বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রাঙ্গামাটির পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজন এখনো ঝুঁকিতে

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বর্ষা মৌসুমে রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি পাত অব্যাহত থাকায় রাঙ্গামাটির পাহাড়ের পাদদেশে থাকা লোকজন এখনো চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব লোকজনকে সরিয়ে নেয় না হলে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকি থেকে যাবে।
এদিকে রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ছেন দুর্গতরা। অনেকে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন বাড়িঘরে। কেউ কেউ যাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি। আর আশ্রয় কেন্দ্র স্থানান্তর করে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অন্যদের।
আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা পাহাড় ধসে গৃহহীন লোকজনকে স্থানান্তর করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান। তিনি জানান বর্তমানে ১৯ আশ্রয় কেন্দ্র গুটিয়ে ৪টিতে স্থানান্তর করে আশ্রিতদের সরিয়ে নেয়া হবে। যে চার স্থানে নেয়া হবে সেগুলো হল-রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম ও জিমনেসিয়াম, রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস।
১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় প্রান হারায় শিশু ও নারী পুরুয় সহ ১২০ জন। ঘর বাড়ি, সহায় সম্বল ও স্বজন হারিয়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নেয় শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে। পাহাড় ধসের পর ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয় তাদের। এসব লোকজনের বেশিরভাগই শহরের মুসলিম পাড়া, রূপনগর ও শিমুলতলীর বাসিন্দা।
ঘটনার ২০ দিন পর এখন অনেকে স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে। তাদের কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন নিজেদের বসতভিটায়। আর কেউ গিয়ে উঠছেন আত্ময়-স্বজনের বাড়ি। লোকজন চলে যাওয়ায় ফাঁকা হয়ে পড়ছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।
এদিকে, রাঙ্গামাটির পাহাড় ধসের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে ত্রান মন্ত্রনালয়ের একটি ১৬ সসদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি আসছেন। প্রতিনিধি দল রাঙ্গামাটির ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ঘটনার কারন অনুসন্ধান সহ ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনে সুপারিশ দেবেন।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031