চট্টগ্রাম ব্যুরো :: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
রোববার (৫ জুন) সকালেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
॥ মোঃ সোহরাওয়ার্দী সাব্বির ॥ তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ পাচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক খ্যাত রাঙ্গামাটি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও লেখক পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ ও মিডিয়া গ্রুপ আয়োজনে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১১জন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে এবং তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য প্রতি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। সে তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ। আগামী ৩০মে ২০২২ইং ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তে সন্ধ্যা ৭টায় এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে বসুন্ধরা মিডিয়া আওয়ার্ড ২০২১ প্রদান জন্য মনোনীত করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বান্দরবান প্রেস ক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হিল নিউজের সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিন, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দুলাল মিয়া, ওয়ার্ল্ড পীর্স এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট লায়েন এ্যাড. এম এ মজিত অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকা অফিস :: ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০ গ্রেড (ধাপ) চালু ও অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম।
রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহ্বায়ক হেদায়েত হোসেন। তিনি বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। সচিবালয়ের মতো সব দফতর, অধিদফতরের পদ-পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
লিখিত বক্তব্য আরও বলা হয়, আনুতোষিকের হার এক টাকার সমান ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে। ৩০ লাখ টাকা গৃহঋণ, ৩০ শতাংশ পোষ্যকোটা চালু ও কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।
সংগঠনের মূখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী বলেন, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, বৈষম্য নিরসন না করে পুনরায় বৈষম্যের বেড়াজাল তৈরি করা হচ্ছে। যা কোনোভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের বাইরে সকল দফতর ও অধিদফতরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা না হলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে। যা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো মেনে নেবেন না। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীদের বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। বিষয়টির বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ মহলের জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (তোতা-গাজী), বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহীন), ১১-২০ সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা অফিস :: রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা তৈরি করে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম অনুকূলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অবদান’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলক একটু বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা তৈরি করে সেটিও গ্রাহকের স্বার্থের অনুকূলে আনার চেষ্টা আমরা করছি। ইতোমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেটের আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু হয়েছে। টেলিটক এটি প্রথম শুরু করে এবং অন্য অপারেটররাও সেটা কার্যকর করেছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য। দেশব্যাপী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি দক্ষ মানব সম্পদ এবং ডিজিটাল সংযোগ সহজলভ্য করতে সরকার কাজ করছে।
ইন্টারনেটের মূল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। ৬০ টাকায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়। অথচ ২০০৬ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা, ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা এবং বর্তমানে একদেশ এক রেটের আওতায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় মাত্র ৬০ টাকায়।
মন্ত্রী ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, পৃথিবীর কোনো কোনো দেশ ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কেবলমাত্র শহরের মানুষের জন্য নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। দেশের ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতায় আসছে।
তিনি দেশে ইন্টারনেট প্রসারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যা্ন্ড নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় ৪জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হয়েছে এবং ৫জি চালু করা হয়েছে।
মোবাইলের কলড্রপ কমিয়ে আনতে অপারেটরগুলোকে সম্প্রতি অতিরিক্ত বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবে।
তিনি একই সঙ্গে দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কানেক্টিভিটির প্রসারের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, এখন মধুপরের পাহাড় বা হাওরে বসে ইন্টারনেটের সহায়তায় তরুণ-তরুণীরা বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১০০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৪৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির প্রসার ও প্রয়োগে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের ট্রেডবডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইস বিশেষ করে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে গত চার বছরে সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে স্যামসাংসহ ১৪টি ব্র্যান্ডের মোবাইল কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ এই সব কারখানার উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি মোবাইল কারখানার পাশাপাশি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের বাংলাদেশ বিষয়ক সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমদ, অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের গ্লোবাল পলিসি বিষয়ক কর্মকর্তা এলিনোর এবং এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী আনজু মাংগল বক্তব্য দেন।
ঢাকা অফিস :: বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক জনগণের সঙ্গে নতুন তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যারা নিজ দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য দেখার মত একটা মিছিল পর্যন্ত করেতে পারেনি, তাদের মুখে সরকার পতনের আন্দোলনের কথা মানায় না ৷
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে নিজ দলে ঐক্য ফিরেয়ে আনুন। আজকে শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার কারণে বিরোধী দলের এগিয়ে যাওয়ার পথে সংকটের কালো ছায়া পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে ভাসতে ভাসতে এখন শ্রীলঙ্কা দ্বীপে পৌঁছেছে ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন অর্জনে বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রতিটি সংকট ও দুর্যোগে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা সফলতা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খুশি থাকলে মির্জা ফখরুলদের মন খারাপ হয়ে যায়।
আওয়ামীলীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ভালো লোকদের দলে টানুন আর খারাপদের দল থেকে বের করে দিন।
আওয়ামীলীগ করে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন যারা, তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দিন, সম্প্রতি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কেউ অপকর্ম করলে রেহাই পায় না, শাস্তি পেতে হয়, বিএনপির আমলে এমন একটাও নজির নেই, যে তারা শাস্তি দিয়েছেন।
ঐতিহাসিক নোমানি ময়দানে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥ কাপ্তাইয়ের ২নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ১নং ওয়ার্ডের দূর্গম সীতাপাহাড় মারমা পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় দোকানদার থোয়াই চাই মারমা (৫৩) ও তাঁর সহধর্মিণী চিংঞো মারমা (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান, আহত দম্পতির ছেলে সুইহ্লা চিং মারমা। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে এসে আমাদের দোকানে বাবা এবং মা’কে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে চলে যান। সন্ত্রাসীরা সকলে সবুজ পোশাক পরিহিত ছিল বলে জানান সুইহ্লা চিং মারমা।
পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আহত দুই জনকে রাত ৯টায় চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রাজীব শর্মা জানান, গুরুতর আহত থোয়াই চাই মারমার বুকের পাজরের হাড় ভাঙ্গছে এবং বাম হাতে ক্ষত রয়েছে। এছাড়া তাঁর সহধর্মিণী কোমরে আঘাত পেয়েছে।
রাইখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম জানান, আমাকে ঘটনাটি তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। তবে কারা মেরেছে সেই বিষয়ে অবগত নই।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ঘটনা শুনার পর চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে পুলিশ গিয়েছে। এই বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেন নাই। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানান।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ বুদ্ধ ধর্ম সংঘ” এই তিনটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ত্রি-স্মৃতি বিজরিত শুভ মহান বৌদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি ও চাকমা জাতির বর্ণমালা পরিচয় ও মাতৃভাষা শিক্ষার ভ্রাম্যমান কর্মসূচি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(১৩মে) দুপুরে পানছড়ি উপজেলার জ্যোতির্ময় কার্বারী (তালতলী) পাড়ায় আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারের এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত সুদর্শী স্থবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য শতরুপা চাকমা। এ কর্মসূচি উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শতরুপা চাকমা বলেন, বুদ্ধদেবের মতে মানুষের দুঃখ-কষ্টের মূল কারণ হলো অজ্ঞতা ও আসক্তি। অজ্ঞতা বা জ্ঞানের অভাবহেতু এবং পার্থিব বস্তুর ওপর আসক্তির ফলে মানুষের পুনর্জন্মেও দুঃখকষ্টের শেষ হয় না। মানুষ নিজ কর্মফল অনুসারে বারবার জন্ম লাভ করে এবং কৃতকর্মের ফল ভোগ করে। সুতরাং ‘নির্বাণলাভ’ বা পুনর্জন্ম থেকে নিষ্কৃতি লাভই মানুষের প্রধান এবং চরম উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়োজন। সৎকর্মের দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে আত্মার উন্নতিসাধন করলেই এই নির্বাণ লাভ সম্ভব।তৃষার অবসান এবং আত্মার উন্নতি সাধনের জন্য বুদ্ধদেব ‘অষ্টাঙ্গিক মার্গের নির্দেশ দিয়েছেন, যথা-সৎ সংকল্প, সৎ বাক্য, সৎ কর্ম, সৎ চেষ্টা, সং স্মৃতি, সম্যক দৃষ্টি, সৎ জীবন ও সম্যক সমাধি।
এ চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি উপলক্ষে বিনামূল্যে হৃদরোগ, মেডিসিন, ব্রেইন ও স্নায়ুরোগ মাথা ব্যথা, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও খিঁচুনি, গাইনি ও শিশুরোগসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও চিকিৎসা সেবা ও উপদেশ প্রদান, বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং রোগীদের ফলোআপ ভিজিট করা হয়।
এ সময় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা টিমের নেতৃত্বে ছিলেন, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা, ডা. অর্ণব চাকমা, ডা. দীপা ত্রিপুরা, কমলছড়ি আম্রকানন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু সুমনালংকার মহাথের, খবংপড়িয়া দশবল বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও সাবেক পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি অগ্রজ্যোতি মহাথের প্রমুখ।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও বাংলা নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ বর্ণিল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শাপলা চত্বর ঘুরে জেলা শহরের টাউন হলে এসে শেষ হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
শোভাত্রা উদ্বোধনকালে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলক্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। এদিন সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ,জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঞা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, উপজাতীয় টাস্কফোর্স’র নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল হক প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার ভোরের সোনালি আভায় ছায়ানটের আয়োজনে রমনা বটমূলে বঙ্গাব্দ ১৪২৯ কে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি; যে জায়গাটি ষাটের দশকের শেষভাগ থেকে বাংলা বর্ষবরণ আয়োজনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
পুরুষদের কেউ কেউ পাঞ্জাবি-পাজামা আর নারীদের অনেকে লাল-সাদা শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় ফুল জড়িয়ে হাজির হয়েছিলেন রমনায়; আলপনায় কপোল রাঙিয়ে বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রাণের মেলায় এসেছিল শিশুরাও।
দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বটমূলে ঘটে প্রাণের সঞ্চার; কবিগুরুর ‘নব আনন্দে জাগো’ বাণীকে এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য করেছিল ছায়ানট।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা বলেন, “এবার আমরা নব আনন্দে জাগবার আহ্বান জানাচ্ছি। দুই বছর কারাবন্দির মত একটা অবস্থা ছিল, সেই অবস্থা থেকে একটা স্বস্তির অবস্থায় এসেছি।
“নতুন করে আবার বটমূলে ফিরতে পেরেছি। সবাইকে নিয়ে আজকে যে প্রাণের মেলা হয়েছে, আমি মনে করি, মানুষের মনের ভেতরের আনন্দের কথা সঞ্চারিত হয়েছে।”
লাইসা আহমেদ লিসার ভাষায়, কোনো বাধায় বাঙালির প্রাণের উচ্ছ্বাস দমানো যায় না; মহামারীর শঙ্কা কাটিয়ে, সাম্প্রদায়িকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নেমেছে বটমূলে।
“এটা আমরা জানি, এরকম জোয়ার হবে। হয়ত নানান ভয় থাকতে পারে, কিন্তু মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাস, উদ্যম দমানো যায় না। এটাই আমাদের বিশ্বাস ছিল।”
বৈশাখের প্রথম সকালে বৃহস্পতিবার রমনা বটমূলে গানে গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানান ছায়ানটের শিল্পীরা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
স্বাস্থ্যগত কারণে এবারের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন না ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুন; তার কণ্ঠে ধারণ করা রবীন্দ্রসংগীত ‘নব আনন্দে জাগো’ এর অংশবিশেষ বাজানো হয় মঞ্চে।
ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, “বাঙালির জীবনে নববর্ষের আয়োজন একমাত্র অসাম্প্রদায়িক আয়োজন, সকল ধর্মের মানুষের বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করা- এই সত্যটি বাঙালির জীবনে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, সমাজে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।”
তিনি বলেন, “হৃদয়ে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে মানবিক সমাজ গঠনে আমাদের প্রাণিত করে বাংলা নববর্ষ। এই প্রত্যয় অর্জনে অর্ধ শতাধিক বছর ধরে সুর ও বাণীর আবহে রমনা বটমূলে আয়োজিত হচ্ছে বাঙালির মিলন মেলা।
“অতিমারীর কারণে গত দুটি বছর আর্থিক ও সামাজিক বিপর্যয় এবং স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমরা গৃহবন্দি ছিলাম। দুঃসময় পেরিয়ে এবার নব আনন্দে জাগ্রত হওয়ার আয়োজন করেছে ছায়ানট।”
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ অনেকে এসেছিলেন ছায়ানটের এ আয়োজনে।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের রথী মহারথীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ যোগ দিয়েছে এ উৎসবে।
ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াৎ হোসেন বললেন, এর আগে দুইবার বটমূলের বৈশাখী আয়োজনে আসার ইচ্ছা থাকলেও পারেননি; এবারই প্রথমবার এসেছেন।
“আমি ভেবেছিলাম, এবার হয়তো তেমন জনসমাগম হবে না। কিন্তু এসে ধারণা বদলে গেছে। পরিচিত অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। একসঙ্গে গান শুনলাম; খুব ভালো লেগেছে পুরো আয়োজন।”
লাল পারের সাদা শাড়ি পরে রমনায় এসেছিল দেড় বছরের রুপন্তি; সঙ্গে তার বাবা শফিক মাহমুদ ও মা তাসনিম মাহমুদ।
মিরপুরের বাসিন্দা শফিক মাহমুদ বললেন, “বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে মেয়েকে নিয়ে এসেছি; গতবারও আসার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এবার আর মিস করিনি।”
বৈশাখের প্রথম সকালে বৃহস্পতিবার রমনা বটমূলে গানে গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানান ছায়ানটের শিল্পীরা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
রমনার খোলা হাওয়ার ভোরে রাগ রামকেলি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান ছায়ানটের শিল্পীরা। পরে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগো মঙ্গল লোকে’।
পৌনে ৯টা পর্যন্ত ছায়ানটের ৮৫ শিল্পীর অংশগ্রহণে মোট ৩৭টি গান-আবৃত্তি পরিবেশিত হয়; শোনানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রজনীকান্ত সেন, অতুলপ্রসাদ সেন, দিজেন্দ্রলাল রায়, লালন সাঁইসহ আরও অনেকের গান।
লাইসা আহমেদ লিসা ‘গাও বীণা, বীণা গাও রে’, খায়রুল আনাম শাকিল ‘আনো আনো অমৃত বারি’, শাহীন সামাদ ‘অন্তরে তুমি আছ চিরদিন’ গেয়ে শোনান।
রাগ তোড়ি কণ্ঠে তোলেন বিটু কুমার শীল, রাগ ভৈরবী পরিবেশন করেন অভিজিৎ কুণ্ডু। আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদসহ অনেকে।
ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষ হতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ দুটো আয়োজন এখন বাঙালির বর্ষবরণের অত্যাবশ্যক অনুসঙ্গ।
মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা ॥ দৈনিক ইত্তেফাকের পার্বত্য চট্রগ্রামের রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি, পার্বত্য এলাকার প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক, ভাষাসৈনিক একেএম মকছুদ আহমেদ, ইত্তেফাকের জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা সংবাদদাতা-লেখক-মানবাধিকার কর্মী শাহ্ জামাল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সংবাদদাতা অনুজ কান্তি দাশসহ আরো ১০জনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে।
অন্যান্য সংবর্ধিতরা হলেন-ভাষাসৈনিক হাজেরা নজরুল, ভাষাসৈনিক মুস্তাফিজুর রহমান, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ এর সভাপতি ডা, মোমতাজ উদ্দিন আহাম্মদ, আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন পরিষদের সভাপতি- মুহাম্মদ শাহ সুলতান আতিক, বাংলাদেশ জাতীয় সূন্নী ওলামাশায়েখ পরিষদ এর সভাপতি হাকীম আনছার আহমেদ সিদ্দীকী, সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), ছামিউল ইসলাম (দৈনিক সংবাদ) প্রমুখ।
এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন (এসিএমবিএফ) দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে ৯ অক্টোবর সকাল ৯টায় শিশু কল্যাণ পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভায় এই সংবর্ধন প্রদান করা হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। এসিএমবিএফ’র প্রকল্প পরিচালক ও ইত্তেফাকের সংবাদদাতা মো. শাহ্ জামাল এই সভার শুভ উদ্ধোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-ভাষা সৈনিক একেএম মকছুদ আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন-বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-ভাষাসৈনিক হাজেরা নজরুল, ভাষাসৈনিক মুস্তাফিজুর রহমান, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ এর সভাপতি ডা, মোমতাজ উদ্দিন আহাম্মদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাজহারুল হক, আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন পরিষদের সভাপতি- মুহাম্মদ শাহ সুলতান আতিক, বাংলাদেশ জাতীয় সূন্নী ওলামাশায়েখ পরিষদ এর সভাপতি হাকীম আনছার আহমেদ সিদ্দীকী, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।