
॥ বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলকার একটি পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ এর সামরিক শাখা কেএনএ কমান্ডার’সহ দুই সদস্য নিহত হয়েছে। এ অভিযানে তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেল’সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আন্ত: বাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) এর সহকারি পরিচালক রাশেদুল আলম খান এর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে নিহতদের নাম ও পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এর কমান্ডার’সহ দুই সদস্য নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেল’সহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার। এছাড়া এ অভিযান চলমান রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, জেলার রুমা উপজেলার মুয়ালপি ও প্রাংশা পাড়ার মাঝামাঝি নাইতংঝিরি এলাকায় কেএনএফ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রুমা সেনা জোনের একটি বিশেষ টহল দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেনা টহল দলের উপর সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় কেএনএফ দুই সদস্য নিহত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত থেকে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দুর্গম পাড়ায় কেএনএফ’র অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এখনো পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চলমান রয়েছে। এঘটনায় বর্তমানে আশেপাশের এলাকার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার নয়টি উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় তারা। এই সংগঠনটির সঙ্গে দাফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর আলোচনার টেবিলেও বসে তারা। এ অবস্থায় জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা করে টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটায় সংগঠনটি। গেল দুই বছরে এ সংগঠনটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ৬ সেনা’সহ বিভিন্ন সময় ২৭ জন নিহত হয়। এঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কেএনএফ সন্দেহ দেড় শতাধিক লোকজনকে।