
॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় একই পরিবারের পাঁচজন ১১ হাজার কেভি ভোল্টজের বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়, এঘটনায় ওই পরিবারের আরো তিনজন আহত হয়েছেন। বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃতরা হলেন, যতিরঞ্জন চাকমার স্ত্রী কালামিলে চাকমা (৪৬) এবং ছেলে সত্য জীবন চাকমা (২৬) অন্যদিকে আহতরা হলেন, যতিরঞ্জন চাকমা (৬০), যতিরঞ্জন চাকমার বড় মেয়ে এন্টি চাকমা (২৯) এবং ছোট মেয়ে মেন্টিসোন চাকমা (১০)।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঘটেছে উপজেলার বেতছড়ি এলাকার বিভুতিরঞ্জন কার্বারী পাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এদিকে আহতরা বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পর বাড়ির পাশে বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে বিকট শব্দ হয়। এসময় কালা মিলে চাকমা ঘর থেকে বের হয়ে দেখার চেষ্টা করেন। বাড়ির উঠোন দিয়ে বয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ১১(এগারো) হাজার ভোল্টের ছিড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারের সাথে স্পৃষ্ট হন কালামিলে চাকমা। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে সত্য জীবন চাকমাও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থালেই মারা যান। এসময় স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্বামী যতিরঞ্জন চাকমা(৬০) আহত হন। এঘটনায় মেয়ে এন্টি চাকমা (২৯) এবং মেন্টিসোনা চাকমা গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎস কালামিলে চাকমা এবং ছেলে সত্য জীবন চাকমাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী কোকিলা চাকমা এবং মঞ্জু চাকমা জানান, বিদ্যুতের তারের দুরবস্থার কথা গত বছর থেকেই আমরা বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনদের বলে আসছি। বার বার বলার পরও কোন প্রকার কাজ হয়নি। এসময় সুপর্ণা চাকমা, অমরেশজ্যোতি চাকমা আরো জানান, বিদ্যুৎ বিভারের পুরো গাফিলতির কারণেই আজকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল আলম জানান, বিদ্যুতায়িতরা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এঘটনায় আহত আরো তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কাজে গাফিলতার অভিযোগ অস্বীকার করে দীঘিনালা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী অশোক কুমার দাশ জানান, কাজে গাফিলতির অভিযোগ পুরো ভিত্তিহীন। এটা একটা দূর্ঘটনা মাত্র।