॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন অষ্টম বর্ষে পদার্পণ উৎসব পালিত হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। এ উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিন পার্বত্য জেলা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু পত্রিকাটির জন্মদিনের কেক কাটেন।
দৈনিক বাংলাদেশ রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি ফাতেমা জান্নাত মুমু’র সঞ্চলনায় এতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক মকছুদ আহমেদ, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছাদেক আহমেদ, রাঙ্গামাটি পৌর প্যানাল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন, কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান বাবু, কাউন্সিলর মো. করিম আকবর, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. অলি আহমেদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিএইচটি নিউজ২৪.কমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এসএম শামসুল আলম, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, জার্নালিষ্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি শান্তিময় চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুরসহ রাঙ্গামাটি স্থানীয় ইলেকট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের ৭বছর পূর্তি ও অষ্টম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এ অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষির জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। একটা সময় অন্যান্য জেলার তুলনায় শিক্ষা দীক্ষা, ব্যবসা, বাণিজ্য ও চাকরী ক্ষেত্রে এ অঞ্চল অনেক পিছিয়ে ছিল। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমগুলো পার্বত্যাঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের চিত্র বদলে গেছে। উন্নয়নের জোয়ার বয়তে শুরু করেছে এ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব জয় করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। শুধু তাই নয় পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের মনেও বহু আগে স্থান পেয়েছে এ পত্রিকাটি। তিনি পার্বত্যাঞ্চলকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে এলাকার উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীদের কথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতি আহবান জানান।
এর পর বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।