॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস’র সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্য বর্বরোচিত, নাড়কীয় ও পৈশাচিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তিবাহিনী। এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি এখনো। তাই পাকুয়াখালীসহ সকল বাঙ্গালী গণহত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পাকুয়াখালীতে গণহত্যা দিবসের স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লংগদু উপজেলা শাখার উদ্যোগে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মুনাজাত, শোক র ্যালী ও শোকসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য গণহত্যার ঘটনার মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যা দিন, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস।
১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস এর সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াদের ওপর নিমর্ম নিযার্তনের পর হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বীভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম জিংঘাসার স্বরূপ উন্মোচন করে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যার দিন। এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তিবাহিনী। তাদের ক্ষত-বিক্ষত, বিকৃত লাশের নিমর্ম দৃশ্য দেখে সেদিন শোকে ভারী হয়ে ওঠেছিল পরিবেশ। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বন্দুকের বেয়নেট ও অন্যান্য দেশী অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল সেদিন অসহায় ওই মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিবাহিনী।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লংগদু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খলিলুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহাসচিব আলমগীর কবির, রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, খাগড়াছড়ি জেলা সদস্য সচিব এসএম মাসুম রানা, লংগদু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, পিসিএনপি লংগদু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এবিএস মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, ৩৫ কাঠুরিয়া পরিবারের শহীদ আলালউদ্দিনের সন্তান রাকিব হোসেন, প্রত্যক্ষদোষী মো: হাকীম, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মো: হাবীব আজম, কলেজ আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এতে বক্তারা বলেন, মানবাধিকার এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ পাহাড়ে সকল বাঙালি গণহত্যাকান্ডের তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা কোনোদিনই সফল হবে না। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও সম্প্রীতি রক্ষায় সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারী ও দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার দায়ে সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসা সহ তাদের সংগঠনের সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
শোকসভার আগে সকালে লংগদু উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গন থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। শোক র্যালিটি প্রধান সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের কাঠুরিয়াদের গণ কবরের সামনে এসে কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাতে শরিক হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন গাঁথাছড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সুপার হাফেজ মাওলানা ফোরকান আহমেদ, পরে উপজেলা মাঠের একপাশে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।শোকসভা শেষে ৩৫ জন শহীদ পরিবার ও একজন জীবিত ফিরে আসা মোঃ ইউনুসকে সহ মোট ৩৬ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥ আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়ের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানি য়ে ছেন,জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা অডিটরিয়ামে কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের আরো জোড়ালো ভাবে কাজ করতে হবে। আর কাজ করার জন্য সবাই কে সাংগঠনিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।আর সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন আবারো আমরা এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ সরকারের সঞ্চালনায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমার সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন,রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পার্বত ্যজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রুচৌধুরী।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামুসুদৌহা চৌধুরী,কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুসাইন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমূখ।
বর্ধিত সভায় উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ও যুবলীগ,ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে সংরক্ষিত চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের চেয়ারের পাশেই এই সংরক্ষিত চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কক্ষে স্থাপিত সংরক্ষিত চেয়ারে বসে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন এর শুভ সূচনা করেন। এ সময়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরীসহ রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময়ে হাজী কামাল উদ্দিন বলেন, এটি আমাদের জন্য সম্মানের ও গর্বের। এরজন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদও জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙ্গামাটি ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসকের এমন কার্যক্রম জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনে বাজি রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এদেশ যদি স্বাধীন না করতেন তাহলে আমরা ডিসি হতে পরতাম না। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এই চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধারাই বসবেন।
॥ মিকেল চাকমা, রাঙ্গামাটি ॥ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে নতুন অস্থায়ী ছাত্রী হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন অস্থায়ী ছাত্রী হলের শুভ উদ্বোধন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রক্টর ও সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুয়েল সিকদার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুল গফুর, ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহনা বিশ্বাস, সহকারী প্রভোস্ট ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহা সুলতানা, ছাত্রী হলের সহকারী রেজিস্ট্রার টিংকেল খীসাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাবিপ্রবির প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তড়িৎ গতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.সেলিনা আখতার। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী হল তৈরি, হলের নামকরণ করা, বিভিন্ন স্থাপনা, খেলাধূলার মাঠসহ শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী উপকারভোগীদের গাছ রোপন ও পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোড চেয়ারম্যান (প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত)সুপ্রদীপ চাকমা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উক্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাবলেন, তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হোক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সেটাই চাই। তিনি ২০০৯ সালে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সেখানে কিভাবে কফি ও কাজুবাদাম চাষ শুরু হয়েছিলো সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে কফি ও কাজু বাদাম আমদানী করে। ভিয়েতনাম অন্যতম আমদানী কারক দেশ হিসেবে পরিচিত। বিদেশ থেকে কফি ও কাজুবাদাম আমদানী নির্ভরতা কমাতে তিন পার্বত্য জেলায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। পার্বত্য এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কফি ও কাজুবাদাম উৎপাদিত হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এর অভিপ্রায়ে তিন পার্বত্য জেলায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রাজশাহী জেলা যেমন আমের জন্য বিখ্যাত, সিলেট জেলা যেমন চায়ের জন্য বিখ্যাত তেমনি তিন পার্বত্য জেলাকে কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য বিখ্যাত অঞ্চল হিসেবে দেখা চাই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। কফি ও কাজুবাদাম চাষ প্রকল্প ছাড়াও বর্তমানে তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ প্রকল্প চলমান রয়েছে। অত্র এলাকার ভাগ্যোন্নয়নের আর কি কি প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে সে পরামর্শ প্রদানের জন্য সকলের নিকট প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), সদস্য পরিকল্পনা ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন উপকারভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সদর এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে মোট ৬০জন উপকারভোগী কৃষকগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি সরঞ্জামাদিসহ এককালিন আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণটি সঞ্চালনা করেন বোর্ডের বাজেট ও অডিট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান।
এসময় খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম,উপ-পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইনসহ উপকারভোগী কৃষকসহ বোর্ড ও বোর্ডের আওতায় কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে এবং সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এসময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলে আজ রাঙ্গামাটি জেলায় উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত আছে।প্রতিটি উপজেলাতে স্কুল কলেজ হাসপাতাল রাস্তাঘাট সব অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে।এসব উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহবান করেন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে কাউখালী উপজেলা অটোটরিয়ামে এ বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ ও যুব মহিলা লীগের কাউখালী উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামশুদৌহা চৌধুরী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কলপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমা, সহ-সভাপতি মোঃ বেলাল উদ্দীন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অভিমং চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক নাজীম উদ্দীনসহ আরো অনেকে।
সম্মলনে বক্তারা আরো বলেন,দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে হারাতে যতই ষড়যন্ত্র হোক সেটি সবাইকে এক হয়ে মোকাবেলা করতে হবে। যতদিন দীপংকর তালুকদার এমপি বেঁচে থাকবেন ততদিন তিনি রাঙ্গামাটি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে থাকবেন এবং প্রতিবারই আমরা তাঁর জয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীকে এ আসন উপহার দিবো। সবাইকে মনে রাখতে হবে
আওয়ামী লীগের মহিলা অঙ্গ সংগঠনগুলোকে যত সক্রিয় করা যাবে নির্বাচনে মহিলা ভোটারদের ভোট সংগ্রহে ততোটা সুবিধা হবে। এ জন্য আগামী নির্বাচনের আগে প্রতিটি সংগঠনের পাশাপাশ মহিলা অঙ্গ সংগঠনগুলো সক্রিয় করতে হবে।
সম্মেলনে যুব মহিলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংক্রমক জাতীয় ওষুধ খাইয়ে লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদাম ইউনিয়নের গাউছিয়া তৈয়্যাবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানায় ৯ম শ্রেণির ১ ছাত্রের দ্বারা শিক্ষককে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে অন্য এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালনা কমিটির উপর সীমাহীন দুর্নিতিসহ নি¤œমানের শিক্ষা প্রদানের অভিযোগ এনেছে এলাকাবাসী। বুধবার স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাসান্যাদামের খাগড়াছড়ি বাজার এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আশ্রাফ নবম শ্রেণির ছাত্র মো. মাসুম বিল্লাহ কে দিয়ে তার গণিত শিক্ষক ওবায়দুলকে ভাতের সাথে সংক্রমক ওষুধ খাওয়ালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে সে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসার জন্য লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সে সুস্থ অবস্থায় রিজার্ভমুখস্থ গাউছিয়া খানকায় অবস্থান করছেন। মাদ্রাসা ছাত্র মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত তারিখে আমাদের শিক্ষক আশ্রাফ স্যার আমাকে ওবায়দুল স্যার এর খাবারের সাথে মিট্রিল নামক ট্যাবলেট এর গুড়া মিশিয়ে দিতে বলেন। আমি তার কথা না মানলে মাদ্রাসা কমিটি এই কাজটি করতে বলেছে বলেন আশ্রাফ এমটাই ছাত্র প্রতিবেদক কে জানান। পরে আমি না বুঝে তার কথা মেনে ওবায়দুল স্যারের রাতের খাবারে ওই ওষুধ মিশিয়ে দেই।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানের গণিত শিক্ষক ওবায়দুলকে ভাতের সাথে মিশিয়ে মেট্রিল নামক ঔষধটি খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন অবস্থা বেগতিক হওয়ায় গত রোববার রাতে তাকে লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরদিন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
একজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন- মেট্রিল সাধারণত পাতলা পায়খানা উপশমের জন্য খাওয়া হয়। কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া কেউর ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই ঔষধ ব্যবহারের কথা না। মেট্রিল অতিরিক্ত সেবনের ফলে সাইডইফেক্ট হয়। সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধ কোন রোগীকে দেওয়া হয়না।
এবিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। এলাকায় এসে বিষয়টি জানতে পেরে কমিটির সদস্যরা বসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে এই ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্থানীয়রা জানায়- আশ্রাফ আলী একজন পল্লী চিকিৎসক সে বিগত প্রায় ১৮ বছর আগে এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন দুর্নিতির অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে মাদ্রাসা পরিচালনায় নতুন কমিটি করার পর। সে আবারো শিক্ষকতা শুরু করেন, কিন্তু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা আরো বলেন- পূর্বেও ভুলভাল চিকিৎসা ও মেয়াদউর্ত্ত্বীর্ণ ঔষধ বিক্রির কারণে জেল খেটেছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- বিষয়টি আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জেনেছি। জানার পর ওই ছাত্রের সাথে কথা বলে জানতে পারি আশ্রাফ আলী এই কাজটি করিয়েছে। তারপর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে বিষয়টি অবগত করি এবং থানায় একটি জিডি করতে বলি। এখনো কেন থানায় জিডি করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন- মাদ্রাসা কমিটি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে ইউপি সদস্য ও অভিভাবক জানান, আমার ৪সন্তানের মধ্যে ৩জন এই মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করে বর্তমানে ১জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১জন রাঙ্গামাটিতে, ১জন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করেছে এবং আরেকজন বর্তমানে এই মাদ্রাসায় পড়ছে। যদি এমন ঘটনা শিক্ষার্থিদের সাথে ঘটতো তাহলে হয়তো অনেক মায়ের বুক কালি হতো। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। অন্যান্য অভিভাবকরাও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
ভিকটিম ওবাইদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমি হাসপাতাল থেকে বর্তমানে রিজার্ভমুখ খানকায় অবস্থান করছি। তার সাথে কথা বলার জন্য প্রতিবেদক খানকায় পৌঁছানোর আগেই সে ঐখান থেকে কেটে পরে। পরে বার বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বিভিন্ন অযুহাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এলাকাবসী জানান অভিযুক্ত আশ্রাফ আলী ঘটনার পর থেকে রাঙামাটি অবস্থান করছে। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় এলাকাবাসী আঞ্জুমান ও জেলা গাউসিয়া কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সীমান্তর্বতী বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন “ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ” ৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র ্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র , গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংকালে র ্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য নিশ্চিত করেন । তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন “ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’র ” শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান , উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া বিভিন্ন জেলার ৫০ তরুণের তথ্য পায় র্যাব, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে র ্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৯টি বন্ধুক, ৫০ রাউন্ড গুলি , ৬২টি কার্তুজ কেইস, ১টিওয়াকটকি, হাত বোমা ৬টি, মানচিত্র ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
পার্বত্য এলাকায় সাধারণ জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত ও শান্তি শৃংঙ্খলা ভঙ্গে যারা জড়িত থাকবে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করবে সেই ধরণের সকল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র ্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লোডশেডিং যাতে কমিয়ে আনা যায় তার জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে রাঙ্গামাটি জেলাবাসীকে আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-গ্যাসসহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় অংকের ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় এ আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এছাড়াও সভায় জেলার আইনশৃঙ্খলা বজায়, সন্ত্রাস ও নাশকতা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, করোনা সংক্রমন রোধে মাক্স এর ব্যবহার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব বিষয়ের উপর সবাইকে বেশীবেশী সচেতন হতে বলা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজি মোঃ কামাল উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপাশ খীসা, মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা মোঃ সাইফুল ইসলাম, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তব্য রাখেন, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সুনীল কান্তি দে, নুরুল আবছার, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথসহ আরো অনেকে।
এসময় আইন-শৃঙ্খলা সভায় রাঙ্গামাটি জেলায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পর্যটনের সুন্দর্য বৃদ্ধি, করোনা সংক্রমন ঠেকাতে মাক্স ব্যবহারসহ সকল বিষয়ে উপর গুরুত্বরোপ করা হয়।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে উপজাতীয় ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত উপজাতীয় ছাত্রাবাস পরিচালনা কমিটির সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙ্গামাটি চাকমা চীফ সার্কেল ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মোঃ জসিম উদ্দীন প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রামের উপজাতীয় ছাত্রাবাসটি দ্রুত উন্নয়ন ও সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।