ঢাকা: করোনা ভাইরাস মহামারি সংকটের মধ্যেও বিদেশি বিনিয়োগ আনতে এই পরিস্থিতিতে প্রতিবদ্ধকতার সঙ্গে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গভর্নিং বোর্ডের সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংকটের মধ্যেও সম্ভবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাসে একটা ধাক্কা এসেছে এটা টিক। আবার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কাজেই কারা বিনিয়োগ করতে চায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সেই বিনিয়োগ যাতে আমাদের দেশে আসে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে আরও বেশি ইনভেস্টমেন্টটা আনতে হবে, এটা সুযোগ আছে। অনেক দেশে এখন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ। আমাদের জনসংখ্যা আছে, জমি তৈরি আছে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। এই সুযোগটায় আমরা কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারি এবং আনতে পারি; আমাদের সেই সুযোগটা রয়েছে। সেই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিনিয়োগের পরিবেশ আমাদের রয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে সবদেশেই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যার মধ্যে দিয়েই কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাবো সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বিনিয়োগের সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সীমিতভাবে হলেও আমাদের কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে সুবিধা ও সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিডার গভর্নিং বোর্ডের সভায় গণভবন প্রান্তের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে বিডার গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ উমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট বেগম সেলিমা আহমাদ।
॥ নন্দন দেবনাথ ॥ পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাহাড়ের বরপুত্র, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে অবদান কম নয়। তার হাত ধরে পাহাড়ের অনেক শিক্ষিকত যুব ও অনেক শিল্পী আজ দেশে বিদেশে সুনামের সাথে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায়ও ছিলো তার অসমান্য অবদান। তিনি সম্মুখ ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীণ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করে গেছেন অনেক ভাবে। পাহাড়ের এই সংসপ্তক, সংবাদপত্রের পথিকৃত এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে অথবা স্বাধীনতা পদক পাওয়া শুধু সময়ের দাবী।
পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী তার লাইব্রেরীতে বসেই নিজেদের শিক্ষিত করে তুলেছেন। পাহাড়ী জনগোষীর পাশাপাশি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করেন তার সহযোগিতায়। এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ছাত্র কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ’মি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সচিবের দায়িত্ব পালন সহ দেশের বড়ো বড়ো পদে তিনি আসিন ছিলেন। এ,কে,এম মকছুদ আহমেদেও সহযোগিতায় বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী কনক চাপা চাকমা আজ সারা বাংলাদেশে বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী হিসাবে খ্যাত।
তার লাইব্রেরী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী থেকে তার দেয়া বই সংগ্রহ করে অনেক গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রী নিজেদের লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। তার লাইব্রেরীতে বসে বসেই অনেকেই নোট করার সুযোগ পেয়েছিলো। আবার তার কাছ থেকে বই নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় লেখাপড়া শেরে আবার জমা দিয়ে গেছে এমনো কথা লোকজনের মুখে শোনা যায়। তার এই অবদান ও আন্তরিকতার কারণে গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে।
এছাড়াও পাহাড়ের অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া সংসঠন ও সামাজিক সংগঠনকে তিনি পৃষ্ঠ পোষকতা করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা করে তুলেছেন। এমন গুনী মানুষের কদর যদি আমরা জীবিতি অবস্থায় করতে না পারি তাহলে মরার পর তার কদর করে কোন লাভ হবে না। জীবিত থাকা অবস্থায় এই গুনী মানুষটিকে যদি সরকার মুল্যায়ন করে তাহলে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ সম্মানিত বোধ করবে। পাহাড়ের এই মানুষ গুলোর জন্য এতো কিছু করে যাওয়া মানুষটি যদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোন পদকে ভ’ষিত হয় তাহলে পাহাড়ের সমাজ কিছুটা ভারমুক্ত হবে।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যক, সাংবাদিক ড. সৈয়দ আব্দুল ওয়াজেদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমি সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমদ। তিনি পার্বত্যাঞ্চলে সাবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ, মানবাধিকার সুরক্ষায় অবদান রেখে দেশ-বিদেশে পেয়েছেন সম্মাননা, স্বীকৃতি ও পদক। জাতীয় সাংবাদিকতার ধারায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক – এর সাথে রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। পার্বত্যাঞ্চল ভ্রমণে আসা সাংবাদিকরা তাই তার সাথে সাক্ষাৎ করে অর্জন করে থাকেন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়।
আজ তাই সবার আন্তরিক প্রত্যাশা ব্যক্ত হচ্ছে সাংবাদিক-সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমদ- কে জাতীয় পদক একুশে, স্বাধীনতা ও এ ধরনের জাতীয় সম্মানে ভূষিত করা হোক।
প্রথম দফায় নিবন্ধনের জন্য ৪৪টি অনলাইন নিউজপোর্টালের তালিকা প্রকাশ করা হলেও পরে তা সংশোধন করে ১০টি কমানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন ও পত্রিকার অনলাইন ভার্সন মিলে ৪৪টির তালিকা প্রকাশ করে।
তবে মাঝরাতে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেসব অনলাইন নিউজপোর্টালের পক্ষে সরকার নির্ধারিত সংস্থাগুলোর অনাপত্তি পাওয়া গেছে, শুধুমাত্র সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হলো এবং তাদেরকে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে অন্যান্য অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর ব্যাপারে অনাপত্তি প্রতিবেদন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর নিবন্ধনের অনুমতি দেওয়া হবে। তাই এ বিষয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ নেই।
অনাপতিপ্রাপ্ত নিউজপোর্টালগুলোকে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জানান, গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়া অর্ধশত পোর্টালের তালিকা পাওয়া গেছে। আমরা আজকে রাতে সেগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করব। তারা নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ঈদের পরে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট না পাওয়ায় প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর নাম না থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, তারাও পরে নিবন্ধনের সুযোগ পাবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েবসাইটে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না, তাদের ব্যাপারে রিপোর্ট নেগেটিভ তা নয় কিন্তু। এটি চলমান প্রক্রিয়া, যেহেতু তাদের ব্যাপারে আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি সেজন্য তাদের নামগুলো হয়তো আজকে আপলোড হবে না। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর ব্যাপারে রিপোর্ট এলে তারা সবাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
ঢাকা: নিবন্ধনের জন্য প্রথম দফায় ৪৪টি অনলাইন নিউজপোর্টালের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে তথ্য মন্ত্রণালয় এসব পোর্টালের তালিকা প্রকাশ করে।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জানান, গোয়েন্দার প্রতিবেদন পাওয়া অর্ধশত পোর্টালের তালিকা পাওয়া গেছে। আমরা আজ রাতে সেগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করবো। তারা নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ঈদের পরে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
গোয়েন্দার প্রতিবেদন না পাওয়ায় প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর নাম না থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, তারাও পরে নিবন্ধনের সুযোগ পাবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েবসাইটে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না, তাদের ব্যাপারে প্রতিবেদনের নেগেটিভ তা নয় কিন্তু। এটি চলমান প্রক্রিয়া, যেহেতু তাদের ব্যাপারে আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি সেজন্য তাদের নামগুলোও হয়তো আজকে আপলোড হবে না। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর ব্যাপারে প্রতিবেদন এলে তারা সবাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
‘এজন্য কারো কারো নাম বাদ পড়লে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে মাত্র ৫০টির আজকে নাম আপলোড হবে। আরও অনেকগুলো ধীরে ধীরে আপলোড হবে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এগুলো করতে আমাদের কয়েকমাস সময় লাগবে। ’
তিনি বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে অনলাইনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং মানুষের হাতে হাতে সংবাদ পরিবেশনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। এটি একটি বড় ইতিবাচক দিক। সব অনলাইনকে দেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেনি বলে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো বিবেচনা, কোনো সুপারিশ কাজ করেনি।
বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকি রোধে বান্দরবান জেলা তথ্য অফিস এর উদ্যোগে বান্দরবান সদর, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক সড়ক প্রচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে গত ৮মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়, তখন থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বান্দরবান জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ে এই প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান জেলা তথ্য অফিসার কে.এম.খালিদ বিন জামান জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে বান্দরবানে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের কার্যক্রম চলমান রেখেছে বান্দরবান জেলা তথ্য অফিস, জনসচেতনতামূলক সড়ক প্রচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বান্দরবান জেলা তথ্য অফিসের কর্মচারীরা বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী : মফস্বলের সাংবাদিক ও সংবাদপত্র গুলোকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিন
॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মফস্বলের সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র গুলোকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিন। নতুবা সাংবাদিকরা বেকার হয়ে যাবে। সংবাদপত্র গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মফস্বলে যারা সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত অধিকাংশই গরীব এবং সংবাদপত্র গুলোর খুব একটি ভাল অবস্থায় নেই।
