গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ৭৪৬ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৬৯৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫ হাজার ১৪০ জন। দেশে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৫৯০ জন। ৩ জুন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫১০টি। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯৫ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ১৪০ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল ৫৪৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮ জন, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন, ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, শরীরে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি।
১১ মে প্রথমবারের মতো দেশে একদিনে সহস্রাধিক করোনারোগী শনাক্ত হয়। সেদিন ১০৩৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। এরপর ১২ মে ৯৬৯ জন, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১৪১ জন, ১৫ মে ১২০২ জন, ১৬ মে ৯৩০ জন, ১৭ মে ১২৭৪ জন, ১৮ মে ১৬০২ জন, ১৯ মে ১২৫১ জন, ২০ মে ১৬১৭ জন, ২১ মে ১৭৭২ জন, ২২ মে ১৬৯৪ জন, ২৩ মে ১৮৭৩ জন, ২৪ মে ১৫৩২ জন, ২৫ মে ১৯৭৫ জন, ২৬ মে ১১৬৩ জন, ২৭ মে ১৫৪১ জন, ২৮ মে ২০২৯ জন, ২৯ মে ২৫২৩ জন, ৩০ মে ১৭৬৪ জন,৩১ মে ২৫৪৫,১ জুন ২৩৮১, ২জুন ২৯১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ জুন, বুধবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৩১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ৭০৯ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯১১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। দেশে নতুন করে সুস্থ্য হয়েছেন ৫২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ১২০ জন। ২ জুন, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯১১ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল ৫৪৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮ জন, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন, ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, শরীরে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি। ১১ মে প্রথমবারের মতো দেশে একদিনে সহস্রাধিক করোনারোগী শনাক্ত হয়। সেদিন ১০৩৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। এরপর ১২ মে ৯৬৯ জন, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১৪১ জন, ১৫ মে ১২০২ জন, ১৬ মে ৯৩০ জন, ১৭ মে ১২৭৪ জন, ১৮ মে ১৬০২ জন, ১৯ মে ১২৫১ জন, ২০ মে ১৬১৭ জন, ২১ মে ১৭৭২ জন, ২২ মে ১৬৯৪ জন, ২৩ মে ১৮৭৩ জন, ২৪ মে ১৫৩২ জন, ২৫ মে ১৯৭৫ জন, ২৬ মে ১১৬৩ জন, ২৭ মে ১৫৪১ জন, ২৮ মে ২০২৯ জন, ২৯ মে ২৫২৩ জন, ৩০ মে ১৭৬৪ জন,৩১ মে ২৫৪৫,১ জুন ২৩৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২ জুন, মঙ্গলবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৫ জনে।
|| বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি || রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাচালং নদীতে অবাদে ‘মা মাছ’ নিধন। কাচালং নদীর করেঙ্গাতলী অংশ থেকে শুরু করে আমতলী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবেই দল বেধে মাছ শিকার করতে দেখাযায় স্থানীয় জেলে ও গ্রামবাসীদের, প্রশাসনের নজরদারী নেই বললেই চলে, সচেতন মহল এই বিষয়টি নিয়ে মৎস অধিদপ্তরের গাফিলতিকেই দায় করছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন বলেন নদীতে এখন পানি দেখা যায়না শুধু মানুষের মাথা দেখাযায়, মনে হয় মাছ ধরার মহা উৎসব চলছে।
অভিযোগ পেয়ে ১ জুন সোমবার দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখাযায় উপজেলা সদরে কাচালং ব্রীজ ঘাট থেকে পুরাতন মারিশ্য ঘাট পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন জেলে ও গ্রামবাসী পানিতে ভেসে থাকার জন্য কোমরে প্লাস্টিকের জারি কেন বেধে দল দলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, জাকি জাল দিয়ে শত শত ডিমওয়ালা মা মাছ ধরছে। কেও আবার প্রকাশ্যেই বাজারে ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা কেজিতে ভিবিন্ন জাতের মাছ বিক্রি করছে। অথচ বছরের এই সময়টা সরকারী ভাবে মাছ ধরা সম্পূর্ন রুপে নিষিদ্ধ, এই সময়টাতে জেলেদের জন্য সরকারী ভাবে বিশেষ বরাদ্ধও রয়েছে। কিন্তু তার পরেও সরকারী নিষেধাজ্ঞার তুয়াঙ্কা না করে এভাবে দিনের আলোতে প্রকাশ্যে মাছ শিকার সচেতন মহলে নানা প্রশ্নজন্মদিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নবআলো চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পুলিশের সহায়তায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি গত দুই দিনে ১৪ টি জাল আটক করেছি , এখন সমস্যা হলো আমাদের জেলেরা পাহারা দেয় আমরা গেলে পালিয়ে যায় চলে আসলে আবার মাছ ধরে এখন নিজেরা যদি সচেতন না হয় তাহলে এভাবে অভিযান করে মাছ ধরা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায় গত ২ দিনে শত শত কেজি ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে এসব মাছের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ, ১৮ থেকে ২০ কেজি ওজনের রুই মাছ, ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের কালি বাউস মাছ ছাড়াও ১০ /১২ কেজি বোয়াল, লন্ডু, বাচা মাছ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন জেলেদের সরকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাওল দিচ্ছে তার পরও সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা মাছ শিকার খুবই দুঃখ জনক, তাই অভিযান জোরদার করে এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রথমবারের মত এক দিনে দুই হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫৯ জন।
এই সময়ে রেকর্ড ২ হাজার ২৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৩২১ জন হয়েছে।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০০ জন। সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৪২৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক দিনে দেশের ৪৯টি ল্যাবে ৯ হাজার ৩১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন যুক্ত হয়েছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ল্যাব।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহাবুবুল হক চৌধুরী এটলী আর নেই…. ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর মেডিকেল সেন্টারে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাতে এটলির শরীর খারাপ লাগলে সাড়ে ১১ টার দিকে মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই হার্ট ফেল করে তিনি রাত পৌণে একটার দিকে মারা যান। তিনি আংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা’র) উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে মরহুমের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা ও গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের শান্তি কামনা করেছেন বনপা‘র সভাপতি হাদিদুর রহমার, সাধারণ সম্পাদক এম কে মোমিন, উপদেষ্ঠা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক হারুর অর রশিদ, ফরহাদ আমীন ফয়সাল, অর্থ সম্পাদক মোঃ মেজবাহ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু জাফর (লাভলু), মোঃ শাহেদ, নির্বাহী সদস্য শিহাব উদ্দিন খান (ফারদিন) সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তি।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে। তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০১ জনে।
এই এক দিনে আরও ১ হাজার ৯৭৫ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর একদিনে এত বেশি রোগী আর কোনোদিন শনাক্ত হয়নি।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন। সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৩৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা সোমবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ৫ জন নারী। শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক দিনে দেশের ৪৮টি ল্যাবে ৯ হাজার ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ঢাকায় নতুন যুক্ত হয়েছে ল্যাব এইড হাসপাতালের ল্যাব।
এই সময়ে নতুন করে ২৮৪ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৬৫৩ জন।
দেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের ডিম সংগ্রহ করছেন বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার দিকে জোয়ারের সময় মা-মাছের কিছু নিষিক্ত ডিম পেলেও শুক্রবার (২২ মে) সকাল থেকে পুরোদমে ডিম ছাড়ছে বড় বড় মা-মাছগুলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শত শত জেলে নৌকা, জাল, বালতি নিয়ে মেতে উঠেছেন ডিম সংগ্রহের উৎসবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া হালদায় মা-মাছ ডিম ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা ইত্যাদি এলাকায় ডিম পাওয়া যায় বেশি। বংশ পরম্পরায় চলে আসা রেওয়াজের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে এসব ডিম থেকে রেণু তৈরি, এরপর পোনা উৎপাদন করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে যে হারে ডিম পাওয়া যায় সে হারে রেণু হয় না। অনেক ডিমই তাপমাত্রা, আবহাওয়া, লবণাক্ততাসহ বৈরী পরিবেশে নষ্ট হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টায় মাছুয়াঘোনা হ্যাচারিতে অবস্থানরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার পর থেকে জোয়ারে হালদায় মা-মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে ডিম সংগ্রহ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত ডিম পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
বায়তুশ শরফ নামক প্রতিষ্ঠান গুলোর আজ যেনো এক কালো দিন হয়ে দাড়িয়েছে। আজ একই দিনে বায়তুশ শরফ হারালো দুজন গুণী নক্ষত্র, সবাই হারালো তাদের অভিভাবক।
