জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ রোটারিয়ান ডা.সমীর কুমার সাহার অদম্য স্পৃহা ও সাংগঠনিক যাদুর ছোঁয়ায় মাত্র ৩ মাস ১৫ দিনের মাথায় গত ২৫ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে “সাহা ফাউন্ডেশন” এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল।
দেশ বিদেশের সাহা সম্প্রদায়কে সংগঠিত করে মানুষের জন্য কল্যাণকর্ম করাই সাহা ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে প্রায় ১১০০০ প্রচ্ছন্ন সদস্য ও দুই ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সদস্য হিসেবে সমাজ সচেতন ২০০ জন নিবন্ধন করে প্রত্যক্ষ্য ও সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়েছেন ” “সাহা ফাউন্ডেশন” এর সঙ্গে।
সপ্নদ্রষ্টা সমীর কুমার সাহা বলেন,
” You give me unity, I will give u something differences.”
সাহা ফাউন্ডেশনের সাথীদেরও বিশ্বাস,দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা (আর.পি.সাহা) একা এতো কিছু করে গেছেন তাহলে আমরা যৌথভাবে কেন নয়?
আসুন,আমাদের ঘুমন্ত বিবেকটাকে জাগ্রত করি। ঐক্য প্রচেষ্টায় সহযোগী হই।
আমরাও যে পারি তার প্রমান ডা.সমীর কুমার সাহা’র ফেসবুকের আহ্বানে মাত্র তিন মাস ২৫ দিনে আমাদের বিশাল অর্জন দশ হাজার পাঁচশ সদস্য সংযোগ ও জমজমাট আত্মপ্রকাশ।
প্রমান করেছি “সাহা সম্প্রদায়” বিত্তে ও চিত্তে এগিয়ে।
অভূতপূর্ব সাড়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
ডা.সমীর কুমার সাহা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, Together we can makes a difference!”
তিনি বিনয়ের সাথে বলেন, আপাততঃ অন্তত মাসে একটি দিন ‘বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে’ আমাদের নিয়মিত সাক্ষাৎ সংযোগে অংশগ্রহন করুণ, এতেই আমরা আকাশ ছুঁতে পারব বিশ্বাস রাখুন। গত ২৫ ডিসেম্বর “সাহা ফাউন্ডেশন” এর বর্ণাঢ্য আত্মপ্রকাশ শুধুমাত্র ইতিহাসের সাক্ষী নয়,এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ও শক্তি।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আসা উজ্জীবিত সাথীদের অফুরন্ত ভালবাসার নিদর্শন ‘সাহা ফাউন্ডেশনের’ সদস্য সঞ্জিব সাহার মালিকানাধীন সিরাজগঞ্জের অন্নপূর্ণা কর্পোরেশনের নিজস্ব প্রডাক্ট ‘অবন্তীকা’ ব্রান্ডের খাঁটি ঘি – সরিষার তেল ও নিত্যানন্দ সাহার মালিকানাধীন ‘সাহা মিষ্টান্ন ভান্ডারের’ ঐতিহ্যবাহী খিরের সন্দেস সহ আরো অনেকের টুকিটাকি উপভোগ্য ব্যতিক্রম বাড়তি প্রাপ্তি।
——————————————————————
এক নজরে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সংক্ষেপিত বর্ণনাঃ
————————————————————————-
*বর্ণীল আয়োজনে ‘সাহা ফাউন্ডেশনের’ আত্মপ্রকাশ*
————————————————————————
সংযোগ,সহযোগিতা,উন্নয়ন,কল্যাণ ও সম্প্রীতির অঙ্গীকার নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় সঙ্গীত,শঙ্খ-উলোধ্বনি ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো “সাহা ফাউন্ডেশন”।
পৌষের মনোরম সন্ধ্যার হিম হিম বাতাস ছাপিয়ে বিকেল ৫ টার আগেই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নান্দনিক মিলনায়তনের সারি সারি সজ্জিত দু’শ আসন পূর্ণতা পায়।
শুরুতে প্রজেক্টরের পর্দায় ‘সাহা উপাধি’র উৎপত্তি, সাহা সম্প্রদায়ভূক্ত বিশ্বনন্দিত মেঘনাদ সাহা,আর.পি সাহা,মহাদেব সাহাসহ আরো কয়েকজন কালজয়ী গুণীজনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়।
