॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ কলকাতা লেখক-সাংবাদিকদের সাংস্কৃতিক খবর পদক ২০২৪ লাভ করায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন (রোমান) ও দৈনিক সময়ের আলো রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোঃ ইলিয়াস।
শনিবার (২ মার্চ) রাঙ্গাামটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে দৈনিক সময়ের আলো পঞ্চম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তারা।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ কলকাতা লেখক-সাংবাদিকদের সাংস্কৃতিক খবর পদক ২০২৪ লাভ করায় ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান দৈনিক সময়ের আলো রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোঃ ইলিয়াস।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকদের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদকে কলকাতার সাংস্কৃতিক খবর পত্রিকার পদক ২০২৪ প্রদান করায় বিভিন্ন মহল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: রাঙ্গামাটির সুর নিকেতনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত বরেণ্য কবি মৃত্তিকা চাকমা কে সংবর্ধনা প্রদান, কবিতা আবৃত্তি ও একুশের গানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয?েছে। বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারী) বিকেল শহরের জেল রোড, কন্ট্রাক্টর পাড?াস্থ সংগীতালয? সুর নিকেতন কার্যালয?ের মিলনায?তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও ভাষা সৈনিক একেএম মকছুদ আহমেদ। এতে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সুর নিকেতনের উদ্যোগে প্রতিবছর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস টি পালন করা হয?। কবি মৃত্তিকা চাকমা শুধু কবি নয?, তিনি একজন সাহিত্যিক। একজন কবি হিসেবে তাকে একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক দেয?ার দাবি জানান। হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এই বছর কোন সাংবাদিককে একুশে পদক প্রদান করা হয?নি। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কবি মৃত্তিকা চাকমাকে সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায? প্রধানমন্ত্রী ও বাংলা একাডেমী কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এতে সংবর্ধিত অতিথি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, সাপ্তাহিক বনভূমি পত্রিকার মাধ্যমে আমার হাতে খড়ি । মকছুদ আহমেদ আমার গুরু । তার হাত ধরে আমার এতটুকু আসা। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাকে বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রদান করায় সরকার প্রধানকে এবং বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্ট সকল কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি শাখাওয?াত হোসেন রুবেল, পার্বত্য অঞ্চলের কবি শিশির চাকমা, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও সুর নিকেতনের শিক্ষার্থী ও শিল্পীবৃন্দরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংবর্ধিত অতিথি বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয?ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয?।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটি জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব শুরু হয়েছে। আর নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের মনে খুশীর বন্যা বয়ে যায়। সোমবার সকাল ৯টায় আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই প্রদান উৎসবের উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি নাসরিন সুলতানা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষীকেশ শীল,এডিপিইও মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সদর জনাব কৌশিক চাকমা, স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ চৌধুরী জানান, এবছর জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে ৩লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৮৯টি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৩হাজার ৪শত ৬৮টি বই বিতরন করা হবে।
সাপ্তাহিক চাটগাঁর শরৎকালীন সাহিত্য আসর ২৬ আগস্ট শুক্রবার বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোমিন রোডস্থ কদম মোবারক মার্কেটের বিজয়’৭১ হলে অনুষ্ঠিত আসরে সভাপতিত্ব করেন সীতাকুণ্ড তাহের-মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ লেখক মুকতাদের আজাদ খান। আসর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যসেবী ভানু রঞ্জন চক্রবর্ত্তী। সাংস্কৃতিক সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন জাফরের সঞ্চালনায় সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক চাটগাঁর সহকারী সম্পাদক রোকন উদ্দীন আহমদ। অতিথি ছিলেন মাসিক কথন সম্পাদক কবি ফারুক হাসান, দৈনিক গিরি দর্পণের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এম.কে. মোমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক চাটগাঁর লেখক প্রণব রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, সাংবাদিক সমীরন পাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক জসিমুল হক চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী রূপংকর পাল। প্রাণবন্ত ২ ঘণ্টার আসরটিতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, কবি যথাক্রমে আবু মুসা চৌধুরী, আশীষ সেন, গোফরান উদ্দিন টিটু, তালুকদার হালিম, বিদ্যুৎ কুমার দাশ, লিটন কুমার চৌধুরী, সঞ্চয় কুমার দাশ, সারাফ নাওয়ার, মিনু মিত্র, নান্টু বড়ুয়া। নবীন-প্রবীণ কবিদের কবিতা পাঠ ও অতিথিদের কথামালায় আসরটি উপভোগ্য হয়। এসময় অতিথি বক্তারা বলেছেন, চট্টগ্রামের লেখকদের সাহিত্য আন্তর্জাতিক মানের। এই ধারা বাঁচিয়ে রাখতে সাহিত্যকর্মে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সুস্থ ও সুন্দর সমাজ নির্মাণে মানবিক মানুষ প্রয়োজন। সাহিত্য চর্চায় মানবিক মানুষ তৈরী হয়। তাই সাহিত্য পাঠে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চট্টগ্রাম অফিস :: আড্ডা, গান ও স্মৃতিচারণায় সবাই ফিরে গিয়েছিলেন ফেলে আসা সোনালী দিনে। কলেজ জীবনের শিক্ষক ও সতীর্থদের কাছে পেয়ে জড়িয়েছেন আলিঙ্গনে।
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের দিনটি পার করেছেন এভাবেই।
শুক্রবার (১৩ মে) চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পুনর্মিলন-২০২২ এর আয়োজন করা হয় নগরের নেভি কনভেনশন সেন্টারে। সেখানে কলেজের প্রশাসনিক ভবন, রেড বিল্ডিংসহ বিভিন্ন ভবনের ছবি প্রদর্শন করা হয়। এসব ছবির সামনে সাবেক শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছবি তুলেন, আড্ডায় মাতেন।
সকাল ৯টায় পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক চিত্ত প্রসাদ তালুকদার (৯৮)। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আহমদ কায়কাউস। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এসময় সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান।
এরপর পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী আলী আহমদ ও সদস্য সচিব এস এম আবু তৈয়ব বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমন্বয়ক একরামুল করিম। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মারক বক্তৃতা দেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসান।
এরপর শুরু হয় স্মৃতিচারণ পর্ব। বক্তব্য দেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইসমাইল খান, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, একে খান গ্রুপের সালাউদ্দিন কাশেম খান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আবদুল করিম, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতার, দৈনিক পূর্বকোণ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া প্রমুখ।
স্মৃতিচারণায় একে খান ফাউন্ডেশনের নামে চট্টগ্রাম কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালুর ঘোষণা দেন সালাউদ্দিন কাশেম খান।
অধ্যাপক চিত্ত প্রসাদ তালুকদার বলেন, ১৯৪২ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত আমি চট্টগ্রাম কলেজে পড়েছি। আমাদের সময়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমার বন্ধুদের কাউকে আজ আর দেখি না। ছাত্রদের অনেককেই দেখলাম, খুব ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু সিকান্দার খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোহিত উল আলম, বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা, অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম, আইনজীবী আবুল হাশেম, ডা. শেখ শফিউল আজম প্রমুখ।
স্মৃতিচারণা শেষে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর প্রায় ২ হাজার ২০০ প্রাক্তনী যোগ দেন কৌতুক পরিবেশন, কুইজ প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ ও গল্প বলা, কলেজ বন্ধুদের পরিবেশনায় গানের অনুষ্ঠানে। সন্ধ্যায় অতিথি শিল্পীদের সঙ্গে গানে গলা মিলিয়ে সবাই ফিরে যান ফেলে আসা দিনগুলোর কাছে।
পুনর্মিলন অনুষ্ঠান উদযাপন প্রচার উপ-কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক শিমুল নজরুল জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছিলেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। কেউ এসেছেন বিদেশ থেকেও। সঙ্গে ছিল সন্তানরা। র্যাফেল ড্র-তে শেষ হয় এই আয়োজন।
