॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” উদ্বোধন করেন রাবিপ্রবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য র ্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনে এসে শেষ হয়। র ্যালী শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর “রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল উদ্বোধন করেন রাবিপ্রবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।
টেকনোলজিকাল ফেস্টিভলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অঞ্জন কুমার চাকমা, রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” এর আহবায়ক ও রাবিপ্রবি সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিম মাহমুদ, রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” আয়োজক কমিটির বিভিন্ন ইভেন্টের শিক্ষক ও সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত টেকনোলজিকাল ফেস্টিভলে- প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, ইনোভেশন আইডিয়া কম্পেটিশন, আইটি বিজনেজ কেইস স্টাডি কন্টেস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন কন্টেস্ট, গেমিং কম্পেটিশন, প্রজেক্ট শো-কেসিং এবং আইডিয়া কন্টেস্টঃ ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন এন্ড মিটিগেশন- এই ৭টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঢাকা অফিস :: রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা তৈরি করে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম অনুকূলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অবদান’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলক একটু বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেলিটকের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা তৈরি করে সেটিও গ্রাহকের স্বার্থের অনুকূলে আনার চেষ্টা আমরা করছি। ইতোমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেটের আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু হয়েছে। টেলিটক এটি প্রথম শুরু করে এবং অন্য অপারেটররাও সেটা কার্যকর করেছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য। দেশব্যাপী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি দক্ষ মানব সম্পদ এবং ডিজিটাল সংযোগ সহজলভ্য করতে সরকার কাজ করছে।
ইন্টারনেটের মূল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। ৬০ টাকায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়। অথচ ২০০৬ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা, ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা এবং বর্তমানে একদেশ এক রেটের আওতায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায় মাত্র ৬০ টাকায়।
মন্ত্রী ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, পৃথিবীর কোনো কোনো দেশ ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কেবলমাত্র শহরের মানুষের জন্য নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। দেশের ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতায় আসছে।
তিনি দেশে ইন্টারনেট প্রসারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যা্ন্ড নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় ৪জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম করা হয়েছে এবং ৫জি চালু করা হয়েছে।
মোবাইলের কলড্রপ কমিয়ে আনতে অপারেটরগুলোকে সম্প্রতি অতিরিক্ত বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবে।
তিনি একই সঙ্গে দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কানেক্টিভিটির প্রসারের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, এখন মধুপরের পাহাড় বা হাওরে বসে ইন্টারনেটের সহায়তায় তরুণ-তরুণীরা বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১০০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৪৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির প্রসার ও প্রয়োগে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের ট্রেডবডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইস বিশেষ করে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে গত চার বছরে সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে স্যামসাংসহ ১৪টি ব্র্যান্ডের মোবাইল কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ এই সব কারখানার উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি মোবাইল কারখানার পাশাপাশি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের বাংলাদেশ বিষয়ক সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমদ, অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের গ্লোবাল পলিসি বিষয়ক কর্মকর্তা এলিনোর এবং এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী আনজু মাংগল বক্তব্য দেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের গণমাধ্যম কর্মীরা পার্বত্যাঞ্চলে সুবাতাস ছড়াবে’।