চট্টগ্রাম মহানগর বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন জননী পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড এর গোডাউন থেকে ১৫৫(একশত পঞ্চন্ন) বস্তা চোরাই মালামাল উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা কাভার্ড ভ্যান হতে মালামাল ও চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সালাউদ্দিন (২২), পিতা- মোঃ আনসার, মাতা- সাহিদা বেগম, সাং-চরলক্ষ্যা, হামিদ আলীর বাড়ি, থনা-লালমোহন, জেলা-ভোলা, ২। আব্দুল মান্নান (৩৪), পিতা- আব্দুল ওহাব পাটওয়ারী, মাতা-খাদিজা বেগম, সাং-সেনগাঁও, ০২নং ইউপি, পাটোয়ারী বাড়ি, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর, ৩। মোঃ রাশেদ (৩৬), পিতা- মোঃ নূরুল ইসলাম, মাতা- সায়েরা বেগম, সাং- মধ্যম হালিশহর, ৩৭নং ওয়ার্ড, ঘাসিয়া পাড়া, আহম্মদ মেম্বারের বাড়ি, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। মোঃ সেন্টু হাওলাদার, মাতা- মৃত শাহিনূর বেগম, সাং- আফালকাঠি, বাজার সংলগ্ন হাওলাদার বাড়ি, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, বর্তমানে-বন্দরটিলা, আয়েশার মা’র গলি সংলগ্ন বখতিয়ার কলোনী, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম, ৫। মোঃ নজরুল ইসলাম (২৯), পিতা- মোঃ হোসেন ছৈয়াল, মাতা- আনোয়ারা বেগম, সাং-চরনারায়নপুর, ছৈয়াল বাড়ি, থানা-ডামুড্যা, জেলা-শরীয়তপুর, বর্তমানে-বন্দরটিলা, কমিশনার গলির উত্তর পাশের্^, এসআলী মার্কেট, হাইওয়ে সুইটস্ এর ৩য় তলার ভাড়াটিয়া, থানা-ইপিজেড, চট্টগ্রাম, ৬। মোঃ আবু সুফিয়ান @ রুবেল(২৬), পিতা- মৃত আবু তাহের মাঝি, মাতা-দিলুয়ারা বেমম, সাং-আব্বাস পাড়া, হামিদ আলী সারেং এর বাড়ি, থানা-হালিশহর ৭। মোঃ ফারুক (৩৫), পিতা- মৃত মোঃ রফিক মেম্বার, মাতা- সাজু বেগম, সাং-খরনদ্বীপ, উম্মর মিয়া সওদাগর বাড়ি, থানা-বোয়ালখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-মধ্যম সরাইপাড়া, হাজী আব্দুল গনি রোড, ইকবাল সাহেবের ভাড়াটিয়া, থানা-পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম, ৮। মোঃ আলমগীর প্রঃ লিটন(৩৫), পিতা-মোঃ রফিক, মাতা-সেনোয়ারা বেগম, সাং-সাগরিকা রোড, শহীদনগর, হাজী আব্দুল হাকিম সওদাগরের বাড়ি, থানা-পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম, ৯। পংকজ দাশ (৫১), পিতা-মৃত সুরেন্দ্র দাশ, মাতা- মৃতা আশালতা দাশ, সাং- উত্তর গুজরা, যোগেশ দাশের বাড়ি, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে- ম্যানেজার, জননী পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড, চাক্তাই ফায়ার সার্ভিস এর সংলগ্ন, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৯। মোঃ হোসেন (২৬), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মাতা-নুর জাহান বেগম, সাং-৩নং ওয়ার্ড, কালাঘাটা, ড্রাইভার পাড়া, থানা-বান্দর সদর, জেলা-বান্দরবান, বর্তমানে-জননী পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড এর কর্মচারী, চাক্তাই ফায়ার সার্ভিস এর সংলগ্ন, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ১০। সজল দেব(৪১), পিতা- হরিপদ দেব, মাতা- অর্চনা দেব, সাং-মেড়কোট, ০৬নং ওয়ার্ড, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্ম্রনবাড়িয়া, বর্তমানে- আসাদগঞ্জ, হুইল্যা মিয়া মার্কেট, ৪র্থ তলা, থানা-কোতয়ালী, চট্টগ্রাম।
গত ০৫/০১/২০১৯খ্রিঃ তারিখ “মেসার্স গুডলাক ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেডিং এজেন্সি” নবী সুপার মার্কেট, ২৩২/খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম’র ম্যানেজার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন যে, গত ০১/০১/২০১৯ইং তরিখ তাদের ক্লায়েন্ট রাফি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আমদানীকৃত ৩৫৯৪ ব্যাগ সিবিসি রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট, সর্বমোট ০৭টি কাভার্ড ভ্যানে করে চট্টগ্রাম ভারটেক্স ডিপো, ১৪৪৩/১৫০৯ পুরাতন এয়ারপোর্ট রোড, খাঠগড়, উত্তর পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম হতে লোড করে আমদানীকারকের ফ্যাক্টরীর উদ্দেশ্যে পাঠাইলে ০৭টি কাভার্ডভ্যানের মধ্যে ০২টি কাভার্ডভ্যান যাহার নম্বর যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৯৫৫৬ ও ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৬৭৭১ থেকে যথাক্রমে ৭৫ ব্যাগ ও ৮০ব্যাগ মালামাল কম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত গাড়ির ড্রাইভারদের যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
মামলাটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ন হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্তভার দেওয়া হয়। মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন’র সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অভিযানিক দল মামলাটি তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ড্রাইভার মোঃ সালাউদ্দিন (২২) ও আব্দুল মান্নান (৩৪)দ্বয়কে ধৃত করে তাহাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানোমতে চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরকে আটক করা হয়। আটকৃতরা অত্র মামলার চুরির ঘটনা স্বীকার করে এবং চোরাইকৃত মালামালগুলো তাদের সর্দার সেন্টুর কাছে আছে বলে জানায়।
পরবর্তীতে সেন্টুকে আটক করলে সে জানায় চোরাইকৃত মালামালগুলো জনৈক রিংকু সেন এর মালিকানাধীন চাক্তাই এলাকায় “জননী পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড” নামীয় দোকানের গোডাউনে আসামী পঙ্কজ দাশ এর তত্তাবধানে বিক্রির জন্য মজুদ করেছে। পরবর্তীতে আসামী পঙ্গজ দাশ’কে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও সনাক্তমতে “জননী পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড” নামীয় দোকানের গোডাউন হতে এজাহারে বর্ণিত চুরি যাওয়া ১৫৫ (একশত পঞ্চান্ন) ব্যাগ রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট (প্রত্যেকটি ব্যাগে ২৫ কেজি)এর প্যাকেটগুলো উদ্ধার করা হয়। ধৃত চোর চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজোসে বিভিন্ন আমদানী ও রপ্তানীর জন্য প্রেরিত পন্য চুরি করে দেশে ও বিদেশে রাষ্ট্রের সম্মান হানি করে আসতেছিল। আসাামীদের গ্রেফতারে ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে।০৬জানুয়ারী সন্ধ্যায় সিএমপিরজনসংযোগ কর্মকর্তা একপ্রেসবার্তায় সংবাদমাধ্যম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।