চট্টগ্রাম ব্যুরো :: প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন (৩য় পর্যায়) ৫৮৭টি পরিবারকে জমিসহ ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলায় ১০টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ১৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৫১টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৫টি, হাটহাজারী উপজেলায় ৬০টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১০০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১০০টি, মীরসরাই উপজেলায় ১০৯টি, রাউজান উপজেলায় ৫৪টি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২১ জুলাই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা : পবিত্র ঈদুল আজহার আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল চালু না হওয়ার আভাস দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার (৩ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ঈদের আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালু হচ্ছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে উনারা (কর্তৃপক্ষ) কাজ করছেন। পদ্মা সেতুতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ ক্যামেরা বসবে। স্পিডগানও বসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর উনারা কম্পোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যায়।
এটা কী ঈদের আগে হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগে হওয়া খুব ডিফিকাল্ট। আমার মনে হচ্ছে, ঈদের আগে মনে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে। উদ্বোধনের পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ওইদিন দুই মোটরসাইকেল আরোহী মারা যায়। পরে ২৭ জুন থেকে েপদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রমত্তা পদ্মার বুকে দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের সেতু নির্মাণে যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার পদ্মাসেতু উদ্বোধন শেষে মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। তাদেরকে একটা উপযুক্ত জবাব আমরা পদ্মাসেতুর মধ্য দিয়ে দিতে পারলাম যে, বাংলাদেশও পারে।” বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর জনগণের ‘সাহস ও শক্তি নিয়েই’ সেতুর কাজ শুরু করেছিলেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আজকে আলহামদুলিল্লাহ আমরা সেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এই খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হতে গিয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে, ভাইবোনকে হারাতে হবে না। আজকে সেখানে আপনারা নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।“আমাদের প্রত্যেকটা এলাকা এত দুর্গম ছিল, আজকে সেখানে রাস্তাঘাট, পোল, ব্রিজ করেছি বলেই সব জায়গায় যোগাযোগ হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে। এই এলাকার লোক যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেজন্য পায়রা পর্যন্ত আমরা সেতু বানিয়ে দিয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে মানুষ চলাফেরা করতে পারে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাওয়ায় পদ্মার তীরে উন্মোচিত হল ফলক, বাতাসে উড়ল রঙিন আবীর, বর্ণিল উৎসবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দশক আগে তিনিই দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলার মানুষের এ স্বপ্নের সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
সকালে হেলিকপ্টারে করে মাওয়ায় পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে যার অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পবির্তন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।”
সুধী সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট, স্মারক ব্যাংক নোট, স্যুভেনির শিট, সিলমোহর ও উদ্বোধন খামের মোড়ক উন্মোচন করেন।
তারপর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করে গাড়ী নিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান। সেখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে তিনি উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে তাকে সেলফিবন্দি হতেও দেখা যায়।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
রোববার (৫ জুন) সকালেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
॥ মোঃ সোহরাওয়ার্দী সাব্বির ॥ তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ পাচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক খ্যাত রাঙ্গামাটি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও লেখক পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ ও মিডিয়া গ্রুপ আয়োজনে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১১জন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে এবং তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য প্রতি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। সে তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ। আগামী ৩০মে ২০২২ইং ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তে সন্ধ্যা ৭টায় এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে বসুন্ধরা মিডিয়া আওয়ার্ড ২০২১ প্রদান জন্য মনোনীত করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বান্দরবান প্রেস ক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হিল নিউজের সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিন, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দুলাল মিয়া, ওয়ার্ল্ড পীর্স এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট লায়েন এ্যাড. এম এ মজিত অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকা অফিস :: ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০ গ্রেড (ধাপ) চালু ও অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম।
রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহ্বায়ক হেদায়েত হোসেন। তিনি বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। সচিবালয়ের মতো সব দফতর, অধিদফতরের পদ-পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
লিখিত বক্তব্য আরও বলা হয়, আনুতোষিকের হার এক টাকার সমান ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে। ৩০ লাখ টাকা গৃহঋণ, ৩০ শতাংশ পোষ্যকোটা চালু ও কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।
সংগঠনের মূখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী বলেন, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, বৈষম্য নিরসন না করে পুনরায় বৈষম্যের বেড়াজাল তৈরি করা হচ্ছে। যা কোনোভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের বাইরে সকল দফতর ও অধিদফতরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা না হলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে। যা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো মেনে নেবেন না। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীদের বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। বিষয়টির বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ মহলের জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (তোতা-গাজী), বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহীন), ১১-২০ সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা অফিস :: রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা তৈরি করে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম অনুকূলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অবদান’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলক একটু বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা তৈরি করে সেটিও গ্রাহকের স্বার্থের অনুকূলে আনার চেষ্টা আমরা করছি। ইতোমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেটের আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু হয়েছে। টেলিটক এটি প্রথম শুরু করে এবং অন্য অপারেটররাও সেটা কার্যকর করেছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য। দেশব্যাপী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি দক্ষ মানব সম্পদ এবং ডিজিটাল সংযোগ সহজলভ্য করতে সরকার কাজ করছে।
ইন্টারনেটের মূল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। ৬০ টাকায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়। অথচ ২০০৬ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা, ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা এবং বর্তমানে একদেশ এক রেটের আওতায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় মাত্র ৬০ টাকায়।
মন্ত্রী ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, পৃথিবীর কোনো কোনো দেশ ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কেবলমাত্র শহরের মানুষের জন্য নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। দেশের ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতায় আসছে।
তিনি দেশে ইন্টারনেট প্রসারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যা্ন্ড নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় ৪জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হয়েছে এবং ৫জি চালু করা হয়েছে।
মোবাইলের কলড্রপ কমিয়ে আনতে অপারেটরগুলোকে সম্প্রতি অতিরিক্ত বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবে।
তিনি একই সঙ্গে দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কানেক্টিভিটির প্রসারের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, এখন মধুপরের পাহাড় বা হাওরে বসে ইন্টারনেটের সহায়তায় তরুণ-তরুণীরা বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১০০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৪৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির প্রসার ও প্রয়োগে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের ট্রেডবডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইস বিশেষ করে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে গত চার বছরে সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে স্যামসাংসহ ১৪টি ব্র্যান্ডের মোবাইল কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ এই সব কারখানার উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি মোবাইল কারখানার পাশাপাশি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের বাংলাদেশ বিষয়ক সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমদ, অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের গ্লোবাল পলিসি বিষয়ক কর্মকর্তা এলিনোর এবং এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী আনজু মাংগল বক্তব্য দেন।
ঢাকা অফিস :: বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক জনগণের সঙ্গে নতুন তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যারা নিজ দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য দেখার মত একটা মিছিল পর্যন্ত করেতে পারেনি, তাদের মুখে সরকার পতনের আন্দোলনের কথা মানায় না ৷
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে নিজ দলে ঐক্য ফিরেয়ে আনুন। আজকে শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার কারণে বিরোধী দলের এগিয়ে যাওয়ার পথে সংকটের কালো ছায়া পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে ভাসতে ভাসতে এখন শ্রীলঙ্কা দ্বীপে পৌঁছেছে ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন অর্জনে বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রতিটি সংকট ও দুর্যোগে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা সফলতা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খুশি থাকলে মির্জা ফখরুলদের মন খারাপ হয়ে যায়।
আওয়ামীলীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ভালো লোকদের দলে টানুন আর খারাপদের দল থেকে বের করে দিন।
আওয়ামীলীগ করে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন যারা, তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দিন, সম্প্রতি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কেউ অপকর্ম করলে রেহাই পায় না, শাস্তি পেতে হয়, বিএনপির আমলে এমন একটাও নজির নেই, যে তারা শাস্তি দিয়েছেন।
ঐতিহাসিক নোমানি ময়দানে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥ কাপ্তাইয়ের ২নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ১নং ওয়ার্ডের দূর্গম সীতাপাহাড় মারমা পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় দোকানদার থোয়াই চাই মারমা (৫৩) ও তাঁর সহধর্মিণী চিংঞো মারমা (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান, আহত দম্পতির ছেলে সুইহ্লা চিং মারমা। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে এসে আমাদের দোকানে বাবা এবং মা’কে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে চলে যান। সন্ত্রাসীরা সকলে সবুজ পোশাক পরিহিত ছিল বলে জানান সুইহ্লা চিং মারমা।
পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আহত দুই জনকে রাত ৯টায় চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রাজীব শর্মা জানান, গুরুতর আহত থোয়াই চাই মারমার বুকের পাজরের হাড় ভাঙ্গছে এবং বাম হাতে ক্ষত রয়েছে। এছাড়া তাঁর সহধর্মিণী কোমরে আঘাত পেয়েছে।
রাইখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম জানান, আমাকে ঘটনাটি তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। তবে কারা মেরেছে সেই বিষয়ে অবগত নই।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ঘটনা শুনার পর চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে পুলিশ গিয়েছে। এই বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেন নাই। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানান।