॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংক্রমক জাতীয় ওষুধ খাইয়ে লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদাম ইউনিয়নের গাউছিয়া তৈয়্যাবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানায় ৯ম শ্রেণির ১ ছাত্রের দ্বারা শিক্ষককে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে অন্য এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালনা কমিটির উপর সীমাহীন দুর্নিতিসহ নি¤œমানের শিক্ষা প্রদানের অভিযোগ এনেছে এলাকাবাসী। বুধবার স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাসান্যাদামের খাগড়াছড়ি বাজার এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আশ্রাফ নবম শ্রেণির ছাত্র মো. মাসুম বিল্লাহ কে দিয়ে তার গণিত শিক্ষক ওবায়দুলকে ভাতের সাথে সংক্রমক ওষুধ খাওয়ালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে সে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসার জন্য লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সে সুস্থ অবস্থায় রিজার্ভমুখস্থ গাউছিয়া খানকায় অবস্থান করছেন। মাদ্রাসা ছাত্র মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত তারিখে আমাদের শিক্ষক আশ্রাফ স্যার আমাকে ওবায়দুল স্যার এর খাবারের সাথে মিট্রিল নামক ট্যাবলেট এর গুড়া মিশিয়ে দিতে বলেন। আমি তার কথা না মানলে মাদ্রাসা কমিটি এই কাজটি করতে বলেছে বলেন আশ্রাফ এমটাই ছাত্র প্রতিবেদক কে জানান। পরে আমি না বুঝে তার কথা মেনে ওবায়দুল স্যারের রাতের খাবারে ওই ওষুধ মিশিয়ে দেই।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানের গণিত শিক্ষক ওবায়দুলকে ভাতের সাথে মিশিয়ে মেট্রিল নামক ঔষধটি খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন অবস্থা বেগতিক হওয়ায় গত রোববার রাতে তাকে লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরদিন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
একজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন- মেট্রিল সাধারণত পাতলা পায়খানা উপশমের জন্য খাওয়া হয়। কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া কেউর ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই ঔষধ ব্যবহারের কথা না। মেট্রিল অতিরিক্ত সেবনের ফলে সাইডইফেক্ট হয়। সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধ কোন রোগীকে দেওয়া হয়না।
এবিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। এলাকায় এসে বিষয়টি জানতে পেরে কমিটির সদস্যরা বসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে এই ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্থানীয়রা জানায়- আশ্রাফ আলী একজন পল্লী চিকিৎসক সে বিগত প্রায় ১৮ বছর আগে এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন দুর্নিতির অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে মাদ্রাসা পরিচালনায় নতুন কমিটি করার পর। সে আবারো শিক্ষকতা শুরু করেন, কিন্তু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা আরো বলেন- পূর্বেও ভুলভাল চিকিৎসা ও মেয়াদউর্ত্ত্বীর্ণ ঔষধ বিক্রির কারণে জেল খেটেছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- বিষয়টি আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জেনেছি। জানার পর ওই ছাত্রের সাথে কথা বলে জানতে পারি আশ্রাফ আলী এই কাজটি করিয়েছে। তারপর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে বিষয়টি অবগত করি এবং থানায় একটি জিডি করতে বলি। এখনো কেন থানায় জিডি করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন- মাদ্রাসা কমিটি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে ইউপি সদস্য ও অভিভাবক জানান, আমার ৪সন্তানের মধ্যে ৩জন এই মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করে বর্তমানে ১জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১জন রাঙ্গামাটিতে, ১জন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করেছে এবং আরেকজন বর্তমানে এই মাদ্রাসায় পড়ছে। যদি এমন ঘটনা শিক্ষার্থিদের সাথে ঘটতো তাহলে হয়তো অনেক মায়ের বুক কালি হতো। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। অন্যান্য অভিভাবকরাও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
