
রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ দিনের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের সমাপনী
॥ নিজস্ব প্রতিবেক ॥ দেশে যতদিন পর্যন্ত গণমুখী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পাবে না ততদিন শিক্ষাঙ্গনে যথাযথ বাস্তবতা সৃষ্টি হতে পারে না বলে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা গণমূখী করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দেশের যুব সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষা দানের জন্য শিক্ষকদের আরো বেশী সচেতন হতে হবে। সমাজ জীবনে মানুষে মানুষে যে দ্বন্ধ সংঘাত, জাতি, সম্প্রদায় শ্রেনী ও লিঙ্গগত বৈষম্য রয়েছে তা শিক্ষার মাধ্যমে দুর করতে হবে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাচঁ দশক পূর্র্তিতে ২ দিনের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রেদুয়ানুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ কাওসার জাহান, ফরিদা পারভিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, রাঙ্গামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অঞ্জলিকা খীসা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা আরো বলেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধের কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক, সমাজ জীবনে, শিক্ষা অঙ্গনে বিপর্যয় বয়ে আনে। প্রয়াত সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা নেতৃত্বে আবারও নতুন করে শিক্ষা আন্দোলন শুরু করা হয়। সেই ধারবাহিকতায় আজকে পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষার বিস্তৃতি ঘটেছে।
আলোচনা সভা শেষে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা ৪৫ জন প্রাক্তন কৃতি ছাত্রীদের মাঝে সন্মাননা প্রদান করেন। বিকেলে স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দুই দিনের উৎসব আজ রাতে শেষ হবে।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর পুরাতন রাঙ্গামাটি পানিতে তলিয়ে গেলে ১৯৬৬ সালে নতুন রাঙ্গামাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় রাঙ্গামাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করেন। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এবছর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করে। বিদ্যালয় দুইদিনের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে যোগদিতে আসা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ছাত্রীদের আগমনে রাঙ্গামাটিতে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।