একটু উষ্ণতা পেলে কেমন হয়? ভাবছেন তো সামনেই পুজো৷ তার পরই শীত৷ আর সেই শীতে উষ্ণতার ছোঁয়া পেলে মন্দ হয় না। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? না সবসময় তা হয়তো পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু সময় বের করে নিলে কিন্তু সব কিছুই সম্ভব। দিঘা-মন্দারমনি নয়, হাতের কাছে এমন কয়েকটি পার্ক রয়েছে যেখানে একটু গেলেই মিলবে উষ্ণতার ছোঁয়া। শুধু সময় করে বার করে নিতে হবে ঘন্টাখানেকের সময়। কি ভাবছেন শীতের দুপুরে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে নিয়ে চলে যান একবার সেখানে। রইল আপনার জন্যে বেশ কয়েকটি এমনই পার্কের নাম। যেখানে আড়ালে-আবডালে কিংবা গাছের কুটুরিতে মিলবে একটু উষ্ণতার ছোঁয়া!
সেন্ট্রাল পার্ক ( সল্টলেক)- খুব একটা দুড়ে না। সল্টলেক করুণাময়ী একাবারে কাছে সেন্ট্রাল পার্ক। যেখানে ঢুকতে খরচ করতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। আর যদি ঢুকে পড়েন তাহলে তো আর রক্ষে নেই। উষ্ণতার ছোঁয়া পাবেনই পাবেন। শুধু আপনিই নয়, দেখবেন গাছের ঝোপে কিংবা আড়ালে-আবদালে কত কিছুই না চলছে।
ইলিয়ট পার্ক (পার্ক স্ট্রিট)- শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে এই পার্ক। এখানকার সুসজ্জিত গাছের ঝোপ প্রেমিক-প্রেমিকাদের অন্যতম আকর্ষণ। তাই সকালে পার্ক খুলতেই ভিড় বাড়তে থাকে কপোত-কোপতিদের। সময় করে আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একবার ঘুরেই আসতে পারেন।
প্রিন্সেপ ঘাট ( বাবুঘাট)- মমতা আসার পর সুন্দর করে প্রিন্সেপ ঘাটকে সাজিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে নৌকা বিহারও। নৌকার মধ্যে প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মাঝ গঙ্গাতে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। যদিও এজন্যে একটি বেশি বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে।
নলবন– সেক্টর ফাইভের একবারে শেষপ্রান্তে একটা সুন্দর জায়গা। গাছগাছালিতে ভরা, সামনে বিশাল ঝিল। সঙ্গে ঝিলে নানা বিনোদনের নানান ব্যবস্থা। রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি হোটেলও। থাকা না গেলেও খাওয়াদাওয়া বেশ জম্পেশ। একবার মনের মানুষটাকে নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।
ইকো পার্ক– রাজারহাট-নিউটাউনের বুকে বিস্তির্ন এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন পার্ক। যেখানে একাধিকে যেমন রয়েছে বিশাল জলাশয়, তেমনই রয়েছে সুন্দর রেস্তোরাও। এমনকি, জলাশয়ের বুকে ভাসমান হোটেল সহ একাধিক বিনোদনের ব্যবস্থাও। যদি আরেকটু সময় কাটাতে চান আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে তাহলে অবশ্যই বুক করতে পারেন হোটেলও। বিশাল জলাশয়ের পাশেই সুন্দর থাকার জায়গা। যদিও এর জন্যে বেশ বাড়তি করি খরচ করতে হবে আপনাকে।