ভিকটিম ওবাইদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমি হাসপাতাল থেকে বর্তমানে রিজার্ভমুখ খানকায় অবস্থান করছি। তার সাথে কথা বলার জন্য প্রতিবেদক খানকায় পৌঁছানোর আগেই সে ঐখান থেকে কেটে পরে। পরে বার বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বিভিন্ন অযুহাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এলাকাবসী জানান অভিযুক্ত আশ্রাফ আলী ঘটনার পর থেকে রাঙামাটি অবস্থান করছে। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় এলাকাবাসী আঞ্জুমান ও জেলা গাউসিয়া কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সীমান্তর্বতী বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন “ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ” ৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র ্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র , গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংকালে র ্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য নিশ্চিত করেন । তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন “ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’র ” শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান , উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া বিভিন্ন জেলার ৫০ তরুণের তথ্য পায় র্যাব, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে র ্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৯টি বন্ধুক, ৫০ রাউন্ড গুলি , ৬২টি কার্তুজ কেইস, ১টিওয়াকটকি, হাত বোমা ৬টি, মানচিত্র ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
পার্বত্য এলাকায় সাধারণ জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত ও শান্তি শৃংঙ্খলা ভঙ্গে যারা জড়িত থাকবে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করবে সেই ধরণের সকল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র ্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
॥রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আজহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ জুলাই) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বান্দরবান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। এসময় শহরের হাজার হাজার মুসল্লি একইসাথে মিলিত হয়ে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন। এসময় জামাত পরিচালনা করেন বান্দরবান বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহেসানুল হক আল মঈনী। পরে বান্দরবান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮ টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় এসময় জামাত পরিচালনা করেন বান্দরবান বনরুপাপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আওয়াল। এছাড়া ও বিভিন্ন সময়ে বান্দরবানের বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্টিত হয়।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনাও আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আশায় মোনাজাতে অংশ নেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নেন বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।
॥ লামা প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫ যুবক মালেশিয়া যেতে গিয়ে দালালেল খপ্পরে পদে সর্বস্ব হরিয়েছে। প্রতারণার শিকার যুবকের পরিবারের লোকজন বলেন, রবিবার (৩ জুলাই) মালেশিয়া যাওয়ার জন্য দালালের মাধ্যমে ঢাকা যায় লামা পৌরসভার ৫ যুবক। সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় তাদের ফ্লাইট হবে বলে এয়ারপোর্ট নেয়া হয়।
প্রতারণার শিকার হলো, বান্দরবান জেলা লামা পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড হরিণঝিরি গ্রামের বাসিন্দা সাহ্লাচিং মার্মার ছেলে উচুমং মার্মা, সানি অং মার্মার ছেলে উমানু মার্মা, ধুংচিং মার্মার ছেলে অংসি মার্মা, উমং মার্মার ছেলে মংমেগ্য মার্মা ও নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ মামুন।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকা উত্তরা-দক্ষিণখান থানা এলাকায় নিউ এয়ারপোর্ট রোড়স্থ হোটেল জাকের আবাসিক এর ১০৫নং রুমে ৫ জন মিলে দালালকে ৭ লাখ টাকা দেয়। এর আগের দিন ৩ জুলাই তারা দালালের সাথে ঢাকা যায়।
দালালের নাম মোঃ শহীদুল্লাহ, পিতা- মোঃ শাহদাৎ হোসেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ১৪৯৬০০৭৩৫০। দালালের বাড়ি, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউপির ঘুনিয়া গ্রামে। একেকজন যুবক থেকে এক লাখ নব্বই হাজার টাকার বিনিময়ে মালেশিয়া নেয়ার জন্য চুক্তি হয় দালালের সাথে। দালাল মোঃ শহীদুল্লাহ তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
॥ রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি ॥ রোয়াংছড়ি থেকে বান্দরবান যাওয়ার প্রধান সড়কে ১২টি বেইলি সেতুর মধ্যে ৪টি সেতু ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে সেতু নয়, যেন মৃত্যু কূপে পরিণত হয়েছে। রোয়াংছড়ি থেকে জেলা শহর বান্দরবানের যাওয়া-আসার একটি মাত্র সড়ক। এ সড়কে প্রতিনিয়ত ভারী ও মাঝারি যানবাহন, ছোট বড় মটরযান চলাচলের ব্যস্ততম সড়ক হয়ে উঠেছে। এই সড়কে ছোট ও বড় মিলে প্রায় ১২টি সেতুর রয়েছে। তার মধ্যে ৪টি বেইলি সেতুটি উপর দিয়ে যানচলা করতে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪টি সেতু হচ্ছে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে তারাছা খালের উপর পুরানো বেইলি সেতু, ১১ কিলোমিটার পূর্ণবাসন পাড়া এলাকার বেইলি সেতু, ক্রাইক্ষ্যং পাড়া ও বিজিপি সেক্টর সদর দপ্তর এলাকার কালবার্ট সেতু এবং ৪কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতুসহ এ ৪টি সেতুটিতে নিচে বেইজের অংশে মাটি ধেবে ও মাটি সরে যাওয়ায় যে কোন সময়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে এলাকার সংশ্লিষ্টরা।
এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে সেতুটিতে বেইজের নিচে অংশে পিলাররে নিচে মাটি ধেবে পাহাড়ি ঢলে মাটিগুলো সরে গিয়ে পুরানো গাইড ওয়ালগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। সেতু নিচে মাটি সুরক্ষার্থে নির্মিত অধিকাংশই গাইড ওয়ালে ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় ভারী ও মাঝারি যান চলাচলে ঝুঁকি ও মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. আলঙ্গীর বলেন আমরা প্রতিনিয়ত ট্রাক্ট ও মিনি ট্রাক্ট ভরে মৌসুম অনুযায়ী কাঁচামাল নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু বর্তমানে বান্দরবান ও রোয়াংছড়ি সড়কে অধিকাংশই বেইলি সেতু নিচে মাটি সরে ভেঙ্গে যাওয়ায় দৈনন্দিন যানচলে ঝুঁকি হয়ে উঠেছে। কখন দুর্ঘটনা কবলে পড়বে ঠিক বলা যায় না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে নতুন সেতু নির্মাণ করতে পারলে দুর্ঘটনা থেকে রেহায় পাব। মালামাল বহনকারি ড্রাইভার মো. আমির বলেন ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়া অবস্থা দেখেও না দেখে ভান করেন মনের আতঙ্কে গাড়ি চালাচ্ছি। এসড়কে প্রায় ব্রীজ ভাঙ্গ রয়েছে কিন্তু করার কিছুই নাই। পেতে দায়ে এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চাইসিং মারমা বলেন আমার ওয়ার্ড এলাকার কয়েকটি বেইলি সেতু পুরানো হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চড়ে আসা যাওয়া করতে ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যান চলাচল ও জনগণের সুবিধা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী অংশৈপ্রু মারমা বলেন, বান্দরবান ও রোয়াংছড়ি সড়কে ১১টি সেতুতে মধ্যে ৫টি সেতু অত্যন্ত ঝুঁটিতে থাকায় হানসামা পাড়া এলাকায় নোয়াপতং খালের উপর সেতুটি বেইলি সেতুটি পরিবর্তে নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণে কাজ চলমান রয়েছে। ইতি মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ থাকার সেতুটিকে পরিদর্শন করে রোয়াংছড়ি সদর জিরো পয়েন্টে বড় বেইলি সেতু, ১১ কিলোমিটার পূর্ণবাসন পাড়া এলাকার বেইলি সেতু ও ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতুসহ ৩টি সেতু ব্যাপক ঝুঁকি থাকায় নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর মাসে দিকে নতুন সেতু নির্মাণে কার্যক্রম শুরু হতে পারেন বলে জানান।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ ‘বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ডিজিটাইজেশন’ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সোমবার (৪ জুলাই) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কমিউনিটি সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে ৪০টি ভাষার স্পিচের আইপিএ উচ্চারণসহ একটি ডিজিটাল রিসোর্স রিপোজিটরি তৈরি করে সেখানে বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষাসমূহ সংরক্ষণ করা হবে এবং সেই সাথে প্রতিটি ভাষার জন্য ত্রৈভাষিক শব্দকোষ ও লিখিত রূপ থাকা ভাষা সমূহের জন্য ইউনিভার্সাল কিবোর্ড তৈরি করা হবে জানানো হয়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর “গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ” প্রকল্প (ইবিএলআইসিটি) এবং বাস্তবায়ন সহযোগী ড্রিম ৭১ বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপি এই সভায় মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা (উসুই), বম, খিয়াং, খুমি, লুসাই, রাখাইন, চাক ভাষার প্রতিনিধিবৃন্দ, ভাষা-সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ভাষা বিশেষজ্ঞ, ভাষা প্রশিক্ষক, শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবিএলআইসিটির প্রকল্প পরিচালক মাহবুব করিম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সত্যহা পানজি ত্রিপুরা, সদস্য সিয়ং খুমি, ইবিএলআইসিটির প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ খন্দকার রাজেকুল ইসলাম, মারমা ভাষা বিশেষজ্ঞ ও ভাষা শিক্ষক ক্য শৈ প্রু খোকা, ম্রো ভাষার ব্যাকরণ প্রণেতা ইয়ঙান ম্রো, উন্নয়নকর্মী লেলুং খুমি, বম জাতির প্রতিনিধি জুয়াম লিয়ান আমলাই বম, বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল ইন্সটিটিউটের পরিচালক মং নু চিং এবং বম ভাষা গবেষক ড. সনথুয়ান লঞ্চেও বম।
