
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পবিত্র ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে কাপ্তাই হ্রদ ও সবুজ পাহাড়ের শহর রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) ঈদের তৃতীয় দিনে পর্যটকরা জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন স্পটে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে।
জেলার পর্যটন স্পট ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক, আসামবস্তী-কাপ্তাই সংযোগ সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন কেউ বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দলে দলে মনের আনন্দচিত্তে ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে সোমবার সকাল থেকেই জেলার সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু এলাকায় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। অনেক পর্যটক এখানকার অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ মুঠোফোনে সেলফি, ছবি এবং স্থির চিত্র ধরে রাখতে দেখা গেছে। আবার কেউ বা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন। আবার অনেক পর্যটক পর্যটন ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া করে স্বচ্ছ জলরাশি কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য অবলোকন করতে বেড়াতে বের হয়ে গেছেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, পাহাড় ও নদী ঘেরা রাঙ্গামাটি সব সময় আমাদের কাছে টানে। কাশ্মিরের পর আমার কাছে রাঙ্গামাটি বেশি পছন্দীয় স্থান। তাই ছুটি পেলে পরিবার নিয়ে আগে ছুটে আসি এখানে। এরপর অন্যান্য জায়গা ঘুরে বেড়াবো।
তিনি আরও বলেন, আজ মাত্র আসলাম। এখানে আরও দু’দিন থাকবো। এই দু’দিনে পুরো রাঙ্গামাটি ঘুরবো। সাথে, মা, স্বামী, সন্তান রয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা কয়েজন পর্যটক বলেন, আমার জেলার পাশে রাঙ্গামাটি জেলা। বিদেশের চাইতেও সৌন্দর এমন জায়গা ভ্রমণ না করে কোথাও যাবো। ব্যবসায়ীক কাজে আসি আর বেড়াতে আসি সবসময় রাঙ্গামাটি আমার কাছে ভ্রমণের অন্যতম প্রিয় স্থান।
পর্যটন ঘাটের ম্যানেজার ফখরুল আলম বলেন, গত দুদিনে এখানে ভাল পর্যটকের সাড়া পাচ্ছি। পর্যটকরা সুবলং ঝরণা, পাহাড়ি গ্রাম এবং কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য দেখার জন্য বোট নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছেন। আর যারা কাপ্তাই হ্রদ ঘুরতে যাচ্ছেন তাদেরকে লাইভ জ্যাকেট পড়তে বলা হচ্ছে। আশা করছি পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটিতে ভাল পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।