনে না নেওয়া ছাড়া আমার কোনো পথ নেই। আমি পৃথিবীটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।”
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ বান্দরবানের সদর উপজেলার জমছড়ি মুখপাড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় জামছড়ি মুখপাড়ার মাঠে উক্ত ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় হানসামা পাড়া স্পোটিং ক্লাব বনাম ফ্রেন্ডস ক্লাব অব বড়ইতলী দুই দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জামছড়ি মূখপাড়া ফুটবল টুর্ণামেন্টের আহ্বায়ক থোয়াইসাউ মার্মার সভাপতিত্বে এসময় ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জামছড়ি মূখপাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ উ: কসাল্লা মহাথের, বান্দরবান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মারমা, সাবেক ফুটবল খেলোয়ার মোহাম্মদ নাছির, অসীম বড়–য়া, মো: আব্দুর রহিম, রফিকুল আলম মামুন, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সিংথোয়াই মারমা, জামছড়ি মূখপাড়া ফুটবল টুর্ণামেন্টের সাধারণ সম্পাদক মংমেচিং মারমা সহ স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা।
উক্ত ফাইনাল খেলায় ফ্রেন্ডস ক্লাব অব বড়ইতলী দলকে ০-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হানসামা পাড়া স্পোটিং ক্লাব ।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন হানসামা পাড়া স্পোটিং ক্লাব ও রানার্স আপ ফ্রেন্ডস ক্লাব অব বড়ই তলীর খেলোয়াড়দের মাঝে বিজয়ী ট্রফি তুলে দেন। গত ৯ অক্টোবর জামছড়ি মুখ ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলা শুরু হয়, খেলায় ২৪ টি দল অংশগ্রহণ করে।
৩০০ ক্রিকেটারকে নিয়ে হওয়া নিলামে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। সাকিবকে নিয়েছে কেরালা কিংস। এই দলের কোচ হিসেবে থাকছেন কারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। দলের আইকন ক্রিকেটার ওয়েন মর্গ্যান। দলে আছে কাইরন পোলার্ড, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল তানভিরও।
নিলামের দ্বিতীয় ডাকেই তামিমকে নিয়েছে পাখতুনস। এই দলের আইকন ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি। সতীর্থ হিসেবে তামিম পাচ্ছেন ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, ডোয়াইন স্মিথদের।
সাকিব ও তামিম, দুজনই ছিলেন পারিশ্রমিকের শীর্ষ ক্যাটেগরিতে, যেটির পারিশ্রমিক ৩০ হাজার ডলার।
মুস্তাফিজ খেলবেন বেঙ্গল টাইগার্স দলে। দলটির আইকন ক্রিকেটার সরফরাজ আহমেদ। খেলবেন ড্যারেন স্যামি, আন্দ্রে ফ্লেচার, সুনিল নারাইনরা।
আগে বলা হয়েছিল, আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্ট। তবে নতুন সূচিতে তা এগিয়ে আনা হয়েছে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট হবে আগামী ১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর।
সিক্স-এ-সাইড টুর্নামেন্টগুলো বাদ দিলে এটি হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। প্রতি দল খেলবে ১০ ওভার করে। প্রতি ইনিংসের সময় থাকবে ৪৫ মিনিট। ছয়টি দলকে নিয়ে হবে টুর্নামেন্ট।
মারাঠা অ্যারিবিয়ান্স দলের আইকন ক্রিকেটার বিরেন্দর শেবাগ। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের মালিকানাধীন পাঞ্জাবি লিজেন্ডস দলের আইকন শোয়েব মালিক। কলম্বো লায়ন্স দলটি গড়া হয়েছে শুধু শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া সীমিত ওভারের টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন কলম্বো দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে।
৬ দলের উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটার:
কেরালা কিংস: ওয়েন মর্গ্যান (আইকন), সাকিব আল হাসান, কাইরান পোলার্ড, লিয়াম প্লাঙ্কেট, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল তানভির।
পাখতুনস: শহিদ আফ্রিদি (আইকন), তামিম ইকবাল, ডোয়াইন স্মিথ, ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, জুনাইদ খান, মোহাম্মদ ইরফান।
বেঙ্গল টাইগার্স: সরফরাজ আহমেদ (আইকন), মুস্তাফিজুর রহমান, সুনিল নারাইন, ড্যারেন স্যামি, রুম্মান রাইস, আন্দ্রে ফ্লেচার।
মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স: বিরেন্দর শেবাগ (আইকন), কুমার সাঙ্গাকারা, মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিম, অ্যালেক্স হেলস, মোহাম্মদ সামি, লেন্ডল সিমন্স।
পাঞ্জাবি লিজেন্ডস: শোয়েব মালিক (আইকন), মিসবাহ-উল-হক, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, হাসান আলি, উমর আকমল, ক্রিস জর্ডান, লুক রনকি, আদিল রশিদ।
কলম্বো লায়ন্স: দিনেশ চান্দিমাল, থিসারা পেরেরা, লাহিরু থিরিমান্নে, দিলশান মুনাবিরা, কিথুরয়ান ভিথানাগে, শিহান জয়াসুরিয়া, অ্যাঞ্জেলো পেরেরা, ভানিদু হাসারাঙ্গা, বিশ্ব ফার্নান্দো, দুশমন্থ চামিরা, সাচিত্রা সেনানায়েকে, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে।