
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে অংশীজন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি, চট্টগ্রাম এর আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস, রাঙ্গামাটি এর সহযোগিতায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ১০টি উদ্যোগ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিস।
এসময় আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রাম এর উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুর (শিক্ষা ও আইসিটি)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, রাঙ্গামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন নিতিশ চাকমা, জেলা সমাজ সভা অফিসের উপ-পরিচালক ওমর ফারুক, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোসনে আরা বেগম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা কৃপাময় চাকমা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী মিঠুন দুপ্ত, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম মুকছুদ আহম্মেদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ আজিজুল হক নিউটনসহ রাঙ্গামাটির কর্মরত পিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মামুন বলেন, যে কোনো পরিকল্পনা যদি জনগণ না জানে এবং সচেতন ও সম্পৃক্ত না হয়, তাহলে তা লক্ষ্যমাত্র অর্জন করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা, জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, সচেতনকরণ করতে গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের সচেতনতার মাত্রার উপর নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সফলতা ও ব্যর্থতা।
সভায় তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে। সমাজের অন্য কোনো সেক্টর পরিবর্তন নিয়ে এতো কাজ করে না। মিডিয়াই হচ্ছে পরিবর্তনের ক্যাটারিস্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগকে প্রচারের জন্য অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উপযোগী করে ফিচার তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানান।
তথ্য অধিদফতর আরও গতিশীল করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, তথ্য অধিদফতর ও কার্যালয়কে আরও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলা হবে। দ্রুতই এ কাজ করা হবে। এ সময় সাংবাদিকদের কাছ থেকে পিআইডির বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসার পর দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন তিনি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মীর হোসেন আহসানুল কবীর বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে ‘১০টি খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারা যাবে। সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবেশ, বৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা। ১০টি বিশেষ উদ্যোগ দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, পরিবেশবান্ধক, টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।
সভায় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে বড় ধরনের ভূমিকা রাখার যেমন সুযোগ আছে তেমনী অনুসন্ধানী কাজেরও সুযোগ আছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। এর থেকে বের হতে হলে সব মহলের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
বক্তারা আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইনটির মাধ্যমে অর্জিত তথ্য সাংবাদিকের পেশাদারিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করবে। পাশাপাশি তাকে তথ্য-প্রমাণ দিয়েও সুরক্ষিত করবে। আর জনগণের হয়ে সাংবাকিরাই পারেন তথ্য অধিকার আইনের শক্তিশালী দিকগুলো ব্যবহার করে দূর্নীতি-অনিয়ম, অন্যায়-অবহেলা ও বঞ্চনার খবর তুলে আনতে।