মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ নির্দেশনার পরও দীর্ঘদিন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের প্রাণের দাবী পদবি পরিবর্তন না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে নেতৃবৃন্দরা কর্মস্থলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ২-৩ ঘন্টা কর্মবিরতি শুরু করেছে । গত ২০ ও ২১ জানুয়ারী সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। ২২ ও ২৩ জানুয়ারী বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারী সোম ও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনসহ অফিস চত্বরে অবস্থান করবে সহকারীরা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বাস্তবায়ন না করায় কালেক্টরেট সহকারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী এ কর্মবিরতি কর্মসুচী পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে এক সভা বাকাসস চট্টগ্রাম জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন কুমার দাশের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্বদেশ শর্মা, উদয়ন কুমার বড়ুয়া, আবদুল মন্নান, সাদিয়া নুর, প্রদীপ কুমার চৌধুরী, সফিউল আলম, নুরুল মুহাম্মদ কাদের ও চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক এসএম আরিফ হোসেন।
বক্তাগণ বলেন, সহকারীদের ন্যায় সংগত দাবী আদায় না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, এসডিজি বাস্তবায়ন ও রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত বিভাগীয কমিশনার অফিস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত সহকারীদের মনোবল সতেজ রেখে কাজের গতিশীলতা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তারা বিভিন্ন দপ্তরের ন্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত সহকারীদের উত্থাপিত দাবী দাওয়াসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উদাত্ত আহবান জানান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষে সহকারীদের মর্যাদার দাবী বাস্তবায়নে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য যে, বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষ ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস প্রথম ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর পদ সৃষ্টি করার পর কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করলেও অদ্যাবধি কালেক্টরেটে কর্মরত সহকারীদের কোন ধরণের সুযোগ প্রদান না করায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও রূপকার বাঙ্গালীর স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুযোগ্য কন্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাদার অব হিউমিনিটি, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সুযোগ্য ও সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১৯-০৬-২০১১ তারিখে কালেক্টরেট সহকারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবীর সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেন।