আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠীতব্য নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী এস. এম. সিরাজদ্দৌলার সাক্ষাতকার

দৈনিক গিরিদর্পনের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: আপনাকেও শুভেচ্ছা ও আপনার মাধ্যমে গিরি দর্পনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শুভানুধ্যায়ীদেরও শুভেচ্ছা।
দৈনিক গিরিদর্পণ: আপনি অনেক বৎসর পূর্বে দৌলতপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশ্য তখন ইউনিয়ন কাউন্সিলের পরিধি পৌসভার মত এত বিস্তৃত ছিল না। চেয়াম্যান হিসাবে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে মেয়র নির্বাচনে আপনি কি ভাবে কাজে লাগাতে চান।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সুন্দর প্রশ্নের জন্য। দেখুন, আসলে জনসেবা এমন একটি জিনিস যার জন্য কোন পদ বা সম্মান বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ। এ কাজটি আপনি কোন প্রকার পদবীধারি না হয়েও পারেন। তফাৎ হলো এই যে, দায়িত্বটা যদি জনগন কর্তৃক একটি সংবিধান বা নিয়মের অধীনে অর্পিত হয় তা হলে আপনার কর্তব্য ও ক্ষমতা দুটোই আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে অনেকটা সহায়ক হবে। একটা কথা আছে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে, এমনকি রাষ্ট্রের চরিত্র পাল্টাতে পারে কিন্তু জনগনের পরিবর্তন হয় না। হাজার হাজার বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট জায়গার যে জনগন সে জনগনই থাকে। দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এই জনগনই নিয়ে কাজ করেছি। হয়তো নতুন প্রজন্মের অনেকের সাথে আমার নতুন পরিচয় হবে। যুগের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন লক্ষ্য স্থির করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা অবশ্যই আমাকে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
দৈনিক গিরিদর্পণ: নির্বাচন বিধি অনুযায়ি কোন প্রচার নির্বাচনি ওয়াদা প্রদান আইনগতভাবে বেআইনি ঘোষনা করা হয়েছে। তথাপি জন প্রতিনিধি নিকট জনগনের কিছু না কিছু প্রত্যাশা থাকে। ভোটারদের প্রত্যাশা নিয়ে আপনার ধারনা সম্পর্কে কিছু বলেন। প্রত্যাশা পূরনে আপনার পরিকল্পনাই বা কি?
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: একজন জন প্রতিনিধির নিকট জন সাধারনের প্রত্যাশা তো থাকবেই। জনসম্পৃক্ততার কারনে প্রত্যাশাটা আমার নিকট বেশী বই কম হবে না। কিন্তু সকল প্রত্যাশাতো পূরন সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নীতি, পরামর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ম্যানুয়েল অনুযায়ী একজন মেয়রের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব আমার সক্ষমতার সবটুকুই আমি জনগনের স্বার্থে উজাড় করে দিব। তবে একটা প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারি এলাকাবাসীর দোয়ায় আল্ল্হার রহমত যদি আমার উপর হয় তা হলে আমি অন্তত পৌরবাসীকে সন্ত্রাস, চাদাবাজীমুক্ত, নিরুপোদ্রব শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের সুযোগ করে দিতে পারব। মাস্তানী, জবরদখল, সরকারি, বেসরকারি ভূমি, নদী, খাল দখল ইত্যাদি দমনে আমি কঠোর ভূমিকা অবলম্বন করবো। থানার দালাল, টাউট ফড়িয়া, বাটপারের স্থান নাজিরহাট পৌর এলাকায় হবে না এটা আপনাদের আমি গ্যারান্টি দিতে পারি। মাদক, ইভটিজিং নির্মমভাবে দমন আমার নির্বাচনী ওয়াদা থেকে আমি কখনও বিচ্যুত হবো না। যুব সমাজকে কাজে নিয়োগের মাধ্যমে বেকারত্ব কমিয়ে আনতেও আমার নিরলস প্রচেষ্ঠা থাকবে। আমাদের নারী সমাজকে যৌতুকের যন্ত্রনাদায়ক বেদনা থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের সম্মানের সাথে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে আমার বিশেষ উদ্যোগ থাকবে। নারীর কর্মসংস্থানকেও আমি বিশেষ অগ্রাধিকার দিব।
দৈনিক গিরিদর্পণ: যতদূর জানি রাজনৈতিক মতাদ্দর্শের দিক থেকে আপনার অবস্থান বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মতাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়। নির্বাচিত হলে সরকারি সাহায্য, সহযোগিতা, অনুদানের সুযোগ লাভে এটা কোন সমস্যা হিসাবে দেখা দিবে বলে কি মনে করেন?
