॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ২০১৭ সালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় বিধ্বস্ত হওয়া রাঙ্গামাটির সড়কগুলোর ক্ষত এখনো কাটেনি। রাঙ্গামাটি শহর ও আন্তজেলা সড়কের দেড় শতাধিক স্থানে ভাঙ্গনের শিকার হলেও পাঁচ বছরেও তা স্বাভাবিক হয়নি। বরং সড়কের নতুন নতুন জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ১৪৯ কোটি টাকার সংস্কার কাজ শুরু হলেও কাজের ধীরগতির কারণে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ঘটে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা। এ ঘটনায় ১২০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয় জেলার সড়ক যোগাযোগ। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ। এরপর রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব সড়কের ১৫৩টি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান চিহ্নিত করে সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে সরকার ১৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ২০২০-২১ অর্থ বছরে এ প্রকল্প পাশ হলেও করোনা মাহামারি কারণে থমকে যায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। পরে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু হলেও কাজের রয়েছে ধীরগতি। এতে চলতি বর্ষ মৌসুমেও শঙ্কামুক্ত হচ্ছে না সড়কগুলো। আর সড়কগুলো স্থায়ী সংস্কার না হওয়ায় সড়কের পাশে বসবাসকারীরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল নুর সালেহীন জানান, ২০১৭ সালের পাহাড় ধ্বস রোধ কল্পে রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগ কর্তৃক একটি প্রকল্প গৃহিত হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য এলাকার নানা বাস্তবতার কারণে প্রকল্পের কাজের ধীরগতি হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের সমস্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। এ ছাড়াও নতুন করে ভাঙ্গন রোধে সড়ক বিভাগ তৎপর রয়েছে এবং সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আমরা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছি।
এদিকে পাহাড় ধ্বস রোধ কল্পে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ অংশের ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
॥ মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির ॥ পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য্য বর্ধনের পরিবেশ রক্ষায় গাছের চারা লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন রাঙ্গামাটির জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটি সভায় এই পরামর্শ প্রদান করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ছালেহ মোঃ শোয়াইব খান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এসময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অহিদুর রহমান, প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা গঙ্গা প্রসাদ চাকমা রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আপ্রু মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক রোবার স্কাউটস সম্পাদক মো. নুরুল আবসারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
সভায় বক্তারা, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেহারে বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় ও নিজেদের চাহিদা মেটাতে সামাজিক বনায়ন সংরক্ষনের কোন বিকল্প নেই। বক্তারা পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য্য বর্ধনের নিজ নিজ এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় আরো বেশী সামাজিক বনায়ন সংরক্ষন ও জনসচেনতার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় আগামী ২১জুলাই রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সামনে থেকে একটি র্যালী বের হয়ে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষন করে পৌরসভাতে শেষ হবে। পরে পৌর মাঠ প্রাঙ্গনে বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥ বান্দরবান, রাঙ্গামাটি সীমান্তের মাঝামাঝি গাইন্দ্যা বাজার (ইসলামপুর ৫নং) বাজারটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের ভাঙ্গনের ফলে বাজারের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করেছে স্থানীয়রা। লাগাতার কয়েদিনের বৃষ্টির কারণে প্রধান বাজারে একপাশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে একপাশের ভাঙ্গনটি বড় আকার ধারন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই বাজারে অনেক ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী বসবাস করে আসছে। বাজারের পাশ দিয়ে প্রায় মানুষ চলাফেরা করে। ফলে এই বাজার ভাঙ্গনের বিষয়ে কারো কোন নজরদারী নেই বললেই চলে।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার সচেতন লোকজন ভাঙ্গন রোধসহ রাতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুতের বাল্ব জালিয়ে রাখে রাতের বেলায়। পাশাপাশি বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করছে। এদিকে, ৫নং ইসলামপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাঙ্গন রোধে বান্দরবান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে এখনো কোন পদক্ষেপ নেননি। তিনি কয়েক বার সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। প্রকৃতপক্ষে বাজারটি মেরামতের কাজ কার হাতে ন্যাস্ত এ বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছেনা। এদিকে দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা করা না হলে বাজারের ব্যবসা ও ঘরবাড়ী রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে এলাকাবাসীর আশংকা। এতে ভাঙ্গনের পাশে থাকা সকল বাড়ী ঘর হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরোজ এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। আমার পূর্বের নির্বাহী অফিসার মহোদয় পরিদর্শন করছেন কিনা আমি অবগত নই। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এবিষয়ে বাজার চৌধুরী বাথোয়াই হেডম্যান জানান, বাজারটি বান্দরবান জেলায় হওয়াতে তাদের কোন হাত নেই। বিষয়টি বান্দরবান জেলাকে অবগত করেছেন। এছাড়া তিনি বলেন অতিদ্রুত ভাঙ্গন রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহন না করলে জনগনের যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ এবং ঘরবাড়ী বাজার বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই তিনি ভাঙ্গনটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) সকালে বনরূপা শহরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাঙ্গামাটি পৌর চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা পেট্রোল পাম্প চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ সভাপতি রুহুল আমিন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সাবেক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, জেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়য়ুা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমাসহ দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবন্দরা।
এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করাতে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। সরকারের সাফল্যকে মেনে নিতে না পেরে দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার কোন ভয় নাই। প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সকল অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সেই সাথে যারা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছে তাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতাদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তা না হলে স্বাধীন দেশে আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি যারা দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা দেশের সাংবাদিকদের জন্য একটা ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদের ভুয়া ও অপসাংবাদিকতা থেকে নিরাপদে রাখা। সাংবাদিকতার নামে অনেকে নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে এমন খবরও গোচরে আসে। তাদের সম্পর্কে জনমনে নানা প্রশ্ন। জনগণ তাদেরকে ‘সাংঘাতিক’ও বলছেন। তাই সাংঘাতিক না হয়ে সঠিক ও সত্যনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরে প্রকৃত সাংবাদিক হিসাবে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি। শনিবার (৪ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রেস কাউন্সিল আইন ও তথ্য প্রযুক্তি আইন বিষয়ক রাঙ্গামাটিতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জনাবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ শাহালমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের প্রাক্তণ সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ প্রমূখ।
বিচারপতি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের পরিপূরক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের সম্মান করতেন। যে কারণে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল আইন বাস্তবায়ন করেন। সে লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। আর সাংবাদিকরা কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে বা গ্রেফতার করার আগে প্রেস কাউন্সিলের সাথে কথা বলতে হবে। অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানী করা হলে প্রয়োজনে প্রেস কাউন্সিল আইনি সহায়তা দিবে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতার অপব্যহার হচ্ছে। তাদের অনেকে সাংঘাতিক কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মান রক্ষা করতে হলে নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন আছে। সাংবাদিকতা পেশার সম্মান এখন আগের মতো নেই। প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করছে। সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম গ্রাজ্যুয়েশ থাকতে হবে। তবে তা পাচঁ বছর আগে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে নয় বলে তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তথ্য প্রযুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যাবহার ও অনলাইন পোর্টালের দৌরাত্ব কমাতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রয়োজন আছে। তবে এ আইনে আসামীকে জামিন দেয়া যাবে না যে বিধান আছে তার সাথে দ্বিমত করে তিনি বলেন, এটি সংশোধন করা প্রয়োজন। একই সাথে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণা “এ আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা যাবে না” তা বাস্তবায়নেরও আহবান জানান প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
কর্মশালায় রাঙ্গামাটিতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪২ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ‘শেষ বয়সে এসে এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তি আমার ৫২ বছরের সাংবাদিকতার জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছে।’ আর দেশের অন্যতম বৃহৎ এ শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনি গণমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। যা গণমাধ্যমে অনন্যা দৃষ্টি স্থাপন করেছে।
তৃণমূল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ঢাকায় বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাডওয়ার্ড পাওয়ার পর এই অনুভূতি প্রকাশ করেছেন রাঙ্গামাটি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ।
রবিবার (৩০ মে) দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োাজিত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এ খ্যাতিমান সাংবাদিক হিসেবে এ কে এম মকছুদ আহমেদ রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তিনি পেয়েছেন এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট, সম্মাননা পত্র ও উত্তরীয়। অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলার ৬৪ জন প্রবীণ সাংবাদিক ছাড়াও ১১ জন সাংবাদিককে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
প্রবীণ এ সাংবাদিক তার অনুভূতি প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘জীবনে অনেক প্রোগ্রামে গেছি। অনেক পুরষ্কার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। কিন্তু জীবনের এই শেষ সময়ে এসে বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে আমাদের মফস্বলের সাংবাদিকদের সম্মানিত করল, তা সত্যিই বিরল।’
এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, ‘জীবনের সব পাওয়া না পাওয়া এই সম্মাননার মাধ্যমে পূরণ হয়ে গেছে। আর কোনো পাওয়ার নেই এই শেষ সময়ে। তবে খুব করে চাইব যেন এই আয়োজনটা সব সময় চালু রাখা হয়।’
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’- পাওয়ার এই স্বীকৃতি পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের উৎসাহিত করবে। বিশেষ করে পাহাড়ে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা সাংবাদিকতায় অবদান রাখতে সচেস্ট হবে। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকতা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই সম্মাননা আমাকে নতুন করে বাঁচতে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বলেন, তাঁরা যেন এই মহৎ ধারা অব্যাহত রাখেন, তাহলে এই পেশায় সুস্থ ধারার মানুষ এগিয়ে আসবে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধান অতিথি ছিলেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর জুরিবোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।
চট্টগ্রাম বিভাগের গুণী সাংবাদিকরা হলেন: চট্টগ্রাম জেলা থেকে নাছির উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লার আবুল হাসানাত বাবুল, ফেনীর ওছমান হারুন মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোঃ আরজু মিয়া, রাঙ্গামাটির এ কে এম মকছুদ আহমেদ, নোয়াখালীর একেএম জুবায়ের, চাঁদপুরের গোলাম কিবরিয়া, লক্ষীপুরের হোসাইন আহমেদ হেলাল, কক্সবাজারের প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, খাগড়াছড়ির তরুণ কুমার ভট্টাচার্য ও বান্দরবানের প্রিয়দর্শী বড়ুয়া।
এ কে এম মকছুদ আহমেদের জীবনীঃ- আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। পিতার মৃত মো. জামাল উল্লাহ, মাতা-জমিলা খাতুন। ১৯৪৫ সালের ১০জুলাই চট্টগ্রাম মীরসরাই উপজেলা উত্তর মগাদিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে একই ইউনিয়নের আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৬৮সালে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন। এর পর ১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৭৩ দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনাতে, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলাম, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৭৮ইং থেকে) বর্তমানে জেলা প্রতিনিধি দৈনিক ইত্তেফাক। ১৯৮৬-৮৯ পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতার পাশাপাশি নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ইং পর্যন্ত বিবিসির জন্য কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশ্বের নিকট পরিচিত করে তুলতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
জেলা সংবাদদাতাঃ-জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং জুন ২০০৫ থেকে নিউ নেশানের ২০০৮ পর্যন্ত জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রকাশকঃ- চাক্মা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাক্মা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭) অধীর কান্তি বড়ুয়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য) হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এ্যাডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে। ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা-মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে-নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫)। স্বত্বাধিকারী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী।
সম্মাননা ও পদক ঃ- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ-সাংবাদিকতায় অবদান-২০০১, ১৯৯০সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে।
সম্পাদক প্রকাশকঃ-বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তমানে ৩৯ বছর পূর্ণ করে ৪০ শে পা রেখেছে।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সমাজের সুষ্ঠু বিকাশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সমাজ যাদের দিকে তাকানোর সুযোগ পায় না, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সেই মানুষের না বলা কাহিনী তুলে ধরে।’
তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১১ জন সাংবাদিককে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য প্রত্যেককে আড়াই লাখ টাকা, মফস্বল সাংবাদিকতায় ৬৪ জন প্রবীণ সাংবাদিক প্রত্যেককে এক লাখ টাকা এবং সকলকে সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
