মোঃজুয়েল,বাঘাইছড়ি(রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক এলাকায় রিজার্ব ফরেষ্টর শত শত একর সংরক্ষিত পাহাড়ী বনাঞ্চল ও আশপাশের পাহাড়ে জুম চাষের নামে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির লতা-পাতা ও গাছপালা। জুম চাষের নামে জুমিয়াদের এ ধ্বংসলীলা চলছে বছরের পর বছর। ফলে প্রকৃতি হারাচ্ছে ভারসাম্য, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী, পাখি ও কীট-পতঙ্গ। ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়, যার দায়ভার বহন করতে হচ্ছে সাজেকসহ পাহাড়ে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মানুষকে। লাগাম হীন এই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে এতে পুড়ছে অনেক বসত ঘরও, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র । অবাদে বনাঞ্চাল ধংসের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে চরম পানির অভাব, ফলে বাড়ছে পাহাড়ে পানি বাহিত রোগবালাই। পাহাড়ে আগুন দেয়া থেকে স্থানীয় দের দুরে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই দেয়াহয় কোঠোর বার্তা তাতেও লাগামটানা যাচ্ছে না এই আগুনের । স্থানীয় গ্রাম প্রধান, মেম্বার (কারবারিদের) দাবী তারা নিরুপায় হয়েই আগুন দেয় পাহাড়ে, তাদের খাদ্যের সংকট রয়েছে , খাদ্যের যোগানে তাদের বিকল্প কোন কর্মসংস্থান নেই, আগুন না দিলে চাষ না হলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাদের দাবী সরকার যদি তাদের বিকল্প কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করে দেয় তাহলে তারা জুম চাষ ছেড়ে দিবে তখনই পাহাড়ে আগুন দেয়া বন্ধ হবে। বাঘাইছড়ি পরিবেশে সুরক্ষা কমিটির সভাপতি ও কাচালং সরকারী কলেজের জীববিজ্ঞানের প্রভাষক আবুল ফজল মনে করেন জুম চাষের নামে অবাদে বনাঞ্চল ধংস করার পরিনাম হবে ভয়াবহ, পানির স্তর সুকিয়ে যাবে, নেমে আসবে চরম বিপর্যয়, তাই বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের জুম চাষ থেকে বিরত রাখতে হবে।
Post Views: ৪৯