‘সাহা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব লোগো উন্মোচন করেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুভাষ সাহা।
ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মলয় কুমার সাহা।
শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ” আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে” গানের তালে অতিথি শিশু নৃত্যশিল্পী আবৃত্তি মন্ডলের অসাধারণ নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
‘সাহা ফাউন্ডেশনের’ মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধান উদ্যোক্তা ডা.সমীর সাহা।
‘সাহা ফাউন্ডেশনের’ স্বপ্নদ্রষ্টা অভিজ্ঞ রোটারিয়ান ডা.সমীর কুমার সাহার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন রথীন চন্দ্র সাহা,সুভাষ সাহা,মলয় কুমার সাহা,নির্মল সাহা,ঊষা সাহা,স্বপ্না সাহা,পি.কে.সাহা হিরন,তপন কৃষ্ণ পোদ্দার,রাজিব কুমার সাহা,প্রণব কুমার সাহা,কিশোর কুমার সাহা,কৌশিক সাহা প্রমূখ।
উল্লেখ্য,মাত্র ৩ মাস ১৫ দিন আগে ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা.সমীর সাহার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় দশ হাজার ৪০০ স্বপ্নবাজ নারীপুরুষ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সাহা ফাউন্ডেশন ফেসবুক গ্রুপে(Saha Foundation)।
এরমধ্যে নির্ধারিত অঙ্কের আর্থিক অবদানের জন্য ৩০ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের হাতে একটি করে গোল্ডেন ক্রেস্ট ও প্রশংসাপত্র তুলে দেন প্রধান উদ্যোক্তা ডা.সমীর কুমার সাহা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আগত পূর্বনিবন্ধিত ২০০ সাধারণ সদস্যের হাতে তুলে দেয়া হয় শুভেচ্ছা সামগ্রির একটি আকর্ষণীয় নান্দনিক ব্যাগ।
সাহা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব সংগঠন সঙ্গীত (থিম সং) পরিবেশন করেন “সাহা ফাউন্ডেশন” পরিবারের সদস্য সদস্যারা।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান।
প্রায় ৪ ঘন্টার পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী গোপাল চন্দ্র সাহা (কৌশিক) ও সুমনা সাহা।
অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা আমন্ত্রিত কয়েকজন অতিথির মধ্যে সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সমরেশ মন্ডল ফেসবুকে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন:
*সংযোগ,সহযোগিতা,উন্নয়ন,কল্যাণ, আর সম্প্রীতি’র Vision নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে যাত্রা শুরু করলো “সাহা ফাউন্ডেশন “। ইতোমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার সদস্য একাত্ম হয়েছেন আত্মপ্রকাশের এই যাত্রায়।
দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার মতো উজ্জ্বল নক্ষত্র তাঁদের পাথেয়।
মঙ্গল প্রদীপ হাতে প্রার্থনা নৃত্যের মাধ্যমে সূচনা পর্বে যুক্ত থেকে কালের সাক্ষী হয়ে রইলো আমাদের বড় কন্যা ” আবৃত্তি “।
সৌখিন সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সুভাষ দা (সুভাষ সাহা)’ র আমন্ত্রণে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলাম সপরিবারে।
সুভাষ দা’ র আন্তরিকতা আমাদেরকে দারুণ অনুপ্রাণিত করেছে।
ধন্যবাদ সুভাষ দা আপনার আন্তরিকতার জন্য । আপনার এই আন্তরিকতা চির অটুট থাকুক আমৃত্যু, সুদিনে, দূর্দিনে,সকল সময় ।