আমরা সেইফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন পরবর্তী দেশেই থাকতে চাই–ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা সেইফ এক্সিট চাইনা, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এদেশেই থাকতে চাই। আমি দায়িত্ব বুঝে দিয়ে আমার ঘরেই থাকব। তিনি বলেন, আমার বিদেশে ঘর নাই, আমি অত্যন্ত সাধারন জীবন যাপন করি, এদেশ আমাদের এটাই আমাদের শেষ ঠিকানা।আমরা স্বাভাবিক এক্সিট চাচ্ছি, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের যথাসময়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের যত প্রয়োজনীয় কাজ করাসহ, আইনশৃঙ্খলার বিষয়, প্রশাসন সবার সাথে যোগাযোগ আছে, আমরা এভাবে এগুচ্ছি। নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ এবং আমরা আশা করি এই নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার ইনক্লুসিভ হবে। আমরা আশাবাদি ফেব্রুয়ারীতে আমরা নির্বাচন দিয়ে আমরা একটা নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের আয়োজনে শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাদেক হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া সম্প্রীতি সমাবেশে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আগত নেদৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সম্প্রীতি সমাবেশে বেলা ১২টায় যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বৈচিত্রময় অঞ্চল, এখানে নানা সম্প্রদায়ের বসবাস। এই অঞ্চলে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, একটা ফুল দিয়ে কখনো বাগান তৈরী হয়না, অনেক ফুলের সমারোহে সুন্দর বাগান গড়ে তোলা যায়। ঠিক তেমনি এই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নানা সম্প্রদায়ের সকলকে মিলেমিশে একসাথে বসবাস করতে হবে। যদি সমস্যা তৈরী হয় সেটাও সকলে বসে সমাধান করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন রখে বলেন, আমি ধর্ম উপদেষ্টা কেন মন্দিরে যাই, বিহারসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের প্রতিষ্ঠানে যাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পূজা দেয়ার জন্য যাইনা। রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় কাজ নিরাপদে করতে পারছেন কিনা সেটা দেখতে যাই। এটা আমার দায়িত্ব। কারন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রত্যেক ধর্মের অনুসারী মানুষের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবেই আমি কাজ করছি, যতদিন দায়িত্বে আছি তা পালন করে যাব। সাধারন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য তিনি সকলকে আহবান জানান।
সভায় জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930