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে এমপির বাস ভবনে নবনিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ এমপি দীপংকর তালুকদারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতকালে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমান সরকারের সময়ে সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে উল্লেখ করে দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা আনয়নে ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণের মাঝে তুলে ধরতে সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ পালন করছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সরকারের সাফল্য ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রবীন সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের সদস্য একেএম মকছুদ আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের সদস্য সৈয়দ মাহবুব আহমেদ, সহ-সভাপতি অলি আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদিক সুপ্রিয় চাকমা, কোষাধ্যক্ষ পুলক চক্রবর্তীসহ ক্লাবের নব নিযুক্ত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ মহাকাশে ইতিমধ্যে ডানা মিলেছে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। আসছে সাফল্য। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ এখন ব্যবহার করছে স্যাটেলাইটটি। আশা করা যাচ্ছে আগামী ৯ বছরের মধ্যেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করবে স্যাটেলাইটটি।
তবে এখানেই থেমে নেই বাংলাদেশের মহাকাশ যাত্রা। শুরু হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রক্রিয়া। আগামী ৬ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ২য় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং বাজেট নির্ণয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
শুধু বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইটটিই নয়, ২০২৯ সালের মধ্যে আরো ২টি স্যাটেলাইট প্রেরণের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ধারাবাহিক ভাবে ২০২৩ সালে ২য়, ২০২৭ সালে ৩য় এবং ২০২৯ সালে পাঠানো হবে ৪র্থ স্যাটেলাইটটি।
এদিকে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইটের ডিজাইন এবং উৎক্ষেপণসহ কারিগরি সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জেইন মেরিন সূক্ষ্ম। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকার প্রধান এর সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এই প্রস্তাবনা দেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের ২য় স্যাটেলাইট তৈরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং উৎক্ষেপণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে রাশিয়া ভিত্তিক স্পেস রিসার্চ সংস্থা গ্লাভকস্মস কোম্পানি। এই লক্ষ্যে ২০১৯ সালের অক্টোবরে গ্লাভকস্মস কোম্পানির ডেপুটি ডিরেক্টর ভিতালি সেভেনভ ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার দল বাংলাদেশে আসে এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সাথে বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন।
এ সময় বাংলাদেশ এ নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ এর ২য় স্যাটেলাইট প্রেরণের ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, রাশিয়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে তাদের একটি স্লট ভাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় রাশিয়া আরও স্লট দিতে প্রস্তুত সেই সাথে বাংলাদেশকে চাহিদা অনুসারে যেকোনো ধরনের স্যাটেলাইট প্রেরণ করতে সক্ষম রাশিয়া। এ সময় রাশিয়ার স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ স্যাটেলাইট তৈরিতে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সহায়তা প্রদান, জনবল প্রশিক্ষণ, স্যাটেলাইট এর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করন এবং স্যাটেলাইট তৈরি এবং উৎক্ষেপণ খরচ নিরূপণে পরামর্শক হিসাবেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সংসদের এক প্রশ্ন উত্তর পর্বে বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসাবে ২০২৩ সাল নাগাদ ২য় স্যাটেলাইট প্রেরণে বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে থেকে ২য় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ব্যাপারে প্রস্তাব পেয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটটি সরাসরি বাংলাদেশের উপর অবস্থান না করে কৌণিক ভাবে অবস্থান করছে তাই আমরা চাই আমাদের পরবর্তী স্যাটেলাইটটি জেনো অবশ্যই আমাদের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী কাছাকাছি থাকে। বাংলাদেশ চায় তার ২য় স্যাটেলাইট যেন অবশ্যই নিজস্ব কক্ষপথে থাকে যার মালিকানা বাংলাদেশ এর হাতে থাকবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ এর প্রথম স্যাটেলাইট ফ্রান্সের থালাস এলেনিয়া স্পেস নির্মাণ করলেও ফ্রান্স চায় বাংলাদেশ ২য় স্যাটেলাইট ফ্রান্স ভিত্তিক বৃহৎ স্যাটেলাইট উন্নয়ন এবং উৎক্ষেপণ সংস্থা এরিয়ানস্পেস নির্মাণ করুক। এরিয়ানস্পেস ইউরোপের অন্যতম বড় স্যাটেলাইট নির্মাণ সংস্থা যারা স্যাটেলাইট নির্মাণ এর পাশাপাশি উৎক্ষেপণ করে থাকে। তারা মূলত গবফরঁস ঞড় ঐবধাু স্যাটেলাইট নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের জন্য পরিচিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: পাহাড়ের সংবাদপত্রের জনক, সাংবাদিকতার বরপুত্র চারন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ ডায়াবেটিস ও জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালের সিসিইউ থেকে ৭ম তলার ৭১৩ নং – ব্যডে চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং দুপুরে হাসান ফেরদৌস,সাবেক সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিউজে) ও সিনিয়র সাংবাদিক একুশে টিভি। তার পরপরই আসেন,ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক জনাব মহসিন গাজী, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জনাব শাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পের্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গিরিদর্পণের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এম কে মোমিন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এস এম সামশুল আলম, এশিয়া টিভির রাঙ্গামাটি ব্যুরো প্রধান আলমগীর মানিক, বাবলা দাশ ফটো সাংবাতিক রাংগামাটি প্রমুখ।
চারন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে দেখতে যান। উল্লেখ্য যে গত কয়েক দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। গত শুক্রবার রাত থেকে তিনি বমি শুরু করলে গত শনিবার তাকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তার ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। রাঙ্গামাটি হাসপাতালে আরএম ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে চট্টগ্রামে রেফার করে। তিনি হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রেদোয়ান, কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ রতন সাহা, ডায়াবেটিস ডাক্তার মাসুদ করিম এর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা আরো যাতে ভালো হয় তার জন্য রাঙ্গামাটিসহ দেশের সকল জন সাধারণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
নিবন্ধনের জন্য প্রথম দফায় ৯২টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৫৭টি; ময়মনসিংহের দুটি; চট্টগ্রামের ১০টি; রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশালের চারটি করে এবং সিলেট থেকে প্রকাশিত সাতটি পত্রিকার অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধনের অনুমতি দিয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ৪৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকার ওয়েবসাইটকে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। পরে সেই আদেশ সংশোধন করে সেখান থেকে পত্রিকার ওয়েবসাইটগুলো বাদ দিয়ে ৩৪টি অনলাইন পত্রিকাকে নিবন্ধনের অনুমতি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ৯২টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হল।
নিবন্ধনের অনুমতি পাওয়া পোর্টালগুলোকে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে ২০ কার্যদিবস অর্থাৎ আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
অনলাইন গণমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের শেষ দিকে থেকে আবেদন নেওয়া শুরু করে সরকার। বেশ কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০১৬ সালেও সেই আবেদন নেওয়া হয়।
তখন সরকার বলেছিল, ‘অপসাংবাদিকতা’ রোধে সব অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।
এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধন করে স্বতন্ত্র অনলাইন নিউজ পোর্টালের পাশাপাশি টেলিভিশন, বেতার ও ছাপা পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ এবং আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও চালানোর ক্ষেত্রেও নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়।
মূলধারার সংবাদপত্রগুলোর অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে সংবাদপত্রের সরকারি বকেয়া বিল পরিশোধে আবারও তাগাদাপত্র দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদ নঈম নিজাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত বৈঠক হয়। আজ সে রকম একটি বৈঠক ছিল। আমরা সবসময় সংবাদপত্রের বিশেষ করে মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আজ সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে সহসা রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। আমরাও মনে করি যেসমস্ত পত্র-পত্রিকাগুলো বের হয় বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির পত্র-পত্রিকার অনলাইন ভার্সন রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি তদন্তের কিছু নেই। কারণ, এগুলো তদন্ত করেই পত্র-পত্রিকাগুলো বের হয়। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করব। মূলত আজকে এটিই আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকার বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে, একেকটি পত্রিকার অনেক বিল। কোনো পত্রিকার ১০ কোটি, ১৫ কোটি, ২০ কোটি টাকা— একটি পত্রিকার ক্ষেত্রে এরকম। এরকম করে কয়েকশ’ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে আটকে আছে। সে বিলগুলো যাতে বিভিন্ন দপ্তরগুলো ছাড় করে। আমরা আলোচনা করেছি তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তর-মন্ত্রণালয়ে একটি তাগাদাপত্র দেব। কারণ, ইতোপূর্বে কেবিনেট ডিভিশন থেকে সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পত্র-পত্রিকার বিল ছাড় করার জন্য তাগাদাপত্র দেওয়া হয়ছিল। সেটির আলোকে আমরাও একটি তাগাদাপত্র দিয়েছিলাম। সেটা দেওয়ার পরে কিছু বিল ছাড়ও হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যে পরিমাণ বিল বকেয়া আছে আর যে পরিমাণ ছাড় হয়েছে সেটি খুবই নগণ্য। সেজন্য আমরা আরও একটি তাগাদাপত্র দেব। আজকে সবার সঙ্গে আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বকেয়া বিলগুলো কতোদিনের মধ্যে ছাড় হবে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলতে পারে। তবে আমি মনে করি এ বিলগুলো সহসাই দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এগুলো দিতে হবে। যেহেতু দিতে হবে, এখন করোনাকালে পত্র-পত্রিকা নানা সংকটে আছে। সুতরাং এখন দিলে সেটি কাজে বেশি লাগবে। সুতরাং দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, মূলত অনলাইন মিডিয়াটা নিয়ে সংকটটুকু ছিল। সে সমস্যাটা কীভাবে সমাধান করবে, নতুন আইনের পর সেটা কত দ্রুত করা যায় সে বিষয় নিয়ে আমাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করার পর মন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন— খুব দ্রুত এ সংকট নিরসন হবে। মূলধারার পত্র-পত্রিকাগুলোর অনলাইন দ্রুত নিবন্ধন দিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, আমরা প্রথমত একটা আইনের মধ্য দিয়ে অনুমোদন নিয়ে থাকি সংবাদপত্রের। সেখানে নতুন করে আবার তদন্ত সম্পন্ন হলো। আবার দীর্ঘ সময় যাতে অতিক্রম করতে না হয় সে কারণে আমাদের প্রস্তাবনা ছিল দ্রুততম সময়ে করার জন্য। মন্ত্রী সেটা আশ্বস্ত করেছেন। দ্রুততম সময়ে আমাদের অনলাইনের অনুমোদন দিয়ে দেবেন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত হলো, সংবাদপত্র বা মিডিয়া সারা পৃথিবীতে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। বাংলাদেশের সংবাদপত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি মিডিয়া একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সেই জায়গাগুলো আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (তথ্যমন্ত্রী) পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। সেই জায়গা থেকে তিনি বললেন, যেখানে যে সংকট থাকে সেটা সমাধানে তিনি সচেষ্ট থাকবেন এবং আমাদের সহায়তা করবেন। আগামীতে মিডিয়ার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতার আঙ্গিকে বাংলাদেশকেও একই রকমভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকা বিলগুলো দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা নেবেন।
বৈঠকের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় মেইন স্ট্রিমের সমস্ত মিডিয়া অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। করোনাকালে সব ধরনের মিডিয়ারই নানা সংকট ছিল। তবে সংবাদপত্রের সংকট অনেকের চেয়ে বেশি ছিল। সংকট থাকা সত্ত্বেও সংবাদপত্রগুলো প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি সারাদেশে বিলিও হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেখেছি যখনই দেশে কোনো সংকট দেখা দেয় তখন গুজব রটানোর চেষ্টা করা হয়। মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধেও মেইন স্ট্রিমের গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বড় কথা হচ্ছে, করোনাকালে গণমাধ্যম-সংবাদপত্র এবং সরকার একযোগে কাজ করেছে। এর ফলে এ সময় গুজব রটানোর চেষ্টা করা হলেও সেটি হালে পানি পায়নি।
ঢাকা: আজকের বাংলাদেশে একটি ছোট শিশুও ইন্টারনেট দাবি করছে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। এ বছরের মধ্যেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৭ আগস্ট) ঢাকায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিটিসিএল আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ডিজিটালাইজেশনের আদর্শের পথ ধরে গত ১১ বছরে সূচিত ডিজিটাল বিপ্লবকে বিস্ময়কর উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র আট লাখ। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ডিজিটালাইজেশনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। দেশে আজ ১৭০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু গবেষক কাজী সাজ্জাত আলী জহির বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহাজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে কেবলমাত্র স্বাধীনতাই দেননি, তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও আইটিইউ, ইউপিইউ এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনে বীজ বপন করে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সেই বীজ আজ বিশাল মহিরুহে রূপ নিচ্ছে। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা কর্মসূচির রূপরেখা। এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও ২০২০ সালের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। করোনাকালেও গ্রামের মানুষটি পর্যন্ত উপলব্ধি করছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে বৈশ্বিক মহামারির এ ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন হতো। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিস্ময়কর নেতৃত্বের একজন মহামানব। এ ভূ-খণ্ডের গোটা জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে। তার নেতৃত্বের গুণাবলী বিশ্বের কোনো নেতা অর্জন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে যত বেশি অধ্যয়ন করা যাবে ততই তাকে বেশি করে জানা যাবে। একজন বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করলে মর্যাদাপূর্ণ উন্নত জীবন গঠনের জন্য আর কাউকে জীবনের হিরো হিসেবে অনুসরণ করার প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দু’টি অমূল্য রত্ন আমাদের জন্য রেখে গেছেন একটি স্বাধীনতা আর একটি হলো তার সুযোগ্য সন্তান। অনুষ্ঠানে বিটিসিএল আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বিষয় রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) : রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কাপ্তাই হতে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা রুপসী কাপ্তাইয়ের সম্পাদক সাংবাদিক কাজী মোশাররফ হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । বুধবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাঙামাটি পিসিআর ল্যাব হতে প্রাপ্ত রিপোর্টে তিনি সহ কাপ্তাইয়ে আরোও একজনের করোনা পজিটিভ আসে। করোনা পজিটিভ আসা অপরজন কাপ্তাই ২৪ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য বলে জানা গেছে। কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা ফোকাল পার্সন ডাঃ ওমর ফারুক রনি জানান, বুধবার রাঙামাটি পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে কাপ্তাইয়ে ২ জন করোনা পজিটিভ হয় এবং তাদের করোনা সেম্পল গত ১০ আগস্ট পাঠানো হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন তারা উভয় বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং হোম আইসোলসনে থেকে চিকিৎসা নিবেন। এ নিয়ে কাপ্তাইে করোনা পজিটিভ ১০৩ জন, যার মধ্যে ৯৯ জন সুস্থ, ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে এবং বর্তমানে ৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
শামীম আহমেদ :: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের ৩১টি দুর্গম দ্বীপে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিয়ে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেসব স্থানে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ খুবই জটিল বা ফাইবার অপটিক কেবল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সেসব দ্বীপে যাচ্ছে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট।
কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান, ৩১টি দ্বীপ বা চরের মধ্যে ইতিমধ্যে ২০টিতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযুক্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় এ বছরের মধ্যে বাকি দ্বীপগুলোতে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে।
২০১৮ সালে ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ প্রবেশ করে মহাকাশ যুগে।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক হামেদ হাসান মুহাম্মদ
মহিউদ্দিন বলেন, ভি-স্যাট প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বীপগুলোতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কাজ চলছে।
পটুয়াখালীর চর কাজল, চর বিশ্বাস, বাহের চর, চর বোরহান ও চন্দ্রদ্বীপে ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, পটুয়াখালীর সাতটি চর বা দ্বীপে এ সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়া চাঁদপুরে আটটি, পিরোজপুর, বরিশাল নোয়াখালির একটি করে এবং ভোলার ১১টি দ্বীপে এ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সেইন্টমার্টিন দ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও জরুরি যোগাযোগের জন্য সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে বলে জানান মহিউদ্দিন। ইতিমধ্যে ২০টি দ্বীপে বা চরে সেবা শুরু করা হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বাকী দ্বীপগুলোতে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত করা যাবে।
প্রতিটি চর বা দ্বীপে পাঁচটি করে ভিস্যাট স্থাপন করে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “দ্বীপ বা চরের আয়তন বুঝে এগুলো স্থাপন করা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে কমবেশিও হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবায় ডাউনলোড স্পিড ১০ এমবিপিএস এবং আপলোড স্পিড ৪ এমবিপিএস সরবরাহ করা হবে। উচ্চগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্বীপবাসীরা সব সুবিধাই নিতে পারবেন।”
এসব দ্বীপের স্কুল বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হিসাবে প্রকল্পে শেষে এসব এলাকার তিন লাখের বেশি জনগণ এ সেবার আওতায় আসবেন।”
স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন ও শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক কাজ করে সফলতাও পাওয়া গেছে।”
২০১৯ সালের মার্চে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ডের।
ইতিমধ্যে ৩৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করছে। আরও কয়েকটি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) সেবাও দেওয়া হচ্ছে।
বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স গত বছর ১৬ মে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) প্রযুক্তির সেবা চালু করে, যার মাধ্যমে কেবল সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখা যাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বাণিজ্যিক যাত্রাও এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়।
এরপর গত ১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বাণিজ্যিক সম্প্রচারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের দুই বছরের মাথায় নিজস্ব আয়ে চলা শুরু করেছে বিসিএসসিএল।