বৈসাবীর ২য় দিনে রাঙ্গামাটিতে উপজাতীয়দের ঘরে ঘরে পাচঁনের আয়োজন

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বৈসাবী উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে ১২ এপ্রিল গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর পর আজ ১৩ এপ্রিল উৎসবের ২য় দিন পাহাড়ীদের ঘরে ঘরে চলছে আদিবাসীদের বিশেষ খাবার পাচঁন রান্নার আয়োজন। বৈসাবীর ২য় দিনে আদিবাসীরা অতিথিদের পাচঁন ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করবে।
পাচঁন হচ্ছে এমন একটি খাবার যা সর্বোচ্চ প্রায় ৫০টি বিভিন্ন ফল ও সব্জী দিয়ে তৈরী করা হয়। পাচঁন তৈরীতে সর্বনিু ২০-২৫  রকমের ফল ও সব্জী দিতে হয় বলে জানান আদিবাসীরা। তাদের ধারনা বছরের শেষ বা প্রথম দিনে এ পাচঁন খাবার খেলে বিভিন্ন প্রকারের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটিতে আদিবাসীদের প্রতিটি ঘরে তাদের ঐতিহ্যবাহী এ খাবার খেতে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকলেই মিলেমিশে বেড়াতে শুরু করেছে।
১৩ এপ্রিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন ঘরে ঘরে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাঁচন। তা দিয়ে দিন ভর চলে অতিথি আপ্যায়ন। একে বলে মুল বিজু। উৎসবের তৃতীয় দিনে চাকমা, ত্রিপুরারা গোজ্জাই পোজ্জা পালন করলেও ঐদিন মারমা সম্প্রদায় উদযাপন করে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা উৎসব।
১৬ এপ্রিল মারমাদের সাংগ্রাই পানিখেলার মাধ্যমে শেষ হবে বৈসাবি উৎসব। ১৪ এপ্রিল অন্যান্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১৩টি ক্ষুদ্র-নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী অনুষ্ঠানের শেষ হবে।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031