॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে, দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। তিনি বলেন, এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে তিনটি সমঝোতা সই হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এগুলোর মধ্যে আছে কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক লেনদেন আরও সহজ করা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এই সফর।
প্রসঙ্গত, ভারতে হতে যাওয়া এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে—মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিংগাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনে তার চার দফা সুপারিশে এই আহ্বান জানান। তিনি শীর্ষ সম্মেলনে ‘ওয়ান আর্থ’ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর সুপারিশের প্রথম পয়েন্টে বলেছেন, ‘এখানে জি-২০ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সংকট মোকাবেলায় কার্যকর সুপারিশ তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপান কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্টিত শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় পয়েন্টে বলেন, মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাহসী, দৃঢ় এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
তৃতীয়ত, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের ত্রয়ীকার সদস্য হিসেবে তিনি বলেন, ‘জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবেলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন কপ-২৮ এ, আমি সবাইকে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে ক্ষতি এবং ক্ষতির জন্য তহবিল বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অবশেষে অভিমত ব্যক্ত করেন, সব মানুষেরই উপযুক্ত জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের ডিনজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ভুলবেন না এবং তাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে ও শক্তিশালীকরণে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একে অপরের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আমাদের মাতৃ পৃথিবীর যত্ন নেওয়ার জন্য নিজেদেরকে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
২০২২ সালে গঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেখ হাসিনা উল্লিখিত সুপারিশগুলো করেছেন।
শীর্ষ সম্মেলনের এই অধিবেশনে ভাষণকালে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা চাই যা দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্র্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রযুক্তিগত স্থনান্তরকে অর্থায়নের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে এই শীর্ষ সম্মেলনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ‘আমাদের মাতৃ পৃথিবী’ জলবায়ু পরিবর্তনের একাধিক সংকট, কভিড-১৯ মহামারী এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো মানবজাতির শান্তি ও উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য সম্প্রদায়ের গ্রহণ করা অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাস্তবতা হল মানুষ এবং আমাদের মাতৃভূমি কেবল পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমেই টিকে থাকতে পারে।’
‘অতএব, আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা সবুজ এবং টেকসই উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে’-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন, আমরা সার্কুলার অর্থনীতির পদ্ধতিও নিচ্ছি।’
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে নগণ্য অবদান রাখলেও এর পরিণতির শিকার হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের গ্রাউন্ডসওয়েল রিপোর্ট ২০২১ অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৩.৩ মিলিয়ন মানুষকে তাদের স্বাভাবিক আবাসস্থল থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যদিও বাংলাদেশের প্রশমনের সুযোগ কম। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং এসডিজি অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব মোকাবেলায় অনেক রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে তিনি গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ বা আশ্রয় নামে একটি প্রকল্প শুরু করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগের অধীনে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত তার সরকার প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি ও জমি দিয়ে পুনর্বাসন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত করা।’
বাংলাদেশ ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং জলবায়ু অভিযোজনে শক্তিশালী অবস্থা অর্জন করেছে।
দুর্যোগ মেকাবেলার জন্য তার সরকার ৪ হাজার ৫৩০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এছাড়া এখন বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য ‘মুজিব কিল্লা’ নামে আরও ৫৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আমরা ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ চালু করেছি।’
শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ও সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে আমার সরকার জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা চালু করেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সক্রিয় সমর্থনের আহ্বান জানাই।’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব জাভার স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ চলছিলো। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলেও হয় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন জানায়, পূর্ব জাভার স্টেডিয়ামে খেলায় পার্সিবেয়া সুরাবায়া টিমের কাছে হেরে যায় আরমেয়া এফসি। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভক্ত-সমর্থকরা। শেষ বাঁশি বাজার পরপরই তারা মাঠে নেমে যায়। পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
আফিন্তা বলেন, স্টেডিয়ামের ভেতরে ৩৪ জন মারা গেছে এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।
ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) বলেছে, এ ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের মুখকে কলঙ্কিত করেছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা। এদিকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগের সব ম্যাচ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।
ঢাকা অফিস :: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পের ভেতরে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে মাদকের প্রবেশ রোধে নাফ নদীতে মাছ ধরার ট্রলারে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৫ম সভা মেষে সাংবাদিাদের এক প্রশ্নের জাবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন আমাদের এখানে অবস্থান করার কারণে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছি। আমরা বারবার প্রচেষ্টার পরেও তাদের দেশে যাওয়ার যে প্রক্রিয়াটা তাদের অনীহার কারণে শুরু করতে পারিনি। তারপরেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝে মধ্যেই আমরা রক্তপাত দেখছি, সন্ত্রাস দেখছি।
তিনি বলেন, আজ দীর্ঘ আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে— ক্যাম্পে আমরা মাঝেমধ্যেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করেছি এবং বিনা কারণে রক্তপাতও দেখছি। মাঝে মাঝে মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও আমরা লক্ষ্য করছি। এটার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য আমরা তথ্য ভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই অভিযানে প্রয়োজনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার তো আছেই প্রয়োজনে আমাদের সেনাসদস্যরাও এতে অংশ নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতার নিরিখে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাহিরে টহল ও অভিযান পরিচালনা করবে। ক্যাম্পের ভেতরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সেগুলো কেন হচ্ছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি, পাশাপাশি আরও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্যাম্পের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনি স্থাপন যেটা চলছিল, সেটা প্রায় শেষের দিকে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাপে টহল রাস্তা কিছুটা বাকি আছে, শেষের দিকে। ওয়াচটাওয়ার সেখানে হবে। তারা যেন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে সে ব্যবস্থা আমরা করছি। ক্যাম্পের ভেতরে জন্মনিরোধের জন্য একটি এসওপি তৈরির কাজ চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ইসলামি ফাউন্ডেশন এ নিয়ে কাজ করছে। ঘরে ঘরে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন এবং সচেতন করছেন। মসজিদের ইমাম ও এনজিওরাও এ বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, নাফ নদী মাদক আনা নেওয়ার রুট, সেখানে মাছ ধরার ট্রলারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে মাদক চোরাচালান বন্ধে অভিযান যেটা ছিল তা আরও জোরদার করা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের পাশাপাশি ভারী অস্ত্রও দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। ভেতরে পুলিশসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন, তারা কাজ করছেন। ভারী অস্ত্রের কথা যেটা বললেন, ঠিক অতখানি নয়, মাঝে মাঝে অস্ত্র দ্বারা রক্তপাত হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। তারা কীভাবে কোথা থেকে আসে বিস্তারিত নিয়ে খুব শিগগিরই তথ্য প্রকাশ করবো। তথ্য অনুযায়ী আমাদের পুলিশ ও র্যাব কাজ করছে।
রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা মিয়ানমারের মোবাইল ব্যবহার করে, এতে আমরা ক্রিমিনালদের শনাক্ত করতে পারছি না। আমরা যেটা চাচ্ছি তারা যেন আমাদের দেশি মোবাইল ব্যবহার করে। প্রয়োজনবোধে আমরা যেভাবে মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করি সেভাবেই করবো।
ঢাকা অফিস :: সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়- জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যেহেতু বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়নি সেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো কি না? এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না। জনগনও তাতে আস্থা রাখে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদেরকে করেননি।
তাহলে বিএনপি যে বারবার অভিযোগ করে আসছিলো এবার তাদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলো কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম এশিয়ার সফর শেষ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় বুধবার(২৫ মে) সকালে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে এক ঘণ্টারও কম সময়ে এই তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
এদিকে জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া কমপক্ষে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নোবুও কিশি বলেন, এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(২৪ মে) জাপান ছেড়ে যান। পাঁচদিনের এশিয়া সফরে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিজের পূর্ব উপকূল লক্ষ্য করে পরপর এই তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ান কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, বাইডেনের সফরের সময় পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। এটি শুনে বাইডেন বলেছিলেন পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে তিনি মোটেও ‘উদ্বিগ্ন নন’।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে প্রথমদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একের পর এক হুমকি বিনিময় হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন, এমনকি কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের পত্র বিনিময়ও হয়েছিল। তবে পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি উত্তর কোরিয়া।
ঢাকা অফিস :: করোনার মহামারি শেষ না হতেই নতুন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ‘মাঙ্কিপক্স’। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রামক এ রোগ।
বাংলাদেশে ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (২১ মে) রাতে গণমাধ্যমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্টসহ পোর্ট আমরা সতর্কতা জারি করছি। এছাড়া এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
‘মাঙ্কিপক্স’ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ভাইরাসটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সারাবিশ্ব থেকে এ ব্যাধি বিষয়ে জানবো, তথ্য-উপাত্ত নেবো। এরপর যদি কোনো কিছু করতে হয় অবশ্যই আমরা তা করবো।
জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, জেলা পর্যায়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। তবে যেহেতু সব জায়গায় পোর্ট নেই সেজন্য সব জায়গায় এটা এখনো তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। তবে এয়ারপোর্ট দিয়েই যেহেতু আসতে পারে তাই এ ক্ষেত্রেই আমরা সবচেয়ে বেশি সতর্কতা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় এই মাঙ্কিপক্স’ এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুপারমার্কেটে গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ মে) নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তারা ১৮ বছর বয়সী হামলাকারীকে আটক করেছে। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনাটিকে ‘জাতিগত বিদ্ধেষ থেকে উদ্বুদ্ধ অপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাফেলোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া বলেন, গুলিবিদ্ধ ১৩ জনের মধ্যে ১১ জনই কৃষ্ণাঙ্গ।
পুলিশের ভাষ্য, সন্দেহভাজন ওই তরুণ শনিবার বিকালে একটি জনবহুল সুপার মার্কেটে প্রবেশ করেন। এরপর এলোপাতাড়ি গুলি চালান। হামলার ঘটনা অনলাইনে দেখানোর জন্য ক্যামেরাও সেট করেন ওই হামলাকারী।
এফবিআই-এর বাফেলো অফিসের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধি স্টিফেন বেলঙ্গিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে ধারণা করা হচ্ছে। সহিংস হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হামলার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
স্পোর্টস ডেস্ক :: রাশিয়া-ইউক্রেন হামলার ইস্যুতে রাশিয়ার সব ক্লাবকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করে উয়েফা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস) আপিল করেছে রাশিয়ার চার ক্লাব।
রাশিয়ার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবার্গসহ আরও তিন ক্লাব খবরটি নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক হামলা চালানোর পর গত ফেব্রুয়ারিতে উয়েফা জানিয়েছিল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাশিয়াকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হলো। আগামী মৌসুমে উয়েফা আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়ার ক্লাব।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা নিয়ে জেনিথের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উয়েফার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলে জেনিথ সেন্ট পিটার্সবার্গকে সমর্থন দিয়েছে দিনামো মস্কো, এফসি সোচি ও সিএসকেএ মস্কো। এই আপিল দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে মূল্যায়নের অনুরোধ জানানো হচ্ছে সিএএসকে। ’কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস’—সংক্ষেপে সিএএস, ক্রীড়াক্ষেত্রে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তির চূড়ান্ত জায়গা। সুইজারল্যান্ডের লুসানে সিএএসের সদর দপ্তর অবস্থিত।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে হাঙ্গেরি তার নিজস্ব জ্বালানি সরবরাহের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে একটি ‘ব্যয়বহুল নিশ্চতা’ দাবি করেছে। এ কারণে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি দ্রুত বন্ধে ইইউর পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেল শুক্রবার (১৩ মে) জার্মানিতে জি-৭ মন্ত্রীদের বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের একটি চুক্তি হবে, আমাদের এই চুক্তির প্রয়োজন এবং আমরা এটি করব।
তিনি আরও বলেন, যদি ইইউ কূটনীতিকরা নির্দিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিরোধিতা কাটিয়ে উঠতে না পারে, তবে সোমবার (১৬ মে) ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ‘রাজনৈতিক প্রেরণা’ দিতে হবে।