২০১৮ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব সামলে আসা কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী গত ২৪ জুন মারা যান। এরপর বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিন বছরের জন্য তাকে এই দয়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানিয়েছে। “একাডেমির কাজে তার দীর্ঘ সম্পৃক্ততা, নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রধান হিসেবে অভিজ্ঞতা, পেশাজীবনের শুরুর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা এই সম্মানিত কবিকে মহাপরিচালক পদের জন্য এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দী করে তুলেছিল।” জাতিসত্তার কবি হিসাবে পরিচিত মুহম্মদ নূরুল হুদার কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ, লোকসংস্কৃতি, নন্দনতত্ত্ব ও অনুবাদ সাহিত্যেও বিচরণ রয়েছে। বাংলা একাডেমির সাবেক এ পরিচালকের কবিতা ইংরেজিসহ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ৭১ বছর বয়সী হুদা বাংলা একাডেমির একজন ফেলো; পাশাপাশি আমেরিকান ফোকলোর সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ফোক ন্যারেটিভ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য তিনি।সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন নূরুল হুদা। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে লাভ করেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বিশেষ সম্মাননা। নূরুল হুদা বাংলাদেশের লেখকদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের’ অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার পোকখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র থাকা অবস্থায় ‘অধোরেখ’ সংকলন সম্পাদনা করে সাহিত্যাঙ্গনে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- জন্মজাতি, মৈনপাহাড়, ব্যাঙকুমার, চাঁদের বুড়ো চাঁদের বাড়ি, ছোটদের বেগম রোকেয়া, ছোটদের মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছোটদের রবীন্দ্র জীবনী, ছোটদের রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, দেখা হলে একা হয়ে যাই, রাজার পোশাক, রবীন্দ্র প্রকৃতি ও অন্যান্য, সাত ভাই চম্পা, তুমি যদি জলদাস আমি জলদাসী, শুক্লা শকুন্তলা, আমি একটি খাস প্রজাপত্র চাই, শোভাযাত্রা দ্রাবিড়ার প্রতি, মাটির নিচে, কাঠ কয়লা হাজার বছর কাতর, আমরা তিন বছরের জন্য তাকে এই দয়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানিয়েছে।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণেই এভাবে এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে হয়েছে উল্লেখ করে এই ফল প্রকাশ নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করা উচিত না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে বেশি কথা বলা বা তিক্ততা সৃষ্টি করা উচিত না। আমাদের ছোট ছেলে-মেয়েদের জীবনের দিকে তাকাতে হবে। তারা যেন কোনো ভাবেই হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, এমনিতেই তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এটা তাদের জীবনে বিরাট বাধার সৃষ্টি করছে। সেখানে যদি ফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা হয়, কিংবা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলা হয়, এটাও কিন্তু মানসিক চাপ তৈরি করে। যারা এবারের পরীক্ষার ফলে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন তাদের এ ধরণের কথাবার্তা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস এমনভাবে মহামারি আকারে বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে যে, সারাবিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম অবস্থার পরিবর্তন হবে, আর পরিবর্তন হলে আমরা পরীক্ষা নিতে পারবো। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটা কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না; বরং নতুন করে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা যাতে নষ্ট না হয়, সেদিক লক্ষ্য রেখে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে ফল ঘোষণা করলাম। শুধু বাংলাদেশে না, অনেক দেশেই একইভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আমাদের যারা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সবার পরামর্শ নিয়ে সবদিক বিবেচনা করে এই পদ্ধতিতে ফল তৈরি করা হয়েছে। এটা একটা কঠিন কাজ ছিল। যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তাছাড়া আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাক। সে জন্য ফল ঘোষণা করলাম। করোনাভাইরাস আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। মহামারির থেকে মানুষ যখন মুক্তি পাবে তখন আবারও যথাযথ নিয়মে ক্লাস হবে। যারা প্রমোশন পাবে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে এবং পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে।
শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসটা আমরা করোনা পরিস্থিতি দেখবো। তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সবাই যদি এটি মেনে চলেন তাহলে আমরা আরেকটু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং খুব দ্রুতই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। আগামী মাসটা দেখবো। কারণ মার্চ মাসেই এই করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। আমরা ফেকব্রুয়ারি মাস নজরে রাখবো। পরবর্তীতে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা নেবো। সেই চিন্তা আমাদের আছে। কাজেই আমরা যত দ্রুত পারি ব্যবস্থা নেবো।
কুমিল্লা প্রতিনিধি :: কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের অধিবাসী, দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু আব্দুল মান্নান স্যার ১৪ জানুয়ারী ২০২১ইং দুপুর ২টায় ঢাকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৭ পত্র ও ২কণ্যা সহ ৯ সন্তান, নাতী নাতনী, গুণগ্রাহী, শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
ওনার ৭ পুত্র ও ২ কণ্যা সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এরা হলেন,- ডা: মো. আক্তারুজ্জান (এফ.সি.পি.এস) আমেরিকা প্রবাসী, ড. অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান জগন্নাতপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্য অণুষদের জিন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়াহিদুজ্জামান আমেরিকা প্রবাসী, সরাইয়া আক্তার শিক্ষিকা, মো. নাসিরুজ্জামান ব্যবসায়ি, মো. আনিসুজ্জামান এম.এস.সি ব্যাঙ্কার আমেরিকা প্রবাসী, মো. শামিনুজ্জামান চাকুরি আমেরিকা প্রবাসী, শিরিন আক্তার গৃহিনী ও মো. সুমনুজ্জামান শিক্ষক।
সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ শিক্ষাগুরুর জানাযা আগামীকাল শুক্রবার ওনার সাবেক কর্মস্থল দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
প্রতি বছর কুরবানির পর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বা টেলিভিশনে জবেহকৃত পশুর বর্জ্য দূর্গন্ধে জনসাধারণ এর চলা চল বিঘ্নিত হচ্ছে এমন খবর পাওয়া যায়। গ্রাম অঞ্চলে এই সমাস্যাটা কম হলেও শহরে বেশি লক্ষ করা যায়। .কুরবানির পশু জবাইয়ের পর সেই বর্জ্য পরিস্কার করা সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্জ্য পরিস্কার তো দুরের কথা বরং আমরা যত্রতত্র পশু কুরবানি করে থাকি। পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য পরিস্কার না করে যদি খোলা যায়গায় ফেলে রাখি তবে তা মনবদেহ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে।পশুর রক্ত, মাংস বানানোর পরে উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা পচেঁ বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়ে।এবং তাতে জন্ম নিতে পারে নিভিন্ন রকম ভাইরাস। আর এই পচাঁ বর্জ্য হতে সৃষ্ট ভাইরাস আমাদের জন্য মারাত্নক স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তাই কোরবানি করার পরবর্তী সময়ে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে। আসুন কোরবানির আগে ও পরে অবশ্যই করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেই। স্থান নির্দিষ্ট করণ শহর অথবা গ্রাম যেখানেই হোক না কেন নির্দিষ্ট স্থানে একেকটা পাড়া বা মহাল্লা কুরবানির আয়োজন করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানি করলে সকল বর্জ্য একত্র করে অপসরণে সুবিধা হবে।গ্রামে নির্দিষ্ট স্থান পাওয়া গেলেও শহরে পাওয়াটা প্রায় মুশকিল হয়ে যায়।তবুও সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভা কর্তৃক নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানির পশু জাবাই করার চেষ্টা করতে হবে। জবেহ করার ধারালো যন্ত্রপাতি সাবধানে রাখা কুরবানির পুশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য অতি ধারালো দা,বটি চাকু ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করা হয়।যা একটু অসাবধানতার কারণে রড় ধরনের বিপদ হতে পারে।বিশেষ করে বাড়ির ছোট বাচ্চাদের নাগালের বাহিরে ধারালো অস্র গুলো রাখার ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিত্যক্ত জায়গায় বর্জ্য রাখার গর্ত খনন এজন্য কোরবানির আগেই বাড়ির পাশে কোনো মাঠে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখা যেতে পারে, কোরবানির পর সকল পরিত্যক্ত বর্জ্য সেখানে ফেলে মাটিচাপা দিতে হবে। তবে শহরাঞ্চলে গর্ত খুঁড়ার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানি ও গ্যাসের পাইপ, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের তার ইত্যাদি কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার একটি উপায় হলো, গ্রামাঞ্চলের লোকেরা কয়েকজন একত্রে কোরবানি করা ও কোরবানির বর্জ্য মাটির নিচে পুতে রাখা, যা পরবর্তী বছর কোরবানির আগেই উঠিয়ে জৈব সার হিসেবে শষ্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। পর্যাপ্ত পানি এবং জীবাণুনাশক এর ব্যাবস্থা রাখা কুরবানির পশু জবাইয়ের পর রক্তে মাখা রাস্তাঘাট ধুয়ে এবং জীবাণু পরিস্কার করার জন্য কুরবানিদাতাকে পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ও জীবাণুনাশক এর ব্যাবস্থা করে রাখতে হবে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ও অব্যবস্থাপনার কুফল সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ও অব্যবস্থাপনার কুফল সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৌরির কাজ কুরবানির আগেই করতে হবে।এই ক্ষেত্রে সরকাররের পাশা পাশি সকল মসজিদের খতিবদের এগিয়ে আসতে হবে।ইদের আগে শুক্রবার বা অন্য কোন নামাজের পর ইমাম এই বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক বক্তব্য দিতে পারেন।তাহলে সাধারণ মানুষ অনেকটা সচেতন হবে বলে অাশা করি। কুরবানির পর করণীয় সমূহ বর্জ্য অপসারণ কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করা জরুরী। যারা শহরে থাকেন তারা বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে এক স্থানে কোরবানি করতে পারলে ভালো। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজ করতে সুবিধা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়।গরু জবাইয়ের গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দেয়া যেতে পারে। যেসব এলাকায় গর্ত খুঁড়ার উপযুক্ত জায়গা নেই সেসব এলাকার বর্জ্য প্রচলিত উপায়ে অপসারনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারেআর আশেপাশে যদি কোনো বর্জ্য থাকে তাহলে তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রক্তপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট (অর্ধহজমযুক্ত খাদ্য/গোঘাষি) ইত্যাদি যেখানে সেখানে ফেলে দিলে তা পচে জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হবে। এবং মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে। তাই যথাযথ স্থানে এই বর্জ্য গুলো ফেলতে হবে। গরম পানি যে স্থানটিতে পশু জবায় করবেন ওই স্থানটি সম্ভব হলে গরম পানি ঢেলে পরিষ্কার করতে পারেন। অথবা ঠান্ডা পানি হলেও চলবে। তবে পানি দিয়ে স্থানটি পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে দূর্গন্ধ ছড়াবে না এবং জীবনুমুক্ত হবে। সিটি করপোরেশন গুরুর জবাই ও মাংস বানানোর কাজ শেষ হলে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে যোগায়োগ করতে পারেন। তারা আপনাকে সহযোগিতা করবেন। সেভলন বা হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যাবহার করোনার দূর্যোগে মানুষের জীবন বিপ্রর্যস্ত। এমন সংকটকালীন সময়ে এবারের কুরবানির ইদ।তাই জীবাণু থেকে নিরাপদ থাকতে বর্জ্য পরিষ্কারের পরে যে কাজটি করতে হবে সেটি হোল আপনার হাত, পা ও সারা শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিস্কারের জন্য সবান, হ্যান্ডস্যানিটাইজার অথবা সেভলন ব্যবহার করতে পারেন। সর্বোপরি কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নিতে হবে ব্যক্তিগত উদ্যোগ। সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ ও দায়বোধই নগরকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করতে পারে।
লেখক: আব্দুর রউফ
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
01773769415
“তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষায় মনোযোগি করার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। আমরা আশা করি, এ উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষামুখী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।” গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহযোগিতায় এবং ব্র্যাকের উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেএসইউএস পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের ডিজিটাল ক্লাস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের সময় উপরোক্ত মন্তব্য করেন জেএসইউএস ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও পরিচালক কবি, প্রাবন্ধিক সাঈদুল আরেফীন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে তাই তাদের শিখনের অবস্থা বুঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়, সেই লক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে এই মোবাইল ডিজিটাল ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। জেএসইউএস পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির শিশুরা ঘরে বসে (ঘর থেকে পড়বো)- হোম স্কুলিং শিক্ষা কার্যক্রম এর মাধ্যমে শিক্ষাসেবা পাচ্ছে। এটি একটি বিকল্প পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এই ব্যবস্থায় শিক্ষক মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পাঠ্যসূচী অনুযায়ী দলভিত্তিক শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ৪টি বিদ্যালয়ে মোট ২৪জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ শিক্ষাবর্তা গ্রহণ করছে। পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ে এ শিক্ষাবার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মুনজিলুর রহমান বলেন, “ঘরে থেকে শিক্ষাগ্রহণের এ ব্যবস্থাপনার সাথে একজন শিক্ষক মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনজন শিক্ষার্থীর সাথে যুক্ত থাকবেন। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তা যাচাই করা হচ্ছে।” বর্তমানে জেএসইউএস চট্টগ্রাম জেলার আরবান এলাকায় পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির আওতায় ৯৫টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছে এতে ২৮৫২ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।