বিশ্ব যখন মহামারি ভরসার করোনার কবলে, জনমনে যখন আকণ্ঠ শঙ্কা, ঠিক তখনই সংবাদকর্মীদের পাশে প্রেস কাউন্সিল।
জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে বিশেষ প্রণোদনা দিতে দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের নিকট চিঠি পাঠিয়েছে প্রেস কাউন্সিল। রোববার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো: শাহ আলম দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের নিকট ইমেইলে এ চিঠি পাঠিয়েছেন। সোমবার তিনি এ তথ্য জেএমএসএফকে নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত। জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে জরুরী তথ্য জনগনের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছেন। তাদেরকে সরকারের প্রণোদনার আওতায় আনা প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে জেলা-উপজেলায় প্রেসকাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংবাদিক ও সংবাদ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের তালিকা তৈরী করে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের অনুরোধ জানান।
জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বলেন,বিশ্ব যখন মহামারি ভরসার করোনার কবলে, জনমনে যখন আকণ্ঠ শঙ্কা, ঠিক তখনো হাজারো সংবাদকর্মী নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে অবিরাম সংগ্রহ করে চলেছেন করোনার সংবাদ। দেশ জুড়ে সাংবাদিকদের বিপদে তাদের পাশে দাড়ানোর প্রত্যয় ব্যাক্ত করে দেশে চলমান এ দূর্যোগে সাংবাদিকদের জন্য ে প্রস কাউন্সিলের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রণীত তালিকায় যেন সাংবাদিক নয় এমন কোন লোককে অন্তর্ভূক্ত করা না হয় সেদিকে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। তবে এ কাজে তথ্য অধিদপ্তরকে সম্পৃক্ত করলে বিশেষ সফলতা আসবে বলেও জেএমএসএফ মনে করে।
সংবাদকর্মী হিসেবে দেশের সকল গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিদের প্রতি আমার করজোরে সবিনয় আকুতি থাকবে অন্তত এই সংকটে আমাদের পাশে দাঁড়ান। এই আমরাই তো আপানার পাশে দাঁড়িয়েছি সব সময়। নিজেকে নিজের পরিবারকে তুচ্ছজ্ঞান করে দিন-রাত কাজ করেছি সংবাদ সংগ্রহে, এই আমরাই তো দেশের সব মানুষের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করেছি অহর্নিশ। জাতীয় এই দুর্যোগেও তো আমরা পিছপা হয়নি, আমৃত্যু সংবাদ সংগ্রহ করে তা পৌছে দেব জনগণের দ্বার প্রান্তে- এই তো ব”ত আমাদের।
জেএমএসএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেস কাউন্সিলের এই চিঠিতে সম্পাদকদের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। করোনায় বিশেষ করে মিডিয়ার মালিকরাও বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া চিঠিতে প্রিন্ট, টিভি ও অনলাইন মিডিয়াকেও আলাদা করা হয়নি। দেশের এই দূর্যোগকালে অনলাইন পত্রিকাগুলো ব্যাপক গুরুত্ব পালণ করছেন। তাই এই প্রণোদনা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনলাইন পত্রিকা গুলোর সাথে জড়িত সাংবাদিকদেরকেও যেন গুরুত্ব দেয়া হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানায় জেএমএসএফ।
করোনার এই দূর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে),জাতীয? মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (জেএমএসএফ) ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুদান বরাদ্দের বিষয়টি এখনও ঝুঁলে আছে। আমরা আশা করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি নিজ উদ্যোগে বিষয়টি ঘোষণা করবেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই) বিতরণ করেছে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান রোমান।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এসব পিপিই বিতরণ করেন। এসময় পিপিই বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বাংলা ভিমন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি নন্দন দেবনাথ, সহ সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই এর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মনসুর আহমেদ, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ফটো সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা, একুশের টিভি’র রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ছত্রং চাকমা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিমেল চাকমা, ডেলি আবজারভার পত্রিকার শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমনসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।
এ সময় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান রোমান বলেন, সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের নিরলস চেষ্টার কারণে মানুষ ঘরে বসে রাঙ্গামাটির সঠিক খবরগুলো পাচ্ছে। অথচ তাদের সুরক্ষার জন্য কেউ উদ্যোগ নিচ্ছেনা। এটি পরিলক্ষিত হওয়ায় তিনি যারা মাঠে কাজ করছে তাদেরকে পিপিই বিতরণের উদ্যোগ নেন। আগামীতে সাংবাদিকদের দুর্দিনে পাশে থাকার কথা বলেন রোমান।
॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মফস্বলের সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র গুলোকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিন। নতুবা সাংবাদিকরা বেকার হয়ে যাবে। সংবাদপত্র গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মফস্বলে যারা সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত অধিকাংশই গরীব এবং সংবাদপত্র গুলোর খুব একটি ভাল অবস্থায় নেই।
যারা ঢাকার সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে কাজ করে তাদের অধিকাংশই নিয়মিত বেতন ভাতা পায় না। ফলে দিনাতিপাত করতে কষ্ট হয়। মফস্বলের পত্রিকা গুলোর অবস্থা ভাল না।
ঢাকার সাথে যারা জড়িত তাদের বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা কখন হবে অনিশ্চিত। তাই সাংবাদিকদের জন্য একটি থোক বরাদ্দ অনুদান দেয়া গেলে তাদের কষ্ট লাগব হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই দুর্দিনে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মফস্বলের সাংাবদিকরা দায়িত্ব পালন করতেছে। ইতিমধ্যে ঢাকার কিছু কিছু পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের অধিকাংশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। মফস্বলের পত্রিকা গুলো এমনটিতে কষ্টে আছে কারণ মফস্বলের পত্রিকা যা বিজ্ঞাপন দেয়া হয় না সব বিজ্ঞাপন ঢাকার পত্রিকায় দেয়া হয়। বিশেষ বিশেষ দিবসের সরকারী ক্রোড়পত্র এ গুলোও বেশীরভাগ ঢাকার পত্রিকাকে দেয়া হয়। হাতে গোনা ২/১ টা মফস্বলের পত্রিকাকে দেয়া হয় তাতেও গড়মিল দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন ছাড়া পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। মফস্বলের সব বিজ্ঞাপন ঢাকার বিজ্ঞাপন সহ ঢাকার পত্রিকাকে দেয়া হয়। ফলে তেলা মাতায় তেল দেয়ার অবস্থা। মফস্বলে এমনিতেই বিজ্ঞাপন কম, কাজেই মফস্বলের বিজ্ঞাপন মফস্বলের পত্রিকাকে দেয়া হউক। নতুবা পূর্বের মত ৬০% ৪০% হিসাব বিজ্ঞাপন দেয়া হউক। মফস্বলের বিজ্ঞাপন ঢাকার পত্রিকায় না দিলেও কোন অসুবিধা নেই। যেহেতু ঢাকার বিজ্ঞাপন বেশী এবং ক্রোড়পত্র গুলো ঢাকা থেকে দেয়া হয়। মফস্বলের পত্রিকাকে ক্রোড়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বর্তমান সংকট মুহুর্তে মফস্বলের পত্রিকা গুলো এককালীন সাহায্য দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
মফস্বলের সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র গুলোকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া জোর দাবী জানাচ্ছি।
(লেখক সম্পাদক প্রকাশক, দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত পরিষদ।
॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥
————————————-
বর্তমান সময়ের সাংবাদপত্র শিল্পে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে গ্রাম ও শহরের সাংবাদিকদের আইনী সুরক্ষা এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সকলকে এক পতাকা তলে সমবেত হতে হবে। নতুবা টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে। বর্তমানে গ্রাম বা শহরে যে হারে সাংবাদিক বেড়েছে এবং ভূঁই ফোঁর সাংবাদিক সংগঠন সৃষ্টি হযেছে এতে করে সমাজে টিকে থাকা অত্যন্ত কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সমাজে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এ জন্যই সকল সংগঠন গুলো ভেঙ্গে দিয়ে এক পতাকা তলে সমবেত হতে হবে। সত্যিকার সাংবাদিকদের আলাদা করে ফেলতে হবে। একটি সংগঠনের ছাদের নীচে মিলিত হয়ে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। নতুবা আইনী সুশাসন এবং টিকে থাকার অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়। প্রথমে গ্রামের সাংবাদিকদের এক জোট করার জন্য শহরের সাংবাদিকদের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। শহরে যদি এক জোট না হয় তাহলে গ্রামকে ঠিক করা যাবে না। বর্তমানে গ্রাম ও শহরের সাংবাদিকদের যে বৈষম্য বিরাজ করছে সেটা দুর করতে না পারলে কোন উন্নতি সম্ভব নয়। আমি গ্রাম থেকে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গায়ের গায়ে পায়ে হেটে বিচরণ করে যে খবর টি অনেক কষ্ট করে সংবাদ পাঠালাম। আপনি