বান্দরবানে পাওয়া উড়ন্ত কাঠবিড়ালির ঠাঁই হল কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

॥রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান॥  বান্দরবানে গতসোমবার রাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা এক উড়ন্ত কাঠবিড়ালিকে কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রাণীটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের পর বিকালের দিকে প্রাণীটি সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে বালাঘাটা এলাকার এগ্রো সার্ভিসের সামনে হঠাৎ বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ তারের সাথে লেগে প্রাণীটি নিচে পড়ে যায়। আঘাত পাওয়ায় সেটি আর উড়তে পারেনি। পরে স্থানীয়রা এটি ধরে ফেলে। খবর পেয়ে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী সামসুল আলম সামু প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তার বাসায় নিয়ে যান।
সামসুল আলম জানান, বিরল প্রজাতির প্রাণীটি ধরা পরার পর এটি নিয়ে মানুষ উৎসুক হয়ে উঠে। এ ধরনের প্রাণী অনেকেই আগে দেখেননি। এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরলে অনেকে প্রাণীটি নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। তক্ষক ব্যবসায়ীরাও প্রাণীটি কিনতে সেখানে যায়। তবে প্রাণীটি বিপন্ন প্রজাতির জানার পর এটিকে বাসায় নিয়ে এসে যতœ করা হয়। রাতে প্রাণী হাসপাতালে নেয়া হলেও সেখানে কেউ না থাকায় মঙ্গলবার কাঠ বিড়ালিটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সেটিকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যান। দেহের উপরিভাগে কালচে বাদামি হতে উজ্জ্বল কমলা রঙের সৌন্দর্য ছড়ানো। দেহের নিন্মতল সাদাটে ধূসর। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) এটিকে মহা-বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাশ জানান, সিলেট চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের চিরসবুজ বনে এরা বিচরণ করে থাকে। প্রাকৃতিক চির সবুজ বন কমে যাওয়ায় এ ধরনের প্রাণীদের অবস্থা ভাল নয়। বিরল প্রজাতির প্রাণীদের রক্ষায় বন বিভাগ সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছে।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031