বুধবার ২০ মে ঢাকার একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনীত রোগে ইন্তেকাল করেন বায়তুশ শরফের বর্তমান পীর বাহরুলউলুম মাওলানা কুতুব উদ্দীন সাহেব (ইন্নালিল্লাহি ওইন্নাইলাহি রাজিউন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়তুশ শরফের হুজুরের একান্ত ব্যক্তিবর্গ। বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বার (রাঃ) এর অবর্তমান থেকে তিনি বায়তুশ শরফের হাল ধরেছেন। তিনি সফল ভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশে বায়তুশ শরফ নামক সকল প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি ছিলেন একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, হাদীস বিশারদ। তিনি তাঁর জীবনে বাহরুল উলুম অর্থাৎ জ্ঞানের সাগর উপাধি লাভ করেন। মৃত্যুকালে হুজুরের বয়স ছিলো প্রায় ৯০ বছর। ওনার বাড়ি চট্টগ্রামের মাদার বাড়ি এলাকায়, তাঁহার শেষ জানাজার নামাজ চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে হুজুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লংগদু উপজেলার বায়তুশ শরফের প্রধান হাফেজ মাওঃ ফোরকান আহমদ ও বায়তুশ শরফের প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সহ পার্বত্য অঞ্চলের বায়তুশ শরফের সকল তরিকতের মানুষ ও বায়তুশ শরফ সমূহ।
গাঁথাছড়া বায়তুশ শরফের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি মাওঃ নুরুল ইসলাম সাহেব তিনি বলছেন আমাদের ছাত্র জীবন থেকে নুরুল ইসলাম হুজুর পীর সাহেব হুজুর আমাদের গড়ে উঠার এক মাত্র পথ প্রদর্শক।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ প্রবল গতি সঞ্চার করে সুন্দরবন উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূল।
এদিকে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলায় বর্তমানে ১১টি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। জাহাজগুলোতে স্বাভাবিকভাবে মালামাল ওঠানামা করছে। তবে, সকল ধরনের সতর্কতামূলক অবস্থায় রয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, ঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে খুলনার ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ জনকে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জোয়ার্দার জানান, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে খুলনার ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের ১০৮টি, কয়রার ১১৬টি, পাইকগাছার ৪৫টি ও বটিয়াঘাটার ২৩টিসহ ২৯২টি আশ্রয়কেন্দ্রকে আগেভাগেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে আসলেই জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং করা হবে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) আরো ১ হাজার ১০০জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনে উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করছেন।
এদিকে, মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, মোংলা বন্দরে বর্তমানে ১১টি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। বর্তমানে জাহাজগুলোতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মালামাল খালাস ও বোঝাই হচ্ছে। তবে, বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন, পরবর্তীতে সিগন্যাল ও আবহাওয়ার গতি -প্রকৃতি দেখে জাহাজগুলোকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
খুলনা জেলা সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আলম জানান, দুপুর ১২টার বুলেটিন অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: গভীর সমুদ্রে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান ধেয়ে আসছে উপকুলে। তাই আম্পান মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এটি যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ উপকূলে। এরইমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হযেছে।
চট্টগ্রামের উপকূলীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। পতেঙ্গাসহ সাগর সৈকত সংলগ্ন উপকুল এলাকা থেকে মানুষ যাতে আগেই নিরাপদ অবস্থানে সরে যায়, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় বৈঠক করা হয়েছে। উপকূলীয় সন্ধীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সীতাকুন্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সতর্ক সংকেত বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারেন। পাশাপাশি উপকূল এলাকা থেকে মানুষ যাতে সরে যায় সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে কেন্দ্র করে আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে। তবে এ বিপদ সংকেত সন্ধ্যার দিকে বাড়তে পারে বলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ৪ নম্বর সংকেত রয়েছে। তবে সন্ধ্যার দিকে এ সংকেত বাড়তে পারে। নৌযানসহ বড় বড় জাহাজগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বেশ কিছু নির্দেশনাও জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত লোকাল জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলোকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উজানে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। একইভাবে বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজগুলোর ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।