স্বর্ণপাম জেতা সাড়াজাগানো পাঁচ সিনেমা

‘গডফাদার ট্রিলজি’র জনক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘অ্যাপোকালিপ্স নাউ’ ১৯৭৯ সালে জেতে পাম দ’র। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পটভূমিতে এই সিনেমার গল্পে দেখা যায় ক্যাপ্টেন উইলার্ড (মার্টিন শিন) নামের একজন যুদ্ধ নায়ককে পাঠানো হয় কম্বোডিয়ায় এক কর্নেলকে (মার্লোন ব্র্যান্ডো) হত্যা করার জন্য, যিনি ওই এলাকায় ঈশ্বরের মতো আধিপত্য নিয়ে থাকেন।

উৎসবের আগে সিনেমাটিকে কানে প্রদর্শন করবেন কিনা- এই নিয়েই সংশয়ে ছিলেন কপোলা। কিন্তু শেষমেশ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ মেলে স্বর্ণপাম জেতার পর।

. দ্য লেপার্ড

১৯৬৩ সালে স্বর্ণপাম জেতা এই সিনেমাটি আবারও খ্যাতির আলোয় উঠে আছে ২০১০ সালে কানে এটিকে ফের প্রদর্শনের পর। ইতালীয় নির্মাতা লুসিনো ভিসকন্তির নির্মিত সিনেমাটি গল্প বলে ১৮৬০ সালের সিসিলি বিদ্রোহের সময়কার এক পরিবারের কথা, যারা বৈরি পরিবেশেও নিজেদের আভিজাত্য বজায় রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। অস্কারজয়ী নির্মাতা মার্টিন স্করসেজি এই সিনেমা সম্পর্কে বলেছেন, এটি তার জীবনের দেখা অন্যতম সেরা সিনেমা।

. ট্যাক্সি ড্রাইভার

১৯৭৬ সালের কাল্ট ক্লাসিক ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’-এর জয়যাত্রার শুরু কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপাম জেতার মাধ্যমেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরত এক মানসিক ভারসাম্যহীন সৈনিক, সত্তর দশকের শেষে যে উপার্জন করতো শহরের রাস্তায় ট্যাক্সি চালিয়ে- ট্র্যাভিস বিকেল নামের এমন এক চরিত্রে অভিনয় করে রবার্ট ডি নিরো অর্জন করেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি। আয়নার দিকে তাকিয়ে ট্র্যাভিসের ‘আর ইউ টকিন টু মি?’ সংলাপটি এখনও থ্রিলার প্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে। এই সিনেমায় ১২ বছর বয়সী এক যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করে রূপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে আরেক বিখ্যাত অভিনেত্রী জোডি ফস্টারের।

. পাল্প ফিকশন

১৯৯৪ সালে ‘ফরেস্ট গাম্প’ কিংবা ‘শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন’-এর মতো বিখ্যাত সিনেমা থাকলেও কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনোর ‘পাল্প ফিকশন’য়ের জনপ্রিয়তা পৌঁছে যায় আলাদা একটি যায়গায়। উমা থারম্যান, জন ট্রাভোল্টা, স্যামুয়েল এল জ্যাকসন এবং ব্রুস উইলিসদের মতো হেভিওয়েট তারকাদের একই ফ্রেমে বেঁধে ডার্ক হিউমার সৃষ্টির কাজটি যে ট্যারেন্টিনো খুব ভালোভাবেই পেরেছিলেন, তার স্বীকৃতি মিলেছিল কানে সিনেমাটির স্বর্ণপাম জেতার মাধ্যমে।

. দ্য ওয়েজেস অফ ফিয়ার

১৯৫৩ সালে হেনরি জর্জেস ক্লুজোর এই সিনেমাটি কানে প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গেই হইচই পড়ে যায়, কারণ সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যই ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। দক্ষিণ আমেরিকার এক প্রত্যন্ত গ্রামে চারজন লোকের শক্তিশালী বিস্ফোরক নাইট্রোগ্লিসারিন বহন করে নিয়ে যাওয়ার গল্পটিকে অভিহিত করা হয় সেসময়ের অন্যতম সফল থ্রিলার হিসেবে। দুই ঘন্টা ১১ মিনিটের এই সিনেমা জিতে নেয় সেবারের স্বর্ণপাম।

থানচি সীমান্ত সড়কের ব্রীজ উদ্বোধন ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পাহাড়ে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ শান্তির পরিবেশ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে —–ব্রিঃ জেঃ মোঃ শামসুল আলম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় পরিদর্শন দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের গণমাধ্যম ইতিহাসের অমূল্য দলিল —–অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন নীপু ৪৩ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দৈনিক গিরিদর্পণ আজো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে —–সম্পাদক মঞ্জুরাণী গুর্খা

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930