চট্টগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ন্যাযদাবী তথা শিক্ষার্থীদের বিবিধ সমস্যা সমাধানকল্পে, পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে বাণিজ্যিকীকরণের হীন প্রক্রিয়া বন্ধ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত ফি’র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করা, ছাত্র/ছাত্রীদের পরিবহন ভাড়া অর্ধেক করা, বিসিএস, মেডিকেল, বুয়েটসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও এস.এস.সি-এইচ.এস.সি সহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা সমূহের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, পরীক্ষা চলাকালীন সময় যানজট নিরসন, বাজেটে শিক্ষাখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে সৃজনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্র সংগঠন হিসেবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের পক্ষে এ অবস্থাপনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের কাছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অদ্য ২ জুলাই, ২০১৮ইং সকাল ১১ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ’র নেতৃত্বে মহানগর ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেনের হাতে উক্ত স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন। এসময় অন্যান্যর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহাগর ছাত্রদল নেতা এস.এম. রোম্মান আজফার, সামিয়াত আমিন জিসান, মোঃ হানিফ, এন মোহাম্মদ রিমন, শাহাদাত হোসেন নাবিল প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ জেলা প্রশাসককে অবহিত করে বলেন, বর্তমানে শিক্ষা নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য, যে দেশে এখনো সঠিকভাবে জীবিকা নির্বাহের লক্ষ্যে সংগ্রাম করতে হয়, সে দেশে মানুষের জীবন ধারার উপর বর্ধিত কিছু চাপিয়ে দিয়ে তার সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের পথকে রুদ্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার সমূহ যেসকল কল্যাণ মূখী পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের জন্য সুগম পথ তৈরী করে রেখেছে তাতে তাদের শিক্ষার হার যেমন উর্ধ্বের দিকে তেমনি দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিও উর্ধ্বমুখী। অথচ আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্যের সুবিশাল আয়োজন। শিক্ষা আজ ব্যবসায়িক পণ্যতে পরিণত হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন রক্ষার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উদাসীন। মেধা বিকাশের উন্মুক্ত পাঠশালা আজ এক শ্রেণীর মহল বিশেষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের চাবিকাঠি। সম্প্রতি এস.এস.সি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে অবর্ণনীয় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিভিন্ন কলেজে ভর্তি ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে, যা অনেক পরিবারের জন্য নিতান্তই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলশ্র“তিতে দারিদ্র সীমার নিচে থাকা পরিবারের মেধাবী সন্তানেরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবার ঝুঁকি তৈরি হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ ধরণের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার নামে বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধীতা করে আসছে এবং আজ আপনার মাধ্যমে আমরা এ অব্যবস্থাপনা ও শিক্ষাখাতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই। অনতিবিলম্বে চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের দখল দারিত্ব ও টেন্ডারবাজি বন্ধ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্বিঘেœ পড়ালেখা করার ও ক্যাম্পাসে যাওয়ার নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ জন্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আপনার নিকট আবেদন জানাচ্ছে যে, অতি দ্রুত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার তাদের কাছে ফেরত দেওয়া হোক।