॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দ্রুতগতির উড়ালসড়ক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাজধানীবাসীর জন্য নতুন উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে রাজধানীর যানজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতায় এসে সড়ক, নৌ-পথ ও রেলপথের ব্যাপক উন্নয়ন করছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
কারো কাছে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করেছি আমরা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন অন্ধাকার যুগে নেই। সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এসময় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে শনিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে টোল পরিশোধের মাধ্যমে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি আন্দোলন না করে বিএনপিকে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তারা ঘরে বসে এসিরুমে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর বাইরে পুলিশের গতিবিধি দেখে।
সুধী সমাবেশে আরও উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তরের সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।
চট্টগ্রাম অফিস :: একুশে পত্রিকার সম্পাদক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য আজাদ তালুকদার আর নেই।
বুধবার (২ আগস্ট) ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।
তিনি লিভার ক্যানসারসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ আগস্ট) বাদ জোহর নগরের ওয়াসার মোড়স্থ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে তাঁর ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় জামালখানস্থ প্রেসক্লাবের সামনে ২য় নামাজে জানাজা এবং বাদে আসর তার নিজ বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক আজাদ তালুকদারের অকাল মৃত্যুতে সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে আজাদ তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় সিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজাদ তালুকদার একজন অকুতোভয় ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সাংবাদিকতায় অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
সাংবাদিক নেতারা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিক আজাদ তালুকদার মরণব্যাধি ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে আসছিলেন। অসুস্থ আজাদ তালুকদার ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সাংবাদিকতায় দীর্ঘ ৩ দশক ধরে জড়িত আজাদ তালুকদার একুশে পত্রিকা সম্পাদনা ছাড়াও একাত্তর টিভি, বৈশাখী টিভি, একুশে টিভি, সাপ্তাহিক ২০০০, আন্তর্জাতিক ফিচার সংস্থা-সান ফিচার সার্ভিস, এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
চট্টগ্রাম অফিস :: কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজের জন্য আগামী তিন মাস বন্ধ থাকবে সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন ও যানবাহন চলাচল। সংস্কারের পর এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাত্রীবাহী ট্রেন ছুটবে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে এ সেতুতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল করবে।
আগামী সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেতুর ট্রেন লাইনসহ সেতুর ডেকিং, পাটাতন মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ সংস্কার কাজের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেতু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে সেতুটির ডেকিং ডিসমেন্টলিং (খোলা) কাজ শুরু করবে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইটে নির্মাণ সামগ্রী ও ইক্যুইপমেন্ট মোবিলাইজেশন শুরু করেছে। সেতু সংস্কার ও নবায়নের পাশাপাশি পথচারীদের পারাপারের জন্য নতুন ভাবে পৃথক একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মেরামত চলাকালীন সময়ে সেতু দিয়ে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেরি সার্ভিস চালু করেছে। ফেরি দিয়েও যানবাহন চলাচল করতে পারবে। ভারী যানবাহন গুলো শাহ আমানত সেতু দিয়েও যাতায়াত করতে পারবে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ জুন বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতুটি মেরামতের জন্য রেলওয়ের সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শতবর্ষী জরাজীর্ণ এই সেতু সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এদিকে সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মোট তিনটি ফেরির ব্যবস্থা রয়েছে। ২টি ফেরি চলাচল করবে। আর ১টি ফেরি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। ফেরির টোলের হার নির্ধারণ করা হলেও টোল আদায়ে কোনো ইজারাদার পায়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) দ্বি–বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন সিইউজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেমুল হক।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সিইউজের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার মুলতবি সভায় তিনি ফলাফল ঘোষণা করেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় বিজয়ীদের।
বৃহষ্পতিবার (৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাধারণ সভার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মুলতবি সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নিজাম উদ্দিন আহমদ, নুরুল আমিন, মোরশেদ আলম, কামাল পারভেজ। সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নবনির্বাচিত সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সভাপতি প্রার্থীদের পক্ষে আসিফ সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি শহীদুল আলম।
বক্তারা ঐতিহ্যবাহী সিইউজের গৌরব অক্ষুণ্ন রেখে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলানিউজের ডেপুটি এডিটর তপন চক্রবর্তী। পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ম. শামসুল ইসলাম।
সভাপতি পদে তপন চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাক আহমদ পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
সিনিয়র সহ সভাপতি ২৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রুবেল খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রতন কান্তি দেবাশীষ পেয়েছেন ১৩২ ভোট।
সহ সভাপতি পদে ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অনিন্দ্য টিটো। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হুদা মিন্টু পেয়েছেন ১৭২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ম. শামসুল ইসলাম ১৯২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সবুর শুভ পেয়েছেন ১২২ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে ১৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিচ আহমেদ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট।
অর্থ সম্পাদক পদে ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৌমেন ধর পেয়েছেন ১৭৭ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মহরম হোসাইন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুবল বড়ুয়া পেয়েছেন ১২৯ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ২২৯ ভোট পেয়ে সরওয়ার কামাল নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজান ইউসুফ পেয়েছেন ১২৯ ভোট।
নির্বাহী সদস্য পদে আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশু রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১৫১ ভোট।
ফেনী প্রতিনিধি : অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ফেনীর ৩২৬ অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাবেন বীর নিবাস। জেলার ছয়টি উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বীর নিবাস নির্মাণ শুরুর আগেই যাচাই-বাছাই করে জেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘরের বরাদ্দ পেয়ে এবং নির্মাণ শুরু হওয়ায় ব্যাপক খুশি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার। সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, অসচ্ছল-শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ টাকা করে এক একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবেই ফেনীর ৩২৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ৫ পৌরসভায় মোট ৩২৬টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। ঠিকাদাররা বলছেন, দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের লোকজন গুনতে হবে। তবুও, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করবেন।
ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথাগোঁজার ঠাই পাবেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদুল উল হাসান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকার দেশের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভেবে তাদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ঘর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ উপকৃত হচ্ছেন। এ প্রকল্প মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
সাপ্তাহিক চাটগাঁর শরৎকালীন সাহিত্য আসর ২৬ আগস্ট শুক্রবার বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোমিন রোডস্থ কদম মোবারক মার্কেটের বিজয়’৭১ হলে অনুষ্ঠিত আসরে সভাপতিত্ব করেন সীতাকুণ্ড তাহের-মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ লেখক মুকতাদের আজাদ খান। আসর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যসেবী ভানু রঞ্জন চক্রবর্ত্তী। সাংস্কৃতিক সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন জাফরের সঞ্চালনায় সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক চাটগাঁর সহকারী সম্পাদক রোকন উদ্দীন আহমদ। অতিথি ছিলেন মাসিক কথন সম্পাদক কবি ফারুক হাসান, দৈনিক গিরি দর্পণের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এম.কে. মোমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক চাটগাঁর লেখক প্রণব রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, সাংবাদিক সমীরন পাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক জসিমুল হক চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী রূপংকর পাল। প্রাণবন্ত ২ ঘণ্টার আসরটিতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, কবি যথাক্রমে আবু মুসা চৌধুরী, আশীষ সেন, গোফরান উদ্দিন টিটু, তালুকদার হালিম, বিদ্যুৎ কুমার দাশ, লিটন কুমার চৌধুরী, সঞ্চয় কুমার দাশ, সারাফ নাওয়ার, মিনু মিত্র, নান্টু বড়ুয়া। নবীন-প্রবীণ কবিদের কবিতা পাঠ ও অতিথিদের কথামালায় আসরটি উপভোগ্য হয়। এসময় অতিথি বক্তারা বলেছেন, চট্টগ্রামের লেখকদের সাহিত্য আন্তর্জাতিক মানের। এই ধারা বাঁচিয়ে রাখতে সাহিত্যকর্মে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সুস্থ ও সুন্দর সমাজ নির্মাণে মানবিক মানুষ প্রয়োজন। সাহিত্য চর্চায় মানবিক মানুষ তৈরী হয়। তাই সাহিত্য পাঠে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন (৩য় পর্যায়) ৫৮৭টি পরিবারকে জমিসহ ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলায় ১০টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ১৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৫১টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৫টি, হাটহাজারী উপজেলায় ৬০টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১০০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১০০টি, মীরসরাই উপজেলায় ১০৯টি, রাউজান উপজেলায় ৫৪টি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২১ জুলাই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা : পবিত্র ঈদুল আজহার আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল চালু না হওয়ার আভাস দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার (৩ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ঈদের আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালু হচ্ছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে উনারা (কর্তৃপক্ষ) কাজ করছেন। পদ্মা সেতুতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ ক্যামেরা বসবে। স্পিডগানও বসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর উনারা কম্পোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যায়।
এটা কী ঈদের আগে হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগে হওয়া খুব ডিফিকাল্ট। আমার মনে হচ্ছে, ঈদের আগে মনে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে। উদ্বোধনের পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ওইদিন দুই মোটরসাইকেল আরোহী মারা যায়। পরে ২৭ জুন থেকে েপদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রমত্তা পদ্মার বুকে দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের সেতু নির্মাণে যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার পদ্মাসেতু উদ্বোধন শেষে মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। তাদেরকে একটা উপযুক্ত জবাব আমরা পদ্মাসেতুর মধ্য দিয়ে দিতে পারলাম যে, বাংলাদেশও পারে।” বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর জনগণের ‘সাহস ও শক্তি নিয়েই’ সেতুর কাজ শুরু করেছিলেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আজকে আলহামদুলিল্লাহ আমরা সেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এই খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হতে গিয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে, ভাইবোনকে হারাতে হবে না। আজকে সেখানে আপনারা নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।“আমাদের প্রত্যেকটা এলাকা এত দুর্গম ছিল, আজকে সেখানে রাস্তাঘাট, পোল, ব্রিজ করেছি বলেই সব জায়গায় যোগাযোগ হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে। এই এলাকার লোক যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেজন্য পায়রা পর্যন্ত আমরা সেতু বানিয়ে দিয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে মানুষ চলাফেরা করতে পারে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাওয়ায় পদ্মার তীরে উন্মোচিত হল ফলক, বাতাসে উড়ল রঙিন আবীর, বর্ণিল উৎসবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দশক আগে তিনিই দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলার মানুষের এ স্বপ্নের সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
সকালে হেলিকপ্টারে করে মাওয়ায় পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে যার অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পবির্তন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।”
সুধী সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট, স্মারক ব্যাংক নোট, স্যুভেনির শিট, সিলমোহর ও উদ্বোধন খামের মোড়ক উন্মোচন করেন।
তারপর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করে গাড়ী নিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান। সেখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে তিনি উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে তাকে সেলফিবন্দি হতেও দেখা যায়।