
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত::
আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে বর্তমানের অন্ধকার,অজ্ঞানতা থেকে বের হয়ে আশার জন্য————— অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
পার্বত্য অঞ্চলে আগে কোন উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না,বর্তমানে আমরা সুযোগ-সুবিধা বেশী পাচ্ছি — নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা
॥ শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন ॥ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে বর্তমানের অন্ধকার, অজ্ঞানতা থেকে বের হয়ে আশার জন্য। আমাদের যুদ্ধ করতে হবে যাতে অন্ধকারকে পিছনে ফেলে আলোকে ছড়িয়ে দিতে পারি চারিপাশে। আজ যে তোমরা উপবৃত্তি পাচ্ছো এইযে সহযোগিতা পাচ্ছো এই সহযোগিতার সঠিক ব্যবহার করতে হবে তোমাদের । আর তোমরা যদি এর সঠিক ব্যবহার করতে পারো তাহলে আগামী ৩০ বছর পর এই পার্বত্য চট্রগ্রাম আলোকিত হয়ে উঠবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনি সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্দ্যোগে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এই কথা বলেন।
শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে আগে কোন উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, কিন্তু বর্তমানে আমরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৬ সালে এই উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এই বৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছিল ৮১ হাজার টাকায় এবং বিভিন্ন অর্থবছরে এই পরিমান পর্যায়ক্রমে বেড়ে তা বর্তমানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামীতেও এ বৃত্তি চালু থাকবে বলেও তিনি আশাব্যক্ত করেন।
পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসির সভাপতিত্বে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবির, রাঙ্গামাটি সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি সরকারী স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক নিরূপা দেওয়ান, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও কর্মকর্তা ও সরকারী বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্টানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে প্রান বাচানোর জন্য, আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে বর্তমানের অন্ধকার , অজ্ঞানতা থেকে বের হয়ে আশার জন্য।আমাদের যুদ্ধ করতে হবে যাতে অন্ধকারকে পিছনে ফেলে আলোকে ছড়িয়ে দিতে পারি চারিপাশে।আজ যে তোমরা উপবৃত্তি পাচ্ছো এইযে সহযোগিতা পাচ্ছো এই সহযোগিতার সঠিক ব্যবহার করতে হবে তোমাদের ।আর তোমরা যদি এর সঠিক ব্যবহার করতে পারো তাহলে আগামী ৩০ বছর পর এই পার্বত্য চট্রগ্রাম আলোকিত হয়ে উঠবে। শিক্ষার আলোয় জ্বলে উঠবে। তখন পার্বত্য চট্রগ্রামকে আর তখন পিছিয়ে পরা প্রান্তিক দুর্বল জায়গা বলে আর কেউ ব্যাখ্যা দিতে পারবে না।বাংলাদেশের যেকোন জাগয়া থেকে এই পার্বত্য চট্রগ্রামের স্থান উপরে চলে আসবে।
চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ সব কিছুতেই আমাদের সস্পৃক্ততা আছে। আমাদের তিন পার্বত্য জেলা মোট ২৬টি উপজেলা, ১২১টি ইউনিয়ন ৩৭৫টি মৌজা এবং ৫ হাজার গ্রাম’র মধ্যে এমন কোন এলাকা নাই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছায়নি। বর্তমানে উন্নয়ন বোর্ডে ১৪টি প্রকল্প চলমান এবং আগামী অর্থবছরে আরো প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ এই এলাকার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, প্রকল্পগুলোতে কোন প্রকার বৈষম্য থাকবে না বলেও জানান তিনি।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তিতে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে ৭২১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।