॥ শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন ॥ জামিন করিয়ে দেয়ার নাম করে আসামী পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ঘুষের টাকা সহ রাঙ্গামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মোঃ জামাল হোসেনকে আটক করেছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহেদ আহম্মদ ও প্রবাল চক্রবর্তী। গত মঙ্গরবার বিকালে রাঙ্গামাটি জেলা জজ কোর্ট আদালতে আটক আসামী পক্ষের স্বজন নিশাত নেওয়াজ (সুমি)’র কাছ থেকে ঘুষ বাদ ১ হাজার ৫ শত টাকা নেয়ার সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা জজ কোর্টেও কোর্ট পুলিশ, আইনজীবি আব্দুল গফফার মুন্না সহ বেশ কয়েকজন ষ্টাফ উপস্থত ছিলেন।
স্বারক নং-সিজে এম(প্রশা)/২০২০ইং তারিখ ১৮আগষ্ট মূলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে টআদালতের অফিস সহায়ক মোঃ জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অফিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালত রাঙ্গামাটি, উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন, রাঙ্গামাটি (ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য) ও অফিসার ইনচার্জ, কোতয়ালি থানা রাঙ্গামাটিকে আটককৃত ব্যক্তির আইনানুগ ব্যবস্থা ও হেফাজত নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অফিস আদেশ পাঠিয়েছেন।
এব্যাপারে ঘুষ প্রদানকারি জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নিশাত নেওয়াজ (সুমি)। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নিশাত নেওয়াজ (সুমি) জামাল হোসেনকে পূর্বে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়েছিল তার বাবা, মা, ভাইসহ প্রায় ১০জনের জামিনের জন্য। কিন্তু অফিস সহায়ক জামাল হোসেন কোন কাজই করেনি সুমির দাবি। সর্বশেষ মঙ্গলবার ১হাজার পাঁচ টাকা সুকৌশলে জামালকে গ্রহন করিয়ে হাতে নাতে ধরিয়ে দিলেন। সুমি জামালকে ঘুষ হিসেবে যে তিনটি পাঁচ টাকার নোট দিয়েছিল তার ফটো কপি রেখেছে সে। জামালকে তল্লাশির পর ঠিক ওই তিনটি পাঁচ টাকার নোট জামালের কাছে পাওয়া গেছে। অভিযোগে সুমি আরো বলেছেন, তার ভাই সোহেল থেকে ৩১হাজার ৫শ’ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছে। আমার মার জামিনের সময়ও জামাল ১৫ হাজার টাকা চেয়েছিল।
এ সংক্রান্ত ব্যাপারে মুঠোফোনে বাদী নিশাত নেওয়াজ (সুমি)র’সাথে কথা বলতে চাইলে সুমি কট্রাক্য ভাষায় বলেন, আমি জামালের ব্যাপারে যা বলার তা লিখিত ভাবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে বলে দিয়েছি। আপনাকে আর কিছুই বলতে পাবরবো না। বাদীর আচারণ ছিল অন্য ধরনের ।