ঢাকায় ১০/২০ তলা ভবনে এসিতে বসে আমার পাঠানো নিউজটাকে ফেলে দেন অথবা সারা দেশের খবরের সাথে একটি শব্দ দিয়ে শেষ করে দেন। আমার কষ্টাজিত বিজ্ঞাপনের টাকায় আপনি মহা সাংবাদিক বনে যান। অথচ আপনি হাজার হাজার টাকা বেতন নিয়ে রাজার হালে দিন যাপন করেন। আর আমি এক বেলা অন্ন যোগাতে ও কষ্ট হয়। অথ্যাৎ বেতন বোর্ড রোয়েদাদে ঢাকা আর মফস্বলে যে বেতন বৈষম্যতা আছে সেটাকে বৈষম্যতা আছে সেটাকে দুর করতে হবে। শহর আর গ্রামের মধ্যে যে বিরাট বৈষম্যতা রয়েছে সেটা দুর করতে উভয়কে এক জোটে হয়ে কাজ করতে হবে। আপনি তো শহরে জন্ম গ্রহণ করেন নি। আপনি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে মানুষ হয়ে শহরে গিয়ে বড় হয়ে গেছেন। আমি গ্রামে থেকে ছোট হয়ে রয়ে গেলাম। হাতে গোনা কয়েকজন শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন।
সকালে সম্মিলিত ভাবে আইনী সুরক্ষার জন্য কাজ করতে হবে এবং আইনে প্রনয়নকারীদের ও মনোভাব পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়। কাজেই গ্রাম ও শহরের তারতম্য ভুলে গিয়ে আইনী সুরক্ষা আসতে হবে।
বেতন বোর্ডের বৈষম্য দুর করতে হবে। সাথে সাথে বিজ্ঞাপন নীতিমালা পরিবর্তনে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। শহরের পত্রিকায় অর্থাৎ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার রেওয়াজ আছে কিন্তু গ্রামের দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার রেওয়াজ নেই। হয়তো বা অনেকেই বলবেন এটা কেমন কথা গ্রামের পত্রিকা না খেয়ে বেছে আছে। আর শহরের পত্রিকায় তেলা মাতায় তেল দিয়ে যাচ্ছে। এটা যদি দুর করা না যায় বৈষম্য থেকে যাবে।
এরশাদ সাহেবের আমলে ৮০%, ২০% ভাগ ছিলো। জিয়ার আমলে ৬০%, ৪০%,-৪০%, ৬০% আর খালেদার আমলে শেষ দিকে এ থেকে এখন চলছে গ্রামের পত্রিকা বিজ্ঞাপন বন্ধ। ২০০৫ সাল থেকে চলে আসছে। গ্রামের পত্রিকা কি খেয়ে বেচে আছে। চিন্তা করে কি কেউ দেখেছেন। বেতন, বিজ্ঞাপন বৈষম্য দুর করা না গেলে গ্রাম শহর কোন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অথবা অধিকার আদায় কোন টাই হবে না। আগে শহরের সাংবাদিকদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে তার পরে সমস্যা সমাধানের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়াও সংবাদপত্র মালিকদের ও সংগঠন রয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ, এডিটর কাউন্সিল, গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ ছিল।
বর্তমানে নোয়াব একছত্র দখরদার হিসাবে আছে। তারাই সংবাপত্রের ভাগ্য বিধাতা। সংবাদপত্র পরিষদ, সম্পাদক পরিষদ সহ আরও কিছু সংগঠন রয়েছে। যেখানে মতদ্বৈততা রয়েছে। কাজেই সংবাদপত্র মালিকদের একটি সংগঠনের পতাকাতলে আসতে হবে। সম্পাদক পরিষদ একটাই করতে হবে। এখানে ও গ্রাম শহর বিভাজন। বড় ছোটর বেড়াজাল। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে সংবাদপত্র শিল্প টিকেয়ে রাখা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে।
এছাড়া নিউজ প্রিন্ট কালি, প্লেইট, বিদ্যুৎ বিল, ইনকাম ট্যাস্ক, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। সে দিকে নজর দিতে হবে। নতুবা যেই তিমিরে সেই তিমিরে থেকে যাবে।
অতএব, সংশ্লিষ্ট সকলকে মনোভাব পবিরর্তন করে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার ঢাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স, এটকোর পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, নিউজপেপারস ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, নোয়াব-এর সভাপতি এ কে আজাদ, নির্বাহী সদস্য মতিউর রহমান ও তারিক সুজাত, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি ও এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স, এটকোর সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু বৈঠকে অংশ নেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলা ও এই কারণে গণমাধ্যমে নতুনভাবে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ এবং ঐকমত্যের কথা তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক দুর্যোগের এসময় আমাদের দেশও করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকেনি। এই প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মালিক, সম্পাদকীয় পরিষদ ও এডিটরস গিল্ড নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে। “এ দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে অবহিত ও সতর্ক করা, সঠিক চিত্র তুলে ধরা ও সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক। আমরা ঐকমতে পৌঁছেছি যে, বৈশ্বিক দুর্যোগের এসময় অবশ্যই আমরা সবাই একযোগে কাজ করব।” বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, “অতীতেও আমরা দেখেছি, এমন দুর্যোগের সময়ে নানা ধরণের গুজব রটানো হয়, কিছু অনলাইন পোর্টাল থেকে মানুষকে আতংকিত করার জন্য ভুয়া সংবাদ পরিবেশিত হয়। এই গুজব ও মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আমাদের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো ভূমিকা রাখতে পারে এবং রাখছে, সরকারও তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। “সেইসঙ্গে এ ধরণের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কিভাবে আরও জোরালো ভূমিকা রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা মূলধারার গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, এসময় জনগণকে আতঙ্কিত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয় বরং সতর্ক করা দরকার এবং সরকার ও সবাই আর কী কী করতে পারি, ভবিষ্যত পরিকল্পনায় আরও কী যুক্ত করতে পারি, সে বিষয়ে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।”
এই পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সংবাদপত্র টেলিভিশনও নানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, বিশেষ করে সংবাদপত্রের সার্কুলেশন কমে গেছে, কোনোটা অর্ধেকে নেমে এসেছে, কোনোটা আরও কমে গেছে। “হকারেরা ও সংবাদপত্রে যারা দৈনিকভিত্তিতে কাজ করে, তারা নানা সমস্যায় পড়েছেন, টেলিভিশনেও কিছু সমস্যা রয়েছে। এসমস্যাগুলো মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে কী কী করা যায়, তাদের পাওনা বিলগুলো যাতে আমরা তাড়াতাড়ি দিতে পারি, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।” বৈঠক শেষে বিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্পাদকীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম এই সংকট উত্তরণে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজের বিষয়ে ঐক্যমত্যের কথা জানান। বিশ্বব্যাপী সংকটের সময়ও গণমাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখে এবং রাখবে উল্লেখ করে তিনি সংবাদপত্র শিল্পের স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পত্রিকাগুলোর পাওনা বিলগুলো দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানান। এটকো সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকদের কাজ করার কথা তুলে ধরে আগামী পাঁচ মাসের জন্য এটকোকে একটি থোক বরাদ্দের অনুরোধ জানান। সরকারের কাছে টিভিগুলোর পাওনা বিজ্ঞাপন বিল দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে বাবু বলেন, গুজব প্রতিরোধে মূলধারার গণমাধ্যম দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।
॥ নন্দন দেবনাথ ॥ হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৩ যুগে পেরিয়ে পাহাড়ের সর্বপ্রথম প্রাণের সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ। আজ ২৬ মার্চ ৩ যুগ পেরিয়ে ৩৮ বছরে পদার্পণ করলো গিরিদর্পণ। ১৯৮৩ ইং সনের এই দিনে ২৬ মার্চ দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সুখে দুঃখে প্রতিটি সময় দৈনিক গিরিদর্পন পাহাড়ের মানুষের পাশে ছিলো। তাই সকল মানুষের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় গতবছর ৩ যুগ পূর্তি করলো দৈনিক গিরিদর্পণ।
১৯৭৮ ইং সনে ২৬ মার্চ এর পূর্বে তিন পার্বত্য জেলায় মানুষ কল্পনাও করেনি যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সাপ্তাহিক অথবা দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হবে। কেননা ১৯৭৮ সালের পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের ইতিহাসে শুধু মাসিক ও পাক্ষিক এবং অনিয়মিত প্রকাশনা দেখা গেছে। ১৯৭৮ সনের পূর্বে কোন সাপ্তাহিক বা দৈনিক সংবাদপত্র ছিল না। সেখানে ১৯৭৮-১৯৭৮ সালের ২৬ মার্চ সাপ্তাহিক বনভূমির আত্মপ্রকাশের মধ্যে দিয়ে একটি সংবাদপত্রের জন্ম নিল। এবং পরবর্তীতে ১৯৮১-১৯৮৩ ইং সনের ২৬ মার্চ দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ ধারাবাহিকতা আজো অব্যাহত রয়েছে। শত কষ্ট ও প্রতিকুলতার মাঝে থেকেও আজ আমরা প্রতিদিন পাঠকের হাতে পৌছে দিচ্ছে একটি দৈনিক পত্রিকা গিরিদর্পণ। এই সাফল্যই আমাদের বড় প্রাপ্তি।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমান রাঙ্গামাটি, বান্দরবান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সর্বপ্রথম এবং তৎকালীন একমাত্র বর্তমানে সর্বাধিক প্রচারিত ও চট্টগ্রাম জেলার প্রচার বহুল দৈনিক গিরিদর্পণ এর নিয়মিত প্রকাশনা শুরু হয়।
