পাহাড় ধ্বসের ৬৮দিন পর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় ৬৮দিন পর ভারী যানবাহন চলাচলের রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে খুলে দেয়া হয়েছে। সোমবার (২১ আগষ্ট) সকালে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সাপছড়ির শালবনে নবনির্মিত বেইলি ব্রীজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ দীর্ঘ ২মাস চেষ্টা চালিয়ে ২কোটি ৩৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করে।
গত ১৩জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় সাপছড়ির শালবন এলাকায় রাঙ্গামাটি- চট্টগ্রাম সড়কের ১শত মিটার জায়গা ধ্বসে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাঙ্গামাটির সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের সড়ক যোগযোগ। ঘটনার ৯দিনের মাথায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিকল্প সংযোগ সড়ক নির্মান করে হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেয়। কিন্তু বিকল্প সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করতে না দেওয়ায় রাঙ্গামাটির ব্যবসা বানিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাপছড়ি এলাকায় ধ্বসে যাওয়া পাহাড়ের অংশে নতুন করে বেইলী ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করে।
দীর্ঘ ২মাস পর বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহা সড়কে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ পূনঃস্থাপন করে। বেইলী ব্রীজটি আজ পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়। দুপুর থেকে ভারী যানবাহন শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটির বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য সহ পর্যটন শিল্পে পুনরায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ৬৮দিন পর ভারী যানবাহন যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় মানুষের মনে ছিল উচ্ছাস আর আনন্দ। অতিদ্রুত সড়ক যোগাযোগ পুনরায় স্থাপিত হওয়ায় তারা সড়ক বিভাগের কর্মীদের অভিনন্দন জানান।
পাহাড় ধ্বসে রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে দীর্ঘদিন রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটির মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসা, মৎস্য পরিবহন ও পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটিতে অর্থনৈতিক দুরবস্থার সৃষ্টি হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদ হোসেন জানান, পরীক্ষা মূলক ভাবে বেইলী ব্রীজের উপর কিছু যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে সবরকম ভারী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
পাহাড় ধ্বসে রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে দীর্ঘদিন রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটির মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসা, মৎস্য পরিবহন ও পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটিতে অর্থনৈতিক দুরবস্থার সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ, রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় জনবসতিপূর্ণ এলাকা, সড়ক মহাসড়ক ও বিস্তর্ণ পাহাড়ী ভূমির ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031