ফাঁকা হচ্ছে নগর, মুখর গ্রাম

চট্টগ্রাম ব্যুরো :: আপনজনদের সাথে ঈদ করতে শহর ছাড়ছে মানুষ, তাই ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে নগর। রমজান মাসজুড়ে শহরে ছিল যানজট।

এখন তা আর নেই। রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে।

এরইমধ্যে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন অনেকে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ঈদ আনন্দযাত্রা। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করার জন্য প্রতি বছর বাস ও ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে নানা ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ঈদের দু-একদিন আগে থেকে প্রতিটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটতো। অতিরিক্ত গরমে বাসে ভোগান্তি বাড়ে আরও বেশি। তবে অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন ঘরমুখো মানুষ।

কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, কদমতলী বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোড, বিআরটিসি বাসস্টেশন, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, অলংকার মোড়, একে খান ও সিটি গেট এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যারা কেটেছেন তারা এবং যারা স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছেন তাদের ভ্রমণ কিছুটা আনন্দদায়ক হলেও বাসের যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের অধীন এলাকাগুলোর জনসংখ্যা ৩২ লাখের বেশি। ঘরবাড়ির সংখ্যা দুই লাখের অধিক। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ধরে নেওয়া হয়, ঈদের সময় অর্ধেকের বেশি মানুষ গ্রামে চলে যায়। দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তাই স্বজনদের সঙ্গে বাড়িতে স্বস্তিতে ঈদ করার আনন্দে ছুটছেন সবাই।

চট্টগ্রাম জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের চাপ কিছুটা কম। লম্বা ছুটি হওয়ায় মানুষ ধাপে ধাপে বাড়ি যাচ্ছেন। পোশাক কারখানাগুলো আলাদা করে ছুটি ঘোষণা করার কারণে কেউ গেছে আর কেউ যাবে। মহাসড়কেও তেমন যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

বিআরটিএ ও সিএমপির পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী পরিবহন না করতে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চালক-মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যদি ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সিএমপি ও বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। কয়েকটি পরিবহন জব্দও করা হয়।

সিএমপির ট্রাফিক বন্দর বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) প্রশাসন মো. মশিউর রহমান বলেন, কক্সবাজার-বান্দরবানগামী যানবাহনের চাপ পড়ে মইজ্জারটেক এলাকায়। সেখানে আমরা অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি, যাতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন নগরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মামলা ও জব্দ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031