চালের দাম নিয়ে কোনো হা-হুতাশ নেই: খাদ্যমন্ত্রী

বাজারে ৪২ টাকার কমে চাল না মিললেও বাঙালির প্রধান এই খাদ্যশস্যের দামসবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেরয়েছে এবং নিয়ে মানুষের কোনোহাহুতাশনেই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম

বাংলাদেশে চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা কমার মত অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনাও তিনি দেখছেন না।

সচিবালয়ে বুধবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ট্যাক্স কমানোর ফলে বাজারে চালের দাম অবশ্যই আরও কমবে। বাজারে চালের দাম খুব একটা বেশি নাই, এখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। সবার কাছে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে, এখন বাজারে দাম এ রকম বেশি না।”

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টিসিবি বলছে, বুধবার ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায়।

তবে গত শুক্রবারও ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে মোটা চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখেছেন আমাদের প্রতিবেদকরা।

চালের দাম ৪০ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা আছে কি-না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনার এত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। আমি বললাম তো যে, কোনো রকম মানুষের মধ্যে কোনো হা-হুতাশ নাই। মানুষের মধ্যে কোনো ক্রাইসিস নাই, মানুষ কোনো উৎকণ্ঠিত না।

“(চালের দাম) ১০ টাকা, ৮ টাকা কমার মত কোনো অবস্থা বাংলাদেশে হওয়ার মতো কোনো সম্ভাবনা নাই।… চালের দাম এখন সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে। এ নিয়ে কোনো রকম হা-হুতাশ নাই… একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে।

ঘোষণা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ১০ টাকা দরে দেব। কোনো রকম কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার কোনো কারণ নাই। প্রশ্নই ওঠে না কোনো কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার।”

গতবছর প্রথমবারের মত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর পর ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে সাড়ে সাত লাখ টন চাল বিতরণ করা হয়েছিল। এপ্রিলে আগাম বন্যার পাশাপাশি ওই কর্মসূচিকেও চালের মজুদ তলানিতে নেমে আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়।

এ অর্থবছর সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টন চাল এবং ৫ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে কামরুল বলেন, “একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এই আমদানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এই কারণে না যে আমরা খাদ্য সংকটে আছি। কোনো রকম খাদ্য সংকট নাই। আমাদের গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য আছে, বাজারেও পর্যান্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য আছে।”

বর্তমানে সরকারি গুদামগুলোতে ২ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন চালের মজুদ রয়েছে, যা গতবছর এপ্রিলে ছিল সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031