॥ শ্যামল রুদ্র,রামগড় ॥ শক্তি দিয়ে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দমন করা যাবেনা, চাই সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা। রামগড় ৪৩, বিজিবির উদ্যোগে “চাঁদাবাজিই শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, বিজিবির রামগড় জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল এম জাহিদুর রশীদ পিএসসি। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এলাকার আইন শৃংঙ্খলা বিঘœ ঘটাচ্ছে। এর থেকে উত্তরণে পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সন্ত্রাসীদের সাথে কোন ধরনের আপোষ হবেনা। তিনি উপস্থিত সকলকে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস দমনে সময়মত সঠিক তথ্য দিয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১ টা থেকে বিকাল ২-৩০টা পর্যন্ত রামগড় ৪৩,বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, রামগড় ৪৩, বিজিবির জোন উপ-অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন কবীর, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-মামুন মিয়া, রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মো. নুরুল আলম, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিনসহ এলাকার হেডম্যান-কার্বারী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস পার্বত্য এলাকার সকল নাগরিকের জন্য সীমাহীন আতংকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার প্রমান রামগড় উপজেলায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা। মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসীর বেপরোয়া চাঁদাবাজীর কারণে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা পাহাড়ী-বাঙ্গালি ঐক্য ও সম্প্রীতি আজ বিনষ্ট হওয়ার পথে। পাহাড়ে বসবাসকারী সাধারন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা আজ হুমকির মূখে। তাই পাহাড় থেকে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। বক্তারা অচিরেই রামগড় উপজেলার দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা ও নিরাপত্তা ফাঁড়ি স্থাপনের কথা উল্লেখ করেন।
মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও হেডম্যান-কার্বারীগণ উপস্থিত ছিলেন।