পার্বত্য অঞ্চলের বহু ঘটনার রাজ স্বাক্ষী হচ্ছে দৈনিক গিরিদর্পণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই দশকের বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে দৈনিক গিরিদর্পণ অটল থেকে সমস্যা সমাধানের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে দৈনিক গিরিদর্পণের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লেখক, কলামিষ্ট, বুদ্ধিজীবিদের লেখনীর মাধ্যমে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পাহাড়েরর শান্তি প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ব প্রথম দৈনিক ‘গিরিদর্পন’১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে বিশেষ সংখ্যা এবং ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে দু’টি সংখ্যা বের হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দ হতে এ দৈনিকটি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। ২০১৯ সালে এসে দৈনিক গিরিদর্পন ৩৭ বছর পূর্ন করে ৩৮ বছরে পদার্পণ করলো।
দীর্ঘ এতো বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরে দৈনিক গিরিদর্পণ কি পেয়েছে সেটা এখন দেখার বিষয়। দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কথা বলেছে। মানুষের সুখ, দুঃখ ও আনন্দ বেদনার অনেক সংবাদ সংগ্রহ করে পত্রিকায় প্রকাশ করলেও দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার বেদার কথা কেউ জানতেও চায়নি।
দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রনী ভ’মিকা রেখেছে। পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে এই চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে এসেছে। কিন্ত তার স্বীকৃতি স্বরূপ কোন কিছুই পাওয়া হলোনা দৈনিক গিরিদর্পণের। কিন্তু দীর্ঘ বছর পরও নতুন নতুন পত্রিকা বের হয়ে গিরিদর্পণের চেয়ে শতগুন বেশী এগিয়ে গেছে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে।
কিন্তু বিজ্ঞাপন নীতিমালার কারণে অর্থনৈতিক দৈন্যতার শিকার হচ্ছে সংবাদপত্র শিল্প। তিন পার্বত্য জেলার সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা হিসাবে তিন পার্বত্য জেলার বিজ্ঞাপন পাওয়ার দাবীদার দৈনিক গিরিদর্পণ। কিন্তু গিরিদর্পণকে তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শুধুমাত্র রাঙ্গামাটি জেলার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কিছু কিছু বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে দৈনিক গিরিদর্পণের প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ১৯ ডিসেম্বর বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের যাত্রা শুরু করে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্রে উন্নীত করে ৬ ঘন্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। ১৩ এপ্রিল ২০১৯ সালে ৯ ঘন্টা এবং ২৬ জানুয়ারি ২০২০ সালে ১২ ঘন্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। এখন এটি একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। দেশে তিনটি টেলিভিশন কেন্দ্রে রয়েছে। তিনটিই জাতীয় চ্যানেল। সংসদ টেলিভিশন বাংলাদেশ টেলিভিশনের কলাকুশলীদের দিয়ে পরিচালিত হয়। এটি সংসদ সচিবালয় দেখভাল করেন। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে সহসাই টেরেস্টিরিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্রে হিসেবে রুপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সবোর্চ্চ ছয় মাসের মধ্যে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে টেরেস্টিরিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্রে হিসেবে সম্প্রচার করতে পারা যাবে।
তথ্যমন্ত্রী আজ শুক্রবার (২০ মার্চ) বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে দেখা যায়। টেরেস্টিরিয়াল টেলিভিশন হলে ক্যাবল সংযোগ ছাড়াই এ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালা দেশব্যাপী দেখতে পাওয়া যাবে। এটি একটি জাতীয় চ্যানেল হিসেবে পরিচালিত হবে। মন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে বিতর্ক প্রতিযোগিতা উত্তরবঙ্গ থেকেও বিভিন্ন স্কুলের প্রতিযোগিরা অংশ নিচ্ছেন। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতিও তুলে ধরা হয়। বর্তমানে ইংরেজি খবর ও বাণিজ্যিক সংবাদ সম্প্রচার করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে রয়েছে দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর এবং ৯০ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় এ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এসময় মন্ত্রী বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে আধুনিক ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কথা বলেন তিনি এবং অচিরেই সমাধান করার আশ্বাস দেন।
করোনাভাইরাস নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। উন্নত দেশগুলোও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খাচ্ছে। ১৬৭ টি দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। বাংলাদেশে একটি কুচক্রী মহল জনগণের মধ্যে গুজব ছড়িয়েছে। সে কারনে জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এ কুচক্রী মহলকে সনাক্ত করার জন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। এ জন্য মুজিববর্ষের অনেক প্রোগ্রাম সংকোচিত করা হয়েছে। তবে যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের সাথে বিএনপির যোগসাজস রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥
বর্তমান সময়ের সাংবাদপত্র শিল্পে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে গ্রাম ও শহরের সাংবাদিকদের আইনী সুরক্ষা এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সকলকে এক পতাকা তলে সমবেত হতে হবে। নতুবা টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে।
বর্তমানে গ্রাম বা শহরে যে হারে সাংবাদিক বেড়েছে এবং ভূঁই ফোঁর সাংবাদিক সংগঠন সৃষ্টি হযেছে এতে করে সমাজে টিকে থাকা অত্যন্ত কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সমাজে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এ জন্যই সকল সংগঠন গুলো ভেঙ্গে দিয়ে এক পতাকা তলে সমবেত হতে হবে। সত্যিকার সাংবাদিকদের আলাদা করে ফেলতে হবে। একটি সংগঠনের ছাদের নীচে মিলিত হয়ে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। নতুবা আইনী সুশাসন এবং টিকে থাকার অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়।
প্রথমে গ্রামের সাংবাদিকদের এক জোট করার জন্য শহরের সাংবাদিকদের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। শহরে যদি এক জোট না হয় তাহলে গ্রামকে ঠিক করা যাবে না। বর্তমানে গ্রাম ও শহরের সাংবাদিকদের যে বৈষম্য বিরাজ করছে সেটা দুর করতে না পারলে কোন উন্নতি সম্ভব নয়।
আমি গ্রাম থেকে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গায়ের গায়ে পায়ে হেটে বিচরণ করে যে খবর টি অনেক কষ্ট করে সংবাদ পাঠালাম। আপনি ঢাকায় ১০/২০ তলা ভবনে এসিতে বসে আমার পাঠানো নিউজটাকে ফেলে দেন অথবা সারা দেশের খবরের সাথে একটি শব্দ দিয়ে শেষ করে দেন। আমার কষ্টাজিত বিজ্ঞাপনের টাকায় আপনি মহা সাংবাদিক বনে যান। অথচ আপনি হাজার হাজার টাকা বেতন নিয়ে রাজার হালে দিন যাপন করেন। আর আমি এক বেলা অন্ন যোগাতে ও কষ্ট হয়। অথ্যাৎ বেতন বোর্ড রোয়েদাদে ঢাকা আর মফস্বলে যে বেতন বৈষম্যতা আছে সেটাকে বৈষম্যতা আছে সেটাকে দুর করতে হবে। শহর আর গ্রামের মধ্যে যে বিরাট বৈষম্যতা রয়েছে সেটা দুর করতে উভয়কে এক জোটে হয়ে কাজ করতে হবে। আপনি তো শহরে জন্ম গ্রহণ করেন নি। আপনি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে মানুষ হয়ে শহরে গিয়ে বড় হয়ে গেছেন। আমি গ্রামে থেকে ছোট হয়ে রয়ে গেলাম। হাতে গোনা কয়েকজন শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন।
সকালে সম্মিলিত ভাবে আইনী সুরক্ষার জন্য কাজ করতে হবে এবং আইনে প্রনয়নকারীদের ও মনোভাব পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়। কাজেই গ্রাম ও শহরের তারতম্য ভুলে গিয়ে আইনী সুরক্ষা আসতে হবে।
বেতন বোর্ডের বৈষম্য দুর করতে হবে। সাথে সাথে বিজ্ঞাপন নীতিমালা পরিবর্তনে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। শহরের পত্রিকায় অর্থাৎ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার রেওয়াজ আছে কিন্তু গ্রামের দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার রেওয়াজ নেই। হয়তো বা অনেকেই বলবেন এটা কেমন কথা গ্রামের পত্রিকা না খেয়ে বেছে আছে। আর শহরের পত্রিকায় তেলা মাতায় তেল দিয়ে যাচ্ছে। এটা যদি দুর করা না যায় বৈষম্য থেকে যাবে।
এরশাদ সাহেবের আমলে ৮০%, ২০% ভাগ ছিলো। জিয়ার আমলে ৬০%, ৪০%,-৪০%, ৬০% আর খালেদার আমলে শেষ দিকে এ থেকে এখন চলছে গ্রামের পত্রিকা বিজ্ঞাপন বন্ধ। ২০০৫ সাল থেকে চলে আসছে। গ্রামের পত্রিকা কি খেয়ে বেচে আছে। চিন্তা করে কি কেউ দেখেছেন। বেতন, বিজ্ঞাপন বৈষম্য দুর করা না গেলে গ্রাম শহর কোন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অথবা অধিকার আদায় কোন টাই হবে না। আগে শহরের সাংবাদিকদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে তার পরে সমস্যা সমাধানের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়াও সংবাদপত্র মালিকদের ও সংগঠন রয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ, এডিটর কাউন্সিল, গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ ছিল।
