॥ মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির, রাঙ্গামাটি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার পথ চলা ৪১ বছর পেরিয়ে ৪২ বছর পদার্পন করায় হযরত আব্দুল হাকিম আব্দুল ফকির (রহ) মাজার ও ওরশ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সোমবার (২৬মার্চ) দুপুরে রাঙ্গামাটি দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার প্রধান কার্যলয়ে গিরিদর্পন সম্পাদক আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদকে দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার পথ চলা ৪১ বছর পেরিয়ে ৪২ বছরে পদার্পন উপলক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।
হযরত আব্দুল হাকিম আব্দুল ফকির (রহ) মাজার ও ওরশ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাত জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা শফিউল আলম আল কাদেরী, ওরশ পরিচালনা কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও ইসলামিয়া সুন্নী সমাজ কল্যাণ এর সভাপতি, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি এনামুল হক হারুন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি তাপোষ দাশ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কর, সহ সভাপতি বাসনা প্রভা দাশসহ অনেকেই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।
ফুলেল শুভেচছা শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শফিউল আলম আল কাদেরী।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ৮ মে বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে চারটি ধাপে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে, সেগুলোর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনের ২৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট গ্রহন করা হবে ৮ মে।
১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৯টি জেলার ২২টি উপজেলায় ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর ও মানিকগঞ্জ। প্রথম ধাপে এসব জেলার ২২টি উপজেলায় ভোট হবে। বাকিগুলোতে ব্যবহার হবে ব্যালট পেপার।
অশোক কুমার দেবনাথ জানান, দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ হবে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ হবে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ৬টি ধাপে ও ২০১৯ সালে ৫ ধাপে উপজেলা পরিষদের পঞ্চম ভোট হয়। বর্তমানে দেশে উপজেলা রয়েছে ৪৯২টি।
আনন্দ সঞ্চারের জন্য এ লেখা নয়। দুঃখ বিস্তারেরও উদ্দেশ্য নহে। চলে যাওয়ার রীতি সব সময?ই আসে। আমারও তাই হতে চলেছে। মনে হচ্ছে সেই কর্মস্থলের প্রথম দিন আর শেষতক্? যেন একটি মাত্র পূর্ণ কর্ম দিন। যেমন রাত প্রভাতের পর ক্রমে আলো আর্বিভূর্ত হয়। অতঃপর ক্রমে দিনের দ্বি-প্রহর, পড়ন্ত বেলা পার হয?ে সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হয়ে রাত্রি নামে। সে রকম মনে হচ্ছে “সাড়ে তিন যুগেরও বেশী” সময়টাকে – আমার কর্মক্ষেত্রকে মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে।
আজ মনে হয় দিন কতো ছোট, কতো ছোট্ট জীবন পরিধি। জীবনের রূঢ় বাস্তবের ছোঁয়া বস্তুত কতখানি পেয়েছি জানি না । তবে জীবন মানেই কঠিন ও রূঢ়তা। যেমন নতুন বছরে মিডিয়ার মুখোমুখি হলে গণ মানুষেরা বলে থাকেন চলে যাওয়া দিনটি ভাল; কালকের দিনটা তা নাও হতে পারে। ৩৫ বছর অপেক্ষা পূর্বে যাঁদেরকে এই সোনার ব্যাংকটিতে দেখেছিলাম তাদের মধ্যে যারা তখন প্রায় প্রবীণ ছিলেন তাঁরা তো অনেকে আজ নেই; যাদের স্মৃতি ঝাপ্সা হয?ে গেছে। আর পরেও যারা মধ্য বয়সী ছিলেন তাদেরও দেখা যায় না, মানস নয়ন পটে। অনেকে আমার চাকরী জীবনে একই সময় যোগদান করেও কর্মজীবন পরিণতা প্রান্তি হওয়ার পূর্বেই চির বিদায় নিয়েছেন। তাদের কথা ভুলিই বা কিভাবে। চোখ বুজে স্মৃতি চারণ করলেই মনে হয়। যেমনঃ “ভৈরব নিবাসী’ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সাহেব; যিনি অফিসের মধ্যেই সেদিন হঠাৎ অসুন্থ হয?ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন। ১৯৮১তে প্রধান কার্যালয?ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শন (অডিট ব্যতীত বড় অংশটি) বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সদরঘাট ভবনে স্থানান্তরিত হলে সিরাজগঞ্জবাসী মিতভাষী মোঃ ইসমাইল হোসেন সাহেব যিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হতে বিদায় নিয?ে এইচআরডিতে ‘লিভ রিজার্ভে’ আছেন। তীর স্থলে সেদিন ১৯৮১ তে আসা সুনীল কুমার বিশ্বাস (স্বর্গীয় তরুণ) লোকটির কথা। শুনেছি প্রকৌশলে চান্স পেয?েও যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে জীবিকায? যুক্ত হয়েছিলেন। এই ফরিদপুরবাসী – যাক্? মা-বাবা আর পরিবারের সহায়তায় প্রথম ৫/৭ বছর তারপর নিজের সংসারিক সহযোগিতায় বাকী ২৯ বছর এভাবে চলে আসলো। দুইয়ে দুইয়ে চার আবার দুই দ্বিগুণে চার, এটা গানের কলিতে জানলেও বাস্তবে তেমন উপলব্ধি করে সময় পার করিনি। অনেকটা গোয়ালের গরুর মত সায?াহ্নে গৃহে ফিরে এসেছি। মনে হয় এর বাইরে কর্ম জীবনে বেশী ভাবনার অবকাশ তেমন থাকে না। অবচেতন বা সচেতন মনে বিদ্যালয? যাওয়া অপেক্ষা কর্ম ক্ষেত্রে যাওয়াই যেন গুরুত্ব বেশী হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু যুগ পার হয়ে জিয়ার কালের শেষার্ধে যোগদান আর ২টি সেনা সমর্থিত শাসনকাল কর্ম জীবনে পার হয়ে আমি বাংলাদেশের স্থপতি-দুহিতার সোনালী শাসনকালে বর্তমানে পার হয়ে চলেছি এখন। পারাপার কিভাবে সমাপ্ত হবে আমার কে জানে? ‘ভবি’র কথা’ কেহ কি বলতে পারে। আবহাওয?ার মতন সত্যাসত্য বিজ্ঞান কেবল “চৎবফরপঃরড়হ” বা ভবিষ্যত বাণী করতে পারে। যা হয় কখনো
৪০% থেকে ৬০% সত্য হয় আবার কখনো তাও হয় না। যে দিন গ্রেড-২ করনিকে নির্বাচনের পর ১৯৮০ সনের নভেম্বরে অফিসে যোগদান করার জন্য পার্সোনেল ডিপার্টমেন্টে (বর্তমানে এইচআরডি) মরহুম ময়নাল হক খান (আল্লাহ তার রুহের মাগফিরাত করুন)। তখনকার প্রথম শ্রেণীর রিক্রুটমেন্ট কর্মকর্তার সামনে বসারত। সে সময? হঠাৎ স্যার আমার পরীক্ষার খাতা বের করে ০২টি লাইন উচ্চারণ করে নিজ আসনে বসে আমায় শোনালেন । আমি তা লিখলাম। চেকের সহি মিলাবার মতো তাৎক্ষণিকভাবে মরহুম স্যার তা মিলালেন এবং আমাকে ” একজন সফল সিপাহীর মত তারিফ করলেন”। আমি অনভ্যন্ত কর্ম জীবনে হাঁটি হাটি পা পা করে এগোলাম। তখন কিন্ত বি.এ (পার্সকোর্স) উত্তীর্ণ নহে অবতীর্ণ আগেই হয়েছিলাম ৩য় বারের বার। আর ৮১ সনের মে মাস শেষে জানতে পারি যে পাস করি ২য? বিভাগে । বাবা তখন সদ্য অবসরে। “সর্প্রথমবার তো পিতা পাসের (ভুয়া) সংবাদ শুনে করতালি দেন খুশীতে, আমি তা হতে পারি নাই” । অন্য একজন সহপাঠী বন্ধুর মতামত শুনে মা-বাবাকে মিথ্যা পাসের ‘নিউজ’ দিয়েছিলাম। পরে মনে হল, সত্য জেনে বাবা আমার স্বস্তি পাক, আর আমিও মুক্তি পাই। বাবা তো অবাক “পাস করিস নি । তবে এই যে একটু আগে বললি যে! তখন মা শোনালেন। যাক পাস করেনি ভবিষ্যতে করবে- ইন্শাল্লাহ।“
কর্ম জীবনের প্রথম সাড়ে ৮ বৎসর পার হয়ে আমি ইসিডিতেও অনুরূপ দীর্ঘকাল কাটিয়ে শেষে এলাম ঊঈউ(ওহাবংঃসবহঃ)। সে সময? সরাসরি নির্বাচিত অফিসার কে যেন বললেন “এর পর কোথায় বদলি হয়ে যাবেন” ? অতঃপর এলাম গবেষণা বিভাগের জ্ঞান মন্দিরে । দেখে তো অবাক, যেই অর্থনীতির কারণে আমার ছাত্র জীবনে ফেলের পঙতিমালা, এখানে প্রায় সবাই অর্থনীতির মাস্টার্সে উচ্চ শিক্ষিত। কর্মজীবনে কাজে আমি বিশেষ পারঙ্গমতা কোন দিনই দেখাতে পেরেছি বলে মনে করি না। তবে সফল না হলেও অধিকাংশ সময়েই যতœশীল হওয়ায় ইচ্ছেটা পোষন করেছি। ব্যাংকিং ডিপ্লেমা বা এম.এ কোনটাই আমার ৩৫ বছরের কর্ম জীবনে নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিবিটিএ তে এই সময়কালে অন্তত সাতবার অংশ নিই। আমার ইন্টারভিউকালে যতখানি স্মরণ হয়, স্যার জেড হাসান সিদ্দিকী মহোদয় “ভাইবা – বোর্ডে’ ছিলেন বলে মনে হয়। ১৯৮৮ সালে যখন টঢ় এৎধফধঃরড়হ মাধ্যমে অফিসার পদে উন্নীত হই । তখন দেখি সিদ্দিকী স্যার (১৯৮৯ সনের শেষার্ধে) বিবিটিএ তে যখন ক্লাস নিতে ঢুকতেন – মুগ্ধতম হয়ে তরুণী ও তরুণরা সবাই শ্রবণ করতো । ধূমবেষ্টিত হয়ে স্যার বক্তব্য রাখতেন।
চাকরীর বয়স ৫০ পৌঁছার পূর্বেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটের অফিসে বদলী আমার জন্য অভিজ্ঞতা আনে। সেদিন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা প্রায় বেশের মত ই অদ্ভুত সাজে বেলা সাড়ে বারোটায় ঢাকা হতে সিলেটে শ্যামলী পরিবহনের (এসি) বাসে পৌঁছি। একা একা ০২টি বছর সিলেটে যেয়ে থাকতে পারলাম তা আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাই। সিলেট পবিত্র মাজার শরীফের শহর। নয়নাভিরাম অঞ্চল। আমাদের ০৩ ভাই-বোনের ওখানে বিয়ে হলেও যোগাযোগ তেমন গড?ে ওঠেনি। কেবল একদিন মায?ের নিকট হতে খবর পেয়ে অফিস অনতি দূরে অনুজ ভাইয?ের নানা শ্বশুর সাহেবের বাড়ী বেড়াতে যাই। নানা শ্বশুরের বাসাটি মরহুম কর্ণেল এম.এজি ওসমানীর [মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায?ক) স্মৃতি যাদুঘরের ঠিক উল্টো দিকে । শুনেছি যাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের হতে বঙ্গবীরের পিতা নাকি কর্মজীবনে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বাবাও ১৯৪৬ সানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে ১৯৫১ বা ১৯৫০ সনে সাব-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে কর্ম জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। যদিও অডিটর হিসাবে গভমেন্ট এ চাকুরী এবং ময?মনসিংহের ত্রিশাল, দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি ২/১ বছর শিক্ষকতাও করেছিলেন। কেবল নিজের একটি বোন (অগ্রজ) ছাড়া সব ভাই বোনেরা কর্ম ও সংসার জীবনে কর্মব্যাস্ত ছিল/আছে। যদিও এই বোনটির ছিল হয়তো সর্বোত্তম ডিগ্রী অর্জন হওয়ার কথা, তবে তা হয?নি। অবসর-উত্তর সময়টা বই পড?েও স্বাস্থ্যটা ভাল রেখে যে কয়দিন পারি চালিয়ে নেবার ইচ্ছা। সব ইচ্ছা তো পূরন হয় না “গধহ ঢ়ৎড়ঢ়ড়ংবং, এড়ফ ফরংঢ়ড়ংবং”
(“আশা তার একমাত্র ভেলা”)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহোদয় কবিতায় বলেছেন, শুধু বলে রাখা যেতে দিতে হয়, যদিও যেতে দিতে ইচ্ছা নাহি। আমারও বলতে ইচ্ছে করে “চলে যাওয়ার সময় হলে (প্রয়াত শিল্পী-সুরকার আনোয়ার উদ্দীন খানের গানের ভাষায়)” আমার কফিন সাজিও দিও তোমার চোখের জলে । হয়তো জলে নয় তা হউক মনের মানসিক বলে।
খোদা – খোদা – তুমি মুক্তি ও শান্তি দাও,
দাও শক্তি এই জনপদে —– বাংলার ব-দ্বীপে।
খোদা হাফেজ
খন্দকার মমতাজ হাসান
যুগ্ম ব্যবস্থাপক, মতিঝিল অফিস, ঢাকা।
(*২০১৬ সনে রচিত)
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবে উদযাপিত হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ রবিবার দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই জাতীয় শিশু সমাবেশে যোগ দিবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্ট্রার এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর বহু আকাক্সিক্ষত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসি’র এক জরীপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী নির্বাচিত হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশী ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করেন।
বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তী কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বাংলাদেশের এই মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু, শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, তাঁর স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।
‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালবাসা প্রতিফলিত হয়।’ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে এমন মন্তব্য লিখেছিলেন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছেন।’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় তার বাংলাদেশ সফরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় মন্তব্য বইয়ে তিনি লিখেন, এই উপ-মহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। মমতা বলেন, বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।
তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে চিত্রিত করলেও ইতিহাসই তাঁর প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে যখন তাঁর এককালীন ঘোরতর শত্রু তাকে ‘মহান দেশপ্রেমিক’ হিসেবে অভিহিত করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি (বেলুচিস্তান) অফিসার মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হোসেন মালিক পরে তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘বস্তুত মুজিব দেশদ্রোহী ছিলেন না (পাকিস্তানে তাকে সেভাবে চিত্রিত করা হলেও)। নিজ জনগণের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক।’ আরেকজন সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন পাকিস্তানি জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সালিক তার ‘পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গির্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।’
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকদের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদকে কলকাতা লেখক সাংবাদিকদের সাংস্কৃতিক খবর পদক-২০২৪ লাভ করায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে জেল রোডস্থ দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয়ে এই ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। এসময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রেস ক্লাবের সদস্য ও গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মন মারমা।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকদের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদকে কলকাতার সাংস্কৃতিক খবর পত্রিকার পদক ২০২৪ প্রদান করায় বিভিন্ন মহল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য হাজ্বী মুছা মাতব্বর, রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মোশারফ হোসেন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন (রোমান), দৈনিক সময়ের আলো রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইলিয়াস, মিলিন্দ চাকমা, বিদ্যুৎ ত্রিপুরা, উদয় মারমা, প্রবীর কুমার সাহা কায়কোবাদ মিলন, কবি মোঃ নিজাম উদ্দিন, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, প্রবন্ধকার শাওন ফরিদ, প্রিন্সিপাল মোঃ হযরত আলী, বিশিষ্ট সংগীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর গুর্খা, অঞ্জন দে, সাংবাদিক জিকারুল ইসলাম জিকার, সেকেন্দার হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন, সাহিত্যেক মংক্যচুইনুয়ে, মালতির চৌধুরী মালা সিং, অরুণ দে, জগৎ দাশ, আল্পনা চাকমা, নারী নেত্রী ঝিমি কামাল, মোঃ শাহীদুল রহমান (বিটিভি) বেতার, শ্রাবণ মাহমুদ, শিমলা ত্রিপুরা শিমু, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু, সাংবাদিক নাসির উদ্দীন বুলবুল, জজ ত্রিপুরা, মাহামুদুল সোহাগ, মনোয়ারা বেগম, লোপা ত্রিপুরা, জানে আলম, প্রথম আলো ফটো সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা, মনিরুজ্জামান, পুষ্পিতা খীসা চম্পা, পিয়াংকা পুতুল, সাংবাদিক অধ্যাপক শ্যামল রুদ্র, সাংবাদিক নুরুল আজম, মুজিব দীপু, অং মারমা, দিলীপ চন্দ্র দাশ, সাংবাদিক নাজিম উদ্দীন শ্যামল, প্রিসিলা নিউইয়র্ক থেকে মনির আহমদ, সাংবাদিক বিহারী চাকমা, মিকেল চাকমাসহ আরো অনেকে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেশের জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পাহাড়ের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিকসহ সর্বক্ষেত্রে সংবাদ তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান। তিনি বলেন, একটি দৈনিক পত্রিকাকে প্রতিদিনই পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখতে হয়। সেই ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি, যোগাযোগ, উন্নয়ন সাফল্য ও সম্ভাবনাকে প্রতিনিয়ত তুলে ধরছে দৈনিক সময়ে আলো। আর এই কারণে ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে তার পরিধি। অর্জন করেছে জনগণের আস্থা। আমরা বিশ্বাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে এগিয়ে যাবে দৈনিক সময়ের আলো।
শনিবার (২ মার্চ) রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে দেশের জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পঞ্চম বর্ষে পর্দাপর্ণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দৈনিক আমাদের সময়’র জেলা প্রতিনিধি বিহারী চাকমার সঞ্চালনায় দৈনিক সময়ের আলোর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহামেদ, প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি অলি আহমেদ, প্রেস ক্লারের সদস্য ও জি টিভি’র প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, প্রেস ক্লারের সদস্য ও ৭১টিভির রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি উচিংছা রাখাইন প্রমুখ। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নের্তৃবৃন্দ বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহামেদ বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ বছর খুব বেশি সময় নয়। এই পথচলা একেবারে মসৃণ ছিল না। তবে পাঁচ বছরে সময়ের আলো সব মানুষের প্রিয় সংবাদপত্র হয়ে উঠেছে। পাঁচ বছরের পথ পরিক্রমায় সাংবাদিক ও কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দৈনিক সময়ের আলো সংবাদপত্রটি দুর্গম পথ পার হয়ে এসেছে। পথ পরিক্রমায় আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। নতুন আরেকটি বর্ষে পদার্পণের মুহূর্তে আমাদের বিশ^াস আগামীতেও সব ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও সাহসী ভূমিকা রাখবে দৈনিক সময়ের আলো।
এর আগে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি প্রেসক্লাব থেকে পুলিশ সুপারের বাংলোর সম্মুখস্থ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে এসে সমাপ্ত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: রাঙ্গামাটির সুর নিকেতনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত বরেণ্য কবি মৃত্তিকা চাকমা কে সংবর্ধনা প্রদান, কবিতা আবৃত্তি ও একুশের গানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয?েছে। বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারী) বিকেল শহরের জেল রোড, কন্ট্রাক্টর পাড?াস্থ সংগীতালয? সুর নিকেতন কার্যালয?ের মিলনায?তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও ভাষা সৈনিক একেএম মকছুদ আহমেদ। এতে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সুর নিকেতনের উদ্যোগে প্রতিবছর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস টি পালন করা হয?। কবি মৃত্তিকা চাকমা শুধু কবি নয?, তিনি একজন সাহিত্যিক। একজন কবি হিসেবে তাকে একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক দেয?ার দাবি জানান। হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এই বছর কোন সাংবাদিককে একুশে পদক প্রদান করা হয?নি। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কবি মৃত্তিকা চাকমাকে সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায? প্রধানমন্ত্রী ও বাংলা একাডেমী কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এতে সংবর্ধিত অতিথি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, সাপ্তাহিক বনভূমি পত্রিকার মাধ্যমে আমার হাতে খড়ি । মকছুদ আহমেদ আমার গুরু । তার হাত ধরে আমার এতটুকু আসা। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাকে বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রদান করায় সরকার প্রধানকে এবং বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্ট সকল কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি শাখাওয?াত হোসেন রুবেল, পার্বত্য অঞ্চলের কবি শিশির চাকমা, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও সুর নিকেতনের শিক্ষার্থী ও শিল্পীবৃন্দরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংবর্ধিত অতিথি বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয?ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয?।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) মধ্য রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান উভয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা বাজার সাত মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছান। এর তিন মিনিট পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান। অমর একুশের ঐতিহাসিক অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি… আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পরই প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা ভাষা বীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল। পরে তিন বাহিনী প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি), যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ (ডিইউএএ) শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষা বীরদের সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মত্যাগকে স্মরণ করার জন্য সর্বস্তরের শত শত মানুষ হাতে ফুল নিয়ে এবং ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গুনগুন করে গেয়ে খালি পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর পূর্ণ হবে এদিন। রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়াও কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসক গোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
তাদের এই আত্মদান নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম তার ‘বায়ান্নর ও আগে’ প্রবন্ধে লিখেছেন ‘বরকত, সালামকে আমরা ভালবাসি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা বরকত সালাম আমাদের ভালবাসে। ওরা আমাদের ভালবাসে বলেই ওদের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করেছে। ওরা আমাদের জীবনে অমৃতরসের স্পর্শ দিয়েগেছে।সে রসে আমরা জনে জনে, প্রতিজনে এবং সমগ্রজনে সিক্ত।’
এদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে আমরা অমরতা পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা বলতে পারি দস্যুকে, বর্বরকে এবং দাম্ভিককে : তোমরা আর আমাদের মারতে পারবে না। কেননা বরকত সালাম রক্তের সমুদ্র মন্থন করে আমাদের জীবনে অমরতার স্পর্শ দিয়ে গেছেন।’
একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি। এদিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরানখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মিশনসমূহ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা, পুস্তক ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে যেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বাঙালি অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এছাড়াও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপ সমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা জনক স্থান সমূহে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহিদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহিদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহিদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, ইত্যাদি জনসচেতনতা মূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যম সমূহ প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদপত্র সমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো একুশের বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ দুইদিনব্যাপি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ এবং প্রভাতফেরি।
এছাড়াও, ২২ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।