কারিগরি অধিবেশন ও উন্মুক্ত আলোচনা এই দুই ভাগে বিভক্ত এই সভার স্বাগত বক্তব্য দেন ড্রিম ৭১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাজমুল গণি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও প্রকল্পের ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন ইবিএলআইসিটির প্রযুক্তি পরামর্শক হেলাল উদ্দীন হেজাযী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নৃগোষ্ঠী ভাষা বিশেষজ্ঞ মৃদুল কান্তি সাংমা, ডাটা কালেকশন স্পেশালিষ্ট রিবেং দেওয়ান, প্রোগ্রাম অফিসার মেসবাহুল ইবনে মুনীর, প্রকল্প গবেষক চারু হক।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইবিএলআইসিটির প্রকল্প পরিচালক মাহবুব করিম বলেন, বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ডিজিটাইজেশন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রতিটি ভাষা এবং সংশিলিষ্ট ভাষার ব্যবহারকারীদের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষিত হবে। এসময় তিনি কিভাবে এর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব সে ব্যাপারে আলোচনা করেন এবং প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নে তিনি সংশিলিষ্ট ভাষাগুলোর মধ্যেকার লিপিগত ও উপভাষাগত দ্বন্ধ নিরসনে ভাষা-জাতিগত ভাবে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান।
রিসোর্স পারসনদের বক্তব্য ও উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণকারী ভাষা প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় বান্দরবানের নৃগোষ্ঠী ভাষাসমূহের বর্তমান পরিস্থিতি, বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের ভাষা বিষয়ক উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ এবং ভাষা সংক্রান্ত এই উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতির লক্ষ্যে কি কি করা দরকার এবিষয়ে নানাবিধ সুপারিশ উঠে আসে। পাশাপাশি, যেসমস্ত ভাষা-সম্প্রদায় নিজস্ব ভাবে নিজ নিজ ভাষার উন্নয়নে কাজ করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি এই উদ্যোগের সাথে সম্পর্কিত করা যায় তার কৌশল নির্ধারণ এবং একাধিক উপভাষা থাকা ভাষাগুলোর নমুনা সংগ্রহ ও তাদের কিবোর্ড তৈরির ক্ষেত্রে যথাযথ বিবেচনা বজায় রাখার আহবান জানানো হয় সভায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষাসমূহের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষে যেন প্রকল্পভিত্তিক উদ্যোগের বদলে স্থায়ী ও টেকসই উদ্যোগ নেয়া হয় এ ব্যাপারে দাবি তুলে ধরা হয়।
ইবিএলআইসিটি প্রকল্পের এই কম্পোনেন্টটি সফল ভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের নৃগোষ্ঠীর ভাষা গুলোর ডিজিটাল আর্কাইভিং এর পাশাপাশি নৃতাত্ত্বিক ভাষাভাষী মানুষেরা কিবোর্ডে নিজ নিজ মাতৃভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল জগতে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারবেন এবং সংগৃহীত ভাষা-নমুনা ভবিষ্যতে ভাষার পুনরুজ্জীবন ও নানাবিধ গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ডিজিটাইজেশন কম্পোনেন্টটির বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে সফট ওয়্যার প্রতিষ্ঠান ড্রিম ৭১ বাংলাদেশ লিমিটেড।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবান প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে আমিনুল ইসলাম বাচ্চু আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মিনারুল হক। নতুন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মুছা ফারুকী, সহ-সভাপতি পদে নাছিরুল আলম আর যুগ্ন সম্পাদক পদে সাদেক হোসেন চৌধুরী।
এদিকে সোমবার (৩০ মে) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার পরান্টু চাকমা নব নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করেন।
এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিথেন চাকমা, নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, সদস্য ফরিদুল আলম সুমন, আবুল বশর সিদ্দিকী, কৌশিক দাশ, সৌকত দাশ, মংটিং মার্মা, উজ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, এন এ জাকির, মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাহুল বড়ুয়া ছোটন সহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বৌদ্ধ শ্মশান, অনাথ আশ্রম ও বিভিন্ন বিহারাধ্যক্ষদের চিকিৎসার জন্য অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) সকালে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির বান্দরবান কার্যালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে এই অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বান্দরবান জেলার ট্রাস্টি হ্লা থোয়াই হ্রী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মার্মা, কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মার্মাসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ এবং সরকারী বেসরকারী উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণেই আজ সকল ধর্মের জনসাধারণ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সকল ধর্মের উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে আর তার ফলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতিতে বসবাস করছে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়ন, বৌদ্ধ শ্মশান এর সংস্কার কাজ, অনাথ আশ্রম ও বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুদের চিকিৎসার জন্য সর্বমোট ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিদেক :: রাঙামাটি: পার্বত্য তিন জেলার পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে শিগগিরই এপিবিএন মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সেনবাহিনী শান্তির জন্য কাজ করছে।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং যাদের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির একটি শর্ত ছিল সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে এ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে।
আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় থাকা পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে ধীরে ধীরে, এক সঙ্গে নয়, পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য একটাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তিশৃঙ্খলার সুবাতাস বইতে শুরু করে, যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমরা জলদস্যু মুক্ত করেছি, চরমপন্থি মুক্ত করেছি। সবার প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করব। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি- তিন জেলায় (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি) তিনটি এপিবিএন ব্যাটালিয়ন আসবে। এ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত সব ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়বে। এর হেডকোয়ার্টার থাকবে রাঙামাটিতে। কথা হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোথায় কোন অসুবিধা। এ অসুবিধার আলোকে অনেক কথা আসছে। আমরা সবগুলো নোট করে নিয়েছি। সন্তু লারমা শান্তিচুক্তির কথা বলেছেন, শান্তিচুক্তির ভূমি কমিশনের কথা বলেছেন। সবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে।
বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে রাতে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমি এখানে এসে হেডম্যান, কার্বারি, জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী এবং তিন পার্বত্য জেলার রাজাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের একটা অনুরোধ, এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তারা নানা ধরনের সাজেশন দিয়েছেন। তারা ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা বলেছেন, চাঁদাবাজির কথা বলেছেন, সন্ত্রাসের কথা বলেছেন। দল-উপদলের মারামারির কথা বলেছেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদূর ঊশৈসিং, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর এমপি বাসন্তী চাকমা, সিনিয়র সচিব নিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি, মহাপরিচালক এনএসআই, বিভাগীর কমিশনার চট্টগ্রামসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এ বিশেষ সভায় যোগ দেন।
॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ মায়ানমার থে কে চোরাকারবারীরা বান্দরবা নের আলীকদম দি য়ে ট্রা কে ক রে পাঁচারকা লে ৪০ টি গরু আটক ক রে ছে আলীকদ ম ব ্যাটা লিয় নের ৫৭ বি জি বি। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত ২টায় আলীকদম সীমান্তের পোয়ামুহুড়ি-আলীকদম সড়ক থে কে এসব গরু আটক করা হয়।
বি জিবি জানায়, মায়ানমার হতে আলীকদ মের সীমান্ত প থে ট্রাক দি য়ে অবৈধভাবে গরু আনা হচ্ছে। গোপন সংবা দে বিষয়টি জান তে পে রে আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত এগারোটায় দ্রুত আলীকদমের দক্ষিনে সাত কি:মি: দূরে একটি চেকপোষ্ট স্থাপন করেন। গরু চোরাকারবারিরা বিষয়টি জানতে পে রে ট্রাক থে কে গরু না মি য়ে বিকল্প রাস্তায় গভীর জঙ্গল দি য়ে গরু গুলো নি য়ে যে তে চাই লে অধিনায়কের নেতৃত্বে বিজিবির টহল দল জঙ্গলের ভেতর থে কে রাত ২টার সময় ৪০ টি গরু আটক ক রে।
আলীকদম ব ্যাটা লিয় ন (৫৭ বি জি বি) এর অ ধিনায়ক লে: ক র্ণেল ইফ তেখার হো সেন জানান, আটককৃত ৪০টি গরু বুধবার (২৪ মে) বান্দরবান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চল ছে। সীমান্ত প থে অবৈধভা বে দ্রব্যসামগ্রী পাঁচার হওয়ার ব্যাপারে বান্দরবানের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক এবং ভবিষ্যতে বিজিবির এ ধরণের অপারেশন অব্যাহত থাকবে ব লেও জানান তি নি।