
॥ জগৎ দাশ,বাঘাইছড়ি ॥ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে, বুধবার ২৬ এপ্রিল রুপকারি ইউনিয়নের দোখাইয়া এলাকায় পাবলিকেলথ কতৃক টেন্ডারকৃত, রাঙামাটি জেলার ঠিকাদার মোঃরুবেল এর দুইটি নতুন রিংউয়েল স্থাপন করতে যায় তিন বাঙালী শ্রমিক।জানা যায়,৭/৮ জন উপজাতি সন্ত্রাসী তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে।চাঁদার টাকা অগ্রিম না দিয়ে কেন কাজ করতে গেছে তার জন্য লাটি সোটা ও কাজের জন্য নেওয়া রড দিয়ে তিন বাঙালী শ্রমিককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্ত্বক ভাবে আহত করেছে। এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ মারধর করে ওই স্থান থেকে তাদেরকে টেনে হেশরে পাহাড়ের গভির জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাদের স্থানিয় (ইউপিডিএফ)এর কর্মী বলে দাবী করেন।আহত শ্রমিকদে অবস্থা বেগতিক দেখে, পরে রাত ৮টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন, মোঃশাহ আলম(২৬)পিতাঃআলী হোসেন। মোঃ নুর আলম (২৮)পিতাঃজামাল হোসেন।তাজুল ইসলাম(৪৫)পিতাঃচাঁন মিয়া।উভয়ের গ্রাম, বাঘাইছড়ির পশ্চিম মুসলিম ব্লক। তারা বলেন, কোন ভাবে কষ্ট করে জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আসি।পরে পরিচিত কিছু লোকের সহযোগীতায় রাত ১০টার দিকে, বাঘাইছড়ি স্বাথ্য কমপ্লেক্সে তাদের ভর্তি করা হয়।কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের তাথকনিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করে।
আহত হওয়া শাহ আলম বলেন, তাদেরকে মারধর করা উপজাতি সন্ত্রাসীদের মধ্যে তিনজনকে চিন্নিত করতে পেরেছে।তারা হলো, আসেন্দু চাকমা,(২৪)পিতা অন্জ্যত চাকমা,গ্রাম বালুখালী। মটর চাকমা( ২৮)পিতা সিন্দুলাল চাকমা, গ্রাম মগবান।আমিক্কো চাকমা (২২)।
এব্যপারে ইউ,পি,ডি,এফ পরিচালক জুয়েল চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই। আমি বর্তমানে এলাকার বাইরে আছি। খোজ নিয়ে দেখবো, অন্যকেউ হয়তো ঘটনা ঘটাতে পারে। ইউ,পি,ডি,এফের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। বাঘাইছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যথা স্বীকার করে বলেন, আহতদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন আনুক ব্যবস্তা নেওয়া হবে। আহতদের অবস্থার উন্নতি হলে তারা মামলা করবে বলে জানিয়েছেন আহতদের স্বজনরা।