অন্তর্বতীকালীন সরকারের ১৭ সদস্য যারা থাকছেন

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথবাক্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গবভনের দরবার হলে এই শপথবাক্য পাঠ করান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কারা থাকছেন তা নিয়ে গত দুদিন ধরে জনমনে কৌতূহলের শেষ নেই। অবশেষে বৃহস্পতিবার(৮ আগষ্ট) সন্ধ্যার দিকে ড. ইউনূস ছাড়াও যে ১৬ জন উপদেষ্টা হচ্ছেন, তাদের নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বতীকালীন সরকারের সেই ১৭ সদস্যের মধ্যে যারা রয়েছেন তারা হলেন-
প্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস
উপদেষ্টা:
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি)
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া(ছাত্র প্রতিনিধি)
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
১০. সুপ্রদীপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুকী আযম
এর আগে বৃহস্পাতিবার (৮ আগষ্ট) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ একটা বড় পরিবার। এই পরিবারে আমরা একসঙ্গে চলতে চাই। আমাদের সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যা আছে সরিয়ে ফেলতে চাই। যারা বিপথে গেছে তাদের পথে আনতে চাই। যাতে করে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
জানা যায়, অন্তর্বতীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাক বেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।এরইমধ্যে নতুন সরকারের উপদেষ্টাদের জন্য ২১টি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর।সরকারি পরিবহন পুল থেকে এসব গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছি লেন।
এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতেই ছিলেন।
#
১ম পৃষ্ঠায় চতুর্থ লীড ৪ কলামে যাবে। ছবি আছে। ৪নং ছবি।
প্রথমেই সাংবিধানিক সংস্কারে নজর দিতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ভবিষ্যতের নির্বাচন আয়োজনে যেন কোনো ধরনের ত্রুটি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে প্রথমে সাংবিধানিক সংস্কারের দিকে নজর দিতে পারে অন্তর্র্বতী সরকার।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরীর বরাতে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এ কথা উঠে এসেছে।
শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার সবার আগে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকার দীর্ঘমেয়াদে থাকতে পারে। কারণ, তারা যে সাংবিধানিক পরিবর্তনগুলো আনবে, তা করতে হবে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এবং তারপর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এই সরকার অন্ততপক্ষে কয়েক বছর থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আমরা দেখেছি, যখন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হয়, তখন সেখানে কারচুপি ঘটনা ঘটে। গত তিনটি নির্বাচন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই অবস্থায় সরকারের প্রধান কাজ হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার করা, যাতে তা অবাধ-সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত হয়। একটি নির্দলীয় সরকারই নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায়।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031