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: আমি একটি কথায় বিশ্বাস করি তা হচ্ছে “রাজনীতি যার যার এলাকার উন্নয়ন সবার”। রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভিন্নতার জন্য গনমানুষের উন্নতি, এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হবে এটা সুষ্ঠ জনকল্যানমুখী চিন্তাধারায় কোন মানুষ চিন্তাও করতে পারে না। তা ছাড়া পৌর সভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ নির্বাচনে রাজনীতির চাইতে স্থানীয় জনগনের আর্থিক, নৈতিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, জীবনমান, সুবিচার, নিরাপত্তা ইত্যাদি জীবন ঘনিষ্ঠ দাবীগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়। সেদিক থেকে আমি মনে করি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শে যেমন জন উন্নয়নমূলক কাজে প্রভাব ফেলবে না, তেমনি সরকারও আমার নিস্বার্থ কর্ম উদ্যোগে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। আমার এলাকায় সরকারি দল সমর্থক নেতা, কর্মীরা এ বিষয়ে উদারতার পরিচয় দিবেন বলে আমার বিশ্বাস।
দৈনিক গিরিদর্পণ: ভোটারদের একটি বৃহৎ অংশ নতুন প্রজন্মের তরুন, তরুনীদের নিয়ে গঠিত। এদের সবার একটি সাধারণ দাবী হচ্ছে চাকুরীর দাবি। একজন মেয়র প্রার্থী হিসাবে আপনি তরুন সম্প্রদায়ের এই দাবী পূরনে সম্ভাব্য কি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: উত্তরটি আমি আগের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দিতে চেষ্ঠা করেছি। তবে এখানে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, যুবক সমাজকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে না পারলে মাদকসক্তি, ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, খুন, প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্রুপে গ্রুপে দ্বন্দ ইত্যাদি যাই বলুন, তা থেকে নিবৃত করা সম্ভব নয়। একটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ, বিশেষ করে শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এবং বেশীর ভাগ পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারনে আমাদের ছেলে, মেয়েরা যুগেপযোগী উন্নত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। সে জন্য ভালো চাকুরী তাদের ভাগ্যে জুটে না। আমার ইচ্ছা, যাতে বছরে অন্তত এক হাজার ছেলে মেয়ের চাকুরীর সংস্থান হয় এই রকম একটি পরিকল্পনা গ্রহন করে ডির্জাবিং ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ সংস্থানের মাধ্যমে তাদের কাঙ্খিত জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া। এ জন্য এলাকার সামর্থবান সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।
দৈনিক গিরিদর্পণ: বিশ্বের একমাত্র মিঠা পানির নদী হালদা, মৎস্য প্রজননে ইহার অনন্য ভূমিকার জন্য ওয়াল্ড হ্যারিটেজের অন্তভূর্ক্ত। অথচ স্বল্প সংখ্যক দুস্কৃতকারি অতিলোভী ব্যবসায়ির প্রকৃতি বিরোধী বালুতোলা, ইঞ্জিন চালিত নৌকা ব্যবহার ইত্যাদির জন্য মৎস্য প্রজনন ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। মেয়র নির্বাচিত হলে এই দস্যুবৃত্তিতে লিপ্ত এই সকল দুবৃত্তদের হাত থেকে হালদাকে বাচাঁতে আপনি কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: আপনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন। হালদা বলতে গেলে নাজিরহাট সহ এই অঞ্চলের প্রাণ প্রবাহ। ইহা বিশ্বঐতিহ্যেরও একটি অংশ। হালদা যদি আমাদের না হয়ে ইউরোপ, আমেরিকার কোন একটি দেশের নদী বা খাল হতো, যেমন পানামা খাল, তা হলো শুধু এটিকে উপলক্ষ্য করে সে দেশের সরকার শত শত কোটি টাকা আয় করতো এবং এটিকে কেন্দ্র