॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি সদরে একটি পর্যটকবাহী ইঞ্জিন চালিত বোট ডুবিতে ৫ জন নিহত এবং কাপ্তাইয়ে অপর আর একটি বোট ডুবিতে ১জন নিহত ও ২ জন নিখোঁজ হয়েছে। এরা সবাই রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাইয়ে বেড়াতে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম ইপিজেট থেকে পোষাক কারখানা প্যাসেফিক জিন্স লিঃ থেকে আসা ৫০ জনের পর্যটকেরা পর্যটন এলাকা থেকে দুইটি ইঞ্চিন চালিত বোটে করে শুভলং ঝর্ণায় ঘুরতে বের হয়। এসময় রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলোর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি বোট উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। এতে ৫ জন মহিলা নিহত হয়। ঐ বোটে ৩০জন পর্যটক ছিলো।
এদের মধ্যে রিনা বেগম (১৬), শিলা বেগম (২৬), আসমা (৩০) ও আফরোজা আক্তার (১৪) নামে ৪ জনের নাম পাওয়া গেলেও অপর ১ জনের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আর লাশ পাওয়া না গেলে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কাপ্তাই হ্রদের উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়।
এদিকে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় কয়লার ডিপু সংলগ্ন কর্ণফুলি নদীতে চট্টগ্রাম থেকে আসা
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের ইসকনের ৫৩ জনের একটি পর্যটকবাহী ইঞ্জিন বোট ¯্রােতের তোড়ে ডুবে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে পিকনিক বোট থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। এরা হলেন, বিনয় (৫), দেবলীলা (১০), টুম্পা মজুমদার (৩০)। আহত কয়েকজনকে কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেবলীলা (১০) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কাপ্তাই কর্ণফুলী নদীতে এখনো পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-বাহিনীর দল।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবির ঘটনায় পর্যন্ত হাসপাতালে পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার এক শিশুকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ জানান, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে ইঞ্জিন চালিত বোট ডুবে ৫জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে কাপ্তাই কর্ণফুলী নদীতে বোট ডুবে তিন জন নিখোঁজ রয়েছে। এদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।