বর্তমানে নোয়াব একছত্র দখরদার হিসাবে আছে। তারাই সংবাপত্রের ভাগ্য বিধাতা। সংবাদপত্র পরিষদ, সম্পাদক পরিষদ সহ আরও কিছু সংগঠন রয়েছে। যেখানে মতদ্বৈততা রয়েছে। কাজেই সংবাদপত্র মালিকদের একটি সংগঠনের পতাকাতলে আসতে হবে। সম্পাদক পরিষদ একটাই করতে হবে। এখানে ও গ্রাম শহর বিভাজন। বড় ছোটর বেড়াজাল। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে সংবাদপত্র শিল্প টিকেয়ে রাখা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে।
এছাড়া নিউজ প্রিন্ট কালি, প্লেইট, বিদ্যুৎ বিল, ইনকাম ট্যাস্ক, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। সে দিকে নজর দিতে হবে। নতুবা যেই তিমিরে সেই তিমিরে থেকে যাবে।
অতএব, সংশ্লিষ্ট সকলকে মনোভাব পবিরর্তন করে এগিয়ে আসতে হবে।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এই অঞ্চলের মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি ‘শক্তিশালী কৌশল’ তৈরি এবং নিবিড়ভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই জনস্বাস্থ্যের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সার্কের ব্যাপক কৌশল অবলম্বন করা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঠিক কর্মকৌশল গ্রহণে নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহামারী মোকাবেলার জন্য সকল সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা এবং সহায়তা করা দরকার। ‘আমাদের সম্মিলিত সক্ষমতা, দক্ষতা এবং সম্পদের সাহায্যে এই সহযোগিতা তৈরি করতে হবে,’ তিনি বলেন।
এই অঞ্চলের মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সার্কভুক্ত দেশগুলোর যৌথ কর্মকৌশল নির্ধারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সার্ক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে এই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলংকাকে নিয়ে আট জাতির আন্তর্জাতিক সংস্থা সার্ক গঠিত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি নিজ নিজ দেশের পক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। সেইসাথে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাফর মীর্জা নিজ দেশের পক্ষে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ তার সক্ষমতা এবং দক্ষতা ভাগ করার জন্য প্রস্তুত, পাশাপাশি প্রয়োজনে যৌক্তিক সহায়তা প্রদান সহ সার্কের দেশগুলোর সাথে সর্বোত্তম অনুশীলনের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে যে কোনও জনস্বাস্থ্য হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও লড়াই করার জন্য বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় সম্প্রচার ও গণমাধ্যমকর্মী-এ দু’টি আইন পাস হলে হুটহাট করে কাউকে চাকুরিচ্যুত করা সম্ভব হবে না।
সম্প্রচার-মাধ্যমগুলোর সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত নতুন নানা পদক্ষেপ ইতোমধ্যে সুফল বয়ে আনছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রচার আইন ও গণমাধ্যমকর্মী আইনের মাধ্যমে দেশের সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর কর্মীরা চাকুরিগত সুরক্ষার আওতায় আসবেন।
তথ্যমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ২য় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘সম্প্রচার-মাধ্যমের কর্মীদের অবশ্যই চাকুরির সুরক্ষা প্রয়োজন। সেজন্যই খুব শিগগিরই গণমাধ্যমকর্মী আইন আমরা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের চেষ্টা করবো।’
জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এ আইনটি উপস্থাপনের ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে সচেষ্ট- উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন যখন চুড়ান্ত হবে, তখন গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির আইনগত সুরক্ষা দেওয়াও সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যম মালিক-কর্মী উভয় পক্ষেরই সহযোগিতা কামনা করেন।
এই অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ জানান, সম্প্রচার আইন দেড় বছর আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিলো। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় এটির ভেটিংয়ের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি দ্রুত ভেটিং হয়ে এটি আমাদের কাছে পৌঁছে যাবে। বর্তমানে যে সম্প্রচার নীতিমালা রয়েছে, সেটি আইনে পরিণত হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল ও বিজেসির উপদেষ্টা একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু।
‘নীতি সংলাপ-কর্মী সুরক্ষা’ শীর্ষক এ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বিজেসি’র সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের চাকুরির সুরক্ষার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের মালিকপক্ষকে অনেক বেশি তৎপর হতে হবে। দশ বছর ধরে চাকুরিরত যে কেউ হঠাৎ জানালো তার চাকুরি নেই। এটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, গণতন্ত্রেরও পরিপন্থী। কোনভাবেই এটি কাম্য নয়। আমি আশা করি, আইন দু’টি পাস হলে এমনটি করা সম্ভব হবে না।’ এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তিনি তা প্রত্যাশাও করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত-ধরেই দেশে বেসরকারিখাতে টেলিভিশন-বেতারসহ সম্প্রচার জগতের যাত্রা শুরু হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত একযুগে এখাতের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু এটির পাশাপাশি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে যে শৃঙ্খলা দরকার ছিল, বিশেষ করে টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে যে শৃঙ্খলা ও ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি।’
ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আপনাদের সবার সহযোগিতায় সেই শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন টিভিগুলোর সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য দেন- দরবার করতে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরদের সাথে কয়েক দফা বসে তাদেরকে আমরা ডিজিটালাইজেশনের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, তার পরিপ্রেক্ষিতে তারাই (ক্যাবল অপারেটর) বলেছিল গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করা সম্ভবপর হবে। কিন্তু সেটি তারা করতে পারেনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের টিভি ক্যাবল অপারেটরদের সিস্টেম ডিজিটালাইজড করার জন্য সর্বোচ্চ একবছরের বেশি সময় লাগা সমীচীন নয়, যদিও আলোচনা করেই সময় দেয়া হবে। কিন্তু, ইচ্ছা থাকলে এক বছরে মধ্যেই তা করা সম্ভব। আর যাদের ইচ্ছা থাকবে না, তারা পারবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা পারবেন না, আইন অনুযায়ি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন আমরা প্রয়োজনে নতুন কেবল অপারেটর লাইসেন্স দেবো, যারা ডিজিটালাইজড হয়েই আত্মপ্রকাশ করবে।’
ড. হাছান এ সময়, দেশি সম্প্রচার-মাধ্যমের টিকে থাকা ও বিকাশের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন ও ত্বরিত উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুফল তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আগে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপনগুলো বিদেশে চলে যেত, আমরা সেটি বন্ধ করেছি। এখন অন্তত: বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচার হয় না। একটি-দু’টির বিজ্ঞাপন হয়, কিন্তু তারা সে দেশে নিবন্ধিত। আইনানুসারে কোন ধরনের বিজ্ঞাপনই বিদেশি চ্যানেল প্রচার করতে পারে না। আমরা এব্যাপারে কড়াকরি আরোপের চেষ্টা করেছি। ক্যাবল অপারেটিং ডিজিটাল হলে এটি রোধ করা সম্ভব হবে। আমরা এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে তৎপরবর্তী সময়ে এ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যারা অভিনয় করেন, বিজ্ঞাপনের মডেল হন, তারা অনেক স্মার্ট। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশ থেকে দ্বিতীয় মানের শিল্পী দিয়ে তৈরি করে আনেন। আমরা একটি বিধান করতে যাচ্ছি, আলোচনা করেছি। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যে কেউ, যে কাউকে দিয়ে বিজ্ঞাপন বানিয়ে আনতে পারেন। বিদেশি অভিনেতা, অভিনেত্রীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানিয়ে আনতে পারেন। কিন্তু অনেক বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। শুধুমাত্র যিনি বিজ্ঞাপন চিত্রে অভিনয় করবেন তাকে নয়, যিনি বিজ্ঞাপন বানাবেন তাকেও ট্যাক্স দিতে হবে। যিনি প্রদর্শন করবেন তাকেও ট্যাক্স দিতে হবে। আমি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে কথা বলেছি, অর্থমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। এটি হলে আমাদের দেশের কলাকুশলী ও শিল্পের সুরক্ষা হবে।’
‘একটি বাচ্চা ছেলের বিজ্ঞাপনও কি বিদেশ থেকে তৈরী করে আনতে হয়-এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা কড়াকরি করতে যাচ্ছি। দেশের শিল্পকে সুরক্ষা দিতে এটি করা হচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী এসময় বিজেসি’র সম্মেলনের ধারাবাহিকতা ও এদেশের সাংবাদিকদের মেধা ও আন্তরিকতারও প্রশংসা করেন।