\ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি \ আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা সকল স্থাপনার নাম ফলক মূছে ফেলে আদালতের রায় কার্যকর করা, পাহাড়ি সংগঠনগুলোর অপহরণ, খুন, গুম ও চাঁদাবাজি বন্ধ ও ব্যারিস্টার দেবাশীয় রায় ও তার পতœী ইয়েন ইয়েন’র রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ও অপহৃত বিএনপির নেতা চাইথুই মারমাকে উদ্ধারসহ চার দফা দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
সোমবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে আদালত সড়ক ঘুরে চেঙ্গী স্কোয়ারে সমাবেশ করেছে। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, পার্বত্য অধিকার ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা আহŸায়ক মো. মহিউদ্দীন, জেলা যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা সহ-সম্পাদক রবিউল হোসেন, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আলম, দপ্তর সম্পাদক মৃদুল বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক শাহীন আলম, খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম, টেকনিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি সোহেল আরিয়ান ও সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক জাহিদুল ইসলাম, দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি আলামীন হোসেন, পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও পৌর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, রাজাকারপুত্র ব্যারিস্টার দেবাশীয় রায় ও তার পতœী ইয়েন ইয়েন’র উগ্র সা¤প্রদায়িক উস্কানিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে পাহাড়ে জুম্মল্যান্ড বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। তার পৃষ্টপোষকতায় পাহাড়ি সংগঠনগুলোর অপহরণ, খুন, গুম ও চাঁদাবাজিসহ নানা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা সকল স্থাপনার নাম ফলক মূছে ফেলতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আগামী ২৬ শে মার্চ’ স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে কার্যকরের দাবী, রাজাকার ও স্বীকৃত যোদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের পুত্র ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায় ও তার পতিœ ইয়েন ইয়েন কর্তৃক মিথ্যা কথিত ধর্ষণ নাটক সাজিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে বিষবাষ্প ছড়ানোর প্রতিবাদ ও বন্ধের দাবী, উপজাতিয় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙালি ও উপজাতিয় নারী ধর্ষণ, খুন/ঘুমের প্রতিবাদ ও বিচার দাবী, সশস্ত্র উপজাতিয় সংগঠন কর্তৃক লাগাতার অপহরন ও খুন/ঘুমের বিচার করা সহ ৪ চার দফা দাবীতে গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার সময় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হতে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা সদরের চেঙ্গি স্কোয়ার মোড়ে এসে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রিয় আহবায়ক ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মো: মাঈন উদ্দীন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব ও বৃহত্তর পার্র্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, জেলা সহ-সভাপতি মো: মহিউদ্দিন,বহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা যুগ্ন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সম্পাদক রবিউল হোসেন, জেলা সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আলম, জেলা দপ্তর সম্পাদক মৃদুল বড়–য়া, জেলা প্রচার সম্পাদক শাহীন আলম, খাগড়াছড়ি কলেজ সম্পাদক ইব্রাহিম, টেকনিক্যাল কলেজ সভাপতি সোহেল আরিয়ান ও সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক জাহিদুল ইসলাম, দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি আলামীন হোসেন, পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ন সম্পাদক মাসুদ রানা, মানিকছড়ি স. কলেজ সহ সভাপতি মো: কামাল ও সা.সম্পাদক মো: ফরিদুর রহমান, পৌর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও ভূয়াছড়ি ইউনিয়ন সম্পাদক আব্দুস সালাম সহ অন্যান্য শাখার নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মো: মাঈন উদ্দীন বলেছেন, আত্ব স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী ও পার্বত্য এলাকার অন্যতম রাজাকার ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে সরাসরি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। হত্যাকরেছেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের রাঙ্গামাটির এসডিও আব্দুল আলী কে। আব্দুল আলী নেতৃত্বে ১৬ ই এপ্রিল ১৯৭১ সালে রাঙ্গামাটিতে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় দল। এটি ত্রিদিব রায় টের পেয়ে চট্টগ্রামের নতুন পাড়ায় অবস্থিত তৎকালীন পাকিস্তানী ইস্টবেঙল রেজিমেন্টের সেনা অফিসার দের সাথে গোপন বৈঠক করেন। ত্রিদিব রায়ের নেতৃত্বেই হানাদারদের দুটি দল চুপি সারে অবস্থান নেয় রাঙামাটিতে। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার নেতৃত্ব দেন এই ত্রিদিব রায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করার অপরাধে এসডিও আবদুল আলীকে রাঙ্গামাটি তৎকালীন পুলিশ লাইনে আটকে রেখে শরীরে বেøড দিয়ে খচিয়ে খচিয়ে লবণ লাগিয়ে নির্যাতন করা হয়। অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের ভয় দেখাতে আবদুল আলীকে রাঙামাটির জনসম্মূখে ঘুরানো হয়। পার্বত্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাও নির্যাতনের অসংখ্য চিত্র যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের নিজের লেখা আত্বজীবনী ‘ডিপার্টেড মেলোডি’ এবং তৎকালিন চাকমা লেখক শরবিন্দু চাকমার লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ বই তে এই সকল হত্যাকান্ডের কথা লিখেছেন। ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও রাঙ্গামাটিতে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে ত্রিদিব রায়। তার নির্দেশেই বান্দরবানেও মায়ানমারে পতাকা উত্তোলন হয়।
এই সবের উদ্দেশ্য হলো ত্রিদিব রায় বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ^াস করেনা। তাই সে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমে রেঙ্গুন হয়ে সরাসরি পাকিস্তানে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতার জন্য পাকিস্তান সরকারের বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত হয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হন। বাংলাদেশকে যাতে জাতিসংঘ স্বীকৃতি না দেয় সে জন্য ত্রিদিব রায়ের নেতৃত্বে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিত দল জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিরোদ্ধে আপত্তি জানায়।এত কিছুর পর বাঙলাদেশ এই রাজাকারের বিচারে তেমন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়নী। কিন্তু অত্যন্ত দু:খজনক হলেও সত্যি যে অনেক জল্পকল্পনার পর ২০১২ সালের একটি রিটের পরিপেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর রাজাকারের নামে থাকা সকল নাম ফলক মূচে ফেলার নির্দেশ দেন। তবুও এটি কার্যকর না হওয়ায় ২০১৭ সালের ২১ মে আবার পরবর্তি ৩ মাসের মধ্যে রায় কার্যকরের আদেশ দিলেও এটিও অতিতের ন্যায় চুপ হয়ে যায়। সকল বাধাবিপত্তি ও ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে আগামী ২৬ শে মার্চের মধ্যে জঘন্য এই যুদ্ধাপরাধীদের নাম ফলক মুচে ফেলে পার্বত্য এলাকাকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে।
এস মাসুম রানা বলেন, রাজাকার ত্রিদিব রায়ের অপকর্মকে আড়াল করতেই তার পুত্র দেবাশিষ রাষ ও মামানমারের রাখাইন হতে আগত ইয়েন ইয়েন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে নিজেদের সাম্্রাজ্য রক্ষায় ও তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন গুলোর হত্যা খুন গুম ,ধর্ষণ অপহরনের ঘটনা কে ধামাচাপা দিতেই বিলাইছড়ির দুই মার্মা কিশোরীকে ধর্ষিতা বানিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অন্যতম কারন হলো রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে থাক সকল স্থাপনা গুলো মুছে ফেলার জন্য হাইকোর্ট কর্তৃক গত ২০১৬ সালে নির্দেশ কে প্রতিহত করা,নিজেদের সাম্্রাজ্যবাদী শোষন টিকিয়ে রাখা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়ের মানুষের মাঝে সহানুভূতি অর্জন করা। তারা পাহাড়ে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙা সৃষ্টি করে পাহাড়কে অশান্ত করে নিজেদের পায়দা হাসিলের লক্ষ্যেই এই ধরণের মিথ্যা ধর্ষণ নাটক সাজিয়ে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় স্বার্থবাদী এই সকল কথিত মানবাধিকারের ইস্যু গুলো একতরফা ও নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য পরিচালিত করা হয়। কল্পিত স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের সাম্্রাজ্যের সৈনিক উপজাতি সংগঠন গুলো কর্তৃক ধারাবাহিক হত্যা,গুম/খন ও ধর্ষণ এবং অপহরণকে ধামাচাপা দেওয়ার একটি পরিকল্পিত আন্দোলন। এরা এখানে মানবাধিকার ও মানবতার জন্য দেবাশিষ ও তার পত্বি ইয়েন বা কথিত মানবাধিকার কর্মীরা কখনোই প্রতিবাদ করেনী। কাজ করলে গত ২৯ মে সে কলেজে ভর্তি জন্য স্কুলে সনদ আনতে ও মোবাইল রিচার্জ করতে বাঙালির দোকানে যাওয়ার অপরাধে বিলাইছড়ি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্তৃক আয়না কে অপহরন ও গনধর্ষণ করেন এই ঘটনায় কি এই সকল কথিত মানবতাবাদি ব্যক্তিরা প্রতিবাদ করেছেন?
গত বছরে বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছাড়িতে বৌদ্ধ বিক্ষু উসরী কর্তৃক ১১ মার্মা কিরোরীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের পর তাদের মায়ানমারে পাচারের সময় ধরা পড়েন আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে। গত ২০১৬ সালের ১৮ ই নভেম্বার কতুকছড়ি হতে ছোসনা চাকমা কে অপহরণ করে ইউপিডিএফ।তাকে শিকল দিয়ে বেধেঁ রেখে প্রায় ৬ মাস ধরে মধ্যযুগীয় কাযদায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর সে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। গত ২০১৪ সালে উপজাতিয় সংগঠনের কর্মী মুক্তি কাউন্সিলের সদস্য রেটিনা চাকমা কে ঢাকা হতে অপহরণ করে ইউপিডিএফ। সে ও তার স্বামী প্রথম আলোর সাংবাদিক সৈকত ভদ্র দুজনেই মানবাধিকার নিয়ে কাজ করত। এমন লোমহর্ষক কোন ঘটনা নিয়ে দেবাশিষ, ইয়েন ইয়েন ও তথাকথিত কোন মানবাধিকার সংগঠনের নিন্ধাও প্রকাশ করেনি।
বক্তরা আরো অভিযোগ করে বলেছেন, রাজাকার পুত্র দেবাশিষ রায় ও তার পতিœ ইয়েন কর্তৃক কথিত ইস্যু সৃষ্টি ও উগ্র সাম্প্রদায়িক উপজাতি সংগঠনগুলোর আন্দোলনের নামে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পবাষ্প ছড়ানো সবই পাহাড়ের অরাজক ও অগনতান্ত্রিস পরিস্থিতিকে আড়াল করা। উপরোক্ত ঘটনা গুলোর কোন প্রতিবাদ না করার অন্যতম কারণ হলো উপজাতি সংগঠন গুলো দেবাশিষ রায়ের সাম্্রাজ্য রক্ষার জন্যই কাজ করছে। গত ২০১৬ সালের নভেম্বরে মানিকছড়ির আমেনা বেগম কে রাতের আধারে ১০-১২ জন উপজাতিয় যুবব অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করে। গত ৭ বছরে কয়েকশত বাঙালি মেয়েকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে উপজাতিয় যুবক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১২ সালের ১৩ ই জুন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙার পলাশপুরে কুলসুম আক্তার (১২) কে গনধর্ষণ করে মোহন ত্রিপুরা সহ চার উপজাতিয় যুবক ।২৩ জুুলাই জেলার মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে শাহিদা আক্তার(৫৫) নামের গৃহবধুকে গরু খুঁজতে জঙ্গলে গেলে লাব্রেচিং মার্মা ও মাউশিং মার্মা মিলে গনধর্ষণ করে। ৯ অক্টোবর মহালছড়ির শশ্মানখোলায় শামুসন নাহার(৩০) কে ধর্ষণ ও কুপিয়ে জঘম করে এক উপজাতি যুবক।
২০১৩ সালের ৪ ফেব্রæয়ারী খাগড়াছড়ির আলুটিলাস্থ ইমাং রেষ্টুরেন্টে রামগড় হতে জোর পূর্বক অপরহরণ করে আটক রেখে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৫) কে হোটেল কর্মচারি রাহুল ত্রিপুরা ও চার পাঁচ জন উপজাতিয় যুবক মিলে গন ধর্ষণ করে।১৩ ই ফেব্রæয়ারী জেলার মহালছড়িতে থলিপাড়ায় মহালছড়ি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী মিতা সরকারকে শ্লীলতা হানী করে উপজাতিয় যুবক রামরু মার্মা।১৮ ই মার্চ স্বাধীনতার মাসে জেলার খুইমারার রামসু বাজার হতে ফেরার সময় ফেরদৌসী বেগম(৩৫)কে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতা হানী করে উপজাতীয় মোটর সাইকেল চালক অংচল মার্মা।৩০ এপ্রিল বান্দরবান জেলার আলী কদমে গুড়রঝিরি এলাকায় তামাক শ্রমিক মোসা: হুরাইরা (২৬) নামের গৃহবধুকে ধর্ষণ করে ঐ ক্ষেতের মালিক উপজাতিয় যুবক মংচিং মারমা(৩০)। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় গাজী নগরে বাঙালি কিশোরী সাবিলা আক্তার(২৪)কে উপজাতীয় যুবক কৃঞ্চমোহন ত্রিপুরা সহ চারজন মিলে অপহরণ করে নেওয়ার সময় আটক একজনকে আটক করে জনতা।৮ এপ্রিল বান্দারবানের আলী কদমে সেলতিপাড়া এলাকায় পাখি আক্তার (৩৫) নামের বাঙালি গৃহ বধুকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষন চেষ্টা ও শ্লীলতাহানী করে উপজাতীয় যুবক সামারী মার্মা। একই বছরে ২৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে সদর খিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাঙালি শিশু ছাত্রী রুনা আক্তার (৭) বাড়িতে ফেরার সময় একই বিদ্যালয়ের রাজ কুমার চাকমা(১২) ধর্ষণ করে। ঐ বছরের আলোচিত ঘটনা ছিল দীঘিনালার মেয়ে দীপা ত্রিপুরা(১৮) কে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ইউপিডিএফ কর্তৃক অপহরণ ও গণধর্ষন করে। উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা গুলোর প্রতিবাদ না করাতে দেবাশিষ ও ইয়েন ইয়েন এর প্রতি ধিক্কার জানান।
এর পুর্বে চার দফা দাবীতে গত ১০ ই মার্চ সাংবাদিক সম্মেলন,১২ই মার্চ মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং ১৪ ই মার্চ জেলা প্রশাসক বরাবর ১২ ঘন্টার আল্টিমেটা দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। ২৬ শে মার্চের মধ্যে আমাদের দাবী আদায় না হলে আগামীতে বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য অধিকার ফোরাম হরতাল অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি দিবে। ৪ (চার)দাবী সমুহু হচ্ছে। ১। আগামী ২৬ শে মার্চের মধ্যে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা সকল সড়ক ও স্থাপনার নাম ফলক মুছে ফেলতে দেওয়া আদালতের রায় কার্যকর করতে হবে। ২। রাজাকার পুত্র দেবাশিষ রায় ও তার পতিœ ইয়েন ইয়েন কে পাহাড়ের একতরফা, উগ্রসাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং পাহাড়কে জুম্মল্যান্ড বানানোর অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সকল পদপদবী থেকে সড়াতে হবে। ৩। পাহাড়ের উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙালি নারী ও সকল ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্দ্যোগ নিতে হবে। ৪। উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ কর্তৃক গত ৪ ই মার্চ’ ১৮ ইং তারিখে অপহৃত চাইথুই মার্মা সহ সকল অপহৃত ও গুম হওয়া মানুষকে উদ্ধারে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আগামী ২৫ শে মার্চ রোজ রবিবার যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়, নব্য রাজাকার দেবাশিষ রায় ও তার পতিœ ইয়েন ইয়েন এর কুষপত্তলিকা দাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।