
চট্টগ্রাম: বান্দরবান থেকে খাগড়াছড়িতে অস্ত্র নেওয়ার পথে নগরের বায়েজিদ থানাধীন বালুচড়া এলাকা থেকে দুই ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে চারটি বিদেশি অস্ত্র, চারটি ম্যাগাজিন ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা প্রকাশ জলেয়া চাকমা তুরুর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার দুই ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক কর্মী হলো- রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি মারিশ্যা তুলাবান এলাকার আনন্দ তালুকদারের ছেলে প্রকাশ তালুকদার (২৯) ও বিলাইছড়ির গবাইছড়ি এলাকার বুদ্ধিধন চাকমার ছেলে জনপ্রিয় চাকমা প্রকাশ প্রিয় চাকমা(৩০)।
মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোর রাতে নগরের বালুচড়া চেকপোস্ট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার দুইজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোহাম্মদ নাসিম।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বাংলানিউজকে বলেন, বালুচড়া চেকপোস্ট থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চারটি বিদেশি অস্ত্র, চারটি ম্যাগাজিন ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এসব অস্ত্র খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের নেতা তুরুর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বান্দরবান থেকে রুনেল নামে এক ব্যক্তি এসব অস্ত্র এনে হাটহাজারীতে প্রিয় চাকমাকে হস্তাস্তর করেন। প্রিয় চাকমা প্রকাশ তালুকদারসহ এসব অস্ত্র নিয়ে বায়েজিদে রাত্রিযাপনের জন্য যাচ্ছিলেন। পথে চেকপোস্টে তারা ধরা পড়েন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ মে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি কেন্দ্রিক ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা প্রকাশ বর্মাসহ পাঁচজন সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন।
ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা প্রকাশ বর্মা খুন হওয়ার পর থেকে সশস্ত্র সংগঠনটির দায়িত্বে রয়েছেন শ্যামল কান্তি চাকমা প্রকাশ জলেয়া চাকমা তুরু।