করে বিশাল ব্যবসা ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতো। কিন্তু আমাদের দুভার্গ্য নিজের সম্পদ, সৌভাগ্যকে আমরা যেন দু পায়ে ঝেটিয়ে বিদায় করতে সিদ্ধহস্ত। হালদার দু পাশের শিল্প কারখানার বর্জ্য, মানুষের নিত্যদিনের নিক্ষিপ্ত আবর্জনা এমন একটি সুপেয় পানি সমৃদ্ধ পৃথিবীর অন্যতম মৎস্য প্রজনন ও বিচরন কেন্দ্রকে আবদ্ধ দূষিত জলাশয়ের পরিনত করছে। মেয়র হলে আমার প্রথম কাজ গুলোর অন্যতম হিসাবে হালদাকে দূষনমুক্ত করা, পর্যায়ক্রমে ইহার দুপাড় থেকে মিল, কারখানা, ইটের ভাটা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া, বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দান বন্ধ, প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছের স্বাধীন বিচরনের প্রতিবন্ধকতা স্বরুপ ইঞ্জিন বোট চালনা রহিত করা ইত্যাদি কর্মসূচী গ্রহন করবো। তবে বলা যত সহজ কাজটি করা তত সহজ নয়। এ জন্য দল মত, ধর্ম, পেশা নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।
দৈনিক গিরিদর্পণ: পাহাড় নদী সমতলের সমন্বয়ে গঠিত প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি নাজিরহাট পৌরসভার অর্থনৈতিক উন্নতিতে পর্যটন একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই ব্যাপারে আপনার কোন বিশেষ ভাবনা আছে কি?
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: মোঘল, পাঠান সুলতানরা যখন চট্টগ্রামে প্রবেশ করে তখন তার নাজিরহাট, ফটিকছড়ির দুর্গম পথ ধরে এখানে প্রবেশ করে। ইহার নৈসর্গিক সুন্দরে অভিভূত হয়ে এখানে অনেকে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করে। এখানকার অনেক স্থানবাচক নামের সাথে আরবী, ফার্সী শব্দের উল্লেখ ইহাদের আগমনের সত্যতাকে সপ্রমান করে । অনেক পীর, দরবেশ, আউলিয়ার পূন্য চরন ধূলির স্পর্শে পবিত্র আমাদের এই জনপদ। এ সব কিছুকে নিয়ে একটি সমন্বিত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমার হাতে আছে।
দৈনিক গিরিদর্পণ: প্রায় সময় নাজিরহাট পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম আবদুল বারী চৌধুরী রোড ও কালভাটের বর্তমান বেহাল দশা। যা দেখলে মনে হয় না এই এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবে জেলা, উপজেলা, চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার কারো ভূমিকা আছে ? মেয়র প্রার্থী হিসাবে এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মেরামত সহ কার্পেটিং করা রাস্তায় উন্নীত করাকে আপনি জরুরী কর্মসূচী হিসাবে গ্রহন করবেন বলে আমরা আশা করি। আপনার মন্তব্য জানতে চাই।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: আবদুল বারী চৌধুরী রোড ও কালভাটের দুর্দশাগ্রস্থ করুণ ছবি একজন এলাকাবাসী হিসাবে আমাকেও মর্মাহত এবং লজ্জিত করে। আমি বুঝতে পারি না কেন নাজিরহাটের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি এতদিন ধরে মেরামত করা হলো না। সড়ক ও কালভার্টের মেরামত ও পুন:নির্মান সহ কার্পেটিং এর মাধ্যমে উন্নত, আধুনিক সড়কে পরিনত
করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দৈনিক গিরিদর্পণ: আপনি নিশ্চয় পত্র পত্রিকায় দেখেছেন যে, আপাদের তরুন সম্প্রদায়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ইয়াবা, পেনসিডিল, গাজা, সরস ইত্যাদি মাদকের নীল দংশনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। নাজিরহাট পৌরসভাও এর থেকে মুক্ত নয়। সমস্যাটিকে আপনি কি ভাবে দেখেন। এর থেকে মুক্তির উপায় বা কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: তরুনদের মাদকাসক্তি, ফেসবুকের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ছবি আদান- প্রদান, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজী, ইভটিজিং ইত্যাদি নৈতিকতা বিরোধী অসামাজিক কাজ থেকে বিরত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা যথেষ্ট নয়। তারা এ অপরাধমূলক কাজে কেন দ্রুত জড়িয়ে পড়ছে তাও দেখতে হবে। এখানকার তরুনদের খেলাধুলা, ক্লাব, মেলা, নাটক, সাহিত্য চর্চা, লাইব্রেরীতে বসে পড়া ইত্যাদির কোন সুযোগ নাই বললে চলে। রাজনীতির নামে অস্থিরতা, প্রতিহিংসা, অগনতান্ত্রিক আচরন ইত্যাদি এবং সর্বোপরি বেকারত্বজনিত হতাশা তরুনদের একটি বড় অংশকে অপরাধ প্রবণ করে তুলছে। যুবকদের জন্য খেলা ধুলা ও অন্যান্য বিনোদনমূলক আচার অনুষ্ঠান ও কর্মের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে এদের মাদাকসহ অন্যান্য অসামাজিক কাজ থেকে সরিয়ে আনতে আমার কর্ম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক গিরিদর্পণ: মীরসরাই, সীতাকুন্ড, আনোয়ারা ইত্যাদির মত নাজিরহাট পৌরসভাকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইকোনমিক জোন গঠনের কোন পরিকল্পনার কথা কি আপনার মাথায় আছে? থাকলে এ সম্পর্কে যদি একটু ধারনা দিতেন।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: এটি সরকারের অর্থনৈতিক পলিসির একটি অংশ। এর সাথে দেশী, বিদেশী পুজিঁ বিনিয়োগ, বিশ্ব বাজার ব্যবস্থা ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন জড়িত। তবে সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী দেশব্যাপী একশটি ইকোনমিক জোনের মধ্যে সরকার নাজিরহাট পৌরসভা এলাকায়ও যদি এ ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা চিন্তা করে তাহলে সে ব্যাপারে সরকারি নীতিকে সফল করতে মেয়র হিসাবে যা, যা করনীয় তার সবটাই করতে আমার আগ্রহের কমতি থাকবে না।
দৈনিক গিরিদর্পণ: শিক্ষা ও বিজ্ঞানের উন্নত আধুনিক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হত দরিদ্র মানুষের অবস্থার পরিবর্তনে আপনার কর্মসূচী সম্পর্কে যদি একটু বলতেন।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: একজন বিজ্ঞান সচেতন, আধুনিক চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ মানুষ হিসাবে আমি অবশ্যই বিজ্ঞানের সর্বশেষ আবিস্কারের সাথে এলাকার মানুষ, বিশেষ করে ছাত্র – ছাত্রীর ও যুব সম্প্রদায়ের পরিচয় করিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন ও মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় বিশেষ কর্মসূচী পরিকল্পনা গ্রহন করবো বলে আপনাদের আশ্বস্থ করতে পারি।
দৈনিক গিরিদর্পণ: আপনি অনেকদিন পূর্বে দু দুবার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আপনার কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের কথা আমাদেরকে বলবেন কী ?
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: চেয়াম্যান হিসাবে দু দুবার দায়িত্বপালনকালে আমি পারতপক্ষে এলাকার কোন বিরোধ বিসম্বাদে জড়িত পক্ষকে থানা বা আদালতে যেতে দেইনি। পক্ষগনের সম্মতিক্রমে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিয়েছি। যার ফলে আমার সময়ে ঝগড়া বিবাদ এক পর্যায়ে এতটাই কমে গিয়েছিল যে, মাসে দু একটির বেশী ঘটনা হতো না। হলেও তা আমরা স্থানীয় ভাবে সমাধান করে দিতাম। ইনশাআল্লা মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরএলাকার জায়গা, জমিসহ মারামারি, খুনাখুনির বিচার পৌর বিচারালয়ে সম্পাদিত হবে। থানা, আদালতে মামলা দায়েরকে নিরুৎসাহিত করা হবে।
দৈনিক গিরিদর্পণ: আপনার যাত্রাপথ শুভ হোক।
এস.এম. সিরাজদ্দৌলা: আপনার স্বাস্থ্য সমুজ্বল দীর্ঘায়ু কামনা করি।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31