
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কৃষিক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল। পাহাড়ের সম্ভাবনাময় কৃষিকে কিভাবে আরো আধুনিকায়ন করা যায় সেদিকে নজর দিতে কৃষি বিভাগের সকলকে আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
বুধবার (২১ মে) সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় উচ্চ ফলনসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষকের করণীয় বিষয়ে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান জেলার কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলায় আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক, ইফাদের সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এই কর্মশালা আয়োজন করে।
রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিম হায়দারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচনা সভায় কৃষিবিদ গৌর গোবিন্দ দাশ, ওবায়দুল রহমান, আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম চাষ নিয়ে নানান নেতিবাচক বলা হয়। কিন্তু থাইল্যান্ড লাউস কম্বোডিয়াসহ কয়েকটি দেশে জুম চাষ হয়। এটিকে কিভাবে আরো আধুনিকায়ন করে চাষাবাদ করা যায় সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের কৃষিতে লাভজনক এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষি প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে কৃষকদের কৃষির সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কিভাবে বিষ ও রাসায়নিক ছাড়া উচ্চ ফলন ফলানো যায় সে সব বিষয়ে ধারণা নিতে হবে। এসব ধারণা না রাখলে আশানুরূপ ফলন পাবে না কৃষকরা।
কর্মশালা উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকারের মৌসুমী ফলের একাধিক স্টল প্রদর্শনী করা হয়।