তথ্যমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও বসুন্ধরা গ্রুপকে বিশেষ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই ধরনের পুরস্কার প্রদান অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও সার্বিকভাবে সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যা সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করতে সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে এবং অবহেলিত দিকগুলোতে সমাজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে যেভাবে ভূমিকা রাখে, তা অন্য কোনো পেশার মানুষ পারে না।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ভিন্ন মাত্রার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকে, জীবন বিপন্ন হতে পারে। সেসব অতিক্রম করে সাংবাদিককে কাজ করতে হয়। পথের পাশের বিপন্ন মানুষগুলোর জীবনের যে গল্প, যে বেদনা, সেটিও তুলে আনতে পারে অনুসন্ধানী সাংবাদিকই।
গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতূর্থ স্তম্ভ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মনে করে গণমাধ্যমের বিকাশের সাথে রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজের বিকাশ নিহিত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেকারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৩ বছরে সংবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিটি ক্ষেত্র যুগান্তকারী বিকাশ লাভ করেছে। একইসাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও আইনবিরোধী চর্চা কমে এসেছে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতিতে আমরা বিশ্বাস করি, লালন করি। সমালোচনা পথ চলাকে শাণিত করে, কাজকে বিশুদ্ধ করে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তার বক্তৃতায় অতিথিদেরকে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে সায়েম সোবহান আনভীর পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন এবং পুরস্কারের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে ডেইলি স্টারের আহমাদ ইশতিয়াক, মাছরাঙা টেলিভিশনের কাওসার সোহেলী, জাগো নিউজ ২৪.কম-এর সালাহ উদ্দিন জসিম, অপরাধ ও দুর্নীতি ক্যাটাগরিতে দেশ রূপান্তরের শোয়েব চৌধুরী, জিটিভির জান্নাতুল ফেরদৌসী, নিউজ বাংলা২৪.কম-এর জেসমিন পাপড়ি, নারী ও শিশু ক্যাটাগরিতে সমকালের রাজীব আহাম্মদ, আনন্দ টিভির শওকত সাগর, ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রে মাছরাঙা টেলিভিশনের মাজাহারুল ইসলাম, তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের ক্যাটাগরিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এবং আলোকচিত্রে প্রথম আলোর দীপু মালাকার, পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কারের জুরিবোর্ডে ছিলেন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রূপান্তর সম্পাদক অমিত হাবিব, লেখক নাসির আলী মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার ও সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” উদ্বোধন করেন রাবিপ্রবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য র ্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনে এসে শেষ হয়। র ্যালী শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর “রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল উদ্বোধন করেন রাবিপ্রবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।
টেকনোলজিকাল ফেস্টিভলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অঞ্জন কুমার চাকমা, রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” এর আহবায়ক ও রাবিপ্রবি সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিম মাহমুদ, রাবিপ্রবি টেকনোলজিকাল ফেস্টিভল-২০২২” আয়োজক কমিটির বিভিন্ন ইভেন্টের শিক্ষক ও সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত টেকনোলজিকাল ফেস্টিভলে- প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, ইনোভেশন আইডিয়া কম্পেটিশন, আইটি বিজনেজ কেইস স্টাডি কন্টেস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন কন্টেস্ট, গেমিং কম্পেটিশন, প্রজেক্ট শো-কেসিং এবং আইডিয়া কন্টেস্টঃ ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন এন্ড মিটিগেশন- এই ৭টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ‘পরিচালনা বোর্ড’ এর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ৪র্থ সভা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙ্গামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৩০ মে) দুপুর ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। সভার আলোচ্যসূচী ছিল (১) গত ৩০/০৩/২০২২খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন এবং গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা (২) ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের ১৫ মে, ২০২২ পর্যন্ত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা (৩) পরামর্শক কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং (৪) বিবিধ।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বক্তব্যের শুরুতে পার্বত্য চট্টগাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ, বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকগণসহ বোর্ডের অন্যান্য উদ্ধর্তন কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সভাপতির অনুমতিক্রমে সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব) বিগত পরিচালনা বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ করে শোনান এবং গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব) এর সঞ্চালনায় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ কোড নং ২২০০১১০০, ২২০০০৯০০ এর আওতাধীন প্রকল্প/স্কিম এবং বোর্ডের আওতাধীন পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ ১৫ মে ২০২২খ্রি. পর্যন্ত সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেন। তিন পার্বত্য জেলার হেডম্যান কার্যালয় নির্মাণের অগ্রগতি পর্যালোচনা, পরামর্শক কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শৈল্য বিপনী বিতান ও গিরিবিতান নির্মাণ, বোর্ডের তহবিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, উঁচুভূমি বন্দোবস্তীকরণ প্রকল্প, পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, তিন পার্বত্য জেলায় সোলার সিস্টেম বিতরণ বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বান্দরবান পৌরসভা অরুণ সারকি টাউন হল ভাড়া বিষয়ে আলোচনা, তিন পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুর্গম এলাকায় হোস্টেলসহ স্কুল নির্মাণ, কৃষি সেচ ও পানীয়জল সরবরাহকরণ ও যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেকোন বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন তরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ মহান জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়। তদানুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এখানকার স্থানীয় জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নিরসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি বোর্ডের সদস্য হিসেবে বোর্ড কর্তৃক গৃহীত যেকোন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তদারকি করার জন্য তিনি আহবান জানান।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম সরাসরি জনসম্পৃক্ততা ও কাজের দৃশ্যমান হওয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং একই সাথে বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়া রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এসময় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এলাকার জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে মর্মে সভায় মতামত তুুলে ধরেন।
সভায় বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব) সদস্য প্রশাসন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস, রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আশীষ কুমার সাহা এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবদুল আজিজ, মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম, বোর্ডের উপ-পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, বান্দরবান ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যাণময় চাকমা, সিএমইউ জেনারেল ম্যানেজার পিন্টু চাকমা, রাঙ্গামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, জনাব মোঃ নুরুজ্জামান, বাজেট ও অডিট অফিসার, মিজ্ ডজী ত্রিপুরা তথ্য অফিসার, সাগর পাল, সহকারী পরিচালক (চ:দা) সহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥ চলমান কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে ভেঙে গেলো রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নারানগিরিমুখ এলাকার হাজারো মানুষের পারাপারের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি। যার ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যাই ভুগছেন ওই পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার (৩০ মে) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের ফলে বাঁশের সাঁকোর মাঝখানে কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ফলে দুই পাড়ের জনগণ এই ব্রিজ দিয়ে পার হতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাশেদ, ইউচুফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজিজ মিয়াসহ এলাকাবাসীরা জানান, নারানগিরি ১নং পাড়ায় হাজারো মানুষের বসবাস। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শতশত ছাত্র-ছাত্রী এ সাকোঁটি দিয়ে পার হয়। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় গর্ভবতী মা সহ স্থানীয় জনগণরা। যা নিত্যদিনের কষ্টে পরিণত হয়েছিলো।
এছাড়া বেশ কয়েকবার ভারীবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি পারাপারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরে তারা নিজেদের সহযোগিতায় ব্রীজটি কোনভাবে মেরামত করে পারপার হয়। কিন্তু টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে গত রবিবার সাঁকোটি আবারো ভেঙে গেলো। এখন নারানগিরি মুখ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে বলে তারা জানান।
এদিকে ইতিপূর্বে এই বাঁশের সাঁকোটির দুর্দশা চিত্র নিয়ে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন করেছিলো। যার ফলে সাঁকোর জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারি অনুমোদন হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু কেন এখনো ব্রীজটি নির্মিত হচ্ছেনা, এতে হতাশ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, সম্প্রতি নতুন ব্রীজটির নির্মানের কাজ রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে রড সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় থমকে গেছে কাজটি। তবে আগামী জুনের পরে এই ব্রীজের টেন্ডার কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।
২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, এই বাঁশের সাকোঁটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি পারাপার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে সাঁকোর জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মিত হওয়া অনেক জরুরী।
এবিষয়ে এলজিইডির কাপ্তাইয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে সেতু নির্মানের কাজটি পিছিয়ে পরার ফলে এখনো অনুমোদন হয়নি সেতুটির নির্মান কাজ। তবে তিনি এই বিষয়ে, আবারো উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে ব্রীজটি নির্মাণে ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন।