
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির বন্দুকভাঙ্গার ইউনিয়নের সাক্রাছড়ি এলাকায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আজ ভোরে বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের সাক্রাছড়ি এলাকায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত টহল দলের সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে অর্পণ চাকমা নামে একজন নিহত হয়।
নিহত ব্যক্তি নানিয়ারচর উপজেলার আলোচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামী অর্পন চাকমা। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী এবং একটি দেশীয় অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শফিউল্ল্যাহ সত্যতা স্বীকার করে জানান, গুলি বিনিময়ের ঘটনার খবর শোনার পর লাশ উদ্ধার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তি কোন গ্রুপের সদস্য তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন বিকালে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
এই সময় লাশের কাছ থেকে একটি ৭.৬২ এম এম পিস্তল, ১ টি দেশীয় তৈরী বন্দুক ১ টি ম্যাগজিন, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ টি গুলির খোসা, ১ রাউন্ড কার্তুজ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরুন কান্তি চাকমা জানান, ভোরে সাক্রাছড়ি এলাকায় বন্দুক যুদ্ধের আওয়াজ শুনেছি, তবে কার সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে তা জানি না।
এদিকে বিকালে নিরাপত্তা বাহিনীর এক প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, গতকাল ভোরে সুভলং জোনের একটি নিয়মিত টহল দল নৌযানে কওে বন্দুকভাঙ্গার বাসনাছড়ি এলাকায় গেলে মাইসভাঙ্গা এলাকায় অতিক্রম করার সময় পাহাড় থেকে ওঁতপেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে আকষ্মিক গুলি বর্ষণ করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলির জবাবে সেনা সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সেনা সদস্যরা সুভলং আর্মি ক্যাম্পকে অবহিত করলে স্পীড বোটে করে শুভলং আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান নেয়। পরে আধ ঘন্টা গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অর্পন চাকমা মারা যায়।
স্থানীয়দেও জিজ্ঞাসাবাদে নিহত ঐ সন্ত্রাসীর নাম অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা বলে জানা যায়। নিহত অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা এবং তার সহযোগিরা বিগত তিন থেকে ৪ মাস ধরে বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল।
আরো উল্লেখ্য যে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী একই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দুটি গ্রুপের মাঝে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুইপক্ষের গোলাগুলিতে সুমন চাকমা নামের ইউপিডিএফ (মূল) দলের একজন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, বাবুধন চাকমা ওরফে অর্পন চাকমা ইউপিডিএফ (মুল) এর সশস্ত্র শাখার একজন কুখ্যাত সদস্য। ২০১৮ সালের ৩ মে চাঞ্চল্যকর নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান এজাহারভুক্ত আসামী অর্পন চাকমা বলে জানা গেছে।