রাঙ্গামাটি পর্যটন আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু ২৮ দিন ধরে ডুবন্ত, দৈনিক রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় ২৮ দিন ধরে পানির নিচে ডুবে আছে রাঙ্গামাটি পর্যটনের আইকন ঝুলন্ত সেতু। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সেতু ভ্রমণ বন্ধ থাকায় দৈনিক ৩০-৪০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছেন, পানি সরে গেলে রক্ষণাবেক্ষন করে আবারো উন্মুক্ত করা হবে পর্যটক চলাচল। প্রতি বছর সেতু ডুবে যাওয়া রোধে সেতুটি আরও উঁচুতে স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই। ১৯৮৫ সালে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ ঝুলন্ত সেতুটিতে বছরে প্রায় ৫ লাখের বেশি দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। জনপ্রতি ২০ টাকা প্রবেশ ফি থেকে বাৎসরিক আয়ের অঙ্কে দাঁড়ায় প্রায় ৬০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ২ থেকে ৩ মাস পানি নিচে ডুবে থাকে। দর্শনার্থী পর্যটকদের দাবী থাকলেও এর স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত। গেল কয়েক দিনের বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় গেল ৩০ জুলাই সেতু ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন কর্তৃপক্ষ। এতে গত ২৮ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সেতু ভ্রমণ। এতে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে এসে পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন হতাশ হয়ে।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, গেল ৩০ জুলাই সেতু ডুবে যাওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একই স্থানে একটি আধুনিক সেতু নির্মাণে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এটি হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। তবে ১০৭ ফুট হলেই ডুবে যায় পর্যটনের আকর্ষনীয় এই ঝুলন্ত সেতু।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031