॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) সকালে বনরূপা শহরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাঙ্গামাটি পৌর চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা পেট্রোল পাম্প চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ সভাপতি রুহুল আমিন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সাবেক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, জেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়য়ুা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমাসহ দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবন্দরা।
এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করাতে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। সরকারের সাফল্যকে মেনে নিতে না পেরে দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার কোন ভয় নাই। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সকল অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সেই সাথে যারা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছে তাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতাদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তা না হলে স্বাধীন দেশে আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি যারা দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা অফিস :: বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক জনগণের সঙ্গে নতুন তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যারা নিজ দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য দেখার মত একটা মিছিল পর্যন্ত করেতে পারেনি, তাদের মুখে সরকার পতনের আন্দোলনের কথা মানায় না ৷
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে নিজ দলে ঐক্য ফিরেয়ে আনুন। আজকে শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার কারণে বিরোধী দলের এগিয়ে যাওয়ার পথে সংকটের কালো ছায়া পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে ভাসতে ভাসতে এখন শ্রীলঙ্কা দ্বীপে পৌঁছেছে ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন অর্জনে বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রতিটি সংকট ও দুর্যোগে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা সফলতা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খুশি থাকলে মির্জা ফখরুলদের মন খারাপ হয়ে যায়।
আওয়ামীলীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ভালো লোকদের দলে টানুন আর খারাপদের দল থেকে বের করে দিন।
আওয়ামীলীগ করে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন যারা, তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দিন, সম্প্রতি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কেউ অপকর্ম করলে রেহাই পায় না, শাস্তি পেতে হয়, বিএনপির আমলে এমন একটাও নজির নেই, যে তারা শাস্তি দিয়েছেন।
ঐতিহাসিক নোমানি ময়দানে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের এত বিদেশপ্রীতি কেন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, এগুলো বহু বছরের পুরনো অসুবিধা। তাঁর যে আর্থাইটিজের সমস্যা সেটি বিশ বছরের পুরনো সমস্যা। সেই সমস্যা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সমস্যাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখানো সমীচিন নয়।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তিনি আদালত কর্তৃক খালাস পাননি, আদালত থেকে জামিনও পাননি। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দয়া পরবশ হয়ে প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দিয়েছেন ছয়মাসের জন্য। যেটি একদফা বাড়ানো হয়েছে, আরো একদফা বাড়ানোর জন্য তারা আবেদন করেছেন, এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তাঁকে বিদেশেই নিয়ে যেতে হবে এই প্রশ্ন কেন ? চিকিৎসা তো বাংলাদেশেও আছে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে, তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না, দেশের বাইরেও নিতে দেয়া হচ্ছে না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে রাশেদ হাসান ও আঁখি মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজান উল আলম, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রমুখ।
বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য হাঁটু বা কোমরের ব্যথা নিয়ে রাজনীতি না করতে বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আদালত থেকে জামিন বা খালাস না পাওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে মুক্তি দিয়ে ঘরে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সে জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়া। সেটি না দিয়ে বরং তিনি বলছেন, তাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে তো অনেকেরই চিকিৎসা হয়, আমাদের অনেক এমপি এই করোনাকালে মৃত্যুবরণ করেছেন, কাউকে কিন্তু বিদেশ নিয়ে যাওয়া হয়নি। অনেকেই এদেশে চিকিৎসা করে ভালো হয়েছেন।
বিএনপি একদিকে বিশেষ বিবেচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা ও করুণা চাচ্ছে অন্যদিকে কথায় কথায় বলছে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী কারো করুণা নিয়ে বাঁচতে চান না। এই সাংঘর্ষিক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। তারা আবার সরকারের পতনও চাচ্ছেন। আবার বলছেন আমরা কোন করুণা চাই না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে আজকে মুক্তি নিয়ে জেলখানার বাইরে ঘরে অবস্থান করছেন সেটি বঙ্গবন্ধু কন্যার মানবিকতার কারণে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সেই নিবেদনটুকুই করেছিলেন। বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজের মধ্যে সবসময় দ্বিচারিতা। এই ক্ষেত্রেও আমরা সেটি লক্ষ্য করছি।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমাদের তরুণ ও যুবকরা সম্পৃক্ত হবে ততবেশি তাদের মননশীলতার বিকাশ হবে। আজকে তরুণরা যে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, মাদকাসক্ত হচ্ছে, এগুলো থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাাদ ও মৌলবাদ বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে, আমরা অতীতে বিশ্লেষণ করে দেখেছি, যে সমস্ত জায়গায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বেশি সেখানে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ঘিরে যেন ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও উৎসব হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কোন কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতীয় কেন্দ্র। যারা কেন্দ্র পরিচালনার সাথে জড়িত এবং যারা শিল্পী-কলাকুশলী আছেন তাদেরও এটি মাথায় রাখতে হবে। আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গান গাইলে শুধু চট্টগ্রামেই দেখা যেতো, এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে কেউ পারফর্ম করলে সেটি সমগ্র দেশে দেখা যায়। তাই সমগ্র দেশের চিন্তাটা মাথায় রেখে পারফর্ম করতে হবে। একই সাথে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা থেকে সবকিছু সমগ্র বাংলাদেশের নিরিখে করতে হবে। শুধুমাত্র এই অঞ্চলের আঞ্চলিক বিষয়গুলোকে পরিবেশন না করে সমগ্র বাংলাদেশের বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের আরো ছয়টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্প প্রি-একনেকে পাশ হয়েছে, শিগগির কার্যক্রম শুরু হবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্দেশনায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের সমন্বয়ে ৮টি বিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে।
আর এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিমের মধ্যে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
শনিবার (৩ অক্টোবর) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবনে এক বৈঠকের আলোচ্য সূচি নিয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব টিম অনুমোদনের তালিকা প্রকাশ করেন তিনি।
বিভাগ ভিত্তিক সাংগঠনিক সমস্যা সমূহ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভাগীয় টিম তা সমাধান করবে। যার ফলে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের গতিশীলতা আরো বৃদ্ধি পাবে। ৮টি বিভাগীয় টিমের মধ্যে রয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিমে আরো যারা রয়েছেন, টিম সমন্বয়ক আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদ মাহবুব উল-আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
টিমে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, অ্যাড. আব্দুল মতিন খসরু এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. মো. আবদুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে কোন অপশক্তি দেশের বিদ্যমান শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
রোববার ৪ অক্টোবর সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের মাঠে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মাঠে থাকুক তা আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই জনগণ চায়। কিন্তু গণতন্ত্রের নামে কোন অপশক্তি দেশের বিদ্যমান শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে কোন ধরনের সন্ত্রাস সৃষ্টি, জণভোগান্তি এবং জণমালের ক্ষতি সরকার মেনে নিবে না।
বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের উপর মামলা- হামলার কল্পিত অভিযোগের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানো এখনো অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন উপনির্বাচনে ভরাডুবির আশংকায় তারা এখন থেকেই হামলার মিথ্যা অভিযোগ করছে। এটা তাদের পুরানো অভ্যাস। ভোটারদের আস্থা অর্জনে তাদের কোন পুঁজি নেই, তাই বিএনপি মিথ্যাচারের ভেলায় চড়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, প্রার্থীরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে চাইলেও বিএনপির হাইকমান্ডের অপরাজনৈতিক কৌশলের কারনে পার্থীরা ভোটের নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় একান্ত অনিচ্ছায়। নির্বাচন করা বিএনপির আসল লক্ষ্য নয়, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার স্বোচ্চার, অনিয়ম উদঘাটন করে সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, কারো চাপে পড়ে নয়।
বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবীদের মতে তারা এখন কোমর ভাঙ্গা রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের হাত দিয়ে এদেশে দুর্নীতি বটবৃক্ষে রুপ নিয়েছিলো তারা দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন করবে, একথা শুনলে জণগণের হাসি পায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন ও কমিটি গঠনের সময় এলে বিএনপি নেতারা বাণিজ্য করছে বলে তাদের কর্মীদের প্রকাশ্যে অভিযোগ আছে। তাই তারা নাকি অনিয়ম দূর করার আন্দোলন করবে? জণগণ তা বিশ্বাস করে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জমা পড়া সকল কমিটি যাচাই বাছাই করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে হবে।
দুর্যোগ দুর্বিপাকে একমাত্র আওয়ামী লীগই জণগণের পাশে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, একদিকে করোনা মহামারী আর অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলতার সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। সরকার প্রমাণ করেছে দুর্যোগ প্রতিরোধ করা না গেলেও শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা যেতে পারে।
এসময় ধানমন্ডিস্থ অফিসে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
পরে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ড্রামা নতুন করে প্রকাশ্যে আসছে। ড. মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতা হারানোর পর অনেকেই মনে করেছিলেন স্থিতিশীলতা আসবে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে খেলা শেষ হয় নি। অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে। মাহাথির মোহাম্মদের পাকাতান হারাপান (পিএইচ) সরকারেরর পতনের পর দেশবাসীর দৃষ্টি পড়েছে করোনা মহামারি মোকাবিলায়। কিন্তু সেখান থেকে নতুন করে আবার শুরু হচ্ছে। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন নেতৃত্বাধীন পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) সরকারের অধীনে প্রথম একদিনের পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে। মার্চে অনানুষ্ঠানিকভাবে পিএন জোট ক্ষমতায় আসে।
জবাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম তুরুপের তাসটি চেলে দেন। তাতে প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন তিনি। তার এই আবেদন গ্রহণ করেন পার্লামেন্টের স্পিকার। কিন্তু দৃশ্যত রাজার উদ্বোধনী বক্তব্যের জন্য সীমিত আকারে একদিনের অধিবেশন বসছে সোমবার। তাই মাহাথিরের ওই প্রস্তাব দৃশ্যত আটকে দিয়েছে সরকার। পার্লামেন্ট অধিবেশন সীমিত করা হয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। এ খবর দিয়েছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
আবার কানকথা ছড়িয়ে পড়েছে যে, নিজের দল পার্টি প্রিবুমি বারসাতু মালয়েশিয়া (বারসাতু)-এর চেয়ারম্যান ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং দলের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট মাহাথির মোহাম্মদের ছেলে মুখরিজ মাহাথিরকে বহিষ্কার করতে পারে দল। তবে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ কোনো মাধ্যম থেকে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নতুন করে ক্ষমতার লড়াই যখন আবার শুরু হয়েছে তখন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিছু রাজনৈতিক হেভিওয়েট ব্যক্তি। তারা হলেন, ড. মাহাথির মোহাম্মদ, মুহিদ্দিন ইয়াসিন, পার্টি কেদিলান রাকায়েতের (পিকেআর) আনোয়ার ইব্রাহিম ও ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) আহমদ জাহিদ হামিদি। বলা হচ্ছে তারা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস মহামারিতে চমৎকার পারফরমেন্স করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। তা সত্ত্বেও তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। যদি না পারেন তাহলে নির্বাচন ছাড়া ‘পিছনের দরজা দিয়ে এসে সরকার গঠনের’ জন্য তিনি বড় রকম হোঁচট খেতে পারেন।
অন্যদিকে ড. মাহাথির মোহাম্মদ তার ক্ষমতায় থাকাকালীন সুবিধাগুলো হারিয়েছেন। এর ফলে তিনি পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে। আর এর মধ্য দিয়ে পিএইচের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বর্তমান যে পরিস্থিতি তা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য অনুজ¦ল। তিনি বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কাছাকাছি যেয়েও পারেন নি। এখন দেখার বিষয় বারসাতু দলের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় প্রশাসনে খুব সামান্য ভূমিকা নিয়ে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে কিনা ইউএমএনও। এ অবস্থায় ইউএমএনও দলের পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী নুর জাজলান মোহাম্মদ বলেছেন, অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তার উত্তম সমাধান হলো একটি যথাযথ জাতীয় নির্বাচন। ঠিক ্এই মুহূর্তে সোমবার মহামান্য রাজার ভাষণের ওপর যথাযথ বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। কারণ, উদ্বেগ রয়েছে যে, ওই ভাষণ পার্লামেন্ট অনুমোদন নাও করতে পারে। ওই ভাষণ হলো ২০২০ সালের জন্য সরকারের মৌলিক এজেন্ডা। সমস্যাটা আরো জটিল হবে আরো পরে, যখন ২০২১ সালের বাজেট আসবে। যদি বাজেট পাস করাতে ব্যর্থ হয় সরকার, তাহলে তার অর্থ হবে তারা আস্থা ভোটে হেরে গেছে। তাই কঠোর লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি যথাযথ নির্বাচন হতে পারে উত্তম সমাধান।
ওদিকে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সাবাহ-এর ড. লি কুওক তিউং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ২৫০০০ কোটি রিঙ্গিতের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণায় ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এখন পর্যন্ত তার প্রশাসন গ্রহণযোগ্য। তাদের ক্ষমতার মেয়াদ মাত্র অল্প কয়েকদিনের। এ অবস্থায় সোমবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনে বিরোধী পক্ষকে আগামী জুলাইয়ের অধিবেশনের ফাঁদে ফেলতে পারেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন।
তবে ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. আহমেদ ফাউজি আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন সেই ধারণাটাকে অতিক্রম করতে হবে তাকে। ফেব্রুয়ারিতে পিএইচ সরকার থেকে বারসাতুকে বের করে আনায় নেতৃত্ব দেন মুহিদ্দিন। তিনিই সাবেক ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে হাত মেলান ক্ষমতা দখলের জন্য। ড. ফাউজি বলেন, একদিক থেকে দেখলে, এই সরকার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে নি। আইনগতভাবে তার পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে এমপিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানো উচিত। তার উচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করা। ড. ফাউজি আরো বলেন, মুহিদ্দিন ইয়াসিন নেতৃত্বাধীন সরকার পার্লামেন্ট অধিবেশনের মেয়াদ সীমিত করে একদিনে আনার মধ্য দিয়ে তাদের বৈধতার প্রশ্নকে আরো জটিল করে তুলছে। ড. ফাউজির ভাষায়, আমরা আধুনিক সময়ে এবং বহু গণতন্ত্রের মধ্যে বসবাস করছি। সর্বশেষ বৃটেন যখন অনলাইনে পার্লামেন্ট অধিবেশন করতে পারে তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমাদের এখানে কেন ওই পথে স্বচ্ছতা দেখানো হবে না?
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ওহ ই সান বলেন, অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে মুহিদ্দিন রাজনীতির অন্য পাশ থেকে এমিপদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাদেরকে দলছুটে প্রলুব্ধ করতে পারেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জোনিং এর মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণ করুন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সহ বিভিন্ন দেশে যেখানে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে “রেড জোন” কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে “গ্রীণ জোন” হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন সম্পূর্ণ কড়াকড়ি কিংবা শিতিলযোগ্য হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেখানে আমরা এখনও জোন ভাগ না করে সর্বক্ষেত্রে লকডাউন শীতল করে পুরো দেশের জনগণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছি। জোনিং ভাগ করলে হয়তো সমস্ত দেশের মানুষকে ত্রাণের আওতায় না এনে, ঝুকিঁপূর্ণ ‘রেড জোনের’ সর্বসাধারণকে ত্রাণের আওতায় এনে কম বাজেটের মধ্যে সুফল পাওয়া যেত। সর্বসাধারণকে আধার কার্ডের মাধ্যমে ১০০০ টাকা প্রণোদনা দেয়া যেতে পারত।
তিনি আজ ৯ মে, শনিবার দুপুরে নিজ বাস ভবনস্থ বাদশা মিয়া রোডে ২৫নং রামপুরা ওয়ার্ড ও ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্রদের জন্য ৫শতাদিক পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে এবং বিভিন্ন পেশার অসহায় দুঃস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে একথা বলেন। ডা. শাহাদাত আরো বলেন, দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই এই মুহূর্তে সবাইকে ঘর থেকে বাহির না হয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান লিটন, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ডেপ্টি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নগর বিএনপির সদস্য হাজী মহসিন, ২৫নং রামপুরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর বাবুল, মোহাম্মদ শফিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এর পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ম্যাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনা সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥ দুর্বৃত্তের গুলিতে রাঙ্গামাটি জুরাছড়ি বনযোগীছড়ায় হেমন্ত চাকমা নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে তার আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াতে গেলে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুরাছড়ি যক্ষ্মা বাজার আর্মি ক্যাম্পের কিছু দুরে হেমন্ত কুমার চাকমার আত্মীয়ের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ খেতে যায়। রাত ১১ টার দিকে তারা কয়েজন বসে গল্প করার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় আশ পাশে থাকা লোকজন ছুটাছুটি করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জুরাছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটানাস্থলে দিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তিনি কিছুই জানাতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য হেমন্ত চাকমা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর সক্রিয় সদস্য ছিলো। দীর্ঘদিন আগে সে ইউপিডিএফ থেকে পদত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে এবং ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। স্থানীয়রা আরো জানায়, বর্তমানে জুরাছড়ি উপজেলায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের একক আধিপত্য বিরাজ করছে। দীর্ঘ বছর ধরে আঞ্চলিক আর কোন সংগঠন জুরাছড়ি উপজেলায় অবস্থান করতে পারেনি।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের চিৎমরমে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যখন বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ে আতংকিত মানুষে মানুষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলছে সেখানে পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্রধারীরা আবার মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। তারা পার্বত্য অঞ্চলে নিরহ জনগনের উপর অবৈধ অস্ত্র প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, দেশ মার্তৃকার কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনী করোনা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে পূর্বে যেমন অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রসাীদের দম করেছে বর্তমানেও তা অব্যাহৃত রাখার আহ্বান জানান। তিনি পাহাড়ের সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বরেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ যেমন এগিয়ে এসেছে তেমনি অবৈধ অস্ত্রদারীদের বিরুদ্ধেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের চিৎমরমে হেডম্যান পাড়ায় উসুইপ্রু মারমা ওরফে আচেসে (৩০) নামের এক যুবলীগের নেতাকে ঘর থেকে ডেকে এনে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত যুবলীগ নেতা ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ওই এলাকার জিংহ্লা মারমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে একদল মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী উসুইপ্রু এর বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর থেকে ডেকে এনে গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে। এরপর ঘটনা চারদিক জানাজানি হলে ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
দর্পণ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছেন । এখন বিএনপির কাছে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি । বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসমায়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন সড়িক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। খালেদা জিয?া কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা যে কোনো সময় হবে। আনুষ্ঠানিকতা আছে তা সম্পন্ন হলেই তার মুক্তি পেতে কোনো সমস্যা নেই। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিজেই মুক্তি দিয়েছেন। কাজেই এ ব্যাপারে তো গড়িমসির কোনো কারণ নেই। এখন আনুষ্ঠানিকতার কিছু বিষয় আছে। ফর্মালিটিজ কমপ্লিট হলে তিনি মুক্তি পাবেন।” দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেত্রীর মুক্তির অপেক্ষায় আছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওই কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকাল ৪টার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে ঢোকার পর এই প্রথম মুক্তি পেলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন,“বেগম জিয?ার সাজা স্থগিতের উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে উদার নৈতিক মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আশা করি, বিএনপি এ বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে আমাদের সকলের অভিন্ন শত্ত করোনা মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্মক ও সম্মিলিত উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।” বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বৈশ্বিক ও দেশের ভয?াবহ এ সংকটকালে সকল নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে মানুষকে বাঁচানোর অভিন্ন পথ বেছে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। “ ওবায়দুল কাদের বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার বয়স ও অসুস্থতার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিআরপিসির ৪০১ (১) ধারাবলে তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। “ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১ এর উপধারা-১ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি কোন অপরাধের জন্য দন্ডিত হইলে সরকার যে কোনো সময় বিনা শর্তে বা দন্ডিত যাহা মানিয়া নেয় সেই রূপ শর্তে যে দন্ডে সে দন্ডিত হইয়াছে , সে দন্ডের কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখিতে বা সম্পূর্ণ দন্ড বা দন্ডের অংশবিশেষ মওকুফ করিতে পারিবে।“