যারা ঢাকার সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে কাজ করে তাদের অধিকাংশই নিয়মিত বেতন ভাতা পায় না। ফলে দিনাতিপাত করতে কষ্ট হয়। মফস্বলের পত্রিকা গুলোর অবস্থা ভাল না।
ঢাকার সাথে যারা জড়িত তাদের বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা কখন হবে অনিশ্চিত। তাই সাংবাদিকদের জন্য একটি থোক বরাদ্দ অনুদান দেয়া গেলে তাদের কষ্ট লাগব হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই দুর্দিনে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মফস্বলের সাংাবদিকরা দায়িত্ব পালন করতেছে। ইতিমধ্যে ঢাকার কিছু কিছু পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের অধিকাংশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের পত্রিকা গুলো এমনটিতে কষ্টে আছে কারণ মফস্বলের পত্রিকা যা বিজ্ঞাপন দেয়া হয় না সব বিজ্ঞাপন ঢাকার পত্রিকায় দেয়া হয়। বিশেষ বিশেষ দিবসের সরকারী ক্রোড়পত্র এ গুলোও বেশীরভাগ ঢাকার পত্রিকাকে দেয়া হয়। হাতে গোনা ২/১ টা মফস্বলের পত্রিকাকে দেয়া হয় তাতেও গড়মিল দেখা যায়। বিজ্ঞাপন ছাড়া পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। মফস্বলের সব বিজ্ঞাপন ঢাকার বিজ্ঞাপন সহ ঢাকার পত্রিকাকে দেয়া হয়। ফলে তেলা মাতায় তেল দেয়ার অবস্থা। মফস্বলে এমনিতেই বিজ্ঞাপন কম, কাজেই মফস্বলের বিজ্ঞাপন মফস্বলের পত্রিকাকে দেয়া হউক। নতুবা পূর্বের মত ৬০% ৪০% হিসাব বিজ্ঞাপন দেয়া হউক। মফস্বলের বিজ্ঞাপন ঢাকার পত্রিকায় না দিলেও কোন অসুবিধা নেই। যেহেতু ঢাকার বিজ্ঞাপন বেশী এবং ক্রোড়পত্র গুলো ঢাকা থেকে দেয়া হয়। মফস্বলের পত্রিকাকে ক্রোড়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বর্তমান সংকট মুহুর্তে মফস্বলের পত্রিকা গুলো এককালীন সাহায্য দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। মফস্বলের সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র গুলোকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া জোর দাবী জানাচ্ছি।
(লেখক সম্পাদক প্রকাশক, দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত পরিষদ।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য সচিব কামরুন নাহার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার একান্ত সচিব মোহাম্মদ এনামুল আহসান বুধবার বিডিনিউজ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “গত রোববার পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন, গতকাল রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এমনিতে কোনো উপসর্গ ছিল না।” সংক্রমণ ধরা পড়ায় বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন তথ্য সচিব কামরুন নাহার। তার স্বামী মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়রুল ইসলাম ‘এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন’ বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে স্যারের করোনা পরীক্ষা করা হয়, রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ম্যাডামের পজিটিভ রিপোর্ট আসায় আবারও তার পরীক্ষা করানো হবে।” তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা কামরুর নাহার এর আগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছাড়াও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই প্রতিনিধি : তথ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মো: হারুন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তার কাজের সফলতার জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন। সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিবছর ” শুদ্ধাচার পুরস্কার ” প্রদান করা হয়। সারা বাংলাদেশের ৬৮ জন কর্মকর্তা হতে ৩ জন কর্মকর্তা এই শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। এদের চট্রগ্রাম বিভাগ হতে শুধুমাত্র তিনিই এই পুরস্কার লাভ করেন। এই ছাড়া এই অধিদপ্তরের ২ জন কর্মচারীও এই পুরস্কার অর্জন করেন।
কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মো: হারুন ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ কাপ্তাইয়ে সহকারী তথ্য কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে একজন সৎ, কর্মঠ কর্মকর্তা হিসাবে তিনি সর্বমহলে প্রশংসিত হন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ, সরকারের সাফল্য ও উন্নয়ন ভাবনা, সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪২, সরকারের এসডিজি বাস্তবায়ন, টেকসই সামাজিক উন্নয়ন অভীষ্ট্য লক্ষ্য সমুহ অর্জন উপলক্ষ্যে আলোচনা, উঠান বৈঠক, উন্মুক্ত বৈঠক, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে ওরিয়েন্টশন কর্মশালা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, স্হানীয় ও জাতীয় প্রচার কার্যক্রম প্রভৃতি বিষয়ে তিনি কাপ্তাই, রাজস্হলী ও বিলাইছড়ি উপজেলায় তাঁর দপ্তরের কর্মচারীদের নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন। তাঁর কাজের এই সফলতায় তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন। কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মো: হারুন জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে সবসময় সেবক হিসাবে কাজ করে আসছি, পুরস্কার পাব এটা আমার জানা ছিলো না, পুরস্কার এর ব্যাপারটা উদ্ধর্ধন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার বিষয়, আমি সবসময় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করার চেষ্টা করে আসছি। আমি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ করলে তাদেরকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। এই পুরস্কার অর্জনে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা সরকারি সিদ্বান্ত সমুহ বাস্তবায়নে সব সময় উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছেন। তিনি একজন কর্মঠ কর্মকর্তা। এদিকে তাঁর এই পুরস্কার অর্জনে কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সভাপতি কবির হোসেন সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত সহ কাপ্তাইয়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন।
প্রতি পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদানে ইতোমধ্যেই সাড়ে ১২ শ’কোটি টাকা ছাড় করেছে সরকার। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঈদের আগেই এই টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘এ অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। আমরা হয়তো অনেক বেশি দিতে পারবো না। কিন্তু কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়, সবাই যাতে সামান্য হলেও সহায়তা পায় আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
একই সঙ্গে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্টের আওতায় প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
তিনি একইসঙ্গে সুইচ চেপে দুটি কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই হলো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারো কাছে যেতে হবেনা, ধর্না দিতে হবেনা, বলতে হবেনা, কিন্তু সবার কাছে টাকা হেঁটে পৌঁছে যাবে। মানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবনে প্রয়োজন অনেক বেশি। মানুষদের ক্ষুধার জ্বালা আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
করোনাভাইরাসকে অদৃশ্য শক্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এমন একটি অদৃশ্য শক্তির মোকাবেলা কোনো দেশই করতে পারছে না। কত শক্তিশালী দেশকেও আমরা দেখেছি, এই করোনাভাইরাস শক্তির কাছে সারেন্ডার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লাভ হয়েছে প্রকৃতির। জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। প্রকৃতি তার আপন গতিতে ফিরে যাচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপার, এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে আর কখনও ঘটেনি। অনেক মহামারি ও দুর্ভিক্ষের কাহিনি আমরা জানি। কিন্তু এবারের বিষয়টা ভিন্ন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, এমন সময় একটি অদৃশ্য শক্তির আঘাত, যার ফলে সমগ্র বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত।’
জানা গেছে, বিকাশ, নগদ, রকেট ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। সবচেয়ে বেশি ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ।
উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে।
তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সহায়তায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্তমানে যেসব সহায়তা পাচ্ছে, এ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তালিকার কাজ শেষ করা হয়েছে ৭ মে। অবশ্য এখনও যাচাইয়ের কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা এ সম্পর্কে বলেন, তাঁর সরকার সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহারের চেষ্টা করেছে এবং আসন্ন ঈদ ও রমজানকে উপলক্ষ্য করেই এই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
তিনি একেবারে বেকার ঘরে বসে না থেকে করোনার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কিছু কিছু কাজ-কর্ম করার জন্য মেহেনতি মানুষকে পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশে তখন মঙ্গা থাকে না, দরিদ্র থাকে না, এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ’
কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন,‘অন্যান্য দেশে যেভাবে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে সে তুলনায় আমরা কিন্তু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’
ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত হয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, গণভবন প্রান্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পিএমও এবং গণভবনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বরগুণা, শরিয়তপুর, সুনামগঞ্জ এবং লালমনিরহাটের উপকারভোগী জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই প্রতিনিধি : ” মায়া মমতাই মনুষত্বের পরিচয়- অবহেলা, অবজ্ঞা, ঘৃণা নয়” শীর্ষক কাপ্তাই তথ্য অফিসের করোনা বিষয়ক প্রচার প্রচারনা জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মো: হারুনের নেতৃত্বে তথ্য অফিসের কর্মীরা সপ্তাহ ধরে কাপ্তাই, রাজস্হলী এবং বিলাইছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের এই করোনা বিষয়ক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা বিষয়ক এই প্রচারনায় আরোও বলা হচ্ছে: করোনাভাইরাস যে কোন মানুষই আক্রান্ত হতে পারে, আপনি বা আমিও হতে পারি তাদের একজন, কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বা মারা গেলে তা অভিশাপ, পাপের ফল দূর্ভাগ্য মনে করার কোন কারন নেই, আক্রান্ত বা মৃত ব্যক্তি আমাদেরই স্বজন, সুহ্রদ ও শুভাকাঙ্খী, তারা আমার আপনার ভাই- বোন, মা- বাবা, বন্ধু- বান্ধব, প্রতিবেশী, সহকর্মী বা কাছের কেউ। আসুন, আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই এবং মানবিক আচরণ করি।
এটি আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মো: হারুন জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর হতে কাপ্তাই তথ্য অফিস স্হানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ৩ উপজেলায় প্রচার প্রচারনা করে আসছেন।