২৯শে এপ্রিল পানছড়িতে গণহত্যা দিবস। ১৯৮৬ সালের ২৯শে এপ্রিল দিবাগত রাঁত আনুমানিক ৯টা

থেকে রাত ১টা পর্যন্ত মোট ৪ঘন্টা সময়ে খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলা ১নং লোগাং ইউপি, ৩নং পানছড়ি সদর ইউপি ৪নং লতিবান ইউপি (বর্তমানে ৫নং উল্টাছড়ি ইউপি)‘ বাঙ্গালি গ্রামে অগ্নি সংযোগসহ নির্বাচারে বাঙ্গালী শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ, আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা যাকে যেখানে পেয়েছে তাকে সেখানেই হত্যা করেছে সন্তু লারমার
নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্রগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস)‘ বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা

সময়ে বেসরকারী হিসাবে মাত্র ৪ঘন্টা সময়ে নিরস্ত্র নিরীহ ৮শত ৫৩জন বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে প্রায় ৫শত জনকে, অপহরণ গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে। ৬হাজার ২শত ৪০টি বাড়ি সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনী গেরিলা যোদ্ধারা সেই হামলায় এত গুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। হাতপা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে, জবাই করে, আগুনে পুড়িয়ে, শিশুদেরকে পায়ে ধরে গাছের সাথে বাড়ি দিয়ে, বেনেট অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে হত্যা করেছিল। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সে দিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি যারা স্বচুখে দেখাছে বা বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে, কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তারা শিউরে উঠে

এই হত্যা কান্ডের মধ্যে দিয়ে নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো ৩৮হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা

উল্লেখ্য. এদিকে ৭৫৯৭ সাল পর্যন্ত সিএইচটিকে বাংলাদেশ আলাদা করতে জেএসএস জঙ্গি বাহিনী তথা শান্তি বাহিনি নির্মম ভাবে খুন করে ২৫৬জন বীর সেনা এবং ৩০ হাজারের অধিক নিরীহ বাঙালিকে। স্বাধীন এই দেশে পরাধীন পাহাড়ের বাঙালিরা। বহিরাগত উপজাতি জঙ্গি চাদাবাজদের কবলে আজ আমাদের প্রিয় পার্বত্য চট্রগ্রাম

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031