এই সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানিতে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সার্বিক রপ্তানিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে; তবে তা চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য (০.০২ শতাংশ) পিছিয়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি থেকে প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের (জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি-২০১৮) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এতে দেখা যায়, গেল অর্থবছরে (২০১৬-১৭) প্রাথমিক ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য পূরণে প্রথম আট মাসেই ২৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা ছিল।
তবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে রপ্তানি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম।
অবশ্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ইপিবির প্রতিবেদনে।
চলতি অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি করে ৩০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে বেশ সাফল্য পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১৯ দশমিক ৬২ বিলিয়ন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে রপ্তানি হয়েছে ২০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ওভেন খাতে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এলেও নিটওয়্যার খাতে এসেছে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
রপ্তানি নিয়ে সন্তুষ্ট বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিগত অর্থবছর পোশাক রপ্তানির জন্য খারাপ গেলেও এবার এই খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তৈরি পোশাকখাতে প্রবৃদ্ধির এই ধারা অবশ্যই ইতিবাচক।
“গত বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা যেখানে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখিনি, সেখানে এই মাসে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আছে। এর মানে হচ্ছে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম। আশা করছি, চলতি বছরের বাকি সময়টাতে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।”
চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্য ৯৬ মিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য থাকলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬৪ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২ শতাংশ পিছিয়ে আছে এই খাত। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম ২১ শতাংশ।
একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ পিছিয়ে আছে।
তবে এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি। প্রায় ৩৮৩ মিলিয়ন ডলারের চিংড়ি, হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।