যক্ষ্মা দূর করতে নাটাবের উদ্যোগে ‘হোটেল মালিকদের ভূমিকা’ র্শীষক মতবিনিময় সভা :: যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীতে সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে—সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যক্ষ্মা রোগ দূর করতে সম্মিলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আর সচেতন নাগরিক যদি যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে তা হলে দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি নাটাব রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে রাঙ্গামাটির ‘হোটেল মালিকদের ভূমিকা’ র্শীষক জেলা মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নাটাবের সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটির সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নাজের, বক্ষব্যধী ক্লিনিকের ভারপ্রাপ্ত কনসালটেন্ট ডা. সুশোভন দেওয়ান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন, নাটাবের সদস্য মোসলেম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, নাটাবের প্রোগ্রাম অর্গেনাইজার মোহাম্মদ হেলাল।
সভায় রাঙ্গামাটি সির্ভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার আরো বলেন, যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীতে সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তিন সপ্তাহের বেশি কাশি যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ। বর্তমানে প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নাটাব যক্ষ্মা কর্মসূচির উপর কাজ করছে। নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যক্ষ্মার ঔষধ বিনামুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। কাজেই তিন সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে যক্ষ্মা রোগ সনাক্তের জন্য নিকট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
তাই যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা সর্ম্পকে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে নাটাব যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভা, সমাবেশ, সেমিনার, র‌্যালি এবং রোগীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষক, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, ইমাম, কার্বারী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে জনসচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় বক্তারা বলেন, একজন এম.ডি.আর যক্ষা রোগী নতুন ১০০ জন যক্ষা রোগীকে আক্রান্ত করে। অতএব শুধু মাত্র টাকা দিয়ে চিকিৎসা করলেই সে যক্ষা রোগী ভাল হবে এমন কোন কথা নেই; সঠিক মাত্রায় ঔষুধ সেবন, পরিমান মত নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। সমাজে যদি গণর সচেতনতা না থাকে তাহলে দিনে দিনে যক্ষা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে, আপনাদের উচিত নতুন নতুন যক্ষা রোগী খুঁজে বের করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো। তা হলেই আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও যক্ষ্মামুক্ত করা সম্ভব। তাই সবাই মিলে দেশকে ভালোবাসি, সরকারী কাজে